আই.আর.আর.এস.টি.সি গবেষণাপত্র-১৪৪৫/২০২৩
আই.আর.আর.এস.টি.সি গবেষণাপত্র-১৪৪৫/২০২৩
আলোর প্রকৃত
ফ্রাকশান গতি প্রতি সেকেন্ডেঃ উল্লেখ্য,প্রকৃতপক্ষে আলোর সাধারণ গতি ভগ্নাংশসহ প্রতি সেকেন্ডে ১,৮৬,২৮২.৩৯৭ মাইল। রাউন্ড ফিগারে ১,৮৬,০০০ মাইল।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
►“১৯৩৯ সালে রচিত আইনস্টাইনের এক গবেষণাপত্রে বলা হয়,
পদার্থ একটি বিন্দু বা সীমার পর আর সংকুচিত হতে পারে না”। (বিজ্ঞানচিন্তা, মার্চ, ২০২০, পৃষ্ঠা ৩৮)
►“সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের নিউক্লিয়ার জ্বালানী
এক সময় ফুরিয়ে ফেলে নক্ষত্র। স্বাভাবিকভাবে তখন নক্ষত্রটি সংকুচিত বা চুপসে যেতে
থাকবে”।(প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠাঃ ৩৯)।
অসীমের
পথে বিজ্ঞান
►“বিশাল
ভরের কোনো নক্ষত্র তার আয়ুস্কাল ফুরিয়ে জীবনের শেষ প্রান্তে উপনীত হলে এদের নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া কমে যেতে থাকে। তখন ভেতরের
বস্ত্তগুলো পরস্পরের খুব কাছাকাছি চলে আসে। ফলে আরও বাড়তে থাকে এদের মধ্যে
ক্রিয়াশীল মহাকর্ষ বল। এতে বস্তুগুলো আরও
কাছাকাছি আসতে শুরু করে । এ প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদে চলতেই থাকে। একসময় অবস্থা এমন
হয় যে, গোটা নক্ষত্রের ভর একটা বিন্দুতে এসে মিলিত হয়। সে বিন্দুটির মহাকর্ষ বল
তখন এতটাই বেশি হয় যে, এর চার পাশের স্থান-কাল
বেঁকে যায় অসীম মাত্রায়।” (বিজ্ঞানচিন্তা)
►সে মাত্রায় সূর্যের মতো নক্ষত্রের আয়তন
দাঁড়াবে......., পৃথিবী পরিণত হবে সূঁচের আগার বিন্দুর ন্যায়।
►“একটি সুষম গোলাকার সুশৃঙ্খল প্রতিসম নক্ষত্র সংকুচিত
হয়ে একক অসীম ঘনত্বের একটি বিন্দুতে পরিণত হবে। এ রকম বিন্দুকে বলা হয়
সিঙ্গুলারিটি বা পরম বিন্দু।” (বিজ্ঞানচিন্তা,মার্চ, ২০২০, পৃষ্ঠা ৩৯)
►তত্ত্বটি (স্ট্রিং) বলছে, কণাগুলো বিন্দুর মতো নয় বরং স্ট্রিং বা সুতার মতো (প্রাগুক্ত পৃষ্ঠা ৪৪)।
নাম |
মাত্রা |
স্ফটিক |
১০-৭ |
পরমাণু |
১০-৮ |
পরমাণুর
নিউক্লিয়াস |
১০-১২ |
নিউক্লিয়ন |
১০-১৩ |
কোয়ার্ক |
১০-১৬ |
ইলেকট্রন |
.............. |
স্টিং (সম্ভাব্য) |
১০-৩৩ |
বস্ত্তগত বিবেচনায় মহাবিশ্বের অবকাঠামোতে রয়েছে অন্ততঃ ৩টি স্তর বা পর্যায়। যথাঃ ১) ডার্ক এনার্জি......শতাংশ, ২) ডার্ক ম্যাটার ....শতাংশ এবং ৩) জানা পদার্থ ৪/৫ শতাংশ।
জানা পদার্থ পরমাণু দিয়ে গঠিত। পরমাণুতে রয়েছে যথাক্রমে ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন। নিউট্রন+প্রোটন গঠিত হয় কোয়ার্ক দিয়ে। অর্থাৎ কোয়ার্কে নিউট্রন+প্রোটন নিহিত আছে।
পদার্থ বিজ্ঞানের যাবতীয় তাত্ত্বিক সূত্রাদি ৪/৫ শতাংশ বস্ত্ত/পদার্থ কেন্দ্রিক আলোচিত, পর্যালোচিত। তা-ও আবার কেবল বস্ত্ত/পদার্থ কীভাবে সৃষ্ট?-এই প্রশ্নে সীমাবদ্ধ।
প্রকৃতিতে এতো এতো কণা-এসব কী দিয়ে তৈরি কেউ জানে না
(বিজ্ঞানচিন্তা) অর্থাৎ মহাবিশ্বের কিভাবে সৃষ্টি? এ প্রশ্নের জবাব অনুসন্ধানে
অআধুনিক পদার্থ বিজ্ঞান সীমাবদ্ধ। এসব বস্তু/পদার্থ কি দিয়ে তৈরি তা পদার্থ
বিজ্ঞানের পর্যালোচনার বাইরের বিষয়। এতে স্পষ্ট প্রতীয়মান যে, যেহেতু পদার্থ
বিজ্ঞান মহাবিশ্ব কীভাবে উদ্ভব এ প্রশ্নে সীমাবদ্ধ এবং কি দিয়ে সৃষ্ট তার প্রশ্নও
নেই জবাবও নেই সেহেতু পদার্থ বিজ্ঞান মহাবিশ্বের বস্ত্তগত
গঠনবিজ্ঞানে অসম্পূর্ণ এক বিষয় বটে।
পদার্থভিত্তিক পদার্থ বিজ্ঞান ফিজিক্সের একটি খন্ডিত বিষয়। পুরো বিশ্ব
প্রকৃতিকে ঘিরে ফিজিক্স বা প্রকৃতি বিজ্ঞান। আর ফিজিক্স বা প্রকৃতি বিজ্ঞান কেবল বস্ত্ত/পদার্থে
সীমাবদ্ধ কোনো বিষয় নয়।
পদার্থভিত্তিক পদার্থ বিজ্ঞান ফিজিক্সের একটি খন্ডিত বিষয়। পুরো বিশ্ব
প্রকৃতিকে ঘিরে ফিজিক্স বা প্রকৃতি বিজ্ঞান। আর প্রকৃতি কেবল বস্ত্ত/পদার্থে
সীমাবদ্ধ কোনো বিষয় নয়। কারণ, অআইনস্টাইনের সাধারণ অআপেক্ষিকতা তত্ত্বের মূল কথা
হচ্ছে, প্রকৃতিতে বিদ্যমান এবং সংঘটিত প্রতিটি বিষয়ের রয়েছে একটি সুনির্দিষ্ট
পরিণতি।
তত্ত্বমতে এতে
সুস্পষ্ট প্রতীয়মান যে, বিগ ব্যাংও (মহাবিস্ফোরণও) সংঘটিত হয়েছিল মহাবিশ্বের একটি
সুদূরপ্রসারী এবং সুনির্দিষ্ট পরিণতির
লক্ষ্য নিয়ে ।
যা কোষের সব জৈবনিক ক্রিয়া বিক্রিয়া
নিয়ন্ত্রণ করে তাকে বলা হয় নিউক্লিয়াস ৷ রবার্ট ব্রাউন(Robert Brown)
সর্বপ্রথম ১৮৩১ সালে কোষে নিউক্লিয়াস দেখতে পান এবং এর নামকরণ করেন। তিনিই
এটি আবিষ্কার করেন সর্বপ্রথম।
১৯০৯ সালের গাইগার-মার্সডেনের স্বর্ণপাত পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে ১৯১১ সালে আর্নেস্ট রাদারফোর্ড আণবিক নিউক্লিয়াস আবিষ্কার করেন।
পারমাণবিক ও আনবিকের মধ্যে পার্থক্য কী?
