ইসলামী বিজ্ঞান-প্রযুক্তি তথ্য ব্যাংক (বাংলাদেশ) লিঃ ০১
বিসমিল্লাহির
রহমানির রহীম
ইসলামী বিজ্ঞান-প্রযুক্তি তথ্য ব্যাংক (বাংলাদেশ) লিঃ
সূচীপত্র
এতে আছেঃ
|
বিষয়াবলী |
|
ইসলামী জ্ঞান, বিজ্ঞানের সংজ্ঞা গবেষণার নাম ইসলাম আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির
সংজ্ঞা আধুনিক বিজ্ঞানের প্রকার ভেদ আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা আধুনিক বৈজ্ঞানিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের সীমা-পরিসীমা কোরআন-সূন্নাহর আলোকে আধুনিক বিজ্ঞান-প্রযুক্তির গ্রহণ-বর্জন
নীতিমালা ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের ইতিকথা জাবালে নূর, গারে হেরাঃ ইসলামী
জ্ঞান-বিজ্ঞানের সূচনাস্থল । জ্ঞানের প্রসঙ্গ লইয়া হজরতের পয়গাম্বরী
জীবন শুরু (১) দারুল আরকাম (২) আসহাবে সুফফা (৩) বায়তুল হিকমাহ (৪) আল হামরা (৫) আল আজহার: মুসলিম জ্ঞানী-বিজ্ঞানীদের প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান চর্চার আবাসস্থল । ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রসারে খোলাফায়ে
রাশেদার শাসনামল বাহারুল উলুম হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু
আনহু: পরশ পাথরঃ স্বর্ণ তৈরির প্রযুক্তি এবং হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ঐতিহাসিক
উক্তিঃ উমাইয়া শাসনামলে বিজ্ঞান চর্চাঃ খালিদ ইবনে ইয়াজিদ আব্বাসীয় শাসনামলে বিজ্ঞান চর্চাঃ (১) খলিফা আল মানসুর (২) খলিফা আল মামুন ও বায়তুল হিকমাহ, ( ) খলিফা আল মামুনের রাজত্বকাল মামুনের পৃষ্ঠপোষকতায় আল খাওয়ারিজমীর
বিজ্ঞান চর্চার সুযোগ লাভ ( ): Reginm of Turkey: মুসলিম সভ্যতার ইতিহাস আরব (স্যারাসিন) জাতির জ্ঞান-বিজ্ঞানের
ইতিহাস মুসলিম বিজ্ঞানীদের ইতিকথা |
|
আধুনিক বিজ্ঞান-প্রযুক্তির বিকাশে
মুসলিম বিজ্ঞানীদের ভূমিকা |
|
|
|
ইউরোপীয় সভ্যতা বিকাশে মুসলিমদের অবদান মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিস্কার |
|
একনজরে মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিস্কার ১০০১ ডিসকভারী অব মুসলিম ফারাস্ত্তনঃ একটি আরব বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ আল ফারাজীঃ আন্ডারলবের আবিস্কারক আল খাওয়ারিজমীর আকাশ মানচিত্র প্রণয়ন মাফাতাহিল উলুমঃ পৃথিবীর প্রাচীনতম
ইসলামী বিশ্বকোষ কর্ডোভা ইসলামী লাইব্রেরী সাবিতঃ তুলাদন্ডের স্থপতি আস্তারলবঃ মুসলিম বিজ্ঞানীদের অনন্য
আবিস্কার গ্রীণউইচ মান সময়ের ধারণা প্রতিষ্ঠায়
মূসা ভ্রাতৃত্রয়ের ভূমিকা হেকিমী-আয়ুর্বেদীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানের
ইতিকথা |
|
জাবির ইবনে হাইয়ানের আবির্ভাব ঈমাম বুখারী রহিমাহুল্লাহর আবির্ভাব |
|
বিজ্ঞানে মুসলিম অবদানের গুরুত্ব |
|
মুসলিম বিজ্ঞান সভ্যতার পতনযুগ |
|
মুসলিম রাষ্ট্রনায়কদের বিজ্ঞান চর্চা খালিদ আল রাজত্ব ছেড়ে বিজ্ঞান সাধনা বিজ্ঞানানুরাগীঃ সুলতান মাসউদ সেভিলের সুলতান মুতামিদ খলিফা হারুন-উর-রশীদঃ বায়তুল হিকমাহর
প্রতিষ্ঠাতা দিনে সম্রাট, রাতে জ্যোতির্বিজ্ঞানী |
|
মধ্যযুগীয় মুসলিম বিজ্ঞানীদের জীবন কথা (১) আবুল হাসান (২) আবু ইয়াহিয়া আল বাতারিক (৩) আল নও বখত (৪) জাবির ইবনে হাইয়ান (৫) আল কিন্দি (ফিলোসপার অব এরাব (৬) ইসহাক ইবনে হুসায়ন (৭)আহমাদ ইবনে ইউসুফ মূসা আল খাওয়ারিজমিঃ যাঁর পরশে কুখ্যাত
ডাকাত বিখ্যাত বৈজ্ঞানিকে পরিণত বিশ্বখ্যাত আরব বিজ্ঞানী সাবিতের রাজকীয়
সুবিধা লাভে মূসা ভ্রাতৃত্রয়ের বদান্যতা সাবিত ইবনে কোরার সাথে মূসা
ভ্রাতৃত্রয়ের সাক্ষাৎকার |
|
শান্তিবাদঃ ইসলাম |
|
ইসলামী বিজ্ঞান সমিতি, জার্মান |
|
জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদানের
অমুসলিম স্বীকৃতি i)
তিন বিখ্যাত মুসলিম
বৈজ্ঞানিকের নামে চন্দ্রপৃষ্ঠের নামকরণ ii)
Algorithom iii)
|
|
আবারও জ্ঞান-বিজ্ঞানের পথে মুসলমান i)
Star of Science Exibition of Qatar Foundation ii)
Astana Declaration iii)
D-8 Declaration iv)
Declaration of 45th OIC FM Conference v)
Universities of Science & Tech in Muslim World. vi)
কম্পিউটার আবিস্কারের
জন্মকথা |
|
বাস্তবতার আলোকে নিউটন, গ্যালিলিও, কোপার্নিকাস-কে অনুসরণের
অবকাশ নেই প্রাচীন আরব বিজ্ঞানীদের। |
|
অনারব দেশে আরব মুসলিম জ্ঞান-বিজ্ঞানের
ইতিকথা মধ্যযুগঃ আরব-ভারত বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা
উজ্জ্বল যুগ জ্ঞান অনুসন্ধানে আরব অভিযাত্রীর ভারত
প্রবেশ |
|
ইসলামী সৃষ্টি তত্ত্ব |
|
|
|
আধুনিক বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ত মুসলমানদের ভূমিকা গণিত এবং বিজ্ঞান গণিত বিজ্ঞানে মুসলমানদের ভূমিকা পদার্থ বিজ্ঞানে
মুসলমানদের ভূমিকা পদার্থ বিজ্ঞান এবং ইবনে হায়সাম আলোর কণাবাদ: মুসলমানদের ভূমিকা আলোর কণাবাদ ও ইবনে সীনা গণিত বিজ্ঞানে মুসলমানদের মৌলিক অবদান মুসলিম গণিত বিজ্ঞানী আবু আবদুল্লাহ
মুহাম্মাদ ইবনে মূসা আলখাওয়ারিজমি বীজগণিত ও মুসলমান জ্যামিতি ও মুসলমান |
|
আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে পারসিক-ইয়াহুদী
বিজ্ঞানীর ভূমিকা চীনা জ্ঞান-বিজ্ঞানের ইতিকথা বিশ্ব সভ্যতায় চীন চীন-আরব মুসলিম আন্তঃবৈজ্ঞানিক সম্পর্ক জাপানী জ্ঞান-বিজ্ঞানের ইতিহাস |
|
অষ্টম শতাব্দী থেকে মুসলমানদের
জ্ঞান-বিজ্ঞানে প্রাতিষ্ঠানিক অগ্রযাত্রার ইতিকথা |
|
|
|
দ্বীন ইসলামের পথে আধুনিক
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত
মুসলমানদের আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোক উজ্জ্বল যুগ ইসলামী সৃষ্টিতত্ত্বের পথে আধুনিক বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নিউট্টিনো+হিগস-বোসন কণাঃ সার্ণের
অনন্য আবিস্কার ১) নিউট্টিনোর ইসলামী মূল্যায়ন ২) হিগস-বোসন কণার ইসলামী মূল্যায়ন |
|
|
আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়
উইকিপিডিয়া, বিশ্বকোষ
|
আল-আযাহার বিশ্ববিদ্যালয় |
|
|
جامعة الأزهر (الشريف) |
|
|
ধরন |
|
|
স্থাপিত |
৯৭০~৯৭২ |
|
অধিভুক্তি |
|
|
সভাপতি |
|
|
অবস্থান |
,
|
|
শিক্ষাঙ্গন |
|
|
ওয়েবসাইট |
|
|
|
|
|
1Between 972 and 1171
CE, al-Azhar followed the Ismaili branch of Shia Islam |
|
আল আজহার মসজিদের অভ্যন্তর
Faculty of Humanities - Al-Azhar
University - Gaza.
আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি: Al-Azhar University) (AHZ-har ; আরবি: جامعة الأزهر (الشريف) Jāmiʻat al-Azhar
(al-Sharīf), মিশরীয় আরবি: ˈɡæmʕet elˈʔɑzhɑɾ eʃʃæˈɾiːf, "the (honorable) Azhar University") হল মিশরের, কায়রো নগরীতে অবস্থিত একটি বিখ্যাত
বিশ্ববিদ্যালয়। ইসলামী শিক্ষার উদ্দেশ্য নিয়ে একটি কেন্দ্র হিসেবে ফাতেমীয় বংশ
দ্বারা ৯৭০ বা ৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটির ছাত্ররা কুরআন এবং বিস্তারিতভাবে
ইসলামী আইন শিক্ষা গ্রহণ করেন, বিষয়াবলী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যুক্তিবিদ্যা, ব্যাকরণ, অলঙ্কারশাস্ত্র, এবং কিভাবে চাঁদের চান্দ্র
পর্যায়ক্রমে নিরূপণ সম্পর্কে। এটি আজ আরবি সাহিত্যের এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিশ্বের প্রধান কেন্দ্র।[১] এটা মিশরের
প্রাচীনতম ডিগ্রী গ্রান্টিং বিশ্ববিদ্যালয়।বিশ্ববিদ্যালয়টির উদ্দেশ্য হল ইসলাম ধর্ম এবং ইসলামী সংস্কৃতির বিস্তার ঘটানো।
ইতিহাস
মাদ্রাসাটি মিশরের ফাতেমী বংশের যুগের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে একটি।
ফাতিমাহকে, আল জহরা বা
(ভাস্বর) বলা হত এবং এটি তার সম্মানে তার নামে নামকরণ করা হয়।[৩] এটা খলিফা আল মুইজ এর আদেশে
ফাতেমী কমান্ডার জাওহার দ্বারা মসজিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল; যেটি মূলত কায়রো শহরের
জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ৩৫৯ হিঃ সালে জামদি আল আওয়াল এর মধ্যে (সম্ভবত শনিবার)
ছিল। ভবনটি ৯ রমজান ৩৬১ হিঃ (৩৭২ খ্রিষ্টাব্দ) আল আজিজ বিল্লাহ ও আল হাকিম আল-আমর
আল্লাহ উভয়েই এটির প্রাঙ্গণে উপর সম্পূর্ণ যোগ করেন। ফাতেমী খলীফারা সবসময় এই
মসজিদে তাদের গবেষণায়-বৃত্ত এবং জড়ো আছে বলে পণ্ডিত ও ফকীহগণ উত্সাহ করতেন এবং
এইভাবে এটি প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এখনও বিবেচনা বলে দাবী করেছে যা
পরবর্তীতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরিত করা হয়।[৪]
ধর্মীয় আদর্শ
আল-আজহারে সুন্নি ইসলামিক আইনশাস্ত্রের চারটি মাযহাব (হানাফি, মালেকী, শফি এবং হাম্বালি) এবং
সাতটি প্রধান সূফী তরিকার প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
1.
↑ name="Britannica article"
2.
↑ name="Encyclopaedia of Islam: al-Azhar, modern
period"
3.
↑ Halm, Heinz. The Fatimids and their
Traditions of Learning. London: The Institute of Ismaili Studies and I.B.
Tauris. 1997.
4.
↑ Shorter Shi'ite Encyclopaedia, By: Hasan al-Amin, http://www.imamreza.net/eng/imamreza.php?id=574 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ জুন ২০১০ তারিখে
5.
↑ Jadaliyya: "The
Identity of Al-Azhar and Its Doctrine" by Ibrahim El-Houdaiby July 29, 2012
উপরন্তু পড়ুন[সম্পাদনা]
·
Witte, Griff (মার্চ ৩,
২০১২)। "At al-Azhar Mosque, struggle over Islam
roils a revered Egyptian institution"। The Washington Post।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
|
|
উইকিমিডিয়া কমন্সে আল-আযহার
বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
·
Al-Azhar University (Arabic)
·
The world Association for Al-Azhar Graduates
·
Al-Azhar Institute for Teaching Arabic as Foreign Language
·
Al-Azhar-US Embassy English Language Resource Center (ELRC)
·
Al-Azhar University Faculty of Islamic Sciences for International Students
·
Al Azhar
·
Al-Azhar Supreme Council for Islamic Affairs (English)
·
Dar Al Ifta
(English) (Al-Azhar for
Islamic Fatwā)
·
Educational website for Al-Azhar Institutes (English)
·
Documentary video film on Al-Azhar University in (Arabic)
·
History and organization of Al-Azhar (English)
·
Al-Azhar University rules for international students admission (Arabic
only)
·
New Grand Sheikh at Al-Azhar University: Fighting Extremism in A Suit and
Tie
জ্ঞান কি?
What is Knowledge?
কোন বিষয় বা বস্তু সম্পর্কে জানা বা বুঝার অনুভব-উপলদ্ধি-কে জ্ঞান বলা যেতে
পারে। এই জ্ঞান বাস্তব দর্শন,শোনা কিংবা নিবিড় অধ্যয়নের মাধ্যমে হতে পারে। এই জ্ঞান তাই প্রধানতঃ দু'প্রকার । যথাঃ (১)
তাত্ত্বিক জ্ঞান এবং (২) বাস্তব বা ব্যবহারিক জ্ঞান।
দর্শন বিজ্ঞানের
আলোচিত জ্ঞান-কে "তত্ত্ব জ্ঞান" বলা হয়। দার্শনিক প্লেটো জ্ঞানকে
"প্রমাণিত সত্য বিশ্বাস" বলে সংজ্ঞায়িত
করেন।
অভিজ্ঞতালদ্ধ কিংবা অনুভব-উপলদ্ধিজাত পঠিত এবং লিখিত উপকারী অথবা অপকারী সর্ব
প্রকার জ্ঞান-কে ইসলামী পরিভাষায় "ঈলম"
এবং বিজ্ঞান বা প্রজ্ঞা-কে "হিকমাহ" বলা হয়। উপকারী ঈলম বা জ্ঞান-কে
পবিত্র হাদিসে ইসলামী পরিভাষায় "ঈলমান নাফিয়ান" বলা হয়েছে।
বিজ্ঞানের প্রকারভেদ
বিজ্ঞান মূলতঃ দু' প্রকার যথাঃ (১) তাত্ত্বিক weÁvb (Theoritical
Science), (২) e¨envwiK বা প্রয়োগিক weÁvb (Practical
science)।
বিজ্ঞানের ২টি রূপ আছে। একটিকে বলা হয়
বিদ্ধ আর অন্যটিকে বলা হয় ফলিত। সূত্রসহ আবি¯কৃত বিশেষ জ্ঞান-কে বলা হয় “বিশুদ্ধ” বা “তাত্তি¦ক বিজ্ঞান” (ঞযবড়ৎরঃরপধষ ঝপরবহপব)। আর
আবিস্কৃত “বিশুদ্ধ”
বা “তাত্তি¦ক বিজ্ঞান” (ঝপরবহপব)-কে কাজে লাগিয়ে
বস্তু বা পর্দাথরে রূপ-রূপান্তরকে “ফলিত বিজ্ঞান” বা প্রযুক্তি (ঞবপযহড়ষড়মু) বলা হয়।
সূত্রসহ আবি¯কৃত বিশেষ জ্ঞান-কে বলা হয় “বিশুদ্ধ” বা “তাত্তি¦ক বিজ্ঞান” (ঞযবড়ৎরঃরপধষ
ঝপরবহপব)। আর
আবিস্কৃত “বিশুদ্ধ” বা “তাত্তি¦ক বিজ্ঞান” (ঝপরবহপব)-কে কাজে লাগিয়ে বস্তু বা পর্দাথরে রূপ-রূপান্তরকে “ফলিত বিজ্ঞান” বা প্রযুক্তি (ঞবপযহড়ষড়মু)
বলা হয়।
বিজ্ঞা ন ঝপরবহপব (সাইয়ন্সে) ক?
বজ্ঞািনরে আভধািনকি সংজ্ঞাঃ
বজ্ঞিান;
ঝপরবহপব (সাইয়ন্সে) হ.
নরিূপতি সত্য(ঞৎঁঃয ধংপবৎঃধরহবফ).
মূলতঃ ইংরজেী “ঝপরবহপব” শব্দটা এসছেে ল্যাটনি “ঝপরবহঃরধ” শব্দ থকে।ে ল্যাতনি ভাষায়
ঝপরবহঃরধ শব্দরের্ অথ হলো “জ্ঞান” (শহড়ষবিফমব-ঈলম)। বাংলা ভাষায় এর শব্দান্তর করা হয়ছেে “বশিষে জ্ঞান” (বশষি+েজ্ঞান=বজ্ঞািন)।
(ঝঢ়বপরধষ+কহড়ষবিফমব)।
বজ্ঞািন [ঝপরবহপব (সাইয়ন্সে)] প্রসঙ্গে বখ্যিাত বৃটশি বজ্ঞিানী র্লড কলেভনি
(১৮২৪-১৯০৭) বলনঃে “ও ড়ভঃবহ ংধু ঃযধঃ রভ ুড়ঁ পধহ সবধংঁৎব ঃযধঃ ড়ভ যরিপয ুড়ঁ
ংঢ়বধশ, ধহফ পধহ
বীঢ়ৎবংং রঃ নু হঁসনবৎ, ুড়ঁ শহড়ি ংড়সবঃযরহম ড়ভ ুড়ঁৎ ংঁনলবপঃ, নঁঃ রভ ুড়ঁ পধহ হড়ঃ সবধংঁৎব রঃ, ুড়ঁৎ শহড়ষবিফমব রং সবধমবৎ ধহফ
ঁহংধঃরংভধপঃড়ৎু”. র্অথাৎ মাপজোখলদ্ধ জ্ঞান হলো বজ্ঞিান। বজ্ঞিান হলো এমন জ্ঞান, যাকে সংখ্যা (ঘঁসবৎধষ)র্ অথাৎ
গণতি বা অংকরে (গধঃযবসধঃরপং) মাধ্যমওে প্রকাশ করা চল।ে
এ কারণে গণত-িক(গেধঃযবসধঃরপং) বলা হয় বজ্ঞািনরে “জ্বালানী” (ঋঁবষ)।
বজ্ঞািনরে প্রকারভদে
বজ্ঞািন মূলতঃ দু'
প্রকার যথাঃ (১) তাত্ত্বকি
বজ্ঞিান (ঞযবড়ৎরঃরপধষ ঝপরবহপব), (২) ব্যবহারকি বা প্রয়াগেকি বজ্ঞিান (চৎধপঃরপধষ ংপরবহপব)।
বজ্ঞিানরে ২টি রূপ আছ।ে একটকিে বলা হয়
বদ্ধি আর অন্যটকিে বলা হয় ফলতি। সূত্রসহ আব¯িকৃত বশিষে জ্ঞান-কে বলা হয় “বশিুদ্ধ” বা “তাত্ত¦িক বজ্ঞিান” (ঞযবড়ৎরঃরপধষ ঝপরবহপব)। আর
আবস্কিৃত “বশিুদ্ধ”
বা “তাত্ত¦িক বজ্ঞিান” (ঝপরবহপব)-কে কাজে লাগয়িে বস্তু
বা র্পদাথরে রূপ-রূপান্তরকে “ফলতি বজ্ঞিান” বা প্রযুক্তি (ঞবপযহড়ষড়মু) বলা হয়।
Computer: আধুনিক বিশ্বের
সেরা প্রযুক্তি (Technology)
কম্পিউটার
কি?
কম্পিউটার আবিস্কারের জন্ম কাহিনী
সিপিইউ হলো computer
system unit এর মধ্যে বিদ্যমান সিলিকন
বিশেষ। যার মাধ্যমে computerএর সমস্ত কার্যকলাপ হয়ে থাকে।
অভ্যন্তরীণ স্মৃতি এবং গাণিতিক যুক্তির অংশসহ বিশাল দায়িত্ব পালন করে সিপিইউ।
আমাদের সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মধ্যে মস্তিস্ক যেমন গুরুত্বপূর্ণ CPU কম্পিউটারের ক্ষেত্রে ঠিক তেমন
গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়ার উপাদান। আধুনিক মাইক্রোকম্পিউটারের CPU এর অন্যতম দিক হলো এতে মাইক্রোপ্রসেসর এর
ব্যবহারের সুযোগ বিদ্যমান । তথ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং প্র্রক্রিয়াকরণের ফলাফল সবই
সম্পন্ন করে CPU যার প্রধান অংশঃ
ক. A.L.U= Arithmatic
Logical Unit. এর দ্বারা কম্পিউটার সব ধরণের
গাণিতিক সমস্যার সমাধান দেয়।
খ. C.U. =Control
Unit. প্রাপ্ত নির্দেশ নির্দিষ্ট অংশ
প্রেরিত হয়ে এর মাধ্যমে ফলাফল মনিটরে প্রতিফলিত হয় এবং নির্দেশক সিদ্ধান্ত গ্রহণের
সুযোগ পায়।
গ্রীক compute শব্দ থেকে Computer কথাটির উৎপত্তি যার অর্থ গণনাযন্ত্র।
বর্তমানে computer দিয়ে ১)গাণিতিক ২) যৌক্তিক (লজিক) সিদ্ধান্তমূলক ডাটা প্রেরণ (Data input) করলে সেটা প্রক্রিয়াকরণ (processing) হওয়ার পর ফলাফল (output) পাওয়া যায়।
Computer এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
গণনাযন্ত্র হিসাবে সর্বপ্রথম
চীনে আবিস্কৃত হয় অ্যাবাকাস নামক এক যন্ত্র। Abacas a wooden frame with
halls strung on paralled wires. এটি হলো সর্বপ্রথম অংক ভিত্তিক গণনা
যন্ত্র। (সূত্রঃ আইটি সাপোর্ট সিস্টেম-১, (বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক
অনুমোদিত, ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার সায়েন্স, ২য় সেমিস্টার, ২০১৯), পৃঃ ০১
এর পর পরই অ্যাবাকাসের
কাছাকাছি একটি গণনাযন্ত্রের ব্যবহার শুরু হয় জাপানে যার নাম সরোবান ( Soroban) । সরোবান খৃষ্টপূর্ব ৫০০ শতাব্দীর সময়কার গণনাযন্ত্র। এটি যোগ-বিয়োগ করতে সক্ষম।
লগারিদম
১৬১৭ সালে জন নেপিয়ার তৈরি করেন লগারিদম। এর
মধ্যে মোট ৯টি সারিতে নাম্বারকে আড়াআড়িভাবে করে সাজানো হয়। এটিকে নেপিয়ার বোনসও
বলা হয়। এটি গুণ ও ভাগ করতে সক্ষম। এটি ১৭ শতাব্দী থেকে শুরু করে ১৯ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত বলবৎ ছিল।
ডিফারেন্স ইন্জিন
১৮১২ সালে বৃটিশ গণিতবিদ চার্লস ব্যাবেজ
আবিস্কার করেন ডিফারেন্স ইন্জিন।
অ্যানালিটিক্যাল ইন্জিন
মূলতঃ ১৮৩৩ সালে চার্লস
ব্যাবেজই অ্যানালিটিক্যাল ইন্জিন উদ্ভাবন করেন। এটি সম্পূর্ণ অটোমেটিক ও সব ধরণের
গাণিতিক কাজে সক্ষম। এটি প্রোগ্রাম ( Programme) সংরক্ষণ করতে পারতো এবং ইনস্ট্রাকশন (Instruction) মেনে চলতে পারতো। অ্যানালিটিক্যাল ইন্জিনে
সর্বপ্রথম বাইনারি কোড (Binary Code System) অর্থাৎ শুন্য (০) এবং এক (১) এর ব্যবহার শুরু হয়। (প্রাগুক্ত পৃষ্ঠা ১৭)
লেডি অ্যাড অগাস্টাঃ পৃথিবীর
প্রথম প্রোগ্রামার
কবি লর্ড বেয়ন এর মেয়ে লেডি
অ্যাডা অগাস্টা বেয়ন ১৮৪৩ সালে বাইনারি ইনস্ট্রাকশনের সূচনা করেন। তাই পৃথিবীর প্রথম প্রোগ্রামার
বলা হয় লেডি অ্যাডা অগাস্টা বেয়ন-কে। (প্রাগুক্ত পৃঃ ১৭)।
হলারিথ মেশিন ( Hollerith Machine)
১৮৯০ সালে আবিস্কৃত হয় প্রথম
বিদ্যুৎ চালিত মেশিন হলারিথ । আবিস্কারক হারম্যান হলারিথ। এটি ডাটা রেকর্ডিং, টেক্সট (পাঠ্যক্রম) পড়তে পারতো। এর অপর নাম টেবুলেটিং মেশিন (পৃঃ ১৮)।
বেল-১
১৮৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়
বিখ্যাত Computer Company
IBM. এই কোম্পানি যে যন্ত্র তৈরি
করে তার নাম Bell-1. এটি একটি Mechanical Complex
Calculator.
