Posts

Informations

Informations প্রত্যেক বিষয় জোড়া জোড়া (আল কুরআন) মহাবিশ্ব মূলতঃ দ্বিবিধ যথাঃ ১) জড়ধর্মী এবং ২)প্রাণধর্মী। "আমরা পৃথিবীকে অর্থবহ করে তুলতে পারি আমাদেরর প্রশ্ন করার সাহস ও উত্তরের গভীরতা দিয়ে" (মার্কিন জ্যোতিঃ পদার্থবিজ্ঞানী কাল সাগান)। জড়ধর্মী কতিপয় মৌলিক বৈশ্বিক প্রশ্নঃ মহাবিশ্ব এক জটিল প্রক্রিয়ার নাম। সুতরাং, সাধারণ জ্ঞানে এই মহাবিশ্বের মর্মমূলে পৌঁছা কখনও সম্ভবপর নয়। তাই প্রয়োজন বিশেষ জ্ঞানের। বিশেষ জ্ঞানের অধিকারীকে বলা হয় বিজ্ঞানী। আবহমান কাল ধরে সাধারণ মানুষের মনে যে অনন্ত জিজ্ঞাসার জন্ম নেয় বিজ্ঞানীরা বিশেষ জ্ঞানের সাহায্যে তারই সদুত্তর দিতে চেষ্টিত হন নিরবচ্ছিন্ন গবেষণার মধ্য দিয়ে। এতদসংক্রান্ত জড়ধর্মী কতিপয় আদি প্রশ্নঃ “এই মহাবিশ্ব কোথা থেকে এলো? এটা হলো আদি প্রশ্ন। ১৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন বছর আগে এক মহাবিস্ফোরণ ঘটেছিল, যা থেকে এই মহাবিশ্ব জন্ম নিল। কেন? কেমন করে? তার আগে কী ছিল? কেউ জানে না” (বিচি, জুন, ২০১৯, পৃঃ ৩৬-৩৭)। প্রাণধর্মী কতিপয় মৌলিক বৈশ্বিক প্রশ্নঃ "পৃথিবীতে প্রাণের প্রকৃতি এবং গ্রহান্তরের কোনো জায়গায় প্রাণ আছে কিনা, তার অনুসন্ধান হল...

Update 8 Dec, 2023

১. স্ট্রিং নয়, কম্পন তত্ ত্বঃ কম্পনের মাত্রাই যেহেতু ঠিক করে দেয় সাইক্লোটন যন্ত্রে সৃষ্ট কণা ভর, স্পিন.....এর নিরিখে কোয়ার্ক হবে নাকি ইলেকট্রন হবে? সেহেতু IRRSTC এর মতে, প্রচলিত স্ট্রিং তত্ত্বের নির্ভরযোগ্য নাম হতে পারে “কম্পন তত্ত্ব”। কারণ, অয়লারের বেটা ফাংশন তথা কণা পদার্থ বিজ্ঞান মতে প্রতিটি কণাই কম্পমান। ২. মহাকর্ষের রহস্যের মূলোৎসঃ IRRSTC এর মতে, সার্বিক দিক বিবেচনায় জাগতিক পরিভাষায় বলা যেতে পারে মহাকর্ষ স্রেফ “প্রকৃতির অপার দয়া”, “অপার দান”, আধ্যাত্মিক পরিভাষায়ঃ “আল্লাহর দান” “গড’স গিফট” (God Gift)। ৩. হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশন ঃ মহাবিশ্বের উদ্ভব হওয়ার পূর্বে কি ছিল? কিসে মহাবিস্ফোরণ ঘটেছিল? মহাবিস্ফোরণের পূর্বেকার অবস্থাকে শুন্য ধরা হয় তাহলে বলা যেতে পারে মহাবিশ্ব সম্পূর্ণ নাই থেকে অর্থাৎ শুন্য অবস্থা থেকে সৃষ্টি হয়েছিল। উল্লেখ্য, স্টিফেন হকিংয়ের প্রাথমিক দাবী ছিল যে, মহাবিশ্বের উদ্ভব শুন্য। পরে বলা হলোঃ মহাকর্ষ বল থেকে। শুন্য কি শুধুই শুন্য? এর উত্তর রয়েছে কোয়ান্টাম মেকানিকসে। “শুন্যে শক্তি বিরাজমান থাকা কোয়ান্টাম মেকানিকসে নতুন কথা নয়” (বিজ্ঞানচিন্তা)। ৪. ডা...