পারমাণবিক ভর
হচ্ছে একটি পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা এবং নিউট্রন সংখ্যার যোগফল। যেমন অক্সিজেনের
প্রোটন সংখ্যা ৮ এবং নিউট্রন সংখ্যা ৮। সুতরাং অক্সিজেনের পারমাণবিক ভর ১৬।আণবিক
ভর কথা থেকেই বোঝা যায় যে এখানে একটি অনুর ভর জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা জানি যে
একটি অণু কয়েকটি পরমাণু নিয়ে গঠিত হয়।এমন দুইটি অক্সিজেন পরমাণু নিয়ে একটি
অক্সিজেন অনু গঠিত হয়। আণবিক ভর হল ওই অণুতে যতগুলো পরমাণু রয়েছে তার পারমাণবিক
ভরের সমষ্টি। যেমন অক্সিজেন অনু 2 টি অক্সিজেন পরমাণু নিয়ে গঠিত ।
সুতরাংঅক্সিজেনের আনবিক ভর ১৬+১৬=৩২।
১৮৯৭ সালে ব্রিটিশ
বিজ্ঞানী জে.জে.থমসন পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন আবিস্কার করেন। নিউজিল্যান্ডের
বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ পরমাণু বিজ্ঞানী আর্ণেস্ট রাদারফোর্ড আবিস্কার করেন পরমাণু
কেন্দ্রের নিউক্লিয়াস। রাদারফোর্ড
নিউক্লিয়াসে দেখা পাস প্রোটনের। জেমস চ্যাডইউক ১৯৩২ সালে আবিস্কার করেন
নিউট্রন। এভাবে প্রমাণিত হয় পরমাণু ইলেকট্রন+প্রোটন+নিউট্রিনের সমন্বয়ে গঠিত।
অ্যাটম=নিউট্রন+প্রোটন
নিউক্লিয়ার=ইলেকট্রন+কোয়ার্ক
ল্যাপটন=চার্জধারী+চার্জবিহীন।
চার্জবিহীন কণাঃ ১) ইলেকট্রন নিউট্রিনো ২) মিউন
মিউট্রিনো ৩) টাউ ইলেকট্রিনো
মহাবিশ্ব= ১) ডার্ক এনার্জি ....%+২) ডার্ক ম্যাটার...% ৩) ৪/৫% জানা
বস্তুকণা (কোয়ার্ক+ইলেকট্রন+হিগস বোসন তথা স্ট্রিং কম্পন ইত্যাদি)
১৮৯৭ সালে ব্রিটিশ
বিজ্ঞানী জে.জে.থমসন পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন আবিস্কার করেন। নিউজিল্যান্ডের
ইলেকট্রনঃ
মহাবিশ্বের জানা মৌলিক কণাঃ ১) ইলেকট্রনঃ ২) কোয়ার্ক।
কোয়ার্ক
১৯৬৪ সালে মারে গেলমান ও জর্জ জুইগ যৌথভাবে কোয়ার্কের
প্রস্তাব করেন।
ক) আপ কোয়ার্ক ও ডাউন কোয়ার্কঃ সাধারণ পদার্থের
ক্ষুদ্র কণা। প্রোটন ও নিউট্রনে আপ+ডাউন কোয়ার্ক থাকে। অর্থাৎ প্রোটন এবং
নিউট্রন কোয়ার্ক দিয়ে গঠিত। নিউট্রন+প্রোটন ভাঙলে কোয়ার্ক পাওয়া যায়, কোয়ার্ক
ভাঙলে নিউট্রন+প্রোটন পাওয়া যায়।
খ) চার্ম
কোয়ার্কঃ ধনাত্মক আধানযুক্ত প্রোটনের চেয়ে তিন গুণ ভারী গ) স্ট্রেন্জ কোয়ার্কঃ
ঋণাত্মক আধানযুক্ত
ঙ) টপ কোয়ার্কঃ সবচেয়ে ভারী মৌলিক কণা। ভর প্রায় স্বর্ণের পরমাণুর সমান। চ) বটম
কোয়ার্কঃ প্রোটনের চেয়ে চারগুণ ভারী। টপ
The science of modern cosmology, observational and theoretical, clearly indicates that, at one point in time, the whole universe was nothing but a cloud of ‘smoke’ (i.e. an opaque highly denseand hot gaseous composition).1 This is one of the undisputedprinciples of standard modern cosmology. Scientists now can observe new stars forming out of the remnants of that ‘smoke’ (see figures 10 and 11). The illuminating stars we see at night were, just as was the whole universe, in that ‘smoke’ material. God has said in the Qur’an: Then He turned to the heaven when it was smoke... (Qur’an, 41:11) Because the earth and the heavens above (the sun, the moon, stars, planets, galaxies, etc.) have been formed from this same ‘smoke,’ we conclude that the earth and the heavens were one connected entity. Then out of this homogeneous ‘smoke,’ they formed and separated from each other. God has said in the Qur’an: Have not those who disbelieved known that the heavens and the earth were one connected entity, then We separated them?... (Qur’an, 21:30)
Dr. Alfred Kroner is one of the world’s renowned geologists. He is Professor of Geology and the Chairman of the Department of Geology at the Institute of Geosciences, Johannes Gutenberg University, Mainz, Germany. He said: “Thinking where Muhammad came from ...I think it is almost impossible that he could have known about things like the common origin of the universe, because scientists have only found out within the last few years, with very complicated and advanced technological methods, that this is the case.”2 Also he said: “Somebody who did not know (2) The source of this comment is This is the Truth (videotape). Visit www.islam-guide.com/truth for a copy of this videotape or to view the video clips of Professor Alfred Kroner’s comments online.