হার্ভার্ড ইউনিভাসিটি
১৯৩০ সালে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির
হাওয়ার্ড একিন (Howard Aiken) ও IBM (International
Business Machine) যৌথভাবে প্রথম Electrical
Computer আবিস্কার করেন। এটির নাম Mark-1. এটি ৫১ ফুট লম্বা এবং ৮ ফুট উঁচু ছিল। ওজন
ছিল ৫ (পাঁচ) টন। যন্ত্রাংশ সংযোগ দিতে ৫০০ (পাঁচশত) মাইল লম্বা তারের প্রয়োজন হতো। এটি এখনো
প্রথম Computer স্মারক (স্মৃতি) হিসাবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সযত্নে
সংরক্ষিত আছে। (পৃঃ ১৯)
উন্নত কম্পিউটার
১৯৩৭ সালে ডাঃ জন অ্যাটানাসোফ
এবং জন বেরি একত্রে Computer-কে উন্নত করেন। তাঁদের Computer এর নাম ছিল ABC (Atanasoff
Berry Computer).
Computer এর প্রযুক্তিগত উন্নয়ন
প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে Computer সিন্ধু থেকে ক্রমশঃ বিন্দুতে পরিণত হতে
চলেছে। যার ফলে এখন পকেট Computer সময়ের ব্যাপার মাত্র হয়ে
দাঁড়িয়েছে। Computer এর প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ধাপ
বা স্তকে বলা হয় প্রজন্ম (Generation)। ধাপগুলি নিম্নরূপঃ
প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারঃ
১৯৪০ সাল হতে ১৯৫৬ সাল পর্যন্তঃ হাজার হাজার ডায়োড ভাল্ভ, রেজিস্টার, ক্যাপাসিটর ইত্যাদি দিয়ে তৈরি। এতে
ভ্যাকুয়াম টিউব ব্যবহৃত হতো যা কয়েকটি ঘর জুড়ে বিস্তৃত হতো। বিশাল আয়তন বিশিষ্ট
প্রথম প্রজন্মের Computer চালু অবস্থায় ভীষণ গরম হয়ে
যেতো। তাই যাতে পুড়ে না যায় সে জন্য মাঝে মাঝে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা হতো। এটি
সীমিত তথ্য ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন। পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হতো প্রচুর বিদ্যুৎ
শক্তি।
দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারঃ
১৯৫৭ সাল হতে ১৯৬৩ সাল পর্যন্তঃএতে ট্রানজিস্টার ব্যবহৃত হতো যা Computer-এ বিপ্লব সাধন করে। উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালে আমেরিকার বেল ল্যাবরেটরীতে
উইলিয়াম শকলি, জন বার্ডিন এবং এইচ ব্রিটেন
যৌথভাবে এ টানজিস্টার তৈরি করেন। এ ট্রানজিস্টার Computer প্রযুক্তিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন
করেন। এটি প্রথম প্রজন্মের Computer থেকে তুলনামূলক অনেক ছোট এবং
কম বিদ্যুৎ-তে চালিত।
তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারঃ
১৯৬৪ সাল হতে ১৯৭০ সাল পর্যন্তঃ রবার্ট নয়েস ও জ্যাক কিলবি প্রায় একই সময় পৃথকভাবে
বড় সার্কিট ক্ষুদ্র করার পদ্ধতি আবিস্কার করেন। এ পদ্ধতিতে প্রাপ্ত ছোট সার্কিটকে IC Integrated বলা হয়। এ প্রজন্মের Computer-এ IC Integrated ব্যবহৃত হওয়ায় এটি দ্বিতীয় প্রজন্মের Computer থেকে তুলনামূলক অনেক ছোট এবং উৎপাদন ব্যয়
অনেক কমে যায়। এতে প্রথমবারের মত প্রিন্টার ব্যবহার শুরু হয়।
চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারঃ
১৯৭১ সাল হতে অদ্যাবধি (২০১৯) সাল পর্যন্তঃ ১৯৭১ সাল থেকে ৪র্থ প্রজন্ম
শুরু হয়। LSI (Large Scale
Integration) ও VLSI (Very Large
Scale Integration) এবং Semi Conductor
Memory দিয়ে এ প্রজন্মের Computer তৈরি। VLSI দিয়ে তৈরি ক্ষুদ্রাকৃতির এই কম্পিউটার-কে
বলা হয় মাইক্রো কম্পিউটার। আমেরিকার জন ব্লাংকার বেকার ১৯৭১ সালে কেনব্যাক (Kenbak) নামক প্রথম মাইক্রো-কম্পিউটার তৈরি করেন।
পরে ১৯৭৭ সালে মাইক্রো কম্পিউটার পূর্ণাঙ্গ রূপ ধারণ করে ১৯৮১ সালে IBM কোম্পানি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে যখন Computer উৎপাদন শুরু করে। IBM কোম্পানি কর্তৃক প্রস্ত্ততকৃত Computer আকারে আরও ছোট হয়ে আসে। তবে বেড়ে যায় এর
গতি। এতে ROM (Read only
Memory), PROM, EPROM প্রভৃতি স্মৃতি উদ্ভাবনী
প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া, Programming Language, DOS,
Widows, Unix Operating System এ প্রজন্মের কম্পিউটারে
ব্যবহৃত হতে থাকে। (প্রাগুক্ত পৃঃ ২৪)
পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটারঃ
এটি ৪র্থ প্রজন্মের কম্পিউটার থকে শক্তিশালী করার কাজে গবেষণা চলছে। এতে Supper VISI (Very
Large Scale Integration) Clip এবং Optical
Fibar এর সমন্বয়ে এ প্রজন্মের
কম্পিউটার তৈরি। এতে অত্যন্ত শক্তিশালী মাইক্রোপ্রসেসর ও প্রচুর পরিমাণে ডাটা ধারণ
ক্ষমতাসম্পন্ন করার গবেষণা চলছে । (পৃঃ ২৫)
বৈজ্ঞানিক গবেষণা কি এবং কেন?
গবেষণা (ইংরেজি: Research) হল মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক অনুসন্ধান
প্রক্রিয়া এবং নতুন কিছু আবিষ্কারের নেশায় বিজ্ঞানীদের কার্যাবলী। যিনি গবেষণা
করেন বা গবেষণা কর্মের সাথে জড়িত, তিনি গবেষক বা গবেষণাকারী নামে
পরিচিত।
সুনির্দিষ্ট প্রজেক্ট
(প্রকল্প) বা উদ্দেশ্যের আওতায় প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক তত্ব, তথ্য, উপাত্ত এবং আনুষঙ্গিক
বৈজ্ঞানিক সাজ-সরন্জাম বা প্রযুক্তি সংগ্রহ করতঃ
এতদ্বিষয়ে নিরলস
পরীক্ষা-নিরীক্ষা, সমীক্ষা, পর্যালোচনা, পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নিবিড় তথ্য বিশ্লেষণ
ও সূত্র উদ্ভাবন করতঃ উদ্ভাবিত সূত্রমতে গবেষণা সম্পকির্ত গৃহীত অনুসিদ্ধান্ত, ও সিদ্ধান্ত এবং চূড়ান্ত
ফলাফল গ্রহণ উপস্থাপন এবং
প্রাসঙ্গিক আলোচনা সন্নিবেশিত করা হয়। গবেষণার প্রধান ধাপসমূহ হচ্ছে:
●গবেষণার বিষয়বস্তু, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য চিহ্নিতকরণ
● প্রাসঙ্গিক গবেষণা ও তথ্য পর্যালোচনা
●গবেষণার সমস্যা নির্দিষ্টকরণ
● অনুমিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও গবেষণার প্রশ্ন
নির্দিষ্টকরণ
● তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ
● প্রাথমিক ও চূড়ান্ত গবেষণা
প্রতিবেদন তৈরিকরণ।
ইসলামী
জ্ঞান-বিজ্ঞানের ইতিকথা
আহ্লি বাইতে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম এর শরিােমন,ি ইসলামের মহান র্৪থ খলিফা
হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহু রদ্বয়িা'ল্লাহু আনহু-কে বলা হয় "বাহারুল
উলুম"-"জ্ঞানের সাগর"। অন্যদকিে আহ্লি বাইতে রসূলুল্লাহ
সল্লাল্লাাহু আ’লাইহি ওয়া সাল¬াম এর শেষ উজ্জ্বল নক্ষত্র বলা হয় "বাহারুল উলুম"-এর
বংশােদ্ভূত হযরত জাফর সাদেক (রহমিাহুল্লাহ)'ক-েযাঁর সুযোগ্য শিষ্য বা সারগেদ হচ্ছেন আধুনিক ইসলামী
জ্ঞান-বিজ্ঞানের ¯হপতি (ফাউন্ডার) জাবির ইবনে হাইয়ান।
উল্লখ্যে, রসায়ন বিজ্ঞানের মাধ্যমে ভৌতিক বিজ্ঞানের রহস্যময় বিষয়গুলি যেমনঃ পাতন, ঊর্ধ্ব পাতন দ্রাবন, পরিদ্রাবন, কেলাসন, গলন, ভস¥ীকরণ, বাস্পীভবন প্রভৃতি গবেষণাগার প্রক্রিয়াগুলিকে আল জাবিরই বৈজ্ঞানিক রূপ
দান করেন। তাছাড়া, পদার্থ বিদ্যার অন্তর্গত বিষয়াদি যেমনঃ ইস্পাত তৈরীর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি,
কাপড় ও চামড়ার রংকরণ
প্রযুক্তি, লোহায়
বার্ণিশ, কাপড়
ওয়াটারপ্রুফকরণ, ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইডযোগে কাঁচ তৈরীর ফমর্ূুলা-প্রযুক্তি জাবির ইবনে
হাইয়ান আল আরাবিরই বজ্ঞৈানকি মেধার স্ফুরণ -যা মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়া'লারই অশষে ফজল, করম মাত্র।
হযরত আলী রদ্বয়িা'ল্লাহু আনহু-রদ্বয়িা'ল্লাহু আনহু-এর
জ্ঞানর্গভ কাব্য বাণী ঃ
"যুজ আল ফারার ওয়তি তালাক
ওয়াশ্ শায়য়ান আশবাহুল বারাক
এজাসাম জালাত ওয়া আস কাহাৎ
মালাক তাল গারার ওয়াশ্ শারার"।
অর্থ Ñ “পারদ ও অভ্র একত্র করে যদি বিদ্যুৎ ও বজ্র সদৃশ কোন বস্তুর সঙ্গে
সংমিশ্রণ করতে পার, তাহলে প্রাচ্য ও পাশ্চত্যের র্কতৃত্বরে অধকিারী হতে পারবে।“
উল্লখ্যে, (১) ইলেকট্রন, (২) প্লোটন ও (৩) নিউট্রন- -এই ৩ প্রকার পরমাণুর মধ্যে ‘প্রোটন’ পরমাণুকে সংশ্লেষণ করলে
নাকি তা স্বর্ণে পরিণত করা যায়। (সূত্রঃ ১.
স্পিরিট অব ইসলাম ঃ সৈয়দ আমীর আলী। ২.
বিজ্ঞানে মুসলমানের দান ঃ এম. আকবর আলী।
“পরশ পাথর”
উল্লখ্যে, যার স্পর্শে লোহা স্বর্ণে পরিণত হতে পারে তাকে বলা হয় পরশ পাথর ।
আরবীতে কমিয়িা। পারদ ও অভ্রকে বিদ্যুৎ বা বজ্রের মত ভীষণ তেজস্কর
অগ্নি-সংশ্লেষাত্মক রাসায়নিক প্রক্রিয়ার আভাষ রয়ছেে হযরত আলী কাররামাল্লাহু
ওয়াজহুর উপরােক্ত জ্ঞানর্গভ পংক্ততি।ে আবু আলী সীনাও স্বর্ণ প্রস্তুতে হযরত আলী
(রাঃ)-র মত পারদকে অপরিহার্য ধরে নিয়ে অতিশয় বিশুদ্ধ গন্ধক ও পারদ জমিয়ে কঠিন করে
স্বর্ণ প্রস্তুতের পদ্ধতি বাতলয়িছেলিনে।
উমাইয়া যুগে মুসলিম জ্ঞান-বিজ্ঞান
উমাইয়া খলিফা কাতেবে ওয়াহি হযরত আমীরে মুয়াবিয়া (প্রথম) রদ্বিয়াল্লাহু আনহু দামেস্কে বইয়ের
একটি সংগ্রহ গড়ে তোলেন। এটিকে ইতোমধ্যেই বাইতুল হিকমাহ বলা হত।[৪] এতে চিকিৎসা, আলকেমি ও অন্যান্য বিষয়ের উপর গ্রিক ও
খ্রিষ্টান উৎসের গ্রন্থ ছিল।[৮] উমাইয়ারা চৈনিকদের কাছ থেকে কাগজ তৈরীর
প্রক্রিয়া রপ্ত করে। তারা নিজেদের অধীনে অনেক বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্র সৃষ্ট করে ও
খ্রিষ্টান ও পারসিয়ান জ্ঞানী-গুণীদের আরবিতে অনুবাদ ও নতুন জ্ঞান সৃষ্টির জন্য
নিয়োগ দেন।[৯] আরব বিশ্বে জ্ঞানের উন্মেষের জন্য এসব ঘটনা ভিত্তি
হিসেবে কাজ করে।[৮]। আমীরে মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহু'র সূচিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের এই অগ্রযাত্রার
ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছিলেন তাঁরই সুযোগ্য নাতি খালেদ ইবনে ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া।
মুসলিম জ্ঞানী-গুণীদের বিজ্ঞান চর্চার বৈর্শ্বিক গুরুত্ব
মুসলমানদের র্চচতি এবং আবিষ্কৃত বভিন্নি
শাখা-প্রশাখায় প্রসারতি জ্ঞান-বজ্ঞিান যদি এ জগৎ থকেে প্রত্যাহার করা হয়,তাহলে সমগ্র বিজ্ঞান জগতটাই গভীর অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং
বিজ্ঞান-প্রযুক্তরি হৃৎপিÐ স্তদ্ধ হয়ে যতেে পার।ে
উদাহরণস্বরূপ, মুহূর্তের মধ্যে পৃথিবী 'ডিজিটাল' যুগ থেকে
রাতারাতি 'এনালগ' যুগে ফিরে
যেতে পারে যদি কম্পিউটারের সিপিইউ'র
ম্যাথমেটিক ইউনিটের বাইনারী কোড (0 & 1) হতে মাত্র ১টি
সংখ্যা যেমন 1(One-১)-কে 'বাইনারী কোড' তথা গণিত বা 'বিজ্ঞান জগৎ' থেকে প্রত্যাহার
করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, মুহূর্তের মধ্যে পৃথিবী 'ডিজিটাল' যুগ থেকে
রাতারাতি 'এনালগ' যুগে ফিরে
যেতে পারে যদি কম্পিউটারের সিপিইউ'র
ম্যাথমেটিক ইউনিটের বাইনারী কোড (0 & 1) হতে মাত্র ১টি
সংখ্যা যেমন 1(One-১)-কে 'বাইনারী কোড' তথা গণিত বা 'বিজ্ঞান জগৎ' থেকে প্রত্যাহার
করা হq।
উল্লেখ্য, দশক, শতক, হাজার, অযুত, লক্ষ, নিযুত কোটি, Century, Million, Billion,
Trilion মিলিয়ন, বিলিয়ন, ট্রিলিয়ন সংখ্যা থেকে শুধু ১
(এক) 1(One) যদি তুলে নেয়া হয়, তাহলে দশকের ঘরের একটি শুন্য (০) একা হয়ে
পড়বে, শতকের ঘরে দুইটি (০+০) শুন্য, হাজারের ঘরের (০+০+০), অযুতের ঘরের ৪টি (০+০+০+০) শুন্য-ই
মূল্যহীন, অর্থহীন হয়ে পড়বে। ডিজিটাল জগতের সাধারণ
ডেক্সটপ থেকে শুরু করে সুপার বাইলোজিক্যাল কম্পিউটারের মস্তিস্ক বা আত্মারূপ
বাইনারী কোড থেকে ১ (এক) 1(One) প্রত্যাহার করলে "ডিজিটাল" শব্দটি অর্থহীন হয়ে পুরো
"ডিজিটাল" জগতটাই রাতারাতি পরিণত হতে পারে "এনালগ" জগতে।
অনুরুপ ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, স্মার্টফোন, এন্ড্রয়েটসহ সর্বপ্রকার ইনফরমেশন প্রযুক্তি অকার্যকর হয়ে যেতে পারে-যদি মধ্যযুগীয় মুসলিম গণিতবিদ মূসা আল
খাওয়ারিজমি কর্তৃক আবিস্কৃত এরাবিক নামারাল 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7,
8 এবং 9, প্রত্যাহার করা হয় যা রোমান নামারাল I, II, III, IV, V,
VI, VII , VIII এবং IX-এর প্রতিস্থাপক
বা উন্নত সংস্করণ ছিল। উল্লেখ্য, সেল (মোবাইল) প্রতিষ্ঠানে
ব্যবহৃত সেল নাম্বারগুলি এরাবিক নামারাল (1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8 এবং 9) ভিত্তিক রোমান নয়। যেমনঃ
ক) রবি (একটেল) এর 018.....(০১৮....)
খ) গ্রামীণ এর 017.....(০১৭....)
গ) এয়ারটেল এর 016....(০১৬....)
ঘ) বাংলা লিংক এর 015....(০১৫....)
ইংরেজী সংখ্যার আরবী নামকরণ
ছোট্টমনি থেকে বৃদ্ধমনি নির্বিশেষে আমরা সবাই জানি ১, ২, ৩,৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ হচ্ছে বাংলা সংখ্যা,
আরবী সংখ্যাঃ ١ - ٢ - ٣ -٤ - ٥ - ٦ - ٧ - ٨ - ٩
আরবি
উচ্চারণ. ১. এক, One, ওয়াহেদ. ২.
দুই,
Two, ইছনান/ইতনিন. ৩. তিন, Three, তালাতাহ/ছালাছা. ৪. চার, Four, আরবায়াহ. ৫. পাঁচ, Five, খামসাহ্. ৬. ছয়, Six, সিত্তাহ. ৭. সাত, Seven, সাবআ. ৮. আট, Eight, তামানিয়া/ছামানিয়া. ৯. নয়, Nine, তিছয়া.
