রহস্যময় গুপ্ত পদার্থ ও রহস্যময় শক্তি

 

রহস্যময় গুপ্ত পদার্থ ও রহস্যময় শক্তি

যদি প্রশ্ন করা হয়, আমাদের মহাবিশ্বের সবকিছু কি দিয়ে গঠিত? তাহলে অনেকে হয়ত বলবেন, কোয়ার্ক, ইলেকট্রন , প্রোটন আর নিউট্রন,হাইড্রোজেন, হিলিয়াম ইত্যাদি অণু-পরমাণু দিয়ে গঠিত।

প্রাচীন কালের ডেমোক্রিটাস নামে এক গ্রিক বিজ্ঞানী মনে করতেন যে, কোন পদার্থকে ভাঙ্গলে দেখা যাবে এরা খুব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা দিয়ে গঠিত যার না দিলেন গ্রীক ভাষায় অ্যাটম যার বাংলা অর্থঃ আর ভাঙ্গা যাবে না । ভিন্নমত পোষণ করে অআরেক গ্রীক দার্শনিক এরিস্টটল(৩৮৪-৩২২ খ্রিঃপূঃ) মনে করতেন, আমাদের মহাবিশ্বে যা কিছু আছে তা সবই “মাটি”, “পানি”, “আগুন” আর “বাতাস” এই চারটি মৌলিক জিনিস দিয়ে গঠিত। কিন্ত্ত মধ্যযুগে অ্যারিস্টটলের এ ধারণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে জাবের ইবনে হায়ান অআল অআরাবী বলেনঃ মহাবিশ্ব ৪ মাত্রিক নয়, দ্বি মাত্রিক। এই দ্বিমাত্রিকতার উপর ভিত্তি করে আধুনিক বিজ্ঞানের দ্বার উন্মোচন করেন দিমিত্রি মারে গেলমান পর্যায় সারণী নাম দিয়ে। এতে সংস্কার আসে রমন তত্ত্বের মাধ্যমে। অতঃপর ১৯১১ সালে আর্নেস্ট রাদারফোর্ড নামে একজন পদার্থবিজ্ঞানী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একটি পরমাণু মডেল প্রস্তাব করেন । পরবর্তীতে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সেই মডেলের উন্নতি করা হয়। আর একথাও প্রতিষ্ঠিত হয় যে, সকল পদার্থই পরমাণু দিয়ে গঠিত; তবে এসব পরমাণুও অবিভাজ্য নয়। পরমাণুগুলো ইলেকট্রন, প্রোটন আর নিউট্রন নামে মৌলিক কণিকা দিয়ে গঠিত। অতিপারমাণবিকতার গভীর থেকে গভীরে প্রবেশ করে বিজ্ঞানীরা বর্তমানে যাত্রা বিরতি করছেন কোয়ার্ক এবং ইলেক্ট্রন পর্যন্ত জ্ঞানসীমা পৌঁছা পর্যন্ত। তবে এই সীমা বর্তমানে সম্প্রসারিত হচ্ছে স্ট্রিং থিওরির মধ্য দিয়ে।

Comments

Popular posts from this blog

যে জাতির রাজা-বাদশাহরা ছিলেন বিজ্ঞানী!

সেন্টার অব ইসলামিক রিসার্চ ফর নিউক্লিয়াস অ্যান্ড নিউরণ (CIRNN )

Update 8 Dec, 2023