(Source: https://www.islam-guide.com/islam-guide.pdf).
অ্যাটম যদি হয় অতিপারমাণবিকতার শুরু তাহলে পদার্থ বিজ্ঞানের এ যাবৎকালের সর্বশেষ পরম বিন্দু ইলেকট্রন+কোয়ার্ক+হিগস বোসন+গজ বোসন আর সুপারসেমিট্রি ছাড়িয়ে পরম বিন্দু যে মাত্রায় পৌঁছে তার নাম স্ট্রিং এর কম্পন যার কম্পনমাত্রা ভেদে বিভিন্ন প্রকারের মৌলিক কণার উদ্ভব যা দিয়ে মহাবিশ্বের বস্তুগত (মেটারিয়েল) অবকাঠামো তৈরি-এই হচ্ছে ফিজিক্স নামক ম্যাটারিয়েল সায়েন্সের মডার্ণ কসমোলজিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড মডেল তত্বভিত্তিক মহাবিশ্ব সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক ধারণা-বিশ্বাস। এই তত্ত্ব মতে, মহাবিশ্ব যদি একটি মহাপ্রাচীর হয় তাহলে এর ইট হচ্ছে কোয়ার্ক আর ইলেকট্রন এবং সিমেন্ট হচ্ছে হিগস বোসন কণা। অআর এসব বস্তুকণার উদ্ভব ঘটে কম্পমান স্ট্রিংয়ের কম্পন মাত্রা অনুযায়ী বিভিন্ন মৌলিক কণা যেমন ইলেকট্রন, কোয়ার্ক ইত্যাদির উদ্ভব।
বস্তুকণার পরম কথাঃ
অ্যাটম যদি হয় অতিপারমাণবিকতার শুরু তাহলে পদার্থ
বিজ্ঞানের এ যাবৎকালের সর্বশেষ পরম বিন্দু বা স্ট্রিংয়ে পৌঁছতে অনেক স্তর অতিক্রম
করতে হবে। এক পর্যায়ে তা ইলেকট্রন+কোয়ার্ক+হিগস বোসন+গজ বোসন পেরিয়ে স্ট্রিংয়ের
কম্পন পর্যন্ত পৌঁছতে হবে। এই স্তরে পৌঁছতে হলে স্ট্রিং নামক পরমত্বের রূপ দাঁড়াবে
১০-৩৩ সেন্টিমিটারে। এ যাবৎ কালের ডিজিটাল সুপার মাইক্রোস্কোপে
দৃশ্যমান কোয়ার্কের পরমত্ব হচ্ছে ১০-১৬
সেন্টিমিটার। স্ট্রেন্জ
কোয়ার্ক এখনও অবশ্য দৃশ্যমান নয়।
মহাকর্ষঃ
মহাকর্ষ সম্পর্কে পদার্থ
বিজ্ঞানে অনেক বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে। তন্মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছেঃ ক) মহাকর্ষ
টানে কিন্তু জড়ায় না খ)মহাকর্ষ অচিন্তনীয়ভাবে দূর্বল গ) বায়ুর উর্ধ্বচাপ উপেক্ষা করে, বিজ্ঞানীদের দাবীমতে, চরকার
মতো ঘূর্ণয়মানরত পৃথিবীতে আমাদের ঘূরন্ত অবস্থা সত্ত্বেও ভূত্বকে আমাদের আঠার
মতো লেগে থাকতে প্রধান ভূমিকা পালনকারী হচ্ছে মহাকর্ষ বল। ঘ) মহাকর্ষ বল কখনও
কণার ন্যায় দ্বিমুখী আচরণ করে। কখনও কণা
কণার ন্যায় কখনও তরঙ্গের ন্যায় যেমন রূপ বদলাতে পারে তেমনি মহাকর্ষ কখনও টানতে
পারে, কখনও চাপতে পারে। পৃথিবীতে মহাকর্ষ মধ্যাকর্ষণ নামে টানে এবং জড়ায় বলে আমরা
ভূত্বকে লেগে থাকি। কিন্ত্ত মহাকাশে মহাকর্ষ নামের মধ্যাকর্ষণ টানে কিন্ত্ত জড়ায়