ইসলামের আলোকে মহাবিশ্বতত্ত্ব

ইসলামের আলোকে মহাবিশ্বতত্ত্ব ‌ইসলামী সৃষ্টি তত্ত্ব বনাম আধুনিক বৈজ্ঞানিক সৃষ্টিতত্ত্ব দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান জীব ও জড় নির্বিশেষে সকল সৃষ্টিজগতের সৃষ্টিকর্তা প্রকৃত অর্থে কে? এবং এটি কখন, কিভাবে এবং কি দিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল?-এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তাত্ত্বিক ইতিহাস-কে সৃষ্টিতত্ত্ব (Creationism) বলা হয়। এ বিষয়ে রয়েছে একাধিক তত্ত্ব যথাঃ (ক) আস্তিক্যবাদী আধ্যাত্মিক সৃষ্টিতত্ত্ব এবং (খ) আধুনিক বৈজ্ঞানিক সৃষ্টিতত্ত্ব । আধ্যাত্মিক বা আস্তিক্যবাদী সৃষ্টিতত্ত্ব মতেঃ Nothing থেকে Everything সৃষ্টি হয়নি বরং অত্যন্ত সূক্ষ্ণদর্শী এবং মহা প্রবল প্রতাপশালী মহাজ্ঞানী একক সৃষ্টিকর্তা-ই সুপরিকল্পিত ও সুশৃঙ্খলিত এবং কঠোর নিয়মানুবর্তিতার মধ্য দিয়ে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন (সুবহা-নাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী, সুবহা-নাল্লাহিল আজীম)। আস্তিক্যবাদী সৃষ্টি তত্ত্বের অপর নাম “ইসলামী সৃষ্টিতত্ত্ব”। ইসলামী সৃষ্টিতত্ত্বে মহাবিশ্বের মহান সৃষ্টিকর্তা, সৃষ্টির পূর্ব অবস্থা এবং পরের অবস্থা, পরিবর্তন এবং মহা ধ্বংসতত্ত্ব (কেয়ামত) ইত্যাদি সম্পর্কিত পবিত্র কুরআন ও সহীহ্ সুন্নাহ ভিত্তিক বিশদ বিবরণ রয়েছে। পক্ষান্তরে বস্ত...

মহাবিশ্বের বুদ্ধিমাত্রিক জন্ম কথা

  হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশন আইনস্টাইনের সার্বিক আপেক্ষিকতা বলছে , প্ল্যাঙ্ক এপক বা প্ল্যাঙ্ক যুগের আগে একটি মহাকর্ষীয় সিঙ্গুলারিটির অস্তিত্ব ছিল । মনে করা হয় , এ সময়ে প্রকৃতির চারটি মৌলিক বল — মহাকর্ষ , তড়িৎ – চুম্বকত্ব এবং সবল ও দুর্বল নিউক্লীয় বল একীভূত ছিল । এমনকি এদের শক্তিও ছিল একই মাত্রার । এই অবস্থার বৈজ্ঞানিক নাম হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশন। যা     10-33cm. মহাসূক্ষ্ম বিন্দু   আকার ধারণ করে প্রায় ১০ , ০০০ কোটি কোটি কোটি কোটি ডিগ্রি কেলভীন (K) তাপমাত্রায় প্রায় প্রায় ১৫০০ কোটি বৎসর পূর্বে বিগ ব্যাং নামে বিস্ফোরিত হয় বিগ ব্যাং নামে। ০ থেকে 10-43sec. অর্থাৎ এক সেকেন্ডের ১০ কোটি , কোটি কোটি কোটি কোটি ভাগের মাত্র এক ভাগকাল সময়ের মধ্যে মহাবিশ্বের বিস্তৃতির পরিমাণ মাত্র ১০ -৩৫ মিটার।   মহা একীভবন যুগ   পরের যুগের নাম মহা একীভবন যুগ । ব্যাপ্তি বিগ ব্যাংয়ের পরের ১০-৪৩ থেকে ১০-৩৬ সেকেন্ড। এ সময় মহাকর্ষ অন্য তিনটি মৌলিক বল থেকে আলাদা হয়ে যায়। এ জন্যই এ বল তিনটির একীভূত তত্ত্বকে মহা...

আই.আর.আর.এস.টি.সি গবেষণাপত্র-১৪৪৫/২০২৩

পদার্থ বিজ্ঞানের অতিপারমাণবিক যুগের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল প্রাচীন গ্রীক বিজ্ঞানী ডেমোক্রিটাসের হাত ধরে। তিনিই ছিলেন পদার্থের অতিপারমাণবিককরণের অগ্রদূত যিনি একটি পদার্থকে ভাঙতে ভাঙতে এত ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র, সূক্ষ্ণাতিসূক্ষ্ণ করেছিলেন যে, তাতে ক্লান্ত হয়ে এক সময় বলে উঠেছিলেনঃ গ্রীক ভাষায় “অ্যাটম” অর্থাৎ বাংলায় “আর ভাঙা যাবে না”। এই বলেই ডেমোক্রিটাস পদার্থের চূর্ণকরণে ক্ষ্যান্ত দিয়েছিলেন। অ্যাটম শব্দে তিনি বলতে চেয়েছিলেনঃ মহাবিশ্বের বস্তু্-পদার্থগত অবকাঠামোর উপাদান-উপকরণের মূলে রয়েছে একমাত্রিক অ্যাটম। অবশ্য, পরবর্তীতে আরেক গ্রীক বিজ্ঞানী অ্যারিস্টটল এসে মহাবিশ্বের একমাত্রিক কাঠামোর স্থলে চতুর্মাত্রিক ধারণাতত্ত্ব প্রকাশ করে বলেনঃ মহাবিশ্বের ভিত্তিমূলে রয়েছে ১) মাটি ২) পানি ৩) আগুন এবং ৪) বাতাস। অতঃপর মধ্যযুগে মধ্যপ্রাচ্যের আরব মুসলিম বিজ্ঞানী জাবির ইবনে হাইয়ান একমাত্রিক ও চতুর্মাত্রিকতার মধ্যবর্তী হিসাবে উপস্থাপন করেন ১) পারদ এবং ২) সালফেটভিত্তিক দ্বিমাত্রিক বিশ্ব সংগঠনের ধারণাতত্ত্ব। এ ধারণার শত শত বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর অতিপারমাণবিকতায় নতুন ধারণা তত্ত্ব নিয়ে আসেন পরমাণুবিদ ডাল্...