রোমান সংখ্যাঃ I, II, III, IV, V,
VI, VII, VIII, & IX
ইংরেজী
সংখ্যাঃ 1, 2,
3, 4, 5, 6, 7, 8, 9 এবং
আরবী সংখ্যা
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছেঃ ইংরেজী
সংখ্যা কোনগুলি? যদি বলা হয় 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9: তাহলে আভিধানিকভাবে শুদ্ধ হবে
না এর উত্তর। অক্সফোর্ড ডিকশনারীসহ বিশ্বের যে কোন ডিকশনারীরসংজ্ঞায় 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8,
9-এই ৯টি সংখ্যার একক নামকরণ করা হয়েছে Arabic Numeral নামে। কারণ, ইউরোপীয় নামারাল হচ্ছেঃ রোমান নামারাল I, II, III, IV, V, VI,
VII, VIII, IX & X-এই ১০
সংখ্যার মধ্যে ৯টি সংখ্যার হালনাগাদ (আপটুডেট) হিসাবে বাগদাদ সম্রাটের
পৃষ্ঠপোষকতায় বায়তুল হিকমাহ'য় বিজ্ঞান চর্চাকালে মূসা আল খাওয়ারিজমি প্রবর্তন
করেছিলেন 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8,
9-এই সংখ্যাগুলি। বাগদাদ আরব দেশ বিধায়
কৃতজ্ঞ ইউরোপীয় গণিতবিদরা 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8,
9-সংখ্যাসমূহকে 'Arabic Numerals' (এরাবিক নামারাল) বা 'আরবী সংখ্যা' নামে অভিহিত করেছিলেন।
(বিস্তারিত দেখুন অক্সফোর্ড ডিকশনারীসহ দেশী-বিদেশী সকল অভিধান।
ডিজিটাল প্রযুক্তিতে "আলগরিদম"
নামকরণের ইতিকথা
আবু
আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে মূসা আল খারিজমি
আল খারিজমি (Abū ʿAbdallāh Muḥammad ibn Mūsā
al-Khwārizmī)[৩] (৭৮০-৮৫০)
মধ্যযুগীয় মুসলিম বিজ্ঞানীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার। তিনি ছিলেন একাধারে
গণিতজ্ঞ, ভূগোলবিদ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী। তার পুরো নাম আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে মূসা আল
খারিজমি।
খোয়ারিজমি রচিত কিতাব আল জাবর ওয়াল
মুকাবলাতে তিনি রৈখিক এবং দ্বিঘাত সমীকরণ এর প্রথম পদ্ধতিগত সমাধান উপস্থাপন করেন।
বীজগণিতে তার প্রধান সাফল্য ছিল বর্গের সাহায্যে দ্বিঘাত সমীকরণের সমধান, এর জন্য তিনি জ্যামতিক প্রমাণ প্রদান করেন।[৪] সর্বপ্রথম
তিনিই বীজগণিতকে স্বাধীন শাখা হিসেবে তুলে ধরেন এবং সমীকরণ সমাধানের পদ্ধতি নিয়ে
আলোচনা করেন, তাই
খোয়ারিজমিকে বীজগণিতের জনক[৫][৬] বা
প্রতিষ্ঠাতা[৭][৮] বলা হয়।
আলজেবরা(বীজগণিত) শব্দটিই এসেছে তার আল জিবর
ওয়াল মুকাবিলা বই এর
শিরোনাম থেকে। তার নামটি guarismo (স্পেনীয়)[৯] এবং algarismo (পর্তুগিজ) দুইটিরই
উৎস, দুইটি শব্দেরই অর্থ অঙ্ক।
দ্বাদশ শতাব্দীর দিকে পাটিগণিতের উপর লিখিত
তাঁর বই (Algorithmo de Numero
Indorum) এর উপর ভিত্তি করে
পশ্চিমা বিশ্ব দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি চালু করে।[১০] ১১৪৫ সালে
রবার্ট অব চেস্টার কর্তৃক অনুবাদকৃত আল জিবর
ওয়াল মুকাবিলা বইটি
ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গণিতের প্রধান বই হিসেবে
পড়ানো হত। [১১][১২][১৩][১৪]
সুনির্দিষ্ট কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য
সসীম সংখ্যক অনুক্রমিক নির্দেশের সেটকে অ্যালগরিদম বলা হয়। অ্যালগরিদম শব্দটি এসেছে মুসলিম গণিতবিদ ‘মুসা আল খারিজমী’-এর নাম থেকে।[১][২][৩] এর সংজ্ঞায় বলা যায় ‘ধাপে ধাপে সমস্যা সমাধানের পদ্ধতি বিশেষ,’ অর্থাৎ একটি সমস্যাকে কয়েকটি ধাপে ভেঙ্গে প্রত্যেকটি
ধাপ পরপর সমাধান করে সমগ্র সমস্যা সমাধান করা। অ্যালগরিদম হচ্ছে কোনো একটি কাজ
সম্পন্ন করার জন্য কতক গুলি সুনির্দিষ্ট ও ধারাবাহিক ধাপের সমষ্টি, যেখানে ধাপ সংখ্যা অবশ্যই সীমিত হবে।
অ্যালগরিদম রচনার জন্য ৪টি উপযুক্ত শর্ত
রয়েছে। এগুলো হল:
1. অ্যালগরিদম
সহজবোধ্য হবে।
2. প্রত্যেকটি
ধাপ স্পষ্ট হবে, যাতে সহজে
বোঝা যায়; কোন ধাপই
দ্ব্যর্থবোধক হবে না।
3. সসীমসংখ্যক
ধাপে সমস্যার সমাধান করতে হবে। কম্পিউটারের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ সময়েই সমাধান পাওয়া
যাবে।
4. ব্যাপকভাবে
প্রয়োগ করা সম্ভব হবে।
আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলিম
বিজ্ঞানীদের ভূমিকা
পদার্থ বিজ্ঞান ও মুসলমান
ইবনে হাইসাম আল আরাবিঃ পদার্থ বিদ্যার ¯হপতি
ইবনে হাইসাম-কে বলা হয় পরীক্ষামূলক পদার্থ বিজ্ঞানের
জনক-যিনি জড় বস্তুর যে সূত্রাবলী উপলদ্ধি করেছিলেন আধুনিক বিজ্ঞানের ¯হপতি আইজাক নিউটন তা তাঁর গতির (ফোর্স) প্রথম সূত্রে
লিপিবদ্ধ করেছিলেন। হাইসামের গবেষণা তত্ত¡টি হচ্ছে ঃ এক মাধ্যম থেকে আরেক মাধ্যমে আলোক রশ্মি
যাওয়ার সময় সহজতম ও স¦ল্প সময়ের পথটি অনুসরণ করে-হাইসামের এই তত্ত¦টি কয়েক শতাব্দী পরে
ন্যূনতম সময়ের নীতি-হিসাবে চালু করেন । উল্লেখ্য, ইবনে হাইসাম রৈশ্মিক আলোক বিজ্ঞানের যে গ্রন্থ রচনা
করেন- এই বিষয়ে এটি হচ্ছে বিশ্বের সর্বপ্রথম গ্রন্থ। (সূত্রঃ মুসলিম বিশ্বে
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিঃ মাসিক পৃথিবী, বর্ষঃ ১০, ৫ম সংখ্যা, ১৯৮১, পৃঃ ৩৯)।
পদার্থবিজ্ঞান ও ইবনে সীনা
পদার্থবিদ্যায় ইবনে সীনার
মতামত যদিও তৎকালীন মতবাদের ঊর্ধ্বে ওঠেনি কিন্তু পদার্থবিজ্ঞানের বিষয়ে তাঁর
বিশ্লেষণ করার অপূর্ব দক্ষতার নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়। এতে দেখা যায় তিনি পদার্থবিদ্যার অন্যতম
বিরাট গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জড়িমা (Inertia) সম্বন্ধে বর্তমান বিদ্যমান theory-এর প্রায় কাছাকাছি এসে গেছেন। অ্যারিস্টটল
শিক্ষা দেন, যে কোন বস্তুর গতি একটা উপযুক্ত কারণের সতত
কাজের মাধ্যমেই হয়ে থাকে
কিন্তু এতে প্রক্ষিপ্ত পদার্থের গতিবিধির পুরোপুরি ব্যাখ্যা দেওয়া যায় না।
ইবনে সিনাই প্রথম আরব বিজ্ঞানী
যিনি এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেন এবং এর
পূর্ণ তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা দেন। তিনি এই বেগের গাণিতিক পরিমাণ বের করতে চেষ্টা
করেন। তিনি দেখাতে চান বেগ বা শক্তি একই থাকলে প্রক্ষিপ্ত বস্তুগুলোর বেগ তাদের
ওজনের বিষম অনুপাত অনুসারে হবে এবং আলেকজান্দ্রিয়ার জন ফিলিপোনোসের
বিরোধিতা করে মত প্রকাশ করেন যে শূন্যে অর্থাৎ যদি গতিশীল বস্তুর পথে কোন বাধা না
আসে—তা হলে
প্রক্ষিপ্ত বস্তুটি অনন্তকাল চলতে থাকবে।
আলোর কণাবাদ
ইবনে সিনাঃ আলোর কণাবাদের ¯হপতি
আবু আলী আল হুসাইন
ইবনে আবদুল্ল¬াহ ইবনে সিনা (৯৮০-১০৩৭ ঈসাব্দ) আলোর প্রকৃতির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আলোর
কণাবাদের-ই জন্ম দিয়ে বসেন। উল্লেখ্য, আধুনিক বিজ্ঞানের আরেক ¯হপতি আলবার্ট আইনেস্টাইন তাঁর জীবনের ৫০টি বছর ধরেই এ
প্রশ্নে ডুবে ছিলেন যে, আসলে আলোর কণাগুলি কি? এই প্রশ্ন-ই তাঁকে আরকে ভাব সাগরে পড়তে সাহায্য
করছেলি। ভাবনাটি ছলি আলাের একমাত্রকিতা
সর্ম্পক।ে আসলে আইনস্টাইন বিশ্ব জগতের
অগণিত বস্তুরাজির এ যাবৎকালরে প্রাপ্ত মােট ১১৫টি পারমাণবকি সংখ্যামাত্রা-কে একক
মাত্রায় নামিয়ে আনার চিন্তাটা-ই করেছিলেন যা-পরবর্তীতে ইউরোপীয় পারমাণবকি গবষেণা
সং¯হা(ঈঊজঘ)
র্কতৃক গত ২০১২ সালের ৪ঠা জুলাই হিগস-বোসন কণার মধ্যে খুঁজে পাওয়ার ঘোষণা দয়ো হয়।
জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদানের অমুসলিম
স্বীকৃতি
“The Arabs laid the foundation of
those methods of experimental research, which in conjunction with mathematical
analysis gave birth of modern Science”. (Robert Briffault)
“The contribution of Mohamadans
(Muslims) as transmitter of knowledge from ancient to modern European
civilization must not be underrated”. (Bertrand Russell: The History of Western
Philosophy :).
“ইউরোপীয় সভ্যতা বিকাশের এমন একটি স্তরও চোখে পড়েনা যেখানে ইসলামী সাং¯কৃতিক ছাপ নেই ”। (সূত্রঃ ১.ঞযব গধশরহম ড়ভ ঐঁসধহরঃু নু জড়নবৎঃ ইৎরভড়ষঃ, চধমব-১৯০ ঃ ২.মাসিক মদীনাঃ বর্ষ-৪৭, সংখ্যা-৯, মহররম-১৪৩৩, ডিসে¤বর ২০১১, পৃঃ১৫।
“সকলের ধারণামতে পরীক্ষা ও অনুদর্শন হচ্ছে আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণার মূল
ভিত্তি। মানুষ মনে করে এটা ফ্রান্সিস বেকনের অবদান। কিšত্ত এখন স¦ীকার করতে হবে যে,
এটা আসলে আরবদের দান”
। (ফ্রান্সের
ঐতিহাসিক গেটাব লিবন, ওংষধস ধহফ ঃযব ডবংঃ নু অনঁষ ঐধংধহ অষর ঘধফার , প্রাগুক্তঃ পৃঃ ১৫)
“এখন পর্যন্ত ইউরোপ
সর্বান্তঃকরণে ইসলামী সং¯কৃতি ও সভ্যতার ব্যাপক ও ¯হায়ী দান মনে প্রাণে স¦ীকার করেনি। উদাসীনতা ও অনিচ্ছাভরে তারা শুধু এটুকু স¦ীকার করেছে যে, অন্ধকার যুগে (মধ্যযুগে)
ইউরোপীয়রা যখন সামন্ত প্রথার যাঁতা কলে পিষ্ট হচ্ছিল, তখন আরবদের নেতৃত্ব মুসলিম
সভ্যতা সামাজিক ও বৈজ্ঞানিক উন্নয়নে শীর্ষে আরোহন করেছিল। মুসলমানদের অবদান ছাড়া
ইউরোপ এখনো অজ্ঞতার অন্ধকারে নিমজ্জিত হতো”। (মেজর আর্থার
গি¬ন লিউনার্দঃ ওংষধস যবৎ
গড়ৎধষ ধহফ ঝঢ়রৎরঃঁধষ ঠধষঁব, প্রাগুক্তঃ পৃঃ ১৫)
“রোম, গ্রীক, কার্তেজ, পারস্য জগতে যখন বিদ্যা
শিক্ষার বালাই ছিলো না, তখন ইউরোপের উপকন্ঠে মুসলমানরা বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় ¯হাপন করে যাচ্ছিল (মুসলিম
কীর্তিঃ ডঃ আব্দুল কাদির, পৃঃ ৮৩, প্রাগুক্তঃ পৃঃ ১৫)
“আমরা যা কিছু পেয়েছি মুসলমান থেকে আর মুসলমান পেয়েছেন আল ক্বোরআন থেকে ”
। (মার্কিন প্রেসিডেন্ট আইজেন আওয়ার) ঐতহিাসকি মন্তব্য।
(উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন ডিসি ইসলামিক সেন্টার
আমেরিকায় ইসলামের প্রতীক। ডিসি এলাকায় প্রায় ৬,০০০ মুসলমান ইসলামিক সেন্টার
মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করেন। সেন্টারটি প্রথম ১৯৫৭ সালে খোলা হয়। ইসলামিক সেন্টার যুক্তরাষ্ট্রে
সৌভ্রাতৃত্বের ধর্ম পবিত্র ইসলামের মৌলিক আদর্শ সে দেশে তুলে ধরার ক্ষেত্রে
প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাছাড়া, এ সেন্টারটি মুসলমানদের জন্য ইসলামী সাহিত্য চর্চা, অতি দরিদ্র পরিবারকে সাহায্যের
প্রদান, ইসলামী
শরাহ-শরীয়ত মতে বিয়ে অনুষ্ঠান, শিশু ও বয়স্কদের জন্য সহীহ কুরআনসহ মুসলিম সম্প্রদায়ের পারস্পরিক মিলন
মেলা হিসাবে নিরলসভাবে কাজ করছে। এ সেন্টার নির্মিত মসজিদটি উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন মার্কিন
প্রেসিডেন্ট আইজেন আওয়ার ও ফার্স্ট লেডী মিসেস আইজেন আওয়ার। প্রেসিডেন্ট এ সময়
উপরোক্ত মন্তব্য করেছিলেন)।
এ ব্যাপারে নিম্নরূপঃ
বিস্তারিত জানাচ্ছে বিশ্ব জ্ঞান সম্প্রচার সংস্থা Wikipedia:
"On
June 28th, 1957, President Dwight Eisenhower addressed a crowd of American and
Muslim diplomats gathered at the Islamic Center of Washington’s inauguration.
Speaking from under marble columns and turquoise floral tiles he declared that
the United States held a “strong bond of friendship with the Islamic nations”
and called for the “peaceful progress of all men under one God.” Capitalizing
on Eisenhower’s visit to the Islamic Center, the State Department began
broadcasting and distributing printed copies of the president’s remarks
throughout countries with significant Muslim populations. Egyptian newspapers
published photographs of President Eisenhower and Mrs. Eisenhower removing
their shoes as they entered the mosque. In Iran, state news media gave extensive
coverage to the speech and leading clerics contacted the U.S. Embassy to
express their gratitude. The State Department ordered photographs and
posters of the Islamic Center of Washington to be printed in mass quantities in
French, Arabic, and English at embassies in Dakar, Karachi, Dhaka,
Algiers, Tunis, and Damascus.
উল্লখ্যে, গত বংিশ শতাব্দীর শেষ দিকে ঈযরঃঃধমড়হম টহরাবৎংরঃু,
ইধহমষধফবংয-এ অনুষ্ঠিত
আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সম্মলেনে আগত ইউরোপীয় বিজ্ঞানীরা আরব বিজ্ঞানীদের স¥ৃতিচারণ করে বলেছিলেনঃ
অতীতে আমাদরে র্পূবপুরুষরা জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার জন্য দলে দলে মুসলিম শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতেন। (সূত্রঃ দৈনিক আজাদী, চট্টগ্রাম)
চন্দ্রপৃষ্ঠে আগ্নেগিরি মুখের তিনজন বিখ্যাত মুসলিম বৈজ্ঞানিক নামে
নামকরণ
চন্দ্রপৃষ্ঠে তিনটি আগ্নেগিরি
মুখের নামকরণ করা হয়েছে তিনজন বিখ্যাত মুসলমানদের বৈজ্ঞানিক নামের সে বিশ্ববরেণ্য
বৈজ্ঞানিক হচ্ছেন 1) আলবেরুনি 2) ইবনে সিনা 3) ওমর খৈয়াম।
উল্লেখ্য, International
Astronomical Union কর্তৃক ১৯৭১
সালে এই নামকরণ করা হয়েছিল । (সূত্রঃ ইতিহাসের পাতা থেকে সৈয়দ আশরাফ আলী
)
এর পূর্বে ১৯৩৫ সালে International
Astronomical Union কর্তৃক
চন্দ্রপৃষ্ঠের কয়েকটি Lunar Farmers যা তখনকার
সময়ে দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে পরিমাপ করা হয়েছে। এর মধ্যে যে
সমস্ত Lunar Farmers I. AUকর্তৃক যে
কয়েক জন মুসলিম জ্ঞানী-বিজ্ঞানীর নামে নামকরণ করা হয়েছে তারা হলেনঃ 1. আব্দুর
রহমান আল সুফি 2. উলুগ বেগ 3. মাশাল্লাহ
(প্রকৃতপক্ষে ইনি আরব ইহুদি
বিজ্ঞানী) 4. আলফা রাগানি 5. আল বাতানি 6. সাবিত ইবনে
কুররা 7. আল হাসান ৮.
আল হাইশাম ৯. আল যারকালী ১০. যাবির ইবনে
আফলাহা ১১. নাসিব আল দ্বীন প্রমুখ
অন্যতম।
একনজরে মুসলমানদের আবি¯কৃত
খুটিনাটি কিছু সামগ্রীর ইতিবৃত্ত
কাগজঃ ৭৯৪ ঈসাব্দ সালে
ইউসুফ বিন ওমর (বাগদাদ) সর্বপ্রথম ব্যবহারিক কাজে কাগজের প্রচলন করেন। পরবর্তীতে এ
কাগজ মিসরে উৎপন্ন প্যাপিরাস নামক গাছ হতে প্র¯তুত করা হয়।
ঘড়িঃ খলিফা আব্বাসী
আমলে সর্বপ্রথম আরবে ঘড়ির প্রচলন হয়। খলিফা হারুন-উর-রশিদ তৎকালীন ফ্রান্স সম্রাট
শার্লেমেইন-কে এ ধরণের একটি ঘড়ি উপহার দেন।
টেলিস্কোপঃ রোগ নির্ণয়ের সর্বাধুনিক চিকিৎসা যন্ত্রের একটি হচ্ছে
টেলিস্কোপ। এ যন্ত্রািট জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রসারেও সহায়ক। আবুল হাসান আল আরাবী
সর্বপ্রথম টেলিস্কোপ তৈরী করেন।
উড়োজাহাজঃ ১৯০৩ খৃস্টাব্দে রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের উড়োজাহাজ
আবিষ্কারের ১০১৫ বছর পূর্বে ৮৮৮ খৃস্টাব্দে বিন ফিরনিস উড়োজাহাজ আবিষ্কার করেন।
(১১১)
দূরবীক্ষণ যন্ত্রঃ দূরবীক্ষণের আধুনিক আবিষ্কর্তা গ্যালিলিও জম্মের
৭৩১ বছর পূর্বে আবুল হাসান দূরবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার করেন।
গোলা-বারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র
আধুনিক ইউরোপীয়
আবিষ্কারকদের বহু শত বছর পূর্বে আরব, মোগল ও পাঠানেরা গোলা-বারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র আবিষ্কার
করেন।
‘অ্যাডমিরাল’ (নৌবাহনিী)
‘নৌ-বহর’ শব্দটাই আরবদের। আরবী অর্থে ‘বহর’ অর্থ সমুদ্র বা সামুদ্রিক জাহাজ। ‘মাল্লা’ আরবী শব্দ। অর্থ নাবিক। ‘নাও’ আরবী শব্দ। ‘নাও’ থকেে নৌ শব্দরে বুৎপত্তি
যার অর্থ নৌকা/জাহাজ। ‘দাড়ি’ নৌচালক, আরবী শব্দ। ‘বন্দর’ ফারসী শব্দ। এ-ও মুসলিম
সভ্যতারই অবদান। তারপর আরবরা যাকে বলত ‘আমিরুল বহর’ পুর্তগালরা তাঁকে বলত ‘আমিরাহ’, ফরাসীরা বলত ‘আমিরাল’ আর ইংরেজরা বলত ‘অ্যাডমিরাল’ (অফসরৎধষ)। এসব শব্দ আবিষ্কারেও আরবরা অগ্রনায়ক।
নৌ-যান নর্মিাণ কারখানা
‘৪৯ হিজরীতে রোমানরা যখন সিরিয়ার উপকূল আক্রমণ করেন, তখন মিসরে একটি জাহাজ
নির্মাণের কারখানা ছিল। ধারণা করা হয়, কাতবেে ওয়াহি আমরিে মাবিয়া রাদ্বয়িা'ল্লাহু আনহুর শাসনামলে
সরিয়িার রাজধানী দামস্কেওে একটি জাহাজ নির্মাণ কারখানা স্থাপতি হয়ছেলি। তিনি আরব
নৌবহরের সাহায্যে ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপগুলো দখল করে নেন। ৬৬৯ খৃস্টাব্দে হযরত
মাবিয়ার যুদ্ধ জাহাজগুলো (নৌবহর) সাফল্যের
সঙ্গে কনস্টান্টিনোপল আক্রমণ করে।
১০০১ ডিসকভারী অব ইসলাম
১০০১ ডিসকভারী অব ইসলাম-২০০৯, লন্ডনঃ ২০০৯ সালে লন্ডনে বছরব্যাপী ১০০১ ডিসকভারী অব ইসলাম নামে এক প্রদর্শনীর (এক্সিবিশন) আয়োজন করা হয়।
এতে ¯হান পায়
মুসলিম বিজ্ঞানীদের এ যাবৎকালের আবি¯কৃত হাজার একটি (১০০১) প্রয়োজনীয় সামগ্রী। এতে মুসলিম
বিজ্ঞানী আবি¯কৃত চশমা থেকে শুরু করে আজকের নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক বিষয়-বস্তু ¯হান পেয়েছে।
গণতি বজ্ঞিানে মুসলমানদরে মৌলকি অবদান
(আধুনিক গণিত, মােবাইল ও ক¤িপউটার)
আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে মুসা আল-খোয়ারজিুমিঃ বিজ্ঞানের ¯হপতি
"বজ্ঞিানের যে শাখাটি আজ
বিশ্ব ব্যব¯হাকে
রাতারাতি বিস¥য়করভাবে পরিবর্তন দয়িছেে তা হচ্ছে গণিত বিজ্ঞান-যাকে ইউরোপ ভিত্তিক
আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ইন্ধন বা জ্বালানী (ঋঁবষ) বলা হয়" (সূত্র ঃ গণিত
কি এবং কেনঃ শেখ মুহাম¥াদ আবু তাহের, বএিসসি (অর্নাস), এম,এস,স,ি (গণতি), চট্টগ্রাম বশ্বিবদ্যিালয়, বাংলাদশে)।
উল্লখ্যে, আল খাওয়ারিজমের বিজ্ঞানধর্মী গাণিতিক ও সংখ্যাতাত্তি¡ক বই-পুস্তক ল্যাটিন ভাষায়
অনুবাদরে ফলে মুসলিম শাসতি স্পেনের মাধ্যমে এই সংখ্যাতত্ত্ব ব্যাপকভাবে ইউরােপসহ
গােটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
জ্ঞাতব্য য,ে ইউরোপে শত-সহস্র বছর ব্যাপী প্রচলিত রোমান সংখ্যাতত্ত¡ ও, ওও, ওওও, ওঠ, ঠ, ঠও, ঠওও, ঠওওও, ওঢ ্ ঢ এর ¯হলে ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ্ ৯ -এই ইংরেজী সংখ্যা
তত্তে¡র
উদ্ভাবক হচ্ছেন আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে মূসা আল খাওয়ারিজম আল আরাবি। কৃতজ্ঞ
ইউরোপীয়ানরা তাই আরব আবস্কিৃত এই ইংরেজী সংখ্যাগুলি-কে বলে থাকেন অৎধনরপ
ঘঁসবৎধষ (আরবী সংখামালা) (দেখুনঃ
অক্সফর্ােডসহ বভিন্নি ডিকশনারী)। আমরা জানি য,ে পর্দাথ, রসায়ন, জীব বজ্ঞিানসহ সাধারণ বজ্ঞিানরে সকল স্তর/বভিাগরে বজ্ঞৈানকি সূত্রাবলী
গাণতিকি সংখ্যা নর্ভির। এ কারণে গণতি বা অংক-কে বলা হয় বজ্ঞিানরে ফুয়লে বা
জ্বালানী/ইন্ধন।
‘ফারাস্তুন’ একটি আরব বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ
‘ফারাস্তুন’ নামক মধ্যযুগে আরব বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ পাওয়া যায় । এই