না। যেমন পৃথিবী চাঁদকে টানে কিন্ত্ত চাঁদ পৃথিবীর সাথে জড়ায় না, সূর্য পৃথিবীকে
টানে কিন্ত্ত পৃথিবী সূর্যের সাথে জড়ায় না। মধ্যাকর্ষণ শক্তির আবিস্কারক আইজ্যাক
নিউটন মহাকাশে মহাকর্ষের এহেন কারিশমা দেখে হতভম্ব হয়ে নিউটন মহাকর্ষ সম্পর্কে
বলেছিলেনঃ “পৃথিবীর মাঝখানে মহাকর্ষ বল এমনভাবে থাকে যেন অদৃশ্য কোনো
দড়ি দিয়ে এই বস্তু দুটিকে (সূর্য এবং
পৃথিবী) বেঁধে রাখা হয়। ফলে সূর্যের চারপাশের কক্ষপথে চিরকালের জন্য বাধা
পড়ে পৃথিবী”।
পক্ষান্তরে মহাকর্ষ সম্পর্কে আলবার্ট আইনস্টাইন বলেনঃ “সূর্যের মতো ভারী বস্ত্ত আসলে তার চারপাশের স্থান-কাল-কে বাঁকিয়ে দিয়ে
উপত্যকার মতো তৈরি হয়, আর উপত্যকার ঢালুতে গড়িয়ে চলতে বাধ্য হয় পৃথিবী”
(বিজ্ঞানচিন্তা, পৃষ্ঠাঃ ৬৩)।
আইনস্টাইনের মতে, স্থান-কালের বক্রতার কারণে দুই
নক্ষত্রের আলো সূর্যের পাশ দিয়ে পৃথিবীতে আসার সময় তার গতিপথ বেঁকে যায়। এতে
স্থান কিছুটা বেঁকে যাওয়ায় আলোও বেঁকে চলে। আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্বের সারমর্ম
হলোঃ বস্তু স্থান-কাল-কে বলে কিভাবে বাঁকতে হবে আর বক্রতা স্থান-কাল-বস্তুকেবলে
কীভাবে চলতে হবে (বিজ্ঞানচিন্তা, পৃঃ ৬৩)
নিউটনের
মহাকর্ষীয় সংজ্ঞা আইনস্টাইনের মনঃপুত হয় নি, আইনস্টাইনের সংজ্ঞা মনঃপুত
হচ্ছে না আধুনিক কসমোলজিস্টদের। কারণ, মহাকর্ষের সাথে বলতে গেলে পুরো মহাবিশ্বের অস্তিস্তকে
জড়ানো হয়েছে। স্টিফেন হকিং প্রথমে বলেছিলেনঃ মহাবিশ্ব শুন্য থেকে উদ্ভব হয়েছে।
পরে বলেছেনঃ মহাবিশ্বের উদ্ভবের জন্য গনিউটনের
মহাকর্ষীয় সংজ্ঞা অআইনস্টাইনের মনঃপুত হয় নি, আইনস্টাইনের সংজ্ঞা মনঃপুত
হচ্ছে না অআধুনিক কসমোলজিস্টদের। কারণ, মহাকর্ষের সাথে বলতে গেলে পুরো মহাবিশ্বের অস্তিস্তকে
জড়ানো হয়েছে। স্টিফেন হকিং প্রথমে বলেছিলেনঃ মহাবিশ্ব শুন্য থেকে উদ্ভব হয়েছে।
পরে বলেছেনঃ মহাবিশ্বের উদ্ভবের জন্য গডের আলো জ্বালানোর প্রয়োজন নেই, মহাবিশ্ব
মহাকর্ষ বল থেকে উদ্ভব হয়েছে। অআবার বলা হচ্ছে বিগ ব্যাংয়ের সময় ৩ বলের সাথে
মহাকর্ষ বলও একত্রিত ছিল। পরে পৃথক হয়েছে। অআবার বলা হচ্ছে, মহাবিশ্বে যত মহাকর্ষ অআছে তার মাত্র ১০ শতাংশ মহাবিশ্বের
বস্তুগত কাঠামোতে বিদ্যমান। বাকী ৯০% অজানা কিছুর জন্য। অআবার বলা হচ্ছেঃ মহাকর্ষ
অচিন্তনীয়ভাবে দূর্বল। এত দূর্বল যে, চিরুনীতে বিদ্যমান স্থির চুম্বক শক্তির
মোকাবিলায় ছোট ছোট কাগজের টুকরাকে ধরে রাখার শক্তি নেই মহাকর্ষের । তাই সংগত
