Update 8 Dec, 2023
১. স্ট্রিং নয়, কম্পন তত্ত্বঃ কম্পনের মাত্রাই যেহেতু ঠিক করে দেয় সাইক্লোটন যন্ত্রে সৃষ্ট কণা ভর, স্পিন.....এর নিরিখে কোয়ার্ক হবে নাকি ইলেকট্রন হবে? সেহেতু IRRSTC এর মতে, প্রচলিত স্ট্রিং তত্ত্বের নির্ভরযোগ্য নাম হতে পারে “কম্পন তত্ত্ব”। কারণ, অয়লারের বেটা ফাংশন তথা কণা পদার্থ বিজ্ঞান মতে প্রতিটি কণাই কম্পমান।
২. মহাকর্ষের রহস্যের মূলোৎসঃ IRRSTC এর মতে, সার্বিক দিক বিবেচনায় জাগতিক পরিভাষায় বলা যেতে পারে মহাকর্ষ স্রেফ “প্রকৃতির অপার দয়া”, “অপার দান”, আধ্যাত্মিক পরিভাষায়ঃ “আল্লাহর দান” “গড’স গিফট” (God Gift)।
৩. হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশনঃ মহাবিশ্বের উদ্ভব হওয়ার পূর্বে কি ছিল? কিসে মহাবিস্ফোরণ ঘটেছিল? মহাবিস্ফোরণের পূর্বেকার অবস্থাকে শুন্য ধরা হয় তাহলে বলা যেতে পারে মহাবিশ্ব সম্পূর্ণ নাই থেকে অর্থাৎ শুন্য অবস্থা থেকে সৃষ্টি হয়েছিল।
উল্লেখ্য, স্টিফেন হকিংয়ের প্রাথমিক দাবী ছিল যে, মহাবিশ্বের উদ্ভব শুন্য। পরে বলা হলোঃ মহাকর্ষ বল থেকে। শুন্য কি শুধুই শুন্য? এর উত্তর রয়েছে কোয়ান্টাম মেকানিকসে। “শুন্যে শক্তি বিরাজমান থাকা কোয়ান্টাম মেকানিকসে নতুন কথা নয়” (বিজ্ঞানচিন্তা)।
৪. ডার্ক এনার্জি, ডার্ক ম্যাটার কী?
উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালে প্রাপ্ত বিগ ব্যাং উত্তর আদি কসমিক রশ্মির ধ্বংসাবশেষকে বিজ্ঞানীরা কম্পিউটার সিমুলেশনের মাধ্যমে প্রণীত মডার্ণ কসমোলজিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড মডেল থিওরিমতে হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশনে বিগ ব্যাং নামে যে মহাবিস্ফোরণ ঘটেছিল যাতে সম্মিলিতভাবে নিহিত ছিল ৪ মহাজাগতিক বল। IRRSTC এর মতে, ডার্ক এনার্জি, ডার্ক ম্যাটার, গামা রশ্মি ইত্যাদি হতে পারে মূলতঃ অবিস্ফোরিত হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশনের অংশ বিশেষ মাত্র।
৫. আইনস্টাইনীয়ান স্ট্যান্ডার্ড লাইট ফোর্সঃ আইনস্টাইন ক্ল্যাসিকেল বল বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে আলোর গতিকে ইনভেরিয়েন্ট ধরে নিয়ে রচনা করেছিলেন e=mc2 সমীকরণ এবং এই সমীকরণকে আরও সংহত করতে গিয়ে ১০ বছর পর রচনা করেছিলেন জেনারেল ইনভেরিয়েন্ট থিওরি। ইনভেরিয়েন্ট শব্দের চাইতে পছন্দনীয় নামঃ জেনারেল রিলিটিভিটি চয়ন করেন আইনস্টাইনের সুহৃদরা। অআবদার রক্ষা করে আইনস্টাইন দ্বিতীয় রিলিটিভিটির নামকরণ করেনঃ থিওরি অব জেনারেল রিলিটিভিটি তাতেই রাতারাতি e=mc2 সমীকরণও রিলিটিভিটি-তে পরিণত হয়ে যায় যা ছিল আইনস্টাইনের জন্য বিব্রতকর। অবশ্য, স্পেশাল রিলিটিভিটি থিওরিতেই আইনস্টাইন প্রকাশ করেছিলেন আলোর গতির আপেক্ষিকতা এই শর্তে যে, তাতে প্রয়োগ হতে হবে অসীম শক্তি। অর্থাৎ অসীম শক্তি সাপেক্ষে বস্ত্তকণা আলোর স্বাভাবিক গতি অতিক্রম করতে পারে। তবে এই আশংকার পাশাপাশি e=mc2 সমীকরণকে ইনভেরিয়েন্ট করতে গিয়ে তিনি যে ঐতিহাসিক শব্দ প্রয়োগ করেছিলেন সে শব্দটি ছিলঃ “অসম্ভব” (ইম্পসিবল)। আইনস্টাইনের এই “অসম্ভব” (ইম্পসিবল) মন্তব্যের উপর আস্থা রেখে পদার্থ বিজ্ঞানীরা রচনা করেনঃ কসমোলজিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড থিওরি, রচিত হয়ঃ পদার্থবিজ্ঞানের যতসব পরীক্ষিত সূত্র, তত্ত্ব । কিন্ত্ত ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে সার্ণ কর্তৃক অপেরা প্রজেক্টের আওতায় পরিচালিত এক গবেষণায় শত সহস্রবার পরীক্ষান্তে প্রমাণিত হয়েছিল যে, “নিউট্টিনো আলোর চাইতে অন্ততঃ ষাট ন্যানো সেকেন্ড বেশি অগ্রগামী”। এই ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে স্টিফেন হকিংসহ শীর্ষ স্থানীয় বিজ্ঞানীরা ফলাফল পুনর্বিবেচনার জন্য সার্ণের প্রতি দাবী জানান। কারণস্বরুপ বলা হয়, অন্যথায় কসমোলজিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড মডেল থিওরি ভেঙ্গে পড়ার কারণে এই মডেল জাদুঘরে পাঠানোত সম্ভাবনাসহ নতুন করে পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র, তত্ত্ব রচনা জরুরী হয়ে পড়তে পারে। সার্ণ তাঁদের আহ্বানে দ্রুত সাড়া দিয়ে ...তম পরীক্ষায় প্রমাণ পায় যে, যান্ত্রিক তারের ত্রুটির কারণে “নিউট্টিনো আলোর চাইতে অন্ততঃ ষাট ন্যানো সেকেন্ড বেশি অগ্রগামী”। পরবর্তী ২০১২ সালে সার্ণের দ্বিতীয় যুগান্তকরি হিগস বোসন কণা গবেষণায়ও বিলিয়ন বিলিয়ন প্রোটন কণা সাইক্লোটন যন্ত্র ল্যার্জ হ্যাড্রন কলাইডারের সাহায্যে যে গতিতে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটানো হয়েছিল সে গতিও অআলোর গতির প্রায় কাছাকাছি পৌঁছেছিল। কিন্ত্ত অআলোর গতি ছাড়ায়নি। অবশ্য কোনো কোনো বিজ্ঞানীর দাবী অসীম শক্তি প্রয়োগে কণা পদার্থ অআলোর গতি ছাড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব কিছু নয়। এতে সায়েন্স ফিকশনিস্টারা অআশাবাদী হয়েছিলেন যে, ওয়ার্ম হোল, র্যা প ড্রাইভ নামক কল্পিত নভোতরি বেয়ে মহাবিশ্বের এ ফোঁড় দিয়ে ঢুকে এ ফোঁড় দিয়ে বেরিয়ে অআসার। স্টিফেন হকিংরা সে সুযোগ দিতে নারাজ।