গ্রন্থে গোলকের পরিমাপ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। অঙ্ক শাস্ত্রের বিভিন্ন শাখায় এবং
জ্যোতিবিজ্ঞানেও বহু গ্রন্থ পাওয়া যায় । ( পৃঃ ৭৮)
বনি মুসা ভ্রাতৃত্রয়
আল-মামুন ও তৎপরবর্তী খলীফাদের রাজত্বকালে ছিলেন রাজ-জ্যোতিবিদ। আল-মামুনের
দ্বারাই তাঁরা প্রচুর ধন-সম্পদের মালিক হয়েছিলেন। এই ধন তাঁরা ব্যক্তিগত
ভোগ-বিলাসে ব্যয় করেন নি। জ্ঞান সংগ্রহের জন্যে দেশ পর্যটন এবং জ্ঞান বিজ্ঞানে
সদ্ব্যয় করেছিলেন। সেকালে রাজকীয় মানমন্দির থাকা সত্তে¡ও বাগদাদে টাইগ্রীস নদীর তীরে নিজেদের বাসভবনে তাঁরা ‘বাবেল তাকে’ নামক একটি নিজস্ব মানমন্দির
প্রতিষ্ঠা করেন এবং ৮৫০ খৃস্টাব্দ থেকে ৮৭০ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত তাঁদের মানমন্দিরে
ইচ্ছামত গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ কার্য সম্পাদনা করেন।
আধুনিক বিজ্ঞান-প্রযুক্তির স্থপতি মুসলমি জ্ঞানী-বজ্ঞিানী
আবু কামিল, সাবিত ইবনে কোরা প্রমুখ বিজ্ঞানী
বিজ্ঞানের শাখা-প্রশাখা-কে নিত্য নতুন আবিষ্কার-অবদান দিয়ে সমৃদ্ধ করে
গেছেন। আধুনিক বিজ্ঞানের উৎকর্ষ তাদের সেই বিজ্ঞান সাধনারই পরিণতি।
বলা বাহুল্য, মুসলমানদের র্চচতি এবং আবিষ্কৃত বভিন্নি শাখা-প্রশাখায়
প্রসারতি জ্ঞান-বজ্ঞিান যদি এ জগৎ থকেে প্রত্যাহার করা হয়, তাহলে সমগ্র বিজ্ঞান জগতটাই
গভীর অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং বিজ্ঞান-প্রযুক্তরি হৃৎপিÐ স্তদ্ধ হয়ে যতেে পার।ে
উদাহরণস্বরূপ, মুর্হূতরে মধ্যে পৃথবিী 'ডজিটিাল' যুগ থকেে রাতারাতি 'এনালগ' যুগে ফরিে যতেে পারে যদি
কম্পউিটাররে সপিইিউ'র ম্যাথমটেকি ইউনটিরে বাইনারী কােড হতে মুসলমি গণতি বজ্ঞিানী মুহাম্মাদ মুসা আল
খাওয়ারজিমি উদ্ভাবতি অৎধনরপ ঘঁসবৎধষ ১,
২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ্ ৯-এর মাত্র ১টি সংখ্যা
যমেন ১(ঙহব-১)-কে গণতি তথা বজ্ঞিান জগৎ থকেে প্রত্যাহার করা হয়ে থাক।ে
বিজ্ঞানে মুসলিম অবদানের গুরুত্ব
আল মাক্কারী তাঁর ‘নাফে আত-তিব’ গ্রন্থে বর্ণনা করেন যে, বিন ফিরনিস নামক জনৈক
ব্যক্তি ৮৮৮ খৃস্টাব্দে মানুষ পরিচালিত একটি উড়োজাহাজ নির্মাণ করে আকাশে উড্ডয়ন
করে অবতরণকালে মৃত্যুমুখে পতিত হন।১
পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরভিল রাইট ও উইলবার রাইট
ভ্রাতৃদ্বয় ১৯০৯ খৃস্টাব্দে উড়োজাহাজ আবিষ্কার করেছিলেন। আব্বাসীয় খলীফা
মুতাওয়াক্কিলের পতনের ২৫ বছর পরে বিন ফিরনিস স্বীয় নির্মিত বিমানযোগে আকাশে
উঠেছিলেন। হয়ত সেই বিমানটি অতিশয় অনুন্নত ছিল। কিন্তু আকাশে উড্ডয়নের বৈজ্ঞানিক
স্বপ্নটিও আরব বিজ্ঞান থেকেই মধ্যযুগইে উদ্ভাবতি।
মুসলিম বিজ্ঞান সভ্যতার
পতন যুগ
১৪৯২ খৃস্টাব্দে স্পেনে আরব সভ্যতার পতনের ভিত্তির উপরই ইউরোপের জাগরণ
যুগ শুরু হয়। অন্যদিকে মুসলমানগণ হীনবল হতে শুরু করে। যদিও ১৫১২ খৃস্টাব্দে সেলিম
তুরস্কের খলীফা পদে সমাসীন হয়ে ১৫১৭ খৃস্টাব্দে মিসরকে তুরস্ক সা¤্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে
নেন। এবং ভারতে ১৫২৬ খৃস্টাব্দে বাবরের দিল্লী দখল ও মোগল সা¤্রাজ্য প্রতিষ্ঠার গৌরবময়
যুগের সূচনা হয়।
খালিদ ইবনে ইয়াজদি :
রাজত্ব ছেড়ে বিজ্ঞান সাধনা
বাগদাদরে খলীফা রসায়ন
বিজ্ঞানী খালিদ রাজত্ব ছেড়ে দিয়ে আজীবন বিজ্ঞান-সাধনায় কাটিয়ে দিয়ছেলিনে ।
৬৮৩ খৃস্টাব্দে উমাইয়া খলীফা ২য় মাবিআর মৃত্যুর পর তদীয় ভ্রাতা এবং
প্রথম ইয়াযিদের শিশুপুত্র খালিদ সিংহাসনারোহণের অধিকারী ছিলেন। তাঁর অভিভাবকরূপে
প্রধান অমাত্য বৃদ্ধ মারওয়ান ইবনে হাকাম খিলাফতের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। কিন্তু
এক বছর যেতে না যেতেই মারওয়ান খালিদের পরিবর্তে তাঁর পুত্র আবদুল মালিককে
উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেন। ইয়াযিদ-পুত্র খালিদ সম্পর্কে জানা যায়-তিনি চিকিৎসা ও
রসায়নশাস্ত্রে যথষ্ঠে বুৎপত্তি অর্জন করেছিলেন বলে মধ্যযুগীয় ইসলামী জ্ঞান-বজ্ঞিানরে রনেসোঁর উষালগ্নে তাঁকে ‘আল-হাকিম আখ্যায়িত করা হয়েছিল।
আল-ফাজারী:
জ্যোতিবিজ্ঞানের মূল যন্ত্র: আÐারলবরে আবস্কিারক
জ্যোতিবিজ্ঞানের মূল
যন্ত্র আÐারলব সহ অন্যান্য
জ্যোতিবিজ্ঞান সম্পর্কিত উন্নতমানের যন্ত্র খলীফা মনসুরের সময় নির্মাণ করা হয়।
প্রথম আÐারলব
প্রস্তত করেন একজন মুসলমান বৈজ্ঞানিক। নাম আল-ফাজারী।
“গ্রীক বিজ্ঞানের নাম-গন্ধও যখন বিলুপ্ত প্রায়, তখনই মুসলিম বৈজ্ঞানিকদের
আবির্ভাব ও পূর্বেকার জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনুসন্ধান বিজ্ঞান জগতে বিধাতার এক
আশীর্বাদই বলতে হবে। মুসলমানদের পূর্বে বিজ্ঞান ছিল অজ্ঞান
অন্ধকারে নিমজ্জমান প্রায়। গ্রীকদের বৈজ্ঞানিক গ্রন্থের অনেকগুলিই অধুনা লুপ্ত।
আরবী অনুবাদই শুধু পূর্বেকার বৈজ্ঞানিকদের গবেষণার ফল জগতকে শিক্ষা দিচ্ছে।
(আধুনিক বিজ্ঞানের ইতিকথা)
মুসলিম রাষ্ট্রনায়কদের বিজ্ঞান চর্চা
খলিফা আল মনসুর
রাজকার্যে ব্যাপৃত
থেকেও বিজ্ঞান র্চ্চার ঘটনা ইসলামী সভ্যতা ছাড়া জগতের ইতিহাসে বিস্ময় কর ও বিরল।
এর প্রধান কারণ রাষ্ট্রপ্রধানের পক্ষে রাজকার্য ছাড়াও আত্মমর্যাদার জন্যে সকল সময়
বৈজ্ঞানিকদের সাথে উঠাবসা করা সম্ভব ছিল না।
পূর্বেকার রাজ
আভিজাত্যবোধ ছিল এখনকার তুলনায় আরো বহু গুণে বেশী। বৈজ্ঞানিকদের সাথে সাধারণ
কাতারে এসে জ্ঞান সাধনা করা তাদের পক্ষে তাই সহজে সম্ভব ছিল না। কিন্তু এর
ব্যতিক্রম ছিলেন মুসলিম সুলতান ও খলীফাগণ। তাঁরা বিজ্ঞানীদের সাথে মেলামেশা করতেন
এবং ক্ষেত্র বিশেষে তাঁরা নিজেরাও বিজ্ঞান র্চ্চা করতেন।
ইসলামের সামাজিক
সাম্যবাদই এর মৌলিক কারণ, জামা’আতের নামাযে আসতে একটু দেরী হলে সুলতানকে একটু আগে আসা গোলমের পিছনে
কাতারে দাঁড়াতে হতো।
নিজেরা বিজ্ঞান
র্চ্চা করা ছাড়াও মুসলিম নৃপতিবৃন্দ অজ¯্র অর্থ ব্যয় করে বিজ্ঞান বিকাশের জন্যে বিজ্ঞানীদের
উৎসাহিত ও পৃষ্ঠপোষকতা করতেন।
বিজ্ঞানানুরাগী সুলতান মাসউদ
বিজ্ঞানানুরাগী সুলতান
মাসউদ গ্রন্থটির গুরুত্ব উপলব্ধি করেন, অত্যন্ত খুশী হয়ে একটি হাতির ওজনের পরিমাণ রৌপা
বৈজ্ঞানিক আল-বেরুনীকে উপহার প্রদান করেন। আল-বেরুনী ছিলেন। রাজানু গ্রহ ছাড়া তাঁর
কোন আর্থিক অবলম্বন ছিল না।
সেই দরিদ্র বৈজ্ঞানিক
আল-বেরুনীকে সুলতান মাসউদ খুশী হয়ে এক হাতী পরিমাণ ওজনের রৌপ্য দান করেন।
তাতে আল-বেরুনীর
মহাখুশী হয়ে সাগ্রহে দান গ্রহণ করার কথা। কিন্তু তা না করে বাহ্যিক সন্তোষ প্রকাশ
করে সবটা রৌপ্যই তিনি রাজকোষে ফিরিয়ে দেন। মন্তব্য করেন যে, তাঁর এত ধন-সম্পদে কোন প্রয়োজন নেই।
সেভিলের সুলতান মুতামিদ
সেভিলের সুলতান মুতামিদ
আন্দালুসিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ কবি ছিলেন। তাঁর বেগম ইতিমাদও একজন বিখ্যাত কবি ছিলেন।
বাজাজোরর শাসনকর্তা
মুজাফ্ফর কাজকর্মের ফাঁকে ফাঁকে জ্ঞান-বিজ্ঞান সাধনায় নিয়োজিত থাকতেন। তিনি
সর্বজ্ঞানের সমন্বয়ে ৫০ খন্ডে সমাপ্ত একটি বিরাট বিশ্বকোষ রচনা করেন। কত বড় পন্ডিত
ব্যক্তি হলে এত বড় বিশ্বকোষ রচনা সম্ভব হতে পারে, তা সহজেই বোধগম্য।
তিনি ছিলেন বুয়াইদ
বংশের আমীর। এটাই তাঁর প্রকৃত পরিচয় নয়। তিনি অঙ্কশাস্ত্রবিদ, জ্যোতিবিজ্ঞানী পÐিত ব্যক্তি-এটাই তাঁর মুল পরিচয়। বিখ্যাত পদার্থবিদ
আবদুর রহমান সুফী ছিলেন তাঁর অন্তরঙ্গ বন্ধু।
সুলতান আজদ-উদ-দৌলাহ
প্রতি বছর একটি ব্যাপক বিজ্ঞান সভা ডাকতেন। দেশের সর্বস্তরের জ্ঞানী-গুণীগণ এই
কনফারেন্সে যোগদান করতেন। এতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের মনোজ্ঞ আলোচনা হতো। সুলতান
পদমর্যাদার কথা ভুলে গিয়ে আলোচনায় যোগ দিতেন।
মুকতাদির বিল্লাহ্
(আবুল ফজর জাফর) নাম ধারণ করে খলীফা হিসাবে ক্ষমতাসীন হন। তিনি যে কেবল বিজ্ঞান
সম্মিলনীতেই যোগদান করতেন তা-ই নয়, সাধারণ বৈজ্ঞানিকদের সাথে মিলেমিশে মানমন্দিরে বসে
গ্রহ-নক্ষত্রাদির পর্যবেক্ষণ কাজেই তাঁর অনেক সময় কেটে যেত। অঙ্কশাস্ত্রের মধ্যে
জ্যোতিবিজ্ঞানেই তাঁর আগ্রহ ছিল বেশি। ধুমকেতুর প্রতিও তাঁর আকর্ষণ ছিল। ধুমকেতু
সম্পর্কে তিনি কয়েকটি গ্রন্থ প্রণয়ন করেন।(১০৩)
খলফিা হারুন-উর রশিদঃ বায়তুল হিকমাহর প্রতিষ্ঠাতা
প্রথম রাজনীতি
প্রজ্ঞার সঙ্গে অসম সাহসী ক্ষিপ্ত রণকুশলতার সমন্বয় গুণে খলীফা হারুনুর-রশিদের
হাতে পশ্চিমে ইউরোপের বাইজানটাইন বা গ্রীক রাজ্য থেকে আরম্ভ করে প্রাচ্যের
আফগানিস্তান ও হিন্দুকুশ পর্বতের পাদদেশ পর্যন্ত তাঁর সা¤্রাজ্য বিস্তার লাভ করে। এর ফলে একদিকে গ্রীক সভ্যতা
থেকে এবং অন্যদিকে আর্য সভ্যতা থেকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের গ্রন্থসমূহ সংগ্রহ ও জ্ঞান
আহরণের পথ সুগম হয়। (৪৬)
আরব শাসকদের মধ্যে
খলীফা হারুনুর-রশিদই সর্বপ্রথম বহিবিশ্বের সঙ্গে কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
এজন্যে উভয় পক্ষের মধ্যে বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ বহু মূল্যবান ইপঢৌকন বিনিময় হয়।
তিনি ফ্রান্স, চীন প্রভৃতি দেশে রাষ্ট্রদূত প্রেরণ করে কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
তখনকার আরব সভ্যতা যে
যন্ত্রবিজ্ঞানে কত উন্নত ছিল, একটি নযীর থেকেই তা অনুধাবন করা যাবে।
খলীফা হারুনুর-রশিদ
তাঁর বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ ফরাসী স¤্রাট শালিমেনের নিকট একটি অদ্ভুত ঘড়ি উপঢৌকন দেন।
মধ্যযুগীয় মুসলিম বিজ্ঞানীদের জীবন-কথা
১. জাবির ইবনে হাইয়ানঃ
জাবির ইবনে হাইয়ানই সর্বপ্রথম এসিড
আবিষ্কারক এবং সালফিউরিক এসিড তরলীকরণে সাফল্য অর্জন করেন। সোডিয়াম কার্বনেট, পটাশিয়াম, আর্সেনিক এবং সিলভার নাইট্রেট উদ্ভাবন তার
এক অমূল্য আবিষ্কার।
তাকে আধুনিক রসায়ণবিদদের একজন ধরা হয়। তার
রচিত ৫০০ বইয়ের মাঝে দর্শন, তর্ক ও
রসায়ণ শাস্ত্রে আমরা মাত্র ৮০টি সম্পর্কে জানি।
২. আল-বাতানীঃ
তিনি একজন শ্রেষ্ঠ জোর্তিবিদ হিসাবে
পাশ্চাত্য জগতে বিশেষভাবে সমাদৃত। বিবিধ ত্রিকোণোমিতিক সমীকরণ সমাধান তার
উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার।
তিনি এর গাণিতিক ছক প্রস্তত করেন। প্রকৃতপক্ষে তিনিই ত্রিকোণমিতি শাস্ত্রের
জন্মদাতা।
কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত তার গ্রন্থগুলো
রেফারেন্স বই হিসেবে পঠিত হত।
৩. আল-ইদ্দুসীঃ
তিনিই সর্বপ্রথম পৃথিবীর মানচিত্র অংকন
করেন, যা যথার্থতার দিক থেকে আধুনিক মানচিত্রের
কাছাকাছি ছিলো। তিনি সমান্তরাল সরল রেখা দিয়ে পৃথিবীকে ৭টি ভাগে ভাগ করেন।
তার বিখ্যাত বই "নুগহাত আল মোস্তফা কিফ ইখতিরাক আল
অরফাক" তিন শতাব্দী
পর্যন্ত ইউরোপের প্রধান ভৈাগোলিক গ্রন্হ হিসাবে পরিগণিত হত ।
৪. ইবনে আল বিতারঃ
এই বিজ্ঞানী জীব বিজ্ঞান ও চিকিৎসা
বিজ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগের দিকে তিনি বিশেষভাবে মনোযোগী ছিলেন । তার বিখ্যাত
বই "আল জামি লি মোফরাদাত আল আদওয়াইয়া ওয়াল
আগদিয়ে" ১৮৮১ সালে
ফরাসী ভাষায় প্রকাশিত হলে ফরাসী
বিজ্ঞানীরা এমন ৮০টিরও বেশী বিষয়ের সাথে পরিচিত হন যা ইতিপূর্বে তাদের অজানা ছিলো। এই অভিধানটি বর্ণানুক্রমিকভাবে সাজানো হয় এবং এতে ১৪০০
প্রকার ওষুধের বর্ণণা ছিল যার ৩০০টি এর আগে কখনো জানা ছিলো না।
৫. ইবনুল হায়তামঃ
দৃষ্টিবিজ্ঞান ও আলোক রশ্মি সংক্রান্ত
গবষেণায় তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। তিনিই সর্বপ্রথম চোখের ছবি অংকন করে আলোকের
প্রতিফলন ও প্রতিসরণের নিয়মবালী ব্যাখ্যা করেন। তিনি চোখের কাঠামোতে আলোর প্রতিফলন, কর্নিয়ার উপর পতিত ছবি, আলোক রশ্মি একত্রীকরণের সূত্র, কোন ছবির সম্প্রসারণ, প্রতিফলন এবং সংযুক্ত এবং বস্তুর রং
পরিদর্শন ইত্যাদি ব্যাপারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। ১০৩৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি
মৃত্যুবরণ করেন
৬. আব্বাস বিন ফিরনাগঃ
অটোলিলিয়ান থলের বহু শতাব্দী পূর্বেই
কর্ডোভার এই বিজ্ঞানী এক জোড়া পাখা তৈরি করে ৩০০ মিটার উঁচু থেকে ঝাপ দিয়ে স্পেনের
কর্ডোভা নগরীর উপর দিয়ে যান। কিন্তু গতি নিয়ন্ত্রণ ও দিক পরিবর্তনের কোন ব্যবস্হা
না থাকায় তিনি ভারসাম্য হারিয়ে মাটিতে পড়ে
গিয়ে জীবন বিসর্জন দেন এবং ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য রেখে যান চিন্তুার জগতে এক আলোড়ন ।
এমনিভাবে এমন আরো অনেক মুসলিম বিজ্ঞানী ও
পণ্ডিত আছেন যাদের অনেককেই আমরা জানিনা ।
তাই বিংশ শতাব্দীর ক্রান্তিলগ্নে দাড়িয়ে
আমাদেরকে স্মরণ করতে হবে সোনালী যুগের সেই দিনগুলির কথা যখন আমরা জ্ঞানে বিজ্ঞানে
বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছি ।
আমাদেরকে আবার জ্ঞানে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে
ঘটাতে হবে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন । যে বিজ্ঞানের অবদানে হবেনা হিরোশিমা ও নাগাসাকির
মতো ধ্বংসলীলা, যা নিয়ে
আসবে মানবজাতির জন্য এক মহা প্রশান্তি ।
পদার্থ বিজ্ঞানী আবুল হাসান
পদার্থবিদ আবুল হাসান
এখানেই সর্বপ্রথম দূরবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার করেন। ৮৩৩ খৃস্টাব্দের পূর্বে আবুল
হাসানই দূরবীক্ষণ যন্ত্রের প্রথম ও প্রকৃত আবিষ্কারক। ১৬৪২ খৃস্টাব্দের পূর্বে
গ্যালিলিও এর আবিষ্কারক নন, উন্নত সংস্করিক মাত্র। গ্যালিরিওর জন্মের ৭৩১ বছর পূর্বে আবুল হাসান
দূরবীক্ষণ যন্ত্রের প্রথম আবিষ্কারক। তাঁরই যন্ত্র
আবু ইয়াহিয়া আল-বাতরিক
আবু ইয়াহিয়া আল-বাতরিক
গ্রীক বৈজ্ঞানিক টলেমির ‘টেট্রাবিবলস’ গ্রন্থ অনুবাদ করেন। তিনি তৎকালীন পÐিত সমাজে অঙ্কশাস্ত্রবিদ হিসাবে প্রশংসা অর্জন করেন।
শুধু অঙ্কশাস্ত্রবিদ নয়, জ্যোতিবিজ্ঞানী হিসাবে তিনি পূর্বেই বিখ্যাত ছিলেন। তিনি
চিকিৎসাবিজ্ঞানের উপরও অনেকগুলো বই লিখেন। কারণ তিনি নিজেও বিখ্যাত চিকিৎসক ছিলেন।
তিনি ‘টেট্রাবিবলস’
অনুবাদ করেন ।
আল নও-বখত
আল নও-বখত (মৃত্যু ৭৭৫
খৃস্টাব্দে) জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশেষ পারদশী ছিলেন। তিনি জ্যোতিষশাস্ত্রের উপর একটি
গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। এর নাম হলো ‘কিতাবুল আহ্কাম’। ইঞ্জিনিয়ারিং বিদ্যায় যে তাঁর বিশেষ দক্ষতা
ছিল, বাগদাদের ভিত্তি স্থাপনই এর
প্রমাণ।
জাবির ইবন হাইয়ানে আবির্ভাব
খলীফা হারুনুর-রশিদের
রাজত্বকালে ইউক্লিডের জ্যামিতির কতকাংশ আরবীতে অনুদিত হয়। আল-হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ
সর্বপ্রথম অনুবাদ শুরু করেন এবং ষষ্ঠ খÐ পর্যন্ত অনুবাদ সমাপ্ত করেন। এ ছাড়াও একজন বিশ্ববিখ্যাত
আরব বৈজ্ঞানিকের আবির্ভব ঘটে যাঁর নাম জাবরি ইবনে হাইয়ান।
শান্তবিাদঃ ইসলাম
ওয়াজা-দিল্হুম বিল্লাতি-হিয়া আহ্সানু” (আল ক্বুরআনঃ সূরাহ্ নাহলঃ আয়াতঃ ১২৫)
অর্থঃ “তাদের সাথে বিতর্ক করুন সদ্ভাবে”।
“ভালো ও মন্দ কখনই এক নয়; তুমি মন্দকে দূর কর সেই
ভালো দ্বারা যা অতীব উত্তম, তাহলে দেখবে তোমার জানের দুশমনরা প্রাণের বন্ধু হয়ে গেছে। আর এ গুণ
কেবল তারাই লাভ করে যারা ধৈর্য ধারণ করে এবং এ লোক শুধু তারাই হয় যারা সৌভাগ্যের
অধিকারী” (সূরাহ হা-মী-ম আস্ সাজদা,
৩৪-৩৫)।
“কোনো মন্দ কাজের জন্যে যদি তোমরা ক্ষমা করে দাও,
তাহলে (তোমরাও দেখতে
পাবে) আল্লাহতায়ালা অতি ক্ষমাশীল ও প্রবল শক্তিমান” (সূরাহ আন্ নিসাঃ আয়াতঃ
১৪৯)।
গবষেণার নাম ইসলাম
“নিশ্চয়ই আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে, দিবস ও রাত্রির পরিবর্তনে
(আল¬াহর)
নিদর্শনবলী (কুদরত) রয়েছে বোধসম্পন্ন লোকের জন্য । ”(সূরা আলে ইমরানঃ আয়াতঃ ১৯)
“তারা কি ঊর্ধ¯িহর আকাশের দিকে দৃষ্টি প্রসারিত করে দেখেনা,
আমি
(আল্ল¬াহ) তা কিভাবে নির্মাণ করেছি এবং একে সুশোভিত করেছি আর এতে কোন ফাটলও
নেই ।”(সূরা
ক্ব-ফঃ আয়াতঃ ৬)
বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা
“বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের উন্নয়ন অত্যন্ত সীমিত। এ জ্ঞান অসীমের
সন্ধান দিতে পারে না। তবে জ্ঞানের আধিক্য গায়েবের প্রতি বিশ্বাসের গুরুত্ব বৃদ্ধি
করে।” (সূত্রঃ
নেদায়ে ইসলাম, দারুস সালাম, মীরপুর ঢাকা, পৃঃ ৩২, বর্ষঃ ৭০, সংখ্যাঃ ০৩, রমজান-শাওয়াল ১৪৩১ হিঃ,
সেপ্টে¤¦র-২০১০)
অমুসলমি বশ্বিে মুসলমি
অবদানরে স্বীকৃতি
আমেরিকার হোয়াইট হাউজের দেয়াল গাত্রে মানবোতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ
দেশ পরিচালকদের তালিকায় সবার উপরে সব চাইতে বড় অক্ষরে প্রথম লাইনে লিখিত আছেঃ “গটঐঅগগঅউ ” (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল¬াম)।
লন্ডনের লিংকন’স ইন-এ সর্বশ্রেষ্ঠ আইনদাতাদের তালিকায় সর্বপ্রথম ¯হান পেয়েছে সেটি হচ্ছে: “গঁযধসসধফ” (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল¬াম
মার্কিন সমাজবিজ্ঞানী ও
ঐতিহাসিক মাইকেল এইচ. হার্ট মানবোতিহাসের উষা লগ্ন হতে ১৯৭৯ সাল র্পযন্ত সে যাবৎ
কালের বিশ্বের শীর্ষ¯হানীয় ব্যক্তিত্বদের সামগ্রিক জীবনাচরণের চুলচেরা বিচার-বিশ্নেষণের পর
মাত্র ১০০ জন-কে বাছাই করে ঐঁহফৎবফ ঃযব এৎবধঃ-(শতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ) হিসাবে যাঁর
নাম সর্বপ্রথম ¯হান লাভ করে তিনিও হচ্ছেন “গটঐঅগগঅউ ” ((সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল¬াম)।
ইসলামী বজ্ঞিান সমতি,ি র্জামান
গারে হেরা, দারুল আরকাম ( মক্কা মুয়াজ্জিমা), আসহাবে সুফ্ফা (মদিনা মুনওয়ারা) হয়ে মধ্যযুগে বাগদাদ
ভিত্তিক “আল্
হিক্মা” আর
মুসলিম শাসিত স্পেনের গ্রানাডা ভিত্তিক “আল্ হাম্রা”য় মুসলমানদের যে ব্যাপক জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার ফসল
ইউরোপের আজকরে বশ্বিখ্যাত অক্সফোর্ড আর কেমব্রিজ ভার্সিটিকে জ্ঞান ভারাক্রান্ত
করেছিল তার প্রভাব পড়েছিল ইসলামী বিজ্ঞান সমিতি, জার্মানীতেও। বর্তমান জার্মানীর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির
উৎকর্ষতার ক্ষেত্রে এ সমিতির ঐতিহাসিক অবদান অনস¦ীকার্য। উলে¬খ্য, ইসলামী বিজ্ঞান সমিতির সদস্য ছিলেন তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর।(সূত্রঃ
নেদায়ে ইসলাম, ঢাকা)
ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের ইতিকথাঃ
“তারা কি তবে ক্বোরআন স¤পর্কে গভীরভাবে চন্তিা করে না? নাকি তাদের অন্তর তালাবদ্ধ ?”