কারণে মহাকর্ষকে ঘিরে খোদ বিজ্ঞানীদের মনে প্রশ্ন জাগছে এই বলেঃ
“রহস্যময় মহাকর্ষের
সঠিক ব্যাখ্যা কী? এই বল দূর্বল কেন? কেন অন্য বলগুলোর মতো নয়? এর কারণ এমনও হতে
পারে, মহাকর্ষ হয়তো বিশেষ কোনো বল।
মহাকর্ষকে অন্য বলের মতো হতে হবে কিংবা একটিমাত্র তত্ত্ব দিয়ে সব কিছু
ব্যাখ্যা করতে হবে-এমনটা নাও হতে পারে। বড় দৃষ্টিভঙ্গির দিকে অআমাদের মন খোলা
রাখতে হবে। কারণ, মহাবিশ্বের মৌলিক কিছু সত্য সম্পর্কে অআমরা এখনোআ অন্ধকারে রয়ে
গেছি” (টানে সবাইকে কিন্তু বাঁধনে জড়ায় না)।
সিআইআরএনএন মনে করে প্রথমে টানে সবাইকে কিন্তু
বাঁধনে জড়ায় না এই মিথ থেকে আমাদের সরে আস দরকার।
মহাকর্ষের রহস্যঃ পৃথিবী আমাদেরকে টানে কেন? পৃথিবীকে যদি আয়রণিক সত্বা ধরি তাহলে প্রতিটি বস্তুকে মনে করতে হবে বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় বলে প্রভাবিত প্রতিটি বস্তুকণা এক একটি ম্যাগনেটিক পার্টিকেল বা কণা বিশেষ।ফলে এই কণা আয়রণিক পৃথিবীকে টানতে গিয়ে নিজেই টান খেয়ে বসে। আমরাও বস্তুগত দেহের অধিকারী। তাতেও বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় বলের প্রভাব বিদ্যমান। ফলে আয়রনিক পৃথিবী আমাদের ম্যাগনেটিক বডিকে টেনে বসে। এ কারণে আমরা পৃথিবী দ্বারা অআকর্ষিত হয়ে ভূত্বকে লেগে থাকি।তবে বাস্তবতা এই যে, আমাদের দেহে খনিজ ম্যাগনেশিয়ামের পাশাপাশি আয়রণও রয়েছে। অর্থাৎ দেহ একাধারে ম্যাগনেটিক এবং আয়রণিকও । বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় বল+ভূত্বকের আয়রণ অআর দৈহিক আয়রন+দৈহিক ম্যাগনেট থাকায় পৃথিবীর মাটির আয়রণের সাথে দৈহিক আয়রণে মিথস্ত্রিয়া হচ্ছ না। আবার দৈহিক ম্যাগনেটিক ভূত্বকের সাথে পৃথিবীর ম্যাগনেটিককে মিথস্ক্রিয়া করতে পারে না । ফলে এটা সুস্পষ্ট প্রতীয়মান যে, কোনো বস্তুগত সত্বাই আমাদেরকে পৃথিবীর ভূত্বকে লেগে থাকার জন্য যথেষ্ট নয়। তাহলে আমাদের যেতে হবেএ অসীমের পথে।
মা-ইয়াফতাহিল্লাহু লিন্না-সি
মির রাহমাতিন ফালা-মুমসিকা লাহাঃ আল্লাহ মানুষের জন্য যে রহমত খুলে দেন বস্তুত তা
অবরোধকারী কেউ নেই। (অর্থাৎ মানুষ বা প্রাণী যে ভূত্বকে অআটকে অআছে তাকে উড়িয়ে নেয়ার
শক্তি উর্ধ্বগতির বায়ুশক্তির যেমন নেই তেমনি নেই বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় বলের। বরং পৃথিবীর ভূত্বকে উর্ধ্বজাগতিক অদৃশ্য শক্তি
যেন অআমাদের চাপিয়ে রাখছে অনেকটা বস্তা চাপা পড়ার মত। সেটি কি আল কুরঅআন বর্ণিত রহমত?
I
Comments
Post a Comment