আই.আর.আর.এস.টি.সি. মনে করে যে, বস্ত্তকণা আলোর গতি অতিক্রম করলেও স্টান্ডার্ড মডেলকে টিকিয়ে রাখা অসম্ভব কিছু নয়।কারণ, প্রকৃতপক্ষে স্ট্যান্ডার্ড মডেলে স্বীকৃত আলোর গতিটি (সেকেন্ডে এক লক্ষ ৬০ হাজার মাইল) পদার্থ বিজ্ঞানে নিতান্তই প্রতীকীরূপে স্বীকৃত, মৌলিকভাবে নয়। ফলে আই.আর.আর.এস.টি.সি. মনে করে যে, নিউট্রিনো কিংবা হিগস বোসনের প্রোটন কণা সার্ণের সাইক্লোটন যন্ত্র ল্যার্জ হ্যাড্রন কলাইডারে অআলোর গতি ছাড়ালেও কসমোলজিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড মডেল থিওরি ভেঙ্গে পড়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ, অআলোর প্রচলিত ফ্যারেকশন গতি ১লক্ষ ৮৬, ২০০ মাইলেরও অধিক। রাউন্ড ফিগার হচ্ছে, ১, ৮৬হাজার মাইল।
ভূমিকাঃ মহাবিশ্ব universe গাঠনিক structural দিক দিয়ে এক জটিল প্রক্রিয়ার নাম এবং এর সুশৃঙ্খল, সুবিন্যস্ত পরিচালনা-ব্যবস্থাপনায় রয়েছে প্রখর বুদ্ধিমত্তার পরিচয়। তাই বিজ্ঞানীরা পদার্থ বিজ্ঞানের জটিল তাত্ত্বিক প্রক্রিয়ায় অতিপারমাণবিক জগতের অন্দর মহলে প্রবেশ করে এবং সর্বোচ্চ মেধার প্রয়োগ ঘটিয়ে মহাবিশ্বকে জানতে বুঝতে সচেষ্ট।
উল্লেখ্য,
এমতাবস্থায়, লন্ডনভিত্তিক গ্রীনীচ মান সময়ের ন্যায় আলোর প্রচলিত রাউন্ড ফিগারের ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাইল-কে অআলোর গতির একক ধরে আইনস্টাইনীয়ান স্ট্যান্ডার্ড লাইট ফোর্স ঘোষণা করা করা হলে বেঁকে যাওয়ার কারণে গতি অআলোর গতি কোথাও কমে যায় কিংবা কোথাও বেড়ে যায় তাতে স্ট্যান্ডার্ড মডেলের যেমন হেরফের হবে না, তেমনি সায়েন্স ফিকশনিস্টদের স্বপ্নিল নভোতরি ওয়ার্ম হোল, র্যাপ ড্রাইভ আর স্বপ্ন থাকবে না, বাস্তবরূপ নেবে হয়তো।তাছাড়া মুসলমানদের গলদঘর্ম হতে হবে না, পবিত্র মিরাজুন্নবী ﷺ সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে।
৪.নতুন বিজ্ঞান ফ্রন্টিয়ার সায়েন্সের সূচনা প্রসঙ্গেঃ গণিত কষে চিরায়ত (ক্ল্যাসিকাল) বল বিজ্ঞানের নামে স্যার অআইজাক নিউটন বিশ্বপ্রকৃতির অনেক গুঢ় রহস্য উন্মোচন করার ফলে অআলবার্ট অআইন্টাইন বিশ্বাস করতেন যে, নিউটন প্রকৃতির ভাষা বুঝতেন। কিন্ত্ত পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ (অভিকর্ষ)শক্তির সাথে মহাকাশের মহাকর্ষের অভিন্ন যোগসূত্র খুঁজে না পেয়ে তিনি লাভ করেছিলেন এক অসীম সত্বার সন্ধান। যার পরিপ্রেক্ষিতে জীবন সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে কিছু প্রাতঃস্মরণীয় উক্তি ব্যক্ত করেছিলেন যা তিনশত বছর পর কোয়ান্টাম মেকানিকস রূপে আবির্ভূত হয় ১৯০১ সালে জার্মান বিজ্ঞানী ম্যাক্স প্ল্যাংক এর হাত ধরে যা পরবর্তীতে ডিজিটাল বিজ্ঞানের সূচনা করে। নিউটনীয় চিরায়ত বল বিজ্ঞানের ন্যায় কোয়ান্টাম বল বিজ্ঞানেও সুরাহা মিলছে না ডার্ক এনার্জি, ডার্ক ম্যাটার আর মহাকর্ষসহ গ্র্যাভিটন পার্টিকেলের। নিউটনীয় যুগের মতই ঘটে যাওয়া ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্তভাবে কতিপয় এমন সব ঘটনা যাকে সরাচর উড়িয়ে দেওয়া হয় অতিপ্রাকৃতিক,অলৌকিক, অবিশ্বাস্য হলেও সত্য প্রভৃতি গৎবাধা শব্দ/বাক্য দ্বারা। কিন্ত্ আর কতকাল? কতদিন? বিজ্ঞানীরা এসব কথিত অতিপ্রাকৃতিক, অলৌকিক, অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ঘটনাবলীর পরম সত্য উদঘাটনে বদ্ধপরিকর হয়ে সূচনা করেছিলেন ফ্রন্টিয়ার সায়েন্সের গত শতাব্দীর আশির দশকে।
এমতাবস্থায়,পদার্থ বিজ্ঞানের অনন্ত প্রশ্ন মহাবিশ্ব কিভাবে? আই.আর.আর.এস.টি.সি.মতে, এই প্রশ্নের শেষ প্রশ্ন হতে পারেঃ "বিগ ব্যাং সৃষ্টিকারী হাইয়েস্ট এনার্জেটিকের পূর্বে কি ছিল অথবা কে ছিলেন?"আশা করা যায়, এ প্রশ্নের সদুত্তরের মাধ্যমে অবসান ঘটানো যেতে পারে পদার্থ বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ প্রথম এই প্রশ্নটির- যা দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কসমোলজিক্যাল প্রশ্নঃ "মহাবিশ্ব কি দিয়ে তৈরি?" এই প্রশ্নের দ্বার খুলে দিতে পারে ইনশাআল্লাহ ।
ভূমিকাঃ মহাবিশ্ব universe গাঠনিক structural দিক দিয়ে এক জটিল প্রক্রিয়ার নাম এবং এর সুশৃঙ্খল, সুবিন্যস্ত পরিচালনা-ব্যবস্থাপনায় রয়েছে প্রখর বুদ্ধিমত্তার পরিচয়। তাই বিজ্ঞানীরা পদার্থ বিজ্ঞানের জটিল তাত্ত্বিক প্রক্রিয়ায় অতিপারমাণবিক জগতের অন্দর মহলে প্রবেশ করে এবং সর্বোচ্চ মেধার প্রয়োগ ঘটিয়ে মহাবিশ্বকে জানতে বুঝতে সচেষ্ট।
উল্লেখ্য,
Update 6 Dec, 2023
ভূমিকাঃ 'মহাবিশ্'ব (Universe) সুদূরপ্রসারী এক ব্যাপক বিষয় । সুতরাং, মহাবিশ্বকে তার স্বরূপে জানতে, বুঝতে প্রয়োজন সৃষ্টিতাত্ত্বিক ব্যাপক জ্ঞান-প্রজ্ঞা। IRRSTC মনে করে যে, মহাবিশ্বকে অন্ততঃ বস্ত্গত অবকাঠামোয় জানতে প্রয়োজন অন্ততঃ দু'টি মৌলিক প্রশ্নের সদুত্তর। প্রশ্ন দু'টি হচ্ছে (ক) মহাবিশ্ব কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল? (খ) মহাবিশ্ব কী দিয়ে সৃষ্টি?