(সূরা মুহাম¥দঃ আয়াতঃ ২৪)
“আমি কল্যাণকর এই গ্রন্থ আপনার প্রতি নাজিল করেছি,
যাতে মানুষ এর আয়াতগুলি
অনুধাবন করে আর বোধসম্পন্নরা যাতে (এ থেকে) উপদেশ গ্রহণ করে।” (সূরা সাদঃ আয়াতঃ ২৯)
৬ষ্ঠ ঈসাব্দে তৎকালীন জজিরাতুল আরবের হারামাইন শরীফাইনের
অন্তর্গত জাবালে নূরের গারে হেরা হতে ﺍﻘﺮﺍ -ইক্বরা-পড়ুন (ঞড় ৎবধফ) পবিত্র ক্বোরআনের
প্রথম সূরা আল্ আলাক্বের প্রথম আয়াতের প্রথম এই শব্দের মাধ্যমে ইসলামী
জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার শুরু।
জ্ঞানরে প্রসঙ্গ লইয়া হজরতরে পয়গম্বরী জীবন শুরু
জ্ঞানরে প্রসঙ্গ লইয়া হজরতরে পয়গম্বরী জীবন শুরু (জঃিমােস্তফাঃ
বশ্বিনবী)। পরবর্তীতে দারুল আরকাম >আসহাবে সুফ্ফা>বায়তুল হিকমাহ(বাগদাদ)>আলহামরা (গ্রানাডা-স্পেন)
এভাবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে ওয়াহি ভিত্তিক জ্ঞান-বিজ্ঞান।
উল্লখ্যে, বহি (ইড়ড়শ) বা বই শব্দটি কারও কারও মতে ওহি বা ওয়াহি
শব্দ থেকে নিস্পন্ন। উলে¬খ্য, শিক্ষার অন্যতম প্রধান বাহন
‘ক্বলাম’
(চবহ) শব্দটি সূরা আল্
আলাক্বের ৪ নং আয়াতে এভাবে বলা হয়ছেঃে "আল্লাজি আ’ল্লামা বলি ক্বলাম" ।
ল্লখ্যে, হযরত জাফর সাদেক (রহমিাহুল্লাহ) এর
সুযোগ্য শিষ্য বা সারগেদ হচ্ছেন জাবির ইবনে হাইয়ান যাকে বলা হয় আলকেমি বা
রসায়ন বিজ্ঞানের উদ্ভাবক। তিনি ক্যালসিনেশন, রিডাকশন প্রভৃতির রাসায়নিক সংঘটক এবং বাস্পায়ন,
সাবলিমেশন, স্ফটিকীকরণ ও অজানা রাশি
প্রকাশের জন্য ী এর মত কিছু চলকের উদ্ভাবক।
“ইউরোপীয় সভ্যতা বিকাশের এমন একটি স্তরও চোখে পড়েনা
যেখানে ইসলামী সাং¯কৃতিক ছাপ নেই”। (সূত্রঃ ঞযব
গধশরহম ড়ভ ঐঁসধহরঃু নু জড়নবৎঃ ইৎরভড়ষঃ, চধমব-১৯০), (২) মাসিক মদীনা, বর্ষ-৪৭, সংখ্যাঃ ৯, ডিসে¤বর ২০১১, পৃঃ ১৫)
সকলের ধারণামতে পরীক্ষা ও অনুদর্শন হচ্ছে আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণার
মূল ভিত্তি। মানুষ মনে করে এটা ফ্রান্সিস বেকনের অবদান। কিšত্ত এখন স¦ীকার করতে হবে যে, এটা আসলে আরবদের দান । (ফ্রান্সের ঐতিহাসিক গেটাব লিবন,
ওংষধস ধহফ ঃযব ডবংঃ নু
অনঁষ ঐধংধহ অষর ঘধফার , প্রাগুক্তঃ পৃঃ ১৫)
এখন পর্যন্ত ইউরোপ সর্বান্তকরণে ইসলামী সং¯কৃতি ও সভ্যতার ব্যাপক ও ¯হায়ী দান মনে প্রাণে স¦ীকার করেনি। উদাসীনতা ও
অনিচ্ছাভরে তারা শুধু এটুকু স¦ীকার করেছে যে, অন্ধকার যুগে (মধ্যযুগে) ইউরোপীয়রা যখন সামন্ত প্রথার যাঁতা কলে পিষ্ট
হচ্ছিল, তখন
আরবদের নেতৃত্ব মুসলিম সভ্যতা সামাজিক ও বৈজ্ঞানিক উন্নয়নে শীর্ষে আরোহন করেছিল।
মুসলমানদের অবদান ছাড়া ইউরোপ এখনো অজ্ঞতার অন্ধকারে নিমজ্জিত হতো। (মেজর আর্থার গি¬ন লিউনার্দঃ ওংষধস যবৎ
গড়ৎধষ ধহফ ঝঢ়রৎরঃঁধষ ঠধষঁব, প্রাগুক্তঃ পৃঃ ১৫)
রোম, গ্রীক, কার্তেজ, পারস্য জগতে যখন বিদ্যা শিক্ষার বালাই ছিলো না, তখন ইউরোপের উপকন্ঠে মুসলমানরা
বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় ¯হাপন করে যাচ্ছিল (মুসলিম কীর্তিঃ ডঃ আব্দুল কাদির, পৃঃ ৮৩, প্রাগুক্তঃ পৃঃ ১৫)
অন্যদিকে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আইজেন আওয়ার স¦দেশে এক মসজিদ উদ্বোধনকালে আবেগতাড়িত হয়ে বলেছিলেনঃ আমরা
যা কিছু পেয়েছি মুসলমান থেকে আর মুসলমান
পেয়েছেন আল ক্বোরআন থেকে।
তনিজন বখ্যিাত মুসলমি বজ্ঞৈানকিরে নামে চন্দ্রপৃষ্ঠে আগ্নয়েগরিরি
মুখরে নামকরণ
চন্দ্রপৃষ্ঠে তনিটি আগ্নগেরিি মুখরে নামকরণ করা হয়ছেে তনিজন
বখ্যিাত মুসলমানদরে বজ্ঞৈানকি নামরে সে বশ্বিবরণ্যে বজ্ঞৈানকি হচ্ছনে ১ আলবরেুনি ২
ইবনে সনিা ৩ ওমর খয়ৈাম।
১৯৭১ সালে ওহঃবৎহধঃরড়হধষ অংঃৎড়হড়সবৎং এ নামকরণ করা হয়ছেলি
ওহঃবৎহধঃরড়হধষ অংঃৎড়হড়সরপধষ টহরড়হ র্কতৃক।(সূত্রঃ ইতহিাসরে পাতা থকে/েগ্রন্থকারঃ
আশরাফ আলী)।
আবারও জ্ঞান-বজ্ঞিানরে পথে মুসলমান
আল্হামদুলি¬ল¬াহ! খবরে প্রকাশ, মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে
মেধাবী ও প্রতিশ্র“তিপূর্ণ আরব ছাত্রÐছাত্রীরা অতি স¤প্রতিও গুগল ইয়াহু এর মতো বিশ্বের সবচেয়ে বড় বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে
তাদের মেধা বিনিয়োগের ব্রেইন ড্রেনের প্রবণতায় ভুগছিল তা স¤প্রতি কে টে উঠার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তারা এখন মনোযোগ দিচ্ছেন দলে দলে স¦দেশে ফিরে নিজেদের উদ্ভাবনী
শক্তিতে সুদূর অতীতের মতই কাজে লাগাতে। এই প্রবণতার হাওয়া
লিবিয়া থেকে লেবানন পর্যন্ত বইতে শুরু করেছে।
ঝঃধৎ ড়ভ ঝপরবহপব ঊীযরনরঃরড়হ- কাতার ফাউন্ডেশন .
কাতার ফাউন্ডেশনের
পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত হয় ঝঃধৎ ড়ভ ঝপরবহপব ঊীযরনরঃরড়হ. তাতে তুলে ধরা হয় নতুন
প্রজন্মের তরুন আরব সৃজনশীল প্রতভিাবানদরে। বিশ্বে প্রথম আরবি-ইংলিশ ই.মেইল
সার্ভিস সরবরাহকারীদের তালিকায় র্অন্তভুক্ত
হয়েছেন জর্দানী বংশােদ্ভূত জনাব মাকতুব। তাছাড়া, খবরে প্রকাশ, ইয়াহু এর স্বত্ব কনিে নয়ে ইরাকী বংশােদ্ভূত জনকৈ আরব ধনকুবরে।
হেরা গুহা ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের
সূচনাস্থল
সৌজন্যেঃ
উইকিপিডিয়া, মুক্ত
বিশ্বকোষ থেকে
গুহার
প্রবেশপথ
হেরা (আরবি: حراء Ḥirāʾ ) বা হেরা গুহা (غار حراء Ġār Ḥirāʾ ) সৌদি আরবের মক্কায় জাবালে নূর পর্বতে অবস্থিত একটি গুহা।
সর্বপ্রথম কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার স্থান
হিসেবে এই গুহা প্রসিদ্ধ। ইসলামের ইতিহাসমতে, পবিত্র
লাইলাতুল ক্বদরে আল্লাহর তরফ থেকে ফেরেশতা সর্দার জিব্রাইল আলাইহিমুস সালাম এই গুহায় সূরাহ অআল আলাক্বের প্রথম ৫ আয়াত
নিয়ে সর্বপ্রথম হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এই
হেরা গুহায় মোরাকাবা, মোশাহাদারত
অবস্থায় কুরআনের বাণী নিয়ে এসেছিলেন।
'জাবালে নূরঃ
সৌদি আরবের মক্কা নগরীর কাছে অবস্থিত এক
ঐতিহাসিক পর্বতের নাম জাবালে নূর। আক্ষরিক অর্থে আরবি 'জাবালে নূর' শব্দের মানে দাঁড়ায় 'আলোর পর্বত'। এই আলো শুধু
আক্ষরিক অর্থেই সীমাবদ্ধ নেই। কেননা, এই পর্বতে
অবস্থিত হেরা গুহায় নাজিল হয়েছিল পবিত্র আল কোরআন।
দারুল আরকাম, মক্কা আল মুয়াজ্জিমা
দারুল আরকাম এর শাব্দিক অর্থ হলো, আরকাম নামক ব্যক্তির ঘর। আরকাম একজন
সাহাবীর নাম। উনার পূর্ণ নাম হলো, আরকাম ইবনে
আবুল আরকাম। শুরু যুগে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নতুন ইসলামে দীক্ষিত
সাহাবীদেরকে নিয়ে আরকাম রা. এর ঘরে সমবেত হতেন। এবং তাদেরকে দীনী বিষয়াদি শিক্ষা
দিতেন। এটা হলো, ইসলামের
প্রথম মাদরাসা বা ধর্মীয় পাঠশালা। https://ar.wikipedia.org
আসহাবে
সুফফা
সুফফা হলো ছাদবিশিষ্ট প্রশস্ত স্থান।
সুফফার মূল ভূমির উচ্চতা ছিল প্রায় অর্ধমিটার।
প্রাথমিক পর্যায়ে এর দৈর্ঘ্য ছিল ১২ মিটার এবং প্রস্থ ছিল ৮ মিটার। মসজিদে নববির
উত্তর-পূর্বাংশে নির্মিত সুফফার দক্ষিণ দিকে ছিল
রাসুলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর
স্ত্রীদের অবস্থানের কক্ষগুলো এবং সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ছিল মেহরাব। প্রাথমিকভাবে
সুফফা মুহাজির সাহাবিদের অবস্থানের জন্য নির্মিত হয় বলে এটি ‘সুফফাতুল মুহাজিরিন’ নামে পরিচিতি লাভ করে। পরে এটি বাইরে থেকে
আগত শিক্ষার্থী সাহাবি এবং মদিনার উদ্বাস্তু সাহাবিদের রাত্রিকালীন আবাসস্থল ও
দিবাভাগে শিক্ষায়তন হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বিপুলসংখ্যক
সাহাবি এখানে অবস্থান করতে পারতেন। এখানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় সাহাবিদের রাসুলুল্লাহ (সা.) এর পতœীদের কক্ষগুলোতেও বসতে হতো। সুফফা ছিল ইসলামের প্রথম আবাসিক
মাদরাসা।
ইসলামী
জ্ঞান-বিজ্ঞানের ইতিকথা
রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর প্রধান কাজঃ শিরকমুক্ত একত্ববাদী
একটি দ্বীন ধর্ম মানব জাতিকে
উপহার দেয়া। তাই ফতেহ মক্কার পর মাত্র একবার হজ্ব করার নসীব হয়েছে।অতঃপর আল্লাহপাক তাঁর এই দুনিয়াবী জিন্দেগীর
অবসান ঘটিয়ে মদিনা মুনওয়ারার রিয়াজুল জান্নাহ-তে শায়িত রয়েছেন।ফলে ইসলামী রাজ্য
শাসন ও রাজ্য বিস্তারের দায়িত্বভার রেখে যান তদীয় ৪ শীর্ষ সাহাবায়ে কেরাম যথাক্রেম
(১) হযরত আবদুল্লাহ আবুবকর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু (২) হযরত ওমর খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু
আনহু (৩) হযরত ওসমান ইবনে আফফান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর উপর। যাঁদেরকে বলা হয় খোলাফায়ে রাশেদা।
অতঃপর হযরত হাসান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু আমীরে মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজ প্রমুখ ইসলামী
রাজ্য শাসন ও সম্প্রসারণে অবিস্মরণীয় ভূমিকা ও অবদান রেখেছেন আল্লাহ তায়ার অশেষ
ফজল-করম, তায়িদ-মদদে।
ইসলামী
জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রসারে
খোলাফায়ে রাশদোর শাসনামল
হযরত আলী (রদ্বয়িাল্লাহু আনহু)
ঃ বাহরুল উলুম (জ্ঞানরে সাগর)
হযরত আলী (রদ্বয়িাল্লাহু
আনহুঃ)-র ঐতহিাসকি কাব্য বাণী ঃ
“যুজ আল ফারার ওয়তি তালাক
ওয়াশ্ শায়য়ান আশবাহুল বারাক
এজাসাম জালাত ওয়া আস কাহাৎ
মালাক তাল গারার ওয়াশ্ শারার।
অর্থ Ñ “পারদ ও অভ্র একত্র করে যদি
বিদ্যুৎ ও বজ্র সদৃশ কোন বস্তুর সঙ্গে সংমিশ্রণ করতে পার, তাহলে প্রাচ্য ও পাশ্চত্যে
র্কতৃত্বরে অধকিারী হতে পারবে।
এতে পারদ ও অভ্রকে বিদ্যুৎ বা
বজ্রের মত ভীষণ তেজস্কর অগ্নি-সংশ্লেষাত্মক রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে র্স্বণে
রূপান্তররে আভাষ রয়ছে।ে আবু আলী ইবনে সীনাও স্বর্ণ প্রস্তুতে হযরত আলী
রদ্বয়িাল্লাহু আনহু'র উক্তি মতে পারদকে অপরিহার্য ধরে নিয়ে অতিশয় বিশুদ্ধ গন্ধক
ও পারদ জমিয়ে কঠিন করে স্বর্ণ প্রস্তুতের পদ্ধতি শক্ষিা দিয়েছেন।
“পরশ পাথর”
যার স্পর্শে লোহা স্বর্ণে
পরিণত হতে পারে তাকে র্স্পশ বা পরশ পাথর বলা হয়।
উল্লখ্যে, (১) ইলেকট্রন, (২) প্লোটন ও (৩) নিউট্রন- -এই
৩ প্রকার পরমাণুর মধ্যে ‘প্রোটন’ পরমাণুকে সংশ্লেষণ করলেও নাকি তা স্বর্ণে পরিণত করা যায়। (সূত্রঃ ১. স্পিরিট অব ইসলাম ঃ সৈয়দ আমীর আলী।
২. বিজ্ঞানে মুসলমানের দান ঃ এম. আকবর আলী।
উমাইয়া শাসনামলঃ আরবী ভাষা এবং
বজ্ঞিান র্চচার র্উবরকাল
খালিদ ইবনে ইয়াজদি
৬৮৩ খৃস্টাব্দে উমাইয়া খলীফা ২য় মাবিআর
মৃত্যুর পর তদীয় ভ্রাতা এবং প্রথম ইয়াযিদের শিশুপুত্র খালিদ সিংহাসনারোহণের
অধিকারী ছিলেন। তাঁর অভিভাবকরূপে প্রধান অমাত্য বৃদ্ধ মারওয়ান ইবনে হাকাম খিলাফতের
দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই মারওয়ান খালিদের পরিবর্তে
তাঁর পুত্র আবদুল মালিককে উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেন। ইয়াযিদ-পুত্র খালিদ সম্পর্কে
জানা যায়-তিনি চিকিৎসা ও রসায়নশাস্ত্রে যথষ্ঠে বুৎপত্তি অর্জন করেছিলেন বলে
মধ্যযুগীয় ইসলামী জ্ঞান-বজ্ঞিানরে
রনেসোঁর উষালগ্নে তাঁকে ‘আল-হাকিম’ আখ্যায়িত করা হয়েছিল।
আব্বাসীয় শাসনামলঃ ইসলামী জ্ঞান-বজ্ঞিানরে
র্উবরকাল।
আব্বাসীয় শাসনামলে ঈসাব্দ
সপ্তম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্যন্ত আরবী ভাষা বিশ্ব সভ্যতায় জ্ঞান-বিজ্ঞান
বিকাশের একমাত্র অবিসম্বাদিত আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক ভাষার মর্যাদা লাভ করেছলি।
আব্বাসীয় খিলাফত কালে জ্ঞান-বিজ্ঞানের যে জয়যাত্রা শুরু হয়, এ ধরনের পূর্ণাঙ্গ কোন সংগৃহীত
প্রমাণপঞ্জী এখনও আমাদের হাতে নেই।
প্রকৃতপক্ষে খলীফা মনসুরের শাসনামল থেকেই
সারাসিন সভ্যতার জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিশ্বব্যাপী জয়যাত্রা নিয়মিত অভিযান শুরু হয়।
খলীফা মনসুর (৭৫৪-৭৭৫)-এর রাজদরবার সর্বদা পÐিতমÐলী দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকত।
তিনিই বাগদাদ নগরীর প্রথম প্রতিষ্ঠাতা। টাইগ্রীস নদীর পশ্চিম তীরে বাগদাদ নামক
একটি বড় গ্রামে তিনি রাজধানী স্থাপন করে নাম রাখেন ‘মদীনাতুস সালাম’। কিন্তু
মানুষ সরকারী নাম গ্রহণ না করে ‘বাগদাদ গ্রামের নামেই নতুন
রাজধানীকে অভিহিত করতে থাকে।
খলীফা মামুনের রাজত্বকাল
কিছুটা উন্নত আকারে
পরবর্তীকালে সারাসা ও কায়রোর মানমন্দিরে খগোল বিজ্ঞানের নবযুগ আনয়ন করে খলীফা
মামুনের রাজত্বকালেই বিষুব রেখা ও আয়নমÐলের সংযোগস্থল, চন্দ্র-সূর্যের গ্রহণ,
ধুমকেতুর গতিপথ প্রভৃতি
সৌরজগত সংক্রান্ত তথ্য নির্ণয় করা হয়। যাঁদের চেষ্টায় এ সব বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার
সম্ভব হয়েছিল, তাঁদের
সবারই নাম এখনও জানা যায়নি। তবে মুহাম্মদ ইবনে মুসা আল খাওয়া রিজমী ও আল-ফ্রাগানাস
প্রমূখ ছিলেন অন্যতম নেতৃস্থানীয় বৈজ্ঞানিক।
‘
খলীফা মামুন (বায়তুল হিক্মাহ)
খলীফা হারুনুর-রশিদ বিজ্ঞান গবেষণার জন্য যে
জ্ঞান-নিবাস কার্যালয়টি স্থাপন করেছিলেন, খলীফা মামুন তা আরো সম্প্রসারণ
করেন। এর নাম ছিল ‘বায়তুল হিকমা’। এতে ছিল বিদ্যালয়, গ্রন্থাগার ও অনুবাদ কার্যালয়।
এখানে পারসিক, হিন্দু,
আরবীয়, গ্রীক ও খৃস্টান পÐিতগণ শিক্ষা, গবেষণা ও অনুবাদ কার্যে
নিয়োজিত থাকতেন। হুনায়ন-ইবনে ইসহাক নামক জনৈক বিখ্যাত শিক্ষাবিদকে খলীফা এর তত্ত¡াবধায়ক নিয়োগ করেন। খলীফা বহু
দূর-দূরান্তরে প্রতিনিধি প্রেরণ করে। নানা দেশের পুরাতন অমূল্য গ্রন্থাদি উদ্ধার
করেন। সংগ্রহকারীদেরকে বিপুলভাবে উৎসাহিত করার জন্যে প্রত্যেক গ্রন্থের সম-ওজনের
স্বর্ণমুদ্রা পারিশ্রমিক দিতেন।
মামুনের পৃষ্ঠপোষকতায় (১)আল
খাওয়ারিজমী (২)ফ্রাগানাস
আল-ফ্রাগানাস (মৃত্যু ৮৩৩ খৃস্টব্দের পরে) তিনি
জ্যোতিবিজ্ঞানেই বিশেষভাবে পারদর্শী ছিলেন। তাঁর রচিত ঊষবসবহঃং ড়ভ অংঃৎড়হড়সু
গ্রন্থটি পাশ্চাত্যে বহুল সমাদৃত গ্রন্থ। অল্পদিন পূর্বেও প্রাচ্য জগতে অন্যতম
শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ হিসাবে পরিগণিত ছিল। ছাপাখানা আবিষ্কারের পর ইউরোপে এর ঘন ঘন
সংস্করণ হতে থাকে। গ্রন্থটি জিরার্ড এবং জোহানাস দ্য লুনা হিসপালেনসিস ল্যাটিনে
অনুবাদ করেন। ইউরোপের জাগরণ যুগে রেজিওমনটেনাস এই অনুবাদ পড়ে মুগ্ধ হয়ে পূর্ণ
অনুবাদ করেন এবং ১৪৮৩ খৃস্টাব্দে-মনীষী সেলানকথন রেজিওমনটেনাসের অনুবাদের উপর
নির্ভর করে নিউরেসথান হতে জ্যোতিবিজ্ঞানের একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন। জোহানেস
অনুদিত গ্রন্থটি ১৫৪৬ খৃস্টাব্দে আনাটোল কর্তৃক পূর্ণপ্রকাশ হয়। এই হিব্রæ অনুবাদ থেকে জেকব ক্রিস্টসান
পুনরায় ল্যাটিনে অনুবাদ করে প্রকাশ করেন। এই জনপ্রিয় পুস্তকটির অনেক লম্বা আরবী
নামÑ‘জামি এলমুল
নজুম ওয়াল হরকত আল সামাইয়া’।
খলফিা আল মনসুর
খলীফা আল-মনসুরকে বর্তমান
সভ্যতার জ্ঞান-বিজ্ঞানের জনক বলা যেতে পারে। তনিি জ্ঞান-বজ্ঞিান র্চচায় সর্বশক্তি
প্রয়োগ করেছলিনে। রাজকীয় কার্য থেকে একটু অবসর পেলেই তিনি জ্যোতিবিজ্ঞান সাধনায়
ডুবে যেতেন। তাঁকে জ্যোতিবিজ্ঞানের জনক বললেও অত্যুক্তি হয় না। কারণ তিনিই আরবের
প্রথম জ্যোতির্বিজ্ঞানী। একথা আমাদের নয়, সুপ্রসিদ্ধ ইউরোপীয় ঐতিহাসিক
মিঃ বোসো বলেন, আরব
জ্যোতিবিদদের মধ্যে খলীফা আল-মনসুর সর্বপ্রথম।” তাঁরই প্রথম বলিষ্ঠ পদক্ষেপের দ্বারা আরব বৈজ্ঞানিক ও