যে জাতির রাজা-বাদশাহরা ছিলেন বিজ্ঞানী!

Image
  যে জাতির রাজা-বাদশাহরা ছিলেন বিজ্ঞানী! খলিফা আল মানসুর রাজকীয় কার্য থেকে একটু অবসর পেলেই আব্বাসীয় খলিফা আল মানসুর জ্যোতিবিজ্ঞান গবেষণায় ডুবে যেতেন। তাঁকে ইসলামী বিজ্ঞান জগতে জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনকও বলা যায়। কারণ তিনিই আরবের প্রথম জ্যোতির্বিজ্ঞানী। এ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত ইউরোপীয় ঐতিহাসিক মিঃ বোসো বলেন, “আরব জ্যোতির্বিদদের মধ্যে খলীফা আল-মনসুর সর্ব প্রথম” । রাজধানী এবং জ্ঞান-ইবিজ্ঞানের পীঠস্থান রূপে বাগদাদের ভিত্তি স্থাপক হিসাবেও খলিফা আল মানসুর অনন্য। উল্লেখ্য, আল মানসুরই প্রথম বলিষ্ঠ পদক্ষেপের দ্বারা আরব বৈজ্ঞানিক ও খলীফাদের উৎসাহ এবং পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রীক, রোম, আর্য প্রভৃতি বিভিন্ন প্রকারের দর্শন বিজ্ঞান প্রভৃতির ব্যাপকভাবে অনুবাদ শুরু হয়। ফলে বিজ্ঞান আজো পৃথিবীতে বেঁচে আছে। ইসহাক আল-ফাজারী, ইয়াকুব ইবনে তারিক, আবু ইয়াহিয়া আল বাতরিক, নও-বখত, মাশাল্লাহ প্রমূখ বৈজ্ঞানিক মনসুরের রাজ-দরবারের সভাসদ ছিলেন। প্রাচীন বিশ্ব সভ্যতার স্মারক গ্রন্থের অনুবাদ কর্মে মধ্যযুগীয় মুসলিম জ্ঞানী-বিজ্ঞানীর ভূমিকা প্রাচীন গ্রীক বিজ্ঞান সংরক্ষণে মুসলিম বিজ্ঞানীদের ভূমিকা “গ্রীক বিজ্ঞানের নাম-গন্ধ...

হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশন

  Highest Energetic Radiation উনিশশত....সালে মহাবিশ্বের প্রাপ্ত আদি বিকিরণ শক্তি ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশনের কম্পিউটার সিমুলেশনের উপর ভিত্তি করে রচিত মডার্ণ কসমোলজিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড মডেল থিওরিমতে, মহাবিশ্বের উদ্ভব হয়েছিল হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশন বিস্ফোরণের মাধ্যমে যাকে বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ বলা হয়। “সেই আদি মহাবিস্ফোরণের শক্তি থেকে মৌলিক কণা এবং প্রতি কণার সৃষ্টি হলো” (বিজ্ঞানচিন্তা, পৃষ্ঠা ৩৭)।  আইনস্টাইনের ভরশক্তি সমীকরণ মতে, জমে থাকা শক্তি জমে থাকা বস্তুর মতই। অর্থাৎ এই সমীকরণমতে, জমাটবদ্ধ শক্তির নাম বস্তু-পদার্থ। বস্তুর ভর এবং ওজন উভয়টা শক্তির আরেক রূপ। শুন্যে শক্তি বিরাজমান থাকা কোয়ান্টাম মেকানিকসে নতুন কথা নয়। শক্তির নিত্যতার সূত্রমতে শক্তিকে ভাঙা যায় না, বিলীন করে দেয়া যায় না।‌অবিনাশী।স্ট্যান্ডার্ড মডেল থিওরিমতে, হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশন হচ্ছে সকল শক্তির একক নাম। যেহেতু “প্রত্যেক বিষয় মূলে পৌছে” (ফারাবী আল আরাবী) সেহেতু মহাবিশ্বের বস্তুগত মূল বা বীজ হচ্ছে হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশন। “সেই আদি মহাবিস্ফোরণের শক্তি থেকে মৌলি কণা এবং প্রতি কণার সৃষ্টি হলো...