মহাবিশ্ব কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল? এই প্রশ্নকে ঘিরে রচিত হয়েছে আধুনিক সৃষ্টিতাত্ত্বিক স্ট্যান্ডার্ড মডেল থিওরি (Modern Cosmological Standard Model Theory)। মডেলটি মহাবিশ্ব কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল? আধুনিক বিজ্ঞান এই প্রশ্নের সদুত্তরের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে যায় বিগ ব্যাং থিওরির মাধ্যমে। কিন্ত্ত মহাবিশ্ব কী দিয়ে সৃষ্টি? এ ধরণের প্রশ্ন বিজ্ঞান জগতে আদৌ উঠেছে কিনা-তা আমাদের জানা নেই। বরং বলা হচ্ছেঃ "প্রকৃতিতে এত এত কণা-এসব কী দিয়ে তৈরি কেউ জানে না" (সূত্রঃ বিজ্ঞানচিন্তা)।।
এমতাবস্থায় মহাবিশ্বকে পরিপূর্ণ অবয়বে দেখার, জানার সুযোগ না হলেও অন্ততঃ আংশিকভাবে হলেও আধুনিক সৃষ্টিতাত্ত্বিক স্ট্যান্ডার্ড মডেল থিওরির (Modern Cosmological Standard Model Theory)মাধ্যমে আমরা জানতে পারছি যদিও আত্মতুষ্টির জন্য যথেষ্ট নয় এবং এতে চূড়ান্ত যে প্রশ্নের উত্তর এখনও বাকী তা হচ্ছেঃ বিগ ব্যাংয়ের পূর্বে যদি হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশন থাকে তাহলে এনার্জেটিক রেডিয়েশনের পূর্বেকার অবস্থা কেমন?
স্ট্যান্ডার্ড মডেল থিওরিতে মহাবিশ্ব এবং তদস্থিত সৃষ্টিকূল কীভাবে অস্তিত্ব লাভ করেছে তার একটা মোটামুটি ধারণা পাওয়া যায়। এই তত্ত্বমতে জানা যায় যে, মহাবিশ্বের শুরুতে ৪ মহাবল একত্রিত ছিল, পৃথক ছিল না এবং শুরুতে কোনো মৌলিক কণারও উদ্ভব হয়নি। মহাবিশ্বের শুরুতে ছিল কেবল ভরশুন্য আলোর কোয়ান্টা ফোটন আর ফোটন। ফলে মহাবিশ্বের শুরুতে বয়ে যাচ্ছিল আলোর বন্যা। প্রশ্ন দেখা দেয় মহাবিশ্বে কখন কীভাবে ভরযুক্ত বস্ত্ত-পদার্থের উদ্ভব হলো? হিগস বোসন কণা তত্ত্বের মাধ্যমে এ প্রশ্নের সদুত্তরও পাওয়া যায় স্ট্যান্ডার্ড মডেলে।
মহাবিশ্বের এই বাস্তব ব্যাপকতার নিরিখে মানুষ সর্বোচ্চ জ্ঞান প্রয়োগ করে এনালগ পৃথিবীকে রাতারাতি ডিজিটালে পরিণত করে ।
ব্যতিক্রমধর্মী কিছু বিষয় যেমনঃ পৃথিবীর অভিকর্ষ বা মধ্যাকর্ষণের সাথে মহাকাশের মহাকর্ষের যোগসূত্র না থাকা কিংবা আগাম ভূমিকম্প, দাবানল, অগ্নুৎপাত কিংবা আবহাওয়া ও ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাষ চরম স্তরে শতভাগ নিশ্চিতকরণে অক্ষমতা ইত্যাদি ব্যতিত বিজ্ঞান তার প্রযুক্তির সাহায্যে অনেক অসাধ্যকে সাধ্যের আওতায় এনেছে সত্য, কিন্ত্ বিশাল সমুদ্রে যেমন আকন্ঠ ডুবে যা পাওয়া যাবে তাকে যেমন সাগরের সব পেয়েছি বলা যাবে না, তেমনি মহাবিশ্বের সৃষ্টি প্রক্রিয়ার রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে বলা যাবে না যে, জানার আর বাকী নেই।