খলীফাদের উৎসাহ এবং পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রীক, রোম, আর্য প্রভৃতি বিভিন্ন প্রকারের দর্শন বিজ্ঞান প্রভৃতির ব্যাপকভাবে অনুবাদ
শুরু হয়। ফলে বিজ্ঞান আজো পৃথিবীতে বেঁচে আছে। ইসহাক আল-ফাজারী, ইয়াকুব ইবনে তারিক,
আবু ইয়াহিয়া আল বাতরিক,
নও-বখত, মাশাল্লাহ প্রমূখ বৈজ্ঞানিক
মনসুরের রাজ-দরবারের সভাসদ ছিলেন।
আল মনসুর আন্তঃ সাম্প্রদায়কি
বৈজ্ঞানিক সম্প্রীতির স্থপতি ছলিনে।
উল্লখ্যে, তৎকালীন ভয়াবহ ধর্মীয় গোড়ামীর
বিরুদ্ধে তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠাবান ধার্মিক মুসলমান হয়েও মুসলমান, য়াহূদী, হিন্দু, খৃস্টান প্রভৃতি জাতি ধর্ম
নির্বিশেষে অতিশয় মুক্ত উদার ও ন্যায় নিরপেক্ষ মন নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন সভ্যতা
থেকে, বিজ্ঞানের
গ্রন্থানুবাদ, গ্রন্থ
সংগ্রহ, জ্ঞান
আহরণ এবং বৈজ্ঞানিকদেরকে নিশ্চিন্ত-নিবিষ্ট মনে যদি জ্ঞান বিকাশের জন্যে উৎসাহিত
না করতেন, তাহলে
আরব শাসক ও বৈজ্ঞানিকদের এই আদর্শের জ্বলন্ত প্রেরণা আসত না এবং মনসুরের আদর্শের
প্রেরণা প্লাবনে আরব বিজ্ঞান জগতে এ ধরনের নবজাগরণও আসত না। এই মহাপ্রেরণাই নতুন
পথ প্রদর্শন করে, নবজাগরণের জোয়ার-তরঙ্গ সৃষ্টি করে, আরবদেরকে ক্রমশ বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারায় এমন কি পরিশেষে গ্রীক
বিজ্ঞানকেও ডিঙ্গিয়ে গিয়ে, বিজ্ঞান জগতের শীর্ষস্তরে উত্তোলন করতে সক্ষম হয়েছে।
জাবির ইবনে হাইয়ান
৭০৪ খৃস্টাব্দে এই খলীফা
বিজ্ঞানী খালিদ মারা যান। মিঃ হোম ইয়ার্ডের মতে জাবির ইবনে হাইয়ান ৭৩০Ñ৩৫ খৃস্টাব্দে জম্মগ্রহণ করেন
বলে উল্লেখ করেন। সুতরাং তাঁকে বৈজ্ঞানিক খালিদের শিষ্য মনে করা সঠিক নয়। তবে
বৈজ্ঞানিক খালিদের কোন শিষ্যের নিকট কিংবা অন্য যে কোন সূত্রে হাইয়ান তাঁর বিজ্ঞান
সাধনা যে হুবহু অনুসরণ করতে পেরেছিলেন একথাই সত্য।
জাবরিরে বজ্ঞৈানকি মূলনীতি
জাবিরের মুলনীতিই ছিলÑ“কোন সিদ্ধান্তই
পরীক্ষা-নিরীক্ষার শুদ্ধ ফল না পাওয়া পর্যন্ত গ্রহণ ও প্রকাশ না করা”।
আল খাওয়ারিজমি: আকাশ মানচত্রিরে উদ্ভাবক
জ্যোতিবিজ্ঞান ও জ্যোতিষ আলোচনায় সুবিধার
জন্যে খলীফা আল-মামুনের অনুপ্রেরণায় অন্যান্য বৈজ্ঞানিকের সম্বন্ধে আল-খাওয়ারিজমী
আকাশ ও ভূ-মÐলের মানচিত্র প্রণয়ন করেন। আকাশের মানচিত্র জ্যোতিবিজ্ঞানের
তথ্যাদিতে পরিপূর্ণ। ভূ-মÐলের মানচিত্র প্রণয়নকারীর অসাধারণ ভৌগোলিক জ্ঞানের পরিচায়ক। কেবল এলজাবরা
নয়, পৃথিবীতে
সর্বপ্রথম ভৌগোলিক মানচিত্র অঙ্কনেরও জনক আল-খাওয়ারিজমী। তাঁর ভূগোল গ্রন্থ ‘কিতাবুস সুরাত আল-আরদ’
পৃথিবীর আকার সম্বন্ধীয়
পুস্তক। এই গ্রন্থের পাÐুলিপি এখনও স্ট্রানবার্গে সংরক্ষিত আছে। এর উপর ভিত্তি করেই এইচ,
ফন, জিক-প্রাচীন আফ্রিকার মানচিত্র
তৈয়ার করেন।
আল-খাওয়ারিজমী সমতল এবং বৃত্তীয় অঙ্কন
সম্বন্ধে যে গ্রন্থ প্রণয়ন করেন, তা এখনও ইউরোপের কোন কোন
লাইব্রেরীতে পাওয়া যায়। গ্রন্থটি পূর্বতন জ্যামিতির জটিল প্রতিপাদকে সহজসাধ্য করে
তুলেছিল বলে বোসোর মন্তব্যে উল্লেখ রয়েছে তিনি বলেন, ত্রিকোনো তিতিক অঙ্ক বর্তমানের
এই সরল এবং সহজ পন্থাটি উদ্ভাবন করার জন্যে কার্যকর জ্যামিতি ও জ্যোতিবিজ্ঞান
আরবদের নিকট চিরকৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ থাকবে।
রৈখিক ও বৃত্তীয় ত্রিভূজের
বিশ্লেষণ করবার থিওরীকে তাঁরা ছোট ছোট প্রতিপাদ্য বিষয়ে রূপান্তরিত করেন। তা ছাড়া
ঈযড়ৎফং ড়ভ ফড়ঁনষব ড়ৎব এর স্থানে মাইন ব্যবহার করবার নিয়ম প্রবর্তন করে যাদের অনেক
ত্রিভূজ বিশ্লেষণ করতে হয়, তাদের কাজ বিশেষভাবেই সংক্ষেপিত ও সহজ করে তোলেন।”১
খলীফা আল-মামুনের মৃত্যুর পরও আল-খাওয়ারিজমী
১৪-বছর জীবিত ছিলেন।
আরব সভ্যতার বিজ্ঞানের
অভ্যুত্থান যুগে বাগদাদের খলীফাদেরই কৃতিত্ব প্রথম ও প্রধান। তম্মধ্যে খলীফা মনসুর, হারুনুর-রশিদ ও আল-মামুনÑএই তিনজন খলীফার অবদান
সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।
পাশ্চাত্যে সর্বাপেক্ষা সুপরিচিত। বিজ্ঞানের
সকল শাখাতে তাঁর অগাধ ব্যুৎপত্তি ছিল। অঙ্কশাস্ত্র, চিকিৎসাশাস্ত্র, পদার্থবিদ্যা, বায়ুবিজ্ঞান প্রভৃতি তখনকার
প্রচলিত সমস্ত বিজ্ঞান শাখাই তাঁর অবদানে সমৃদ্ধ ছিল। এ ছাড়াও দর্শন ও
ধর্মশাস্ত্রের পাÐিত্যেরই তিনি ছিলেন সমধিক খ্যাতিসম্পন্ন। তিনি কূফা নগরে এক বিখ্যাত
সম্ভ্রান্ত আরব পরিবারে জম্মগ্রহণ করেন। তিনি কূফা নগরে জম্মগ্রহণ করলেও জ্ঞান লাভ
করেন বাগদাদে। বাগদাদের পÐিত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসে জ্ঞান আহরণের দিকে বেশী করে ঝুঁকে পড়েন।
খলীফা আল-মামুনের ভ্রাতা আল-মুতাসিম বিল্লাহ্র রাজত্বকালেই তাঁর প্রতিভা বিকাশ লাভ
কলে।
গ্রীক বিজ্ঞানের মানােন্নয়নে
মুসলমি বজ্ঞিানী
গ্রীক বিজ্ঞানের এত উন্নতির সাক্ষ্য হিসাবে
রয়েছে মুসলিম বৈজ্ঞানিকদের অনুবাদ কার্য এবং তারই উপর নির্ভর করে ইউরোপের বর্তমান
বৈজ্ঞানিক অভিযান।
মুসলমানগণ যখন পুরাতন
বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ অনুবাদ এবং নব নব জ্ঞান আহরণে নিযুক্ত, খৃস্টীয় ইউরোপ তখন অজ্ঞান
অন্ধকার সমাচ্ছন্ন। ইউরোপে চলছিল তখন অসভ্যতার অভিযান, বর্বরতার চরম নির্দশন,
ধর্মের সূ²াতিসূ² বিশ্লেষণ।“১ (৩০)
সুতরাং প্রাচীন জ্ঞান-বিজ্ঞানের গ্রন্থগুলো
আরবরা যে আরবী ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন, আরবদের সেই জরাজীর্ণ পাÐুলিপিগুলো থেকেই আধুনিক
বিজ্ঞানের সূত্রপাত হয়। একথা অকাট্য সত্য।
এ প্রসঙ্গে ইউরোপীয় ঐতিহাসিক ড্রাপার বলেন, “আরবগণ নভোমÐলে যে অ¤øান হস্তছাপ রাখিয়াছেন,
তাহা যে কোন ব্যক্তি ভূ-মÐলের নক্ষত্র সম্বন্ধীয় জ্ঞান
আহরণ কালে উপলব্ধি করিতে পারিবেন।“১।
আল-কন্দিঃি ফিলোসফার অব এরাব
সেকালে জ্ঞানের দুর্ভেদ্য জটিলতা ভেদ করতে আল
খাওয়ারিজমী, আল-বিরুনী, বাত্তানী, ইবনে সিনা প্রমুখ জাঁদরেল বৈজ্ঞানিকের মতো সৃজনী প্রতিভার যেমন অভাব ছিল
না, তেমনি
আল-কিন্দির বিভিন্ন ভাষাজ্ঞান বিশ্বের লুপ্ত জ্ঞানভাÐার পুনরুদ্ধারে যথেষ্ট সহায়ক
হয়েছিল।
বলা বাহুল্য, বিজ্ঞান অপেক্ষা দর্শনেই
আল-কিন্দি অধিকতর কৃতিত্বাধিকারী ছিলেন। এজন্যে পাশ্চাত্য তাঁকে ‘ফিলোসফার অব এরাব’ অর্থাৎ ‘আরবদের দার্শনিক’ নামে অভিহিত করত। আর্কিমিডিসের
প্রবর্তিত প্রচলিত গোলক সম্বন্ধে অধুনা প্রচলিত যত প্রকার প্রণালী আছে,
তার সবগুলি সম্পর্কেই তিনি
আলোচনা করেছিলেন।
মুসা আল-খাওয়ারিজমী : যাঁর
পরশে দস্যুতা জগদ্বখ্যিাত বজ্ঞৈানকিে পরণিত
মুসা বিন শাকীর ছিলেন ভয়ঙ্কর
দস্যু। অর্থের জন্যে লুটতরাজ, নরহত্যা, অসহায় পথিকদের সর্বস্ব লুন্ঠন ও অমানুষিক নির্যাতনই ছিল তাঁর কার্য জীবন।
ঘটনাক্রমে আল-খাওয়ারিজমীর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়ে যায় এবং খাওয়ারিজমীর পরামর্শে তাঁর
জীবনের মোড় ঘুরে যায়। তাঁর মারফতেই তিনি আল-মামুনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন। আল-মামুনের
উৎসাহে মুসা বিন শাকীর বিজ্ঞান সাধনায় নিমগ্ন হয়ে পড়েন। খলীফার প্রেরণায় তাঁর
দস্যুবৃত্তির ভয়ঙ্কর প্রতিভা বিশ্ব মানব কল্যাণ সাধনায় রূপান্তরিত হয়। প্রতিভা সব
সময় শানিত হাতিয়ারের মত। যেখানেই ব্যবহার করা যায়, সেখানেই সুন্দরভাবে ব্যবহৃত
হয়। মুসা বিন শাকীর বিজ্ঞানের শুধু পাঠকই রয়ে গেলেন না, অঙ্কশাস্ত্রের জ্যামিতি ও
জ্যোতিবিজ্ঞান গবেষণার মৌলিক অবদানের ক্ষেত্রেও ইতিহাসে জীবিত হয়ে রইলেন। বিজ্ঞান
জগতে তাঁরপূণ্য অবদান হলো তিনি বিশ্ববিখ্যাত ‘বনি মুসা ভ্রাতৃত্রয়ের জনক।
আরব মুসলমি বজ্ঞিানীদরে সাধারণ
বশৈষ্ট্যিঃ
আরব বৈজ্ঞানিকের হাতে যেসব
প্রাচীন গ্রীক, রােমান সূত্র পড়েছিল, সেই সব সূত্রকে কেন্দ্র করে, নিজস্ব নতুন নতুন উদ্ভাবন বা
আবিষ্কার দিয়ে তাঁরা বিজ্ঞানের বিস্ময়কর উন্নতি সাধন করেছিলেন।
সৎর্সগে র্স্বগবাস
মূসা আল খাওয়ারিজমী এর
সংর্স্পশে মূসা ভ্রাতৃত্রয়, মূসা ভ্রাতৃত্রয় এর সংর্স্পশে সাবিত ইবনে কোরা, সাবিত ইবনে কোরা এর সংর্স্পশে
মিনাস হুমায়ন, মিনাস
হুমায়ন এর সংর্স্পশে ইবনে ইসহাক, ইবনে ইসহাক এর সংর্স্পশে দ্বিতীয় ইবনে হুমায়ন সাবিত, ইবনে হুমায়ন সাবিত এর
সংর্স্পশে ) ইব্রাহীম ইবনে সিনান, ) ইব্রাহীম ইবনে সিনান এর সংর্স্পশে ইউসুফ আলঘুরী নামক
জগদ্বখ্যিাত আরব মুসলমি বজ্ঞিানীদরে আবর্ভিাব।
বশ্বিখ্যাত আরব বজ্ঞৈানকি
সাবতিরে রাজকীয় সুবধিা লাভে
মূসা ভ্রাতৃদরে বদন্যতায়
বাগদাদের নতুন খলীফা মুতাজিদ বিল্লাহ মুসা
ভ্রাতৃদের প্রধান আবু জাফর মুহাম্মদের সুপারিশে বৈজ্ঞানিক সাবিতের জন্যে রাজকীয়
সাহায্যের ব্যবস্থা করেন। মুসলিম বৈজ্ঞানিকগণ সাধারণভাবে অঙ্ক ও বিজ্ঞান সম্বন্ধে
শিক্ষালাভ করেন। সুতরাং বিজ্ঞানে যারা পরিশেষে বিশেষ পারদর্শী হয়েছিলেন, তাঁরা সাধারণত গ্রীক ভাষায় সুপÐিত ছিলেন। সাবিত ইবনে কোরা
গ্রীক এবং সিরিয়ান ভাষায় সুপÐিত ছিলেন। এ জন্যে অঙ্ক-বিশেষভাবেÑজ্যামিতিতে তাঁর বিশেষ ব্যুৎপত্তি ছিল। তিনি দর্শন ও
অঙ্কশাস্ত্রের মৌলিক গবেষণায় বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করেন। অঙ্ক ও জ্যামিতিতে তিনি এত
সুখ্যাতি লাভ করেন যে, সাধারণভাবে তাঁকে মনে হতো যে, তিনি আরবের শ্রেষ্ঠ জ্যামিতিবিদ।তাঁর সমসাময়িক চিকিৎসা
বিজ্ঞানে অন্যতম পারদর্শী বৈজ্ঞানিক ইসহাক ইবনে হুনায়ন ইউক্লিডের জ্যামিতির আরবী
অনুবাদ করেন।
আবু জাফর মুহাম্মদ: বিন শাকীর
বড় ভাই
মুসা বিন শাকীর বড় ভাই আবু
জাফর মুহাম্মদ সর্বাপেক্ষা অধিক প্রতিভাশালী ছিলেন। বিজ্ঞানের সর্ব শাখাতেই তাঁর
অসামান্য দক্ষতা ছিল। আবু জাফর ৮৭২-৭৩ খৃস্টাব্দে মৃত্যুমুখে পতিত হন।
বিন শাকীর মধ্যম (মঝে) ভাই
মুসা বিন শাকীর মধ্যম মঝে) ভাই
ছিলেন বৈজ্ঞানিক যন্ত্র প্রস্তুতে সুনিপুণ কুশলী ও যন্ত্র ব্যবহার বিশেষজ্ঞ।(৬৯)
জ্ঞান আহরণে তাঁরা নিজেদের সমস্ত ধন-সম্পদ নিয়োজিত করেন। নিজেরাও বেরিয়ে পড়েন
পূর্বতন জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রাচীর পুঁথি-পুস্তক সংগ্রহ করার জন্যে।
তাঁরা গ্রীক, রোম প্রভৃতি সভ্যতার
পীঠস্থানগুলো ঘুরে ঘুরে বিপুল গ্রন্থ সংগ্রহ করেন। এরপরও লোক মারফত প্রচুর
অর্থব্যয়ে বহু প্রাচীন জ্ঞান-গ্রন্থ সংগ্রহ করেন।
গ্রীনউইচ মান সময়রে ধারণা
প্রতষ্ঠিায়
মূসা ভ্রাতৃত্রয়
দ্রাঘিমা ও অক্ষরেখার
কেন্দ্রস্থ গ্রীনউইচ তৎকালীন পৃথিবীতে অজ্ঞাত ছিলেন। বনি মুসা ভ্রাতৃত্রয় অক্ষরেখা
ও দ্রাঘিমার কল্পনা করে লোহিত সাগরের তীরে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় পৃথিবীর আকার ও
আয়তন সঠিকভাবে নির্ণয় করেন। উল্লখ্যে, আরব বৈজ্ঞানিকগণ যখন পৃথিবীর
সঠিক পরিধি ও আয়তন আবিষ্কার করে ফেলেছেন, তখন অনারব বৈজ্ঞানিকগণ এত পিছনে যে, পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্ত সমতল
না চেপ্টা তাই নিয়েই তাঁরা ব্যস্ত ছিলেন।
জগদ্বখ্যিাত বৈজ্ঞানিক সাবিত
ইবনে কোরার সাথে মূসা ভ্রাতৃত্রয়রে সাক্ষাৎ
এই সময়ে বনি মুসা ভ্রাতৃত্রয়ের প্রধান আবু
জাফর মুহাম্মদের সঙ্গে তাঁর (সাবিত ইবনে কোরা) দেখা হয়। মুসা ভ্রাতৃত্রয় পূর্বোল্লিখিত
গ্রীক পÐিতদের বিজ্ঞান
গ্রন্থাবলী অনুসন্ধান ও সংগ্রহ করে বাইজান্টাইন পরিভ্রমণ করে বাগদাদের দিকে
ফিরছিলেন। সাবিতাকে দেখা মাত্রই বনি মুসাগণ অল্প পরিচয়েই তাঁর অনন্য প্রতিভা বুঝতে
পারেন। তাঁরা তাঁকে নিয়ে বাগদাদ চলে আসেন।
সাবিত ইবনে কোরা
জ্যোতিবিজ্ঞানে সাবিত সূর্যের
তুঙ্গত্ব, সৌর বছর সূর্য ঘড়ি
বা ছায়াঘড়ি প্রভৃতি সম্পর্কে আলোচনা করেন। ত্রিকোনমিতি সম্বন্ধেও তিনি আলোচনা
করেন। বিশেষভাবে পরবর্তী সময়ে আল-বাত্তানীর হাতে ত্রিকোনমিতির যে উন্নতি সাধিত হয়,
তাঁর সূত্রপাত করেন সাবিত
ইবনে কোরা। সুতরাং এ বিষয়ে তাঁর অবদানও কম নয়।
সূর্যঘড়ি দিয়ে সময় নিরূপণ প্রথম আবিষ্কার হয়
মিসরে। মিসরীয় সভ্যতা বিলুপ্ত হওয়ার পর গ্রীক সভ্যতায়ও এই সূর্যঘড়ির কিছুটা
প্রচলনও দেখা যায়। কিন্তু মিসর ও গ্রীক সূর্যঘড়ির মধ্যে কোন সামঞ্জস্যা ছিল না।
অনুরূপ মুসলিম বৈজ্ঞানিকদের আবিষ্কৃত ছায়াঘড়ি ছিল। মিসর গ্রীকদের চেয়ে আরো উন্নত ও
অভিনব। আল-ফ্রাগানাম ও আল-খাওয়ারিজমীর ছায়াঘড়ি অনুসরণ করেই সাবিত সূর্যঘড়ি
সম্বন্ধে আলোচনা করলেও এতে তাঁর কিচুটা নিজস্ব মৌলিক অবদানও ছিল। সাবিত আকিমিডিস, ইউক্লিড, থিওভেসিস ও টলেমির
গ্রন্থসমূহেরও তিনি অনুবাদ করেন।
সাবিত: তুলাদন্ডের স্থাপতি
মুসলিম বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে সাবিতই প্রথম
তুলাদন্ড সম্বন্ধে বিস্তৃত আলোচনা করেন এবং এই সম্বন্ধে তিনি পুস্তিকা প্রণয়ন
করেন। এই সময় বান মুসা ভ্রাতৃত্রয়ও তুলাদÐ সম্বন্ধে বই লিখেন। সাবিতের
তুলাদÐ সংক্রান্ত
বইটি জিরার্ড ল্যাটিনে অনুবাদ করেন। জিরার্ড জোহানেস সাবিতের বহু পুস্তুক ল্যাটিনে
অনুবাদ করেন।
ইসহাক ইবনে হুসায়ন (মৃত্যু ৯১০
খৃস্টাব্দে) ঃ
হুসায়নের পুত্র দ্বিতীয় হুসায়ন। তিনি পিতার মতই
বিজ্ঞানানুরাগী ছিলেন। ইউক্লিডের জ্যামিতি, ড্যাটা, আল-মাজেস্ট গোলক, ম্যানিলসেরঝঢ়যবৎরবং আরবীতে
অনুবাদ করেন। এরিস্টটল প্রমুখের কয়েকটি গ্রীক দার্শনিক গ্রন্থও আরবীতে অনুবাদ
করেন। গ্রীক এবং আরবী এই দু’টি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন ও জটিল ভাষায় তাঁর ছিল অগাধ পান্ডিত্য।
আহমদ ইবনে ইউসুফ (মৃত্যু ৯১২
খৃস্টাব্দ)
তিনি জ্যোতিবিজ্ঞান, চৎড়ঢ়ড়ৎঃরড়হ সমৃন্ধে কয়েকটি
গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। এই বইটি ইউরোপের রেনেসাঁয় খুবই প্রভাব বিস্তার করেছিল। ইটালীর
পÐিত লিউনার্দো
ও জউপাসের ল্যাটিন অনুবাদের মারফতেই ইউরোপে এটি ব্যাপক প্রচার-প্রসার লাভ করে।
তিনি ম্যানিলসের ত্রিভূজ খÐন সম্পর্কিত উপপাদ্য প্রভৃতি সম্বন্ধে বিস্তৃত আলোচনা করেন। টলেমির একটি
পুস্তকের ভাষ্যও তিনি লিখেন।
বাস্তবতার আলােকে নিউটন, গ্যালিলিও, কোপার্নিকাস-কে অনুসরণরে অবকাশ
নইে প্রাচীন আরব বজ্ঞিানীদরে
বস্তুত নিউটন, গ্যালিলিও, কোপার্নিকাসের জম্মের শত শত
বছর আগে আরব বৈজ্ঞানিকগণ জম্মগ্রহণ করেন। আধুনিক ইউরোপের গোড়ার দিকে যখন বিজ্ঞানরে
তেমন কোন যােগ সূত্র ছিল না, তখনও আধুনিক বৈজ্ঞানিকদের সকল সূত্রের মোটামুটি উৎস ছিল আরব বিজ্ঞানের
সাধনা। অনুসরণ-অনুকরণ নিউটন করতে পাােরন ওমর খৈয়ামকে। ওমর খৈয়ামের তো নিউটনকে
অনুসরণ করা সম্ভব নয়। কারণ, নউিটনরে বাপ-দাদার জন্মরেও অনকে আগইে ইবনে সীনা, আল বেরুনী, ওমর খয়ৈামদরে জন্ম।
ইউরোপ এলজাবরা শিখেছিল আল-খাওয়ারিজমীর নিকট।
অভযিােগ রয়ছেে য,ে ওস্তাদ-কে অস্বীকার করার জন্যে ইউরোপে আল-খাওয়ারিজমীর নাম
রাখা হলো ‘আল-গরিটমি’। তবে আমাদরে
মত,ে এটি
ইউরােপীয়দরে ইচ্ছাকৃত কছিু নাও হতে
পার।েহয়তাে আন্চলকি ভাষাগত প্রভাবে আল খাওয়ারজিমী ‘আল-গরিটমি’-পরভিাষার পরণিত হয়। যমেন আদম
আঃ এডাম, হাওয়া
আঃ ইভ, দাউদ আঃ
ডভেডি-এ পরণিত হন। (৭৩)
পরশ পাথর
বজ্ঞিান সাধনা করতে গয়িে খালিদ পরশ পাথর র্অথাৎ
র্স্বণ প্রস্তুত প্রযুক্তি র্পযন্ত রপ্ত করছেলিনে র্মমে ঐতহিাসকি সূত্রে জানা যায়।
১. বাংলাদেশ ও বিশ্বের ডায়েরী ঃ অধ্যক্ষ কে, এ, রহমান, পৃষ্ঠা ১৬১।
২. মুসলিম রাষ্ট্র পরিচালনা
ব্যবস্থা ঃ পৃষ্ঠা ২৭১।
র্
ণ তরৈীর প্রযুক্তি হযরত আলী
রদ্বয়িাল্লাহু আনহু এর এক ঐতহিাসকি উক্ততিে নহিতি?
“যদি পারদ ও অভ্রকে বজ্র সদৃশ (আগুনের) বস্তুর সঙ্গে সংশ্লেষণ করা যায়,
তাহলে মুসলমানরা প্রাচ্য ও
পাশ্চাত্যের রাজত্বরে অধকিারী হওয়া সম্ভব।(হযরত আলী কাররামাল্লাহ ওয়াজহু
রদ্বয়িাল্লাহু আনহু)
ধারণা করা হয় যে, মুসলিম বৈজ্ঞানিকগণ হযরত আলী
(রা) উপরোক্ত উক্তরি আলোকইে স্বর্ণ প্রস্তুতের এই সূত্রটি পেয়েছিলেন। হযরত আলী
(রা) বলেছিলেন, “যদি পারদ ও অভ্রকে বজ্র সদৃশ (আগুনের) বস্তুর সঙ্গে সংশ্লেষণ করা যায়,
তাহলে প্রাচ্য ও
পাশ্চাত্যের অধীশ্বর হওয়া যেতে পারে”। এটি স্বর্ণ প্রস্তুতেরই ইতিসূচক অভিমত। খুব
কম কথা হলেও এটি বিশ্ববিজ্ঞানের একটি বিশেষ মূল সূত্র।
প্রথমেই বাগদাদরে খলীফা খালিদ বিন ইয়াযিদ এই
মুল সূত্রটিকে কেন্দ্র করে রাজকীয় সংিহাসনরে নেশা ছেড়ে দিয়ে আজীবন বিজ্ঞান সাধনা
চালিয়ে যান।(১১৩)
অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী
পর্যন্ত ইউরোপে ছিল অন্ধকার যুগ:মুসলমানদরে আলোক যুগ
মধ্যযুগীয় অজ্ঞতার অন্ধকার, কুসংস্কার বলতে র্বতমানে
মুসলমানদরে লক্ষ্য করে বুঝানোর যে প্রবণতা তা ঐতহিাসকি ভুল। বরং অষ্টম থেকে দ্বাদশ
শতাব্দী পর্যন্ত মধ্যযুগে ইউরোপই ছিল অন্ধকার যুগ আচ্ছন্ন। তখন আমরেকিা নামে কোন
মহাদশে অভাবনীয় বা কল্পনার অতীত।কারণ, আমরেকিাআবস্কিৃত হয় স্পনেে মুসলমি শাসনরে অবসানরে পরপরই
র্অথাৎ পন্চদশ শতাব্দীত।ে (১১৪)
অনারব দশেে আরব-মুসলমি
জ্ঞান-বজ্ঞিানরে ইতকিথা
আরবরে জ্ঞান-বজ্ঞিানরে মূলোৎস
সর্ম্পকে র্মাকনি প্রসেডিন্টে আইজনে আওয়াররে ঐতহিাসকি সাক্ষ্যঃ
আমরা সভ্যতার যে কছিু পয়েছেি
তা মুসলমান থকেে আর মুসলমান পয়েছেে আল কুরআন থকে।ে
লা-হাওলা ওয়ালা কুআতা ইল্লা
বল্লিাহ
সমস্ত প্রশংসা ও
শক্ত-িক্ষমতা-সার্মথ্যরে উৎসমূল আল্লাহপাকরে তায়দি-মদদ-রহমত-বরকত। তৎকালীন আরব
বজ্ঞিানীরা আল্লাহর তায়দি-মদদ কামনা করছেনে নফল নামাজ, রোজা, দান-সদকাহ-দোয়া-মুনাজাতরে বা
এস্তখোরার মাধ্যম।ে মুসলমানদরে জ্ঞান-বজ্ঞিানরে উৎসমূল প্রধানতঃ ২টি (১) আল কুরআন
(২) আল হাদীস
এছাড়া, ইজতহোদ। এতে উৎসাহতি করা
হয়ছেঃে ভুল হলে ১ নকেী, শুদ্ধ হলে ২ নকেীর ফজলিত দ্বারা।
আরব-ভারতীয় বৈজ্ঞানিক
সহযােগতিা
৭৬৭ খৃস্টাব্দে ভারতীয় বৈজ্ঞানিক কঙ্কের সঙ্গে
ইয়াকুব ইবনে তারিকের মনসুরের দরবারে সাক্ষাৎ হয়। কঙ্কের অনুপ্রেরণায় ইয়াকুব
জ্যোতিবিজ্ঞানে অনুপ্রাণিত হন এবং গোলক ও কারদাজার প্রভৃতি বিজ্ঞান সম্পর্কে
কয়েকটি পুস্তক প্রণয়ন করেন। ৭৭৭ খৃস্টাব্দে গ্রন্থগুলো রচিত হয়। ভারতীয় বিজ্ঞান
গ্রন্থ ‘সিন্দহিন্দ’
আরবীতে অনুবাদ করনে দ্বিতীয়
ফাজারী।
উল্লখ্যে,খলীফা আল-মনসুর ভারতের সঙ্গে
এমন সভ্যতা স্থ্পানের প্রয়াসী হন যে, ভারতীয় বৈজ্ঞানিক কঙ্ক তাঁর নিজস্ব রাজকীয় বৈজ্ঞানিকদের
সংযোগ স্থাপনপূর্বক মত ও ভাব বিনিময় করতেন। তাঁর কেন্দ্রীয় হাসপাতালে চিকিৎসক
হিসাবে একজন ভারতীয়কে প্রধান চিকিৎসক (কবিরাজ) নিযুক্ত করেন। তাঁর নাম কি ছিল জানা
যায় না। তবে আরবরা তাঁর প্রতি এত সশ্রদ্ধ ছিলেন যে, তাঁদের মাতৃভাষায় তাঁকে ইবনে
দহন বলে ডাকতেন।
আয়ুর্বেদ চকিৎিসা বজ্ঞিান
ইবনে দহনকে খলীফা মনসুরের প্রধান চিকিৎসক
নিযুক্ত করার এমনও উদ্দেশ্য হতে পারে, আযুর্বেদ শাস্ত্রের উপর আরবদের
অনুবাদের দ্বারা ঔপপত্তিক জ্ঞান লাভের পরও প্রত্যক্ষ ব্যবহারিক জ্ঞান এই চিকিৎসকের
মারফত আরব চিকিৎসকগণ জ্ঞাত হয়ে আরব চিকিৎসা বিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করা। খলীফা মনসুর
ভারতে নৃপতি ও বৈজ্ঞানিকদেরকে উৎসাহিত ও প্ররোচিত করতেন, যাতে বিভিন্ন গ্রন্থসহ
বৈজ্ঞানিকগণ বাগদাদে আগমন করেন। বিজ্ঞান গ্রন্থগুলো এইভাবে করায়ত্ত করে আরব
বৈজ্ঞানিকদের দিয়ে অনুবাদের ব্যবস্থা করতেন। এই মহান উদ্দেশ্য সাধনের জন্যে
প্রধানত আল-ফাজারীই অতি উৎসাহী ছিলেন। আল-ফাজারীর উদ্যমের ফলেই তখনকার ভারতের
বিখ্যাত জ্যোতিবিজ্ঞানী কঙ্ক বা বাঙ্কায়ণ ৭৭১ খৃস্টাব্দে ভারতের বিখ্যাত বিজ্ঞান
গ্রন্থ ‘সিন্দহিন্দ’
সঙ্গে নিয়ে বাগদাদে খলীফা
মনসুরের রাজসভায় (২৮)
বজ্ঞিান এবং প্রযুক্তরি
গ্রহণ/র্বজনরে স্বরূপ
সাধারণতঃ কােন বষিয় যমেন
ইতবিাচক (পজটিভি)পাশাপাশি তাতে থাকতে পারে নতেবিাচকতাও (নগেটেভি) তাতে কউে কবেল
আলাে দখেে তার ভক্ত হয়ে যায় কহে এর অন্ধকার রূপ দখেে বরিক্ত হয়ে যায়।
মধ্য পন্থা হচ্ছ,ে কল্যাণ দকি গ্রহণ এবং অল্যাণ
দকি র্বজন করা। এটা অনস্বীর্কায য,ে বজ্ঞিান এবং প্রযুক্তি অনকেটা ফুলরে মত যার মধ্যে মধু এবং
বষি দুটােই বদ্যিমান। কহে বজ্ঞিান-প্রযুক্তরি সদ্ব্যবহার করে ধন্য হচ্ছনে,
কউে উচ্ছন্নে যাচ্ছ।ে শুধু
তা-ই নয়, র্বতমানে
ডজিটিাল যুগে বজ্ঞিান-প্রযুক্তি মানব জীবনরে এমন গভীর থকেে গভীরে প্রবশে করছেে য,ে তথ্যপ্রযুক্তি র্অথাৎ
মােবাইল এবং কম্পউিটার ছাড়া জীবন এখন অআলাে, পানি এবং বাতাসরে মতই অপরহর্িায হয়ে পড়ছে।ে এমতাবস্থায়,
ডজিটিালরে এই বশ্বি
ব্যবস্থাকে অআজ খাটাে করে দখোর সুযােগ নইে। বরং এ প্রযুক্তকিে ফুল থকেে মধু
অআহরণরে ন্যায় কল্যাণকর কাজে সদ্ব্যবহার করাই বুদ্ধমিত্তার কাজ বট।ে তাছাড়া,
বজ্ঞিান এবং প্রযুক্তরি
অকল্যাণ দকি-কে কল্যাণে পরণিত করা যতেে পারে যরেূপ বষি-কে জটলি রােগরে ওষুধে পরণিত
করা হয়ে থাক।ে
মুসলমি মুসলিম সভ্যতার ইতহিাস
১১৮০ খৃস্টপূর্বাব্দ যদি গ্রীক
সভ্যতার গোড়াপত্তনের সমকাল ধরা হয়, তবে তার ৫৬৮ বছর পরে ৬১২
খৃস্টপূর্বাব্দে হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ্ (আঃ)-এর আর্বিভাব ঘটে। তাহলে গ্রীক
সভ্যতার প্রথম দিকে এবং ব্যবিলনীয় সভ্যতার শেষ দিকে হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ্
(আঃ)-এর অসাধারণ প্রভাবের প্রতিফলন হয়েছিল। এমন কি হযরত মুসা (আঃ)-এর লক্ষ লক্ষ
য়াহূদী সমর্থকও গ্রীক সভ্যতার নৈরাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ চাপ সৃষ্টি করে
যাচ্ছিল।
ব্যবলনীয় ও গ্রীক সভ্যতার
গোড়ার দিকটি যে দুইজন স্বনামধন্য পয়গাম্বরের আবির্ভাব প্রভাবে উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছিল, ওদের ঘোর বিরোধী জ্ঞান-বিজ্ঞান
ও ক্ষমতা উন্নত স¤্রাট ফিরাউন ও নমরূদের নাস্তিক্য ও নৈরাজ্যবাদ হয়ত বস্তÍবাদী ও নাস্তিকপন্থী গ্রীক
দার্শনিকদেরকে উদ্বুদ্ধ ও প্রভাবিত করেছিল। রোমান সভ্যতার অভ্যদয়ের সাড়ে সাত শত বছর
পর হযরত ঈসা (আঃ)-এর আবির্ভাবের পূর্ববর্তী শতক গুলোতে তৎকালীন পয়গাম্বর ও
ভাববাদীদের অসাধারণ প্রভাব প্রতিপত্তিতে উদ্বুদ্ধ ছিল। এরপর হযরত ঈসা (আঃ)-এর
আবির্ভাব রোমান সভ্যতাকে সুদূরপ্রসারী দীর্ঘস্থায়ী প্রাণসঞ্চারে সজীব করে। বর্তমান
রোমান ছাঁচে গড়া খৃস্ট সভ্যতা ও বস্তÍতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষতার অভিনয় করলেও আসলে তারা হযরত ঈসা
(যীশু) (আঃ)-এর প্রতি আনুগত্য, বিশ্বস ও প্রভাবের বাইরে যেতে পারেনি। (১০)
পয়গাম্বর ও ভাববাদীদের
অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়েই যুগে যুগে মানুষ বিশ্ব সভ্যতার জ্ঞান-ভাÐারকে সমৃদ্ধ করে এসেছে। সর্বসভ্যতাকেই
পয়গাম্বর ও ভাববাদীরা অসামান্য প্রভাবে প্রভাবিত ও অনুপ্রাণিত করেছিলেন বটে কিন্তু
একমাত্র সারাসিন সভ্যতাকেই খাস "পয়গাম্বরী সভ্যতা" বলা যায়। হযরত
মুহাম্মদ (সঃ)-এর অসামান্য প্রভাবে এ সভ্যতার জন্ম এবং এই সভ্যতাটির অবসান মুহুত
পর্যন্ত তাঁর মৌলিক নীতিমালার উপর ভিত্তি করেই টিকে ছিল। একথা জোর দিয়েই বলা যেতে
পারে যে, সারাসিন
সভ্যতার পতন ঘটেছিল শুধু হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর আদর্শ বিচ্যুতির জন্যেই। তাঁকে ও
তাঁর খলীফা চতুষ্টয়কে যদি হুবহু মুসলমানগণ অনুসরণ করত, তাহলে আজ পর্যন্ত সেই সারাসিন
ছাড়া অন্য কোন সভ্যতাই মাঝখানে এসে মাথাচাড়া দেওয়ার সুযোগ পেতো না। মানুষ মানুষে
বৈষম্যশূন্য সমমর্যাদার মর্মস্পর্শী মনুষ্যত্ব বিকাশের মাত্র ত্রিশ বছরের
স্থায়িত্বশীল সমাজ প্রতিষ্ঠার নযীর সারাসিন সভ্যতায় স্থাপিত হয়েছিল, কোন সভ্যতাই এমন নিখুঁত ও
সুনিপূর্ণ মনুষ্যত্ববাদ প্রতিষ্ঠার দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়নি।
আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেন, “নিশ্চয়ই আসমান-যমীন সৃষ্টিতে ও
দিবারাত্রির পরিবর্তনে চিন্তাশীলদের জন্য অফুরন্ত জ্ঞানের নিদর্শন রয়েছে।”
রসূল (সঃ) বলেছেন, “বিজ্ঞান মনে রাখবে মুসলমানদেরই
হারানো সম্পত্তি, যেখানেই পাও, কুড়িয়ে নাও।”
মাফাতাহিল উলুম: পৃথবিীর
প্রাচীনতম বৃহদাকার ইসলামী বিশ্বকোষ বা
এনসাইক্লোপিডিয়া
দ্বিতীয় মনসুরের পুত্র খলীফা দ্বিতীয় নুহের
মন্ত্রী আবুল ওতাব ছিলেন আবদুল্লাহ্র পৃষ্ঠপোষক। তিনি পৃথিবীর সর্বপ্রথম এবং সর্ব
প্রাচীন ‘মাফাতাহিল উলুম’
নামক এক বৃহদাকার বিশ্বকোষ
বা এনসাইক্লোপিডিয়া প্রণয়ন করেন। সূত্রঃ ১. বিজ্ঞানে মুসলমানের দান ঃ এম. আকবর আলী,
পৃষ্ঠা ১৫৭।(১০৬) তিনি পুস্তক বিক্রেতা ছিলেন। সমাজ ছিল
উচ্চস্তরের শিক্ষিত লোকের সঙ্গে। তিনি নিজেও উচ্চশিক্ষিত পÐিত ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ‘ফিহরিস্ত’ নামক একটি প্রামাণ্য ঐতিহাসিক
বিশ্বকোষ রচনা করেন।
অনারব বশ্বিে ইসলামী
জ্ঞান-বজ্ঞিান
মুসলমি শাসতি স্পনে
কর্ডোভা লাইব্রেরী
স্পেনের খলীফা আবদুর রহমানের জনকৈ পুত্র। যদিও
তিনি খলীফা ছিলেন তবু তাঁকে ‘গ্রন্থকীট’ বলা হতো। তাঁর কর্ডোভার লাইব্রেরীতে ৪ লক্ষাধিক গ্রন্থ
সংগৃহীত হয়। প্রত্যেক গ্রন্থ তিনি যতœ সহকারে পাঠ করে পার্শ্বে টীকা লিখে রাখতেন।(১০৮)
চীনা জ্ঞান-বজ্ঞিানরে ইতহিাসঃ
২৪৬ খৃস্টপূর্বাব্দে শি-হোয়াং-টি
(পযর-যড়-ধহম-ঞর) চীনের সিংহাসনে আরোহণ করেন। ২১৪ ১ খৃস্টপূর্বাব্দে চীনের
মহাপ্রাচীর নির্মানের মধ্য দিয়ে চীনা সভ্যতার নবদিগন্তের সূচনা হয়। পরবর্তী ৪শ’ বছর ধরে এই সভ্যতা
জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা ক্ষেত্রে অবদান রেখে মানব সভ্যতাকে সমৃদ্ধ করে। ২২০
খৃস্টাব্দে চীন হ্যান রাজবংশের পতনের পর পরবর্তী ৪শত বছর ব্যাপী গৃহযুদ্ধে খÐ-বিখÐ হয়ে পড়ে! কুওসিনট্যাং সরকার
পতনের পর ৭০ হাজার কমিউনে গঠিত মহাচীন আবার তার প্রাচীন সভ্যতার ঐতিহ্য গৌরবে
উদ্দীপ্ত হয়ে জেগে উঠেছে। রোমান সভ্যতা যেমন ১৩৯৬ বছর চলার পর সারা-সিনদের নিকট
বিপর্যস্ত হয়ে নয় শতাধিক বছর স্তিমিত থেকে ১৪৯২ খৃস্টাব্দের পর বর্তমান সভ্যতার
শীর্ষদেশে গৌরবোদ্দীপ্ত রয়েছে, তেমনি ২৪৬ খৃস্টপূর্বাব্দের পরবর্তী ৪৬৬ বছর পর্যন্ত বিশ্ব সভ্যতাকে চীন
সভ্যতা অজ¯্র
অবদানে সমৃদ্ধ করে, পরবর্তী শত শত বর্ষ ব্যাপী গৃহযুদ্ধ ও বহিঃশত্রæর আক্রমণে লÐ-ভÐ ও খÐ-বিখÐ বা পর্যুদস্ত হয়ে এখন
পরিস্থিতি আয়াত্তে এনে নিয়ে আবার বিশ্ব সভ্যতাকে সমৃদ্ধ করার জন্যে মাথা তুলে
দাঁড়িয়েছেন।
চীন-আরব মুসলমি আন্তঃবজ্ঞৈানকি
সর্ম্পক
মুসলিম বৈজ্ঞানিকদের একাদশ-দ্বাদশ শতাব্দীর
বিজ্ঞান পুস্তকসমূহ ক্রমান্বয়ে পরিপক্কতা লাভ করে। ফলে চীনের বীজগণিত ও
ত্রিকোনমিতি প্রভৃতিতে আরবদের সংখ্যা বিজ্ঞানের প্রতিফলন ঘটে।
১২৫৮ খৃস্টাব্দে মঙ্গোলীয় স¤্রাট মাঞো খানের নির্দেশে
হালাকু খান বাগদাদ দখল করেন। এরপর নাসিরুদ্দীন তুসীর সহায়তায় হালাকু খান মারাঘার
মানমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই মানমন্দিরে তুসীর অধীনে কয়েকজন চীনা বৈজ্ঞানিকও
কাজ করতেন। এর মধ্যে একজন হচ্ছনে কুশো চিং । ধারণা করা হয়, কুশো চিং র্কতৃক আরব অনুকরণীয়
ত্রিকোনমিতি থেকে চীনদেশ যথষ্টে প্রভাবিত হয়।
বিশ্ব সভ্যতা ও চীন
ইতিহাসে দেখা যায়, নিষ্ঠুর ও অত্যাচারী হিসাবে
পরিচিত শাসকদের মধ্যেও বহু সদÐণ বিদ্যমান ছিল। যেমন, চেঙ্গিস খান (১১৬২-১২২৭) ইয়েলিও কুৎসাই নামে একজন চীনা পÐিতকে খুবই শ্রদ্ধা করতেন এবং
এই চীনা পÐিত
তাঁর উপদেষ্টা ছিলেন। চেঙ্গিস নারী নির্যাতন ঘৃণা করতেন এবং শাসনের ক্ষেত্রে
সুবিচারক ছিলেন। ইতিহাসে নৃশংস বলে পরিচিত হালাকু খান ১২৫৮ খৃস্টাব্দে বাগদাদ নগরী
রক্তের সাগরে পরিণত করেন, জ্ঞান-বিজ্ঞানের গ্রন্থগুলোকে দজলা বা টাইগ্রীস নদীতে ডুবিয়ে দেন। সেই
হালাকু খানও ছিলেন মহাপÐিত নাসিরউদ্দীন তুসীর অন্ধ সমর্থক। জনাব তুসী যা-ই বলতেন, তিনি তাই করতেন।
জাপানী জ্ঞান-বজ্ঞিানরে ইতহিাস
চীন যমেন প্রাচীন
বজ্ঞিান-প্রযুক্তরি প্রতীক তমেনি জাপান হচ্ছে আধুনকি জ্ঞান-বজ্ঞিান-প্রযুক্তরি
প্রতীক। যদেনি থকেে জাপানীদরে মধ্যে "যুদ্ধ নয় শান্ত"ি-এই অভপ্রিায়
জাগরতি হয়ছেলি; বলা যায় সদেনি থকেইে জাপানী বজ্ঞিান প্রযুক্তরি সূচনা।
আরব( সারাসিন) জাতরি
বশ্বি বজিয়
সারাসিনরা ৭১১ খৃস্টাব্দে স্পেন অধভিুক্ত করে
পরর্বতী বছর র্অথাৎ ৭১২ খৃস্টাব্দে সিন্ধুদেশ জয় করে ভারতে প্রবেশ করে। ৭২০
খৃস্টাব্দে ষ্পেনের পূর্ণ বিজয় সমাপ্ত করে আরবরা ফ্রান্সের আলমাস লোরেন প্রদেশের
মধ্য দিয়ে ফ্রান্সের ২টি প্রদেশ অধকিার করে নেয়। ৭৬২ খৃস্টাব্দে বাগদাদ নগরী
প্রতিষ্ঠিত হয় এবং আরব রাজধানীর মর্যাদা লাভ করে। ৭৮৬ খৃস্টাব্দে বাগদাদের
হারুনুর-রশিদ আরব সা¤্রাজ্যের খলীফা হন এবং তাঁর খিলাফতকালে সারাসিন সভ্যতা ও সা¤্রাজ্য চরম বিস্তৃতি লাভ করে।
আরব অভিযাত্রীর ভারত প্রবেশ
৭১২ খৃস্টাব্দে আরব অভিযাত্রীরা ভারতে
প্রবেশের পর আর্যদের জ্ঞান-ভাÐারে যা ছিল, তা আহরণে মনোনিবেশ করেন।
এইভাবে গ্রীক, রোমান
ও পারস্য সভ্যতাগুলোর নিকট হতে অবিরত জ্ঞান আহরণের জন্যে তাঁরা বিশ্বের চারদিকে
ছড়িয়ে পড়েছিলেন।
বাগদাদের খলীফা হারুনুর-রশিদের নেতৃত্বে
সারাসিন সভ্যতা খাইবার পাস-এর স্থলপথেই ভারতে প্রবেশ করে। এই সভ্যতা চট্টগ্রামের
নৌপথেও বাংলায় প্রবেশ করার প্রমাণ আছে। ৮০৯ খৃস্টাব্দে খলীফা হারুনুর-রশিদের
মৃত্যু হয়। কিন্তু আরব সভ্যতার বিজয় অভিযান অব্যাহত থাকে।
অষ্টম শতাব্দী থেকে মুসলমানদরে
জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাধনা শুরু হয়
একথা সত্য নয় যে, আরবরা সপ্তম শতাব্দীর শুরু
থেকে অস্তিত্ব রক্ষার জন্যে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন, বিজ্ঞান সাধনায় মনোযোগ দিতে
পারেননি বরং অষ্টম শতাব্দী থেকে তাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাধনা শুরু হয়। প্রকৃতপক্ষে
ইসলাম জন্মই নিয়েছিল বিজ্ঞানের সূতিকা-গৃহে
*হেরা থেকে দারুল আরকাম আসহারে সুফফা বাগদাদ আল হামরা আল আজহার আলী গড়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আন্তজার্তিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম। মালয়েশিয়া
ইন্দোনেশিয়া *পাকিস্তান *তুরস্ক
*সৌদী আরব *কাতার *শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় *বুয়েট
*চুয়েট ।
হযরত আলী (রাঃ) মদীনাতে
অবস্থান করিয়া সাহাবাদিগকে সুশিক্ষিত করিবার উদ্দেশ্যে প্রাণপণ চেষ্টা করিতেছিলেন।
তিনি ও তাঁহার পিতৃব্য আব্বাসের পুত্র আবদুল্লাহ্ (ইবনে আব্বাস) মদীনার মসজিদে
বিজ্ঞান, দর্শন, ন্যায়শাস্ত্র, হাদীস, অলংকারশাস্ত্র ও মুসলমানদিগের
সাধারণ বিধি সম্বন্ধে বক্তৃতা প্রদান করিতে এবং অপরাপর বক্তা অন্যান্য বিষয়ে উপদেশ
দান করিতেন। যে শিক্ষা ও সভ্যতার জন্যে বাগদাদের খলীফাগণ এককালে জগতে শীর্ষস্থানীয়
ছিলেন, সেই