যদিও উনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত মানুষ প্রকৃতির রহস্যের যা যা জানতে পেরেছে গাণিতিক ফর্মুলায় নিউটনীয় ক্ল্যাসিকাল বল বিজ্ঞানের বদৌলতে তাকে এখন বিজ্ঞান জগতে বলা হচ্ছে, মহাবিশ্ব যদি বাঘ হয় তাহলে এ যাবৎকালে বিজ্ঞানীরা গবেষণার নামে যা করেছেন তা যেন সেই বাঘের লেজটা নাড়াচাড়া করেছেন যা যেন অআইজাক নিউটনের জীবন সায়াহ্ণে দাঁঁড়িয়ে বলাঃ "আমি জানিনা বিশ্বের কাছে আমি কিভাবে উপস্থাপিত হয়েছি, কিন্তু আমার কাছে আমার নিজেকে মনে হয় এক ছোট বালক যে কেবল সমুদ্র উপত্যকায় খেলা করছে এবং একটি ক্ষুদ্র নুড়ি বা ক্ষুদ্রতর এবং খুব সাধারণ পাথর সন্ধান করছে, অথচ সত্যের মহাসমুদ্র তার সম্মুখে পড়ে রয়েছে যা অনাবিষ্কৃতই রয়ে গেল" এই সেই প্রাতঃস্মরণীয় উক্তিরই প্রতিধ্বনিমাত্র যার পরম বাস্তবতা নিহিত রয়েছে আজকের ডার্ক এনার্জি আর ডার্ক ম্যাটারে যা বিজ্ঞানীদের প্রকৃতিকে জানার হার শতভাগ থেকে ৪ থেকে বড়জোর সর্বোচ্চ ৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে যদিও প্রযুক্তিগতভাবে মানুষ এখন ডিজিটাল বিশ্বে বসবাস করছে। অথচ বলা হয়ে থাকেঃ "বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা সেদিন থেকে শুরু, যেদিন মানব মনে সত্যকে জানার আগ্রহ জন্মেছিল"।
IRRSTC মনে করে বিজ্ঞানীদের জানার হার রাতারাতি শতভাগ থেকে দ্রুত সর্বোচ্চ ৫ শতাংশে নেমে আসার পেছনে রয়েছে Physics-কে (ফিজিক্সকে) Material Science (ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স বা পদার্থ বিজ্ঞানে সীমিতকরণ। এমনকি বিজ্ঞানীদের বস্ত্তগত কসমোলজিক্যাল গবেষণায়ও নেই ম্যাটেরিয়া সায়েন্সের পুরোপুরি নেই । এ যাবৎকালে পদার্থ বিজ্ঞান মহাবিশ্বের বস্ত্তগত বাহ্যিক অবকাঠামোর গবেষণায় খন্ডিত বিষয়ে গবেষণারত। আর তা হচ্ছেঃ মহাবিশ্ব কিভাবে সৃষ্টি? অথচ মহাবিশ্বকে মোটামুটি জানতে বুঝতে আরেকটি প্রশ্নের সদুত্তর প্রয়োজন বলে আর.আর.এস.টি.সি মনে করে। দ্বিতীয় প্রশ্নটি হচ্ছেঃ মহেবিশ্ব কী দিয়ে তৈরি। অবশ্য,আর.অআর.এস.টি.সি মনে করে যে, প্রথম প্রশ্নটির চূড়ান্ত সুরাহা না পাওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রশ্নটির সদু্ত্তেরর জনা আমাদের নতুন ফ্রান্টিয়ার সায়েন্সের জন্য অপেক্ষাধীন থাকা শ্রেয়। কারণ, ডার্ক এনার্জি, ডার্ক ম্যাটার আমাদের বর্তমান বিজ্ঞানে জানার মাত্রাকে মাত্র ৪থেকেে বড় জোর ৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। তাই নতুন বিজ্ঞানে পাড়ি দেয়া মানে অসীম আকাশের পানে যা্ত্রা শুরু করা যার শেষ সীমানা কারও জানা নেই।
Comments
Post a Comment