শিক্ষা ও সভ্যতার বীজ এই প্রকারে মদীনার মসজিদে প্রথম রোপিত হইয়া ছিল।“১
“জ্ঞান-গবেষণা আল্লাহ্র প্রশংসাস্বরূপ। জ্ঞানানুসন্ধান আল্লাহ্রই ইবাদত।
জ্ঞানদানের শিক্ষক দানের সওয়াব অর্জনের অধিকারী এবং যিনি ইহা উপযুক্ত পাত্রে অর্পণ
করেন, এটাও তার
মূল বন্দেগী। জ্ঞানী ব্যক্তিই পাপ-পূণ্য নির্ণয়ের প্রকৃত বিচারক।
ফলে জ্ঞানই বেহেশতের পথ
প্রদর্শক। মরুভূমির মধ্যে জ্ঞানই আমাদের সমাজ, বন্ধুহীন জগতে জ্ঞানই আমাদের
পরম বন্ধু, বিপদে
সে আমাদেরর রক্ষক। বন্ধু সমাজে সে আমাদের (মূল্যবান) আভরণ। জ্ঞানের সহযোগিতায়
আল্লাহ্র খাদেম (গণ) ন্যায়ের সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হন (এবং) জ্ঞান ইহকালে
(মানুষকে) রাজক্ষমতা দান করে ও পরকালে পরমানন্দের অধিকার দেয়।”১
পৃথিবীতে একমাত্র আর্য বা
ভারতীয়গণই অঙ্ক ও বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়বস্তু কবিতায় প্রকাশ করেন। বিজ্ঞানে
কাব্যপ্রীতি আর কোথাও প্রায় দেখা যায় না।
১. আরব জাতির ইতিহাস ঃ সৈয়দ আমীর আলী।
(১৮) ১. স্পিরিট অব ইসলামঃ
সৈয়দ আমীর আলী ২. বিজ্ঞানে মুসলমানের দানঃ
এম. আকবর আলী।
গণিত ও বিজ্ঞান
সৌজন্যেঃ উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ
গণিতের সার্বজনীন ভাষা ব্যবহার করে
বিজ্ঞানীরা একে অপরের সাথে ধারণার আদান-প্রদান করেন। গণিত তাই
বিজ্ঞানের ভাষা।
১৭শ শতক পর্যন্তও কেবল পাটীগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতিকে গাণিতিক শাস্ত্র হিসেবে গণ্য করা হত।
সেসময় গণিত দর্শন ও বিজ্ঞানের চেয়ে কোন পৃথক শাস্ত্র ছিল না। আধুনিক যুগে এসে
গণিত বলতে যা বোঝায়, তার গোড়াপত্তন করেন প্রাচীন
গ্রিকেরা, পরে মুসলমান বিজ্ঞানীরা এগুলি সংরক্ষণ করেন, অনেকে গবেষনা করেন এবং খ্রিস্টান
পুরোহিতেরা মধ্যযুগে এগুলি ধরে রাখেন। তবে এর সমান্তরালে ভারতে এবং চীন-জাপানেও গণিত র্চ্চা হতমধ্যযুগে ১৮শ শতকে আইজাক নিউটন ও গটফ্রিড লাইবনিৎসের ক্যালকুলাস উদ্ভাবন এবং ১৮শ শতকে অগুস্তঁ লুই কোশি ও তাঁর সমসাময়িক গণিতবিদদের উদ্ভাবিত কঠোর
গাণিতিক বিশ্লেষণ পদ্ধতিগুলির উদ্ভাবন গণিতকে একটি একক, স্বকীয় শাস্ত্রে পরিণত করে। তবে ১৯শ শতক
পর্যন্তও কেবল পদার্থবিজ্ঞানী, রসায়নবিদ ও প্রকৌশলীরাই গণিত
ব্যবহার করতেন।
ইতিহাস ও
গণিতবিশ্ব
বিখ্যাত গ্রিক গণিতবিদ পীথাগোরাস(৫৭০-৪৯৫ খ্রিষ্টপূর্ব) গণনা করা ছিল আদিমতম গাণিতিক
কর্মকাণ্ড। আদিম মানুষেরা পশু ও বাণিজ্যের হিসাব রাখতে গণনা করত। আদিম সংখ্যা
ব্যবস্থাগুলি প্রায় নিশ্চিতভাবেই ছিল এক বা দুই হাতের আঙুল ব্যবহার করে সৃষ্ট।
বর্তমানের ৫ ও ১০-ভিত্তিক সংখ্যা ব্যবস্থার
বিস্তার এরই সাক্ষ্য দেয়। মানুষ যখন সংখ্যাগুলিকে বাস্তব বস্তু থেকে পৃথক ধারণা
হিসেবে গণ্য করা শিখল এবং যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ- এই চারটি মৌলিক অপারেশন বা প্রক্রিয়া
উদ্ভাবন করল, তখনই পাটীগণিতের যাত্রা শুরু
হল। আর জ্যামিতির শুরু হয়েছিল রেখা ও বৃত্তের মত সরল ধারণাগুলি দিয়ে। গণিতের
পরবর্তী উন্নতির জন্য চলে যেতে হবে খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ অব্দে, যখন ব্যাবিলনীয় ও মিশরীয় সভ্যতা বিকাশ
লাভ করেছিল।
প্রাচীন ব্যাবিলনীয়দের গণিত
ব্যাবিলনিয়ার গণিত সম্পর্কে আমরা জানতে
পারি এই সভ্যতার নিদর্শনবাহী কাদামাটির চাঙড় থেকে, যেগুলির উপর ব্যাবিলনীয়রা কীলক আকৃতির
খোদাই করে করে লিখত। এই লেখাগুলিকে কিউনিফর্ম বলা হয়। সবচেয়ে প্রাচীন চাঙড়গুলি
খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দ সালের বলে ধারণা করা হয়। খোদাইগুলির বেশির ভাগ গণিতই ছিল
বাণিজ্য বিষয়ক। ব্যাবিলনীয়রা অর্থ ও পণ্যদ্রব্য আদানপ্রদানের জন্য পাটীগণিত ও
সরল বীজগণিত ব্যবহার করত। রাষ্ট্র, ধর্মালয় ও জনগণের মধ্যে সম্পদ কীভাবে
বন্টিত হবে তা হিসাব করতে পারত। খাল কাটা, শস্যাগার নির্মাণ ও অন্যান্য সরকারি
কাজকর্মের জন্য পাটীগণিত ও জ্যামিতির ব্যবহার হত। শস্য বপন ও ধর্মীয় ঘটনাবলির
জন্য পঞ্জিকা নির্ধারণেও গণিতের ব্যবহার ছিল।
ব্যাবিলনীয় সংখ্যা
বৃত্তকে ৩৬০টি ভাগে বা ডিগ্রীতে বিভক্ত করা এবং প্রতি ডিগ্রী ও মিনিটকে আরও ৬০টি ভাগে বিভক্ত করার
রীতি ব্যাবিলনীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান থেকে এসেছে। ব্যাবিলনীয়রাই একেক দিনকে ২৪
ঘণ্টায়, প্রতি ঘন্টাকে ৬০ মিনিট ও প্রতি মিনিটকে ৬০
সেকেন্ডে ভাগ করে। তাদের সংখ্যা ব্যবস্থা ছিল ৬০-ভিত্তিক। ১-কে একটি কীলকাকৃতি খাঁজ দিয়ে নির্দেশ করা
হত এবং এটি বারবার লিখে ৯ পর্যন্ত নির্দেশ করা হত। ১১ থেকে ৫৯ পর্যন্ত সংখ্যাগুলি
১ এবং ১০-এর জন্য ব্যবহৃত চিহ্ন ব্যবহার করে নির্দেশ
করা হত। ৬০-এর চেয়ে বড় সংখ্যার জন্য
ব্যাবিলনীয়রা একটি স্থাননির্দেশক চিহ্ন ব্যবহার করত। স্থানিক মানের এই ধারণার
উদ্ভাবন গণনাকে অনেক এগিয়ে দেয়। এর ফলে একই প্রতীক বিভিন্ন স্থানে বসিয়ে একাধিক
মান নির্দেশ করা সম্ভব হয়। ব্যাবলিনীয়দের সংখ্যা ব্যবস্থায় ভগ্নাংশওনির্দেশ করা যেত। তবে তাদের ব্যবস্থায় শূন্য ছিল না, এবং এর ফলে দ্ব্যর্থতার সৃষ্টি হয়।
প্রাচীন মিশরীয়দের গণিত
মিশরীয়রা তাদের স্তম্ভগুলিতে
হায়ারোগ্লিফের মাধ্যমে সংখ্যা অঙ্কিত করেছিল, কিন্তু মিশরীয় গণিতের আসল
নিদর্শন হল আনুমানিক ১৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের দুইটি প্যাপিরাস। এগুলিতে পাটীগণিত ও
জ্যামিতির নানা সমস্যা আছে, যার মধ্যে বাস্তব সমস্যা যেমন
নির্দিষ্ট পরিমাণ মদ তৈরির জন্য কতটুকু শস্য লাগবে, এক জাতের শস্য ব্যবহার করে মদের যে মান
পাওয়া যায়, অন্য জাতের শস্য কতটুকু কাজে
লাগিয়ে সেই একই মান পাওয়া যায়, তার সমস্যা।
মিশরীয় বেতন নির্ণয়ে, শস্যক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল ও শস্যাগারের
আয়তন নির্ণয়ে, কর নির্ণয়ে ও নির্দিষ্ট
কাঠামোর জন্য প্রয়োজনীয় ইটের সংখ্যা বের করতে গণিতকে কাজে লাগাত। এছাড়াও
পঞ্জিকা গণনাতেও তারা গণিতভিত্তিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ব্যবহার করত। পঞ্জিকার সাহায্যে
তারা ধর্মীয় ছুটির তারিখ ও নীল নদের বার্ষিক প্লাবনের সময় নির্দেশ করতে পারত।
গণিতের মৌলিক ধারণাসমূহ
অঙ্ক
ভারতীয় সংখ্যার দশটি অঙ্ক, মানের উর্ধ্বক্রমে।
গণিতে অঙ্ক হলো সংখ্যা প্রকাশক
চিহ্ন। কোনো সংখ্যায় একটি অঙ্কের দুধরণের মান থাকে, নিজস্ব মান ও স্থানীয় মান। দশমিক সংখ্যা
পদ্ধতিতে ০ থেকে শুরু করে ৯ পর্যন্ত দশটি অঙ্ক আছে। এছাড়াও রয়েছে আরো নানা ধরনের
সংখ্যা পদ্ধতি যেমনঃ বাইনারি( দুই ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি), অক্টাল ( আট ভিত্তিক), হেক্সাডেসিমাল ( ষোলো ভিত্তিক)। তবে দশমিক
সংখ্যা পদ্ধতিই বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় সংখ্যা পদ্ধতি ।
গণিতের প্রধান ক্ষেত্রসমূহ
পরিমাণ
পরিমাণ বিষয়ক গবেষণার ভিত্তি
হচ্ছে সংখ্যা। শুরুতেই আলোচিত হয় স্বাভাবিক সংখ্যা ও পূর্ণ সংখ্যা এবং এদের উপর
সম্পন্ন বিভিন্ন গাণিতিক প্রক্রিয়া বা অপারেশন আলোচিত হয় পাটীগণিতে।
পূর্নসংখ্যাগুলির গভীরতর ধর্মগুলি আলোচিত হয় সংখ্যাতত্ত্ব শাখায়। ফার্মার শেষ
উপপাদ্য এই শাখার একটি বিখ্যাত ফলাফল। এখনও সমাধান হয়নি এরকম দুইটি
সমস্যা হচ্ছে দ্বৈত মৌলিক সংখ্যা অনুমান এবং গোল্ডবাখের অনুমান।
দ্বীন-ইসলামের পথে আধুনিক
বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি
মিরাজুন্নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বৈজ্ঞানিক সত্যতা প্রমাণে
নিউট্রিনো আবিস্কারের ভূমিকা
-শেখ মুহাম্মাদ রমজান হোসেন
নিউট্রিনো কি?
(بالإنجليزية: ঘবঁঃৎরহড়)“নিউট্রিনো” (ঘবঁঃৎরহড়) হচ্ছে বৈদ্যুতিক
চার্জবিহীন দূর্বল ও সক্রিয় এক প্রকার অতি ক্ষুদ্র পারমানবিক কণা। ধারণা করা হয়,
এই ক্ষুদ্র কণা ‘অশুন্য’ (ঘড়হ-তবৎড়) ভরের কণা। ২০১১ সালের সেপ্টে¤¦র মাসে সার্ণের গবেষকরা এই
নিউট্রিনো আবিস্কারের ঘোষণা করেন। বিজ্ঞানীদের দাবীঃ আবি¯কৃত নিউট্রিনো বর্তমান
প্রচলিত সাধারণ আলোক কণা থেকে দ্রুত বেগ সম্পন্ন। উলে¬খ্য, বিজ্ঞানী পাউলি উপলদ্ধি করেন যে, ভরবেগ, শক্তি, কৌণিক ভরবেগ ইত্যাদি
নিত্যতা বজায় রাখার জন্য ইলেকট্রনের সাথে আরেকটি খুবই হালকা, আধানহীন এবং প্রায় অদৃশ্য
কণার উপ¯িহতি
প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় এই কণাটিরই নাম দেয়া হয় “নিউট্রিনো”। আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম
গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো গড়ফবষ (আদর্শ) নামের একটি তত্ত¡। এই মডেল অনুসারে মৌলিক কণাগুলো
প্রধানতঃ তিন প্রকার যথাঃ কোয়ার্ক, বোসন ও লেপটন। এর মধ্যে লেপটন দুই প্রকার যথাঃ ইলেকট্রন
ও নিউট্রিনো। নিউট্রিনোর ধারণা প্রথম বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন পরমাণুর বেটা ক্ষয়ের বিশ্নেষণ করতে গিয়ে।
নিউট্রিনো ও ইলেকট্রন প্রকৃতিতে দুই ভাইয়ের মত। তিন ধরণের ইলেকট্রনের মধ্যে রয়েছে
(১) ইলেকট্রন ইলেকট্রন (অথবা শুধুই ইলেকট্রন) (২) মিউ ইলেকট্রন (মিউয়ন) এবং (৩)
টাউ ইলেকট্রন (টাউয়ন) এবং এর প্রতিটি ইলেকট্রনের সাথে আছে একটি করে নিউট্রিনো যথাঃ
(১) ইলেকট্রন নিউট্রিনো, (২) মিউ নিউট্রিনো এবং (৩) টাউ নিউট্রিনো ।
নিউট্রিনো আবিস্কারের ইতিকথা
‘প্রজেক্ট অপেরা’ নামের এক বৈজ্ঞানিক প্রকল্পের অধীনে ইউরোপীয় পারমানবিক
গবেষণা কেন্দ্র সাড়া জাগানো নিউট্রিনো আবিস্কারের পদক্ষেপ গ্রহণ করে। নিউট্রিনো
আবিস্কারের ক্ষেত্রে গৃহীত এক পরীক্ষার প্রথম ধাপে সুইজারল্যান্ডের সিনক্রোটোন
নামের একটি ভূগর্ভ যন্ত্রে প্রোটন কণা তৈরী করে তা গ্রাফাইটের ওপর নিক্ষেপ করা হয়।
এতে প্রোটন কণাগুলি ভেঙে কিছু জটিল কণা তৈরী হয়, যেগুলি অল্প সময়ের মধ্যেই ক্ষয় হয়ে মিউয়ন এবং মিউ
নিউট্রিনো তৈরী করে। এ কণাগুলিকে তখন লোহার ওপর নিক্ষেপ করা হয়। এতে মিউয়ন
নিউট্রিনো বাদে অন্য সব কণা প্রতিফলিত বা শোষিত হয়। মিউয়ন নিউট্রিনোগুলি পৃথিবীর
মাটি-পাথর ভেদ করে চলে প্রায় ৭৫০ কিলোমিটার দূরে ইতালিতে পৌঁছায়। এই নিউট্রিনো
লোহাও ভেদ করে অনায়াসে এপার থেকে ওপারে ছুটে যেতে পারে আলোর গতির চাইতেও বেশী
গতিতে। মজার ব্যাপার হলো যে, ভরবিহীন অর্থাৎ অশুন্য ভরের অধিকারী আলোর কণাই সাধারণতঃ ভরপূর্ণ
পারমানবিক কণার চাইতে দ্রুতগামী হয়ে াকে। কিন্তু অশুন্য ভরের অধিকারী অর্থাৎ
ভরযুক্ত নিউট্রিনো যার গতিবেগ নাকি শুন্য ভরের (গধংংষবংং) আলোকেও ছাড়িয়ে গেছে। এখানেই বৈজ্ঞানিক জগতের চরম ও পরম
বিস¥য়। অপেরা
পরীক্ষণের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে, নিউট্রিনোর গতি হলো আলোর গতির ১.০০০০২৫ গুণ (০.০০২৫
শতাংশ) বেশী।
আইনস্টাইনের আলোক তত্ত¡ বনাম নিউট্রিনোঃ
আজ থেকে
শতাধকি বছর আগে প্রখ্যাত র্জামান পর্দাথ বজ্ঞিানী আলবার্ট আইনস্টাইন তাঁর
আবস্কিৃত বিখ্যাত সমীকরণ ঊ= গঈ২ (ঞযবড়ৎু
ড়ভ ঝঢ়বপরধষ জবষধঃরারঃু বা ‘বিশেষ আপেক্ষিক
তত্ত¡’) এর
আলােকে ঘােষণা করছেলিনে য,ে “আলোর চেয়ে দ্রুতগতির আর কিছু নেই”। পক্ষান্তরে ঈবহঃবৎ ভড়ৎ
ঊঁৎড়ঢ়বধহ জবংবধৎপয ড়ভ ঘঁপষবধৎং (ঈঊজঘ) এর বিজ্ঞানীরা ২০১১ সালের সেপ্টে¤বর মাসে বিশ্ববাসীর উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানকিভাবে এ মর্মে
ঘোষণা করে যে, “আলোর গতির চেয়ে ‘নিউট্রিনো’র গতি অন্ততঃ ২৫ ন্যানাে সকেন্ডে বেশি” ।
সত্যি সার্ণের গবেষণালব্ধ নিউট্রিনো আইনস্টাইনের
ঃযবড়ৎু ড়ভ ংঢ়বপরধষ ৎবষধঃরারঃু তত্ত¡কে হুমকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে, অন্যবদিকে মিরাজুন্নবী
((সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম) এর বুরাক যোগে মক্কা শরীফ মসজিদুল হারাম থেকে
মসজিদুল আক্সা তথা হতে বিশেষ সিঁড়ি (মিরাজ) যোগে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম আকাশের শেষ
সীমানা ‘সিদ্রাতুল
মুনতাহা’ তথা
হতে দ্রুতগামী রফরফ যোগে ৮ জান্নাত, আর্শে আজীম পর্যন্ত পৌঁছার পর এক রাতের মধ্যে পুনরায়
পৃথিবীতে নেমে আসার জন্য প্রয়োজন বর্তমান বিদ্যমান সাধারণ আলোর গতির চাইতেও
দ্রুততম গতি সত্বা-যা নিউট্রিনোর মাধ্যমে আমরা আশা করি, পবিত্র ইস্রা, মিরাজুন্নবী (সাল্লাল্লাহু
আ’লাইহি
ওয়াসাল¬াম)
প্রভৃতি দ¦ীন-ধর্ম
বিষয়ক ঘটনাবলীর একটা বৈজ্ঞানিক সদুত্তর পাওয়া যাবে ইন্শাআল্লাহুল্ আ'জীজ।
সার্ণের প্রথম সৃষ্টিতাত্তি¡ক গবেষণার সফল আবিস্কার নিউট্রিনোঃ
১৯০৫ সাল। জার্মানীর জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট
আইনস্টাইন তাঁর ঐতিহাসিক ও সবচেয়ে উচ্চমানের যে তত্ত¡ (ঃযবড়ৎু) বৈজ্ঞানিক জগতে উত্থাপন করে রীতিমত বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তিগত বিপ¬¬ব সাধন করেছিলেন সে তত্ত¡টিকে বলা হয় ঃযবড়ৎু ড়ভ ংঢ়বপরধষ ৎবষধঃরারঃু বা বিশেষ
আপেক্ষিক তত্ত¡। এই তত্তে¡র মূল কথা “আলোর চেয়ে দ্রুতগতরিকোন কিছু এ জগতে নেই”। এ তত্তে¡র ওপর ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে আছে পদার্থ বিজ্ঞানের অন্য সব
তত্ত¡। তাই আইনস্টাইনের ংঢ়বপরধষ ৎবষধঃরারঃু তত্তে¡র কোন প্রকার বিপদ বিপর্যয় ঘটলে বৈশ্বিক গুরুত্বর্পূর্ণ
যতসব বৈজ্ঞানিক তত্ত¡ ধসে পড়তে পারে- এ আশংকার মধ্যেই সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরের কাছে
ফ্রান্সের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র
ঈঊজঘ কর্তৃক সেপ্টেম্বর ২০১১ সালে ঘোষণা করা হয় “আলোর চেয়েও দ্রুতগতিতে চলে নিউট্রিনো কণা”। সার্ণের বিজ্ঞানীরা তিন বছর
গবেষণার পর এই তথ্য প্রকাশ করে। ফলে সার্ণের বিজ্ঞানীদের এ তথ্য হুমকির মধ্যে ফেলে
দেয় আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত¡
(ঃযবড়ৎু ড়ভ
ংঢ়বপরধষ ৎবষধঃরারঃু ) নামক বিশ্বের সবচেয়ে
বিখ্যাত সমীকরণ ঊ= গঈ ২ তত্ত¡কে। নিউট্রিনো তত্তে¡র মূল কথা মহাশূণ্যে আলোর
চেয়েও নিউট্রিনো চলে দ্রুত গতিতে। উলে¬¬খ্য, আলো প্রকৃতপক্ষে প্রতি সেকেন্ডে ১,৮৬,২৮২.৩৯৭ মাইল গতিতে চলে। নিউট্রিনো হলো একটি বৈদ্যুতিক আধান নিরপেক্ষ,
ক্ষুদ্র ও শূন্যের
কাছাকাছি ভরযুক্ত মৌলিক কণা।
নিউট্রিনো পরীক্ষার নির্ভুলতাঃ
পরীক্ষার নির্ভুলতাঃ নিউট্রিনো প্রচলিত আলোর গতিতে (প্রতি সেকেন্ডে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাইল বেগে)
ছুটে চলে¬ সুইজারল্যান্ড হতে ইতালিতে আসতে যে সময় লাগত পরীক্ষান্তে
দেখা গেছে যে, বর্তমান প্রচলিত আলোর গতির
চাইতে অন্ততঃ ৬০ ন্যানো সেকেন্ড (১ ন্যানো সেকেন্ড=১ সেকেন্ডের ১০০ কোটি ভাগের এক
ভাগ) আগে ইতালিতে নিউট্রিনো পৌঁছে গেছে। উলে-খ্য, যেকোন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার পর বিজ্ঞানীদের
প্রথম কাজই হলো, পরীক্ষাটির ভুলত্রুটি দূর করা। এ ধরণের ভুলত্রুটি দূর করার জন্য
বিজ্ঞানীরা যা করে থাকেন তা হচ্ছে একই
পরীক্ষা বার বার করা। বিভিন্ন কারণে পরীক্ষার ফলাফল অভিন্ন নাও আসতে পারে। তখন
একাধিক পরীক্ষার গড় ফলাফল হিসাব করা হয়। সেই
সাথে ভুলের আশংকাও হিসাব করা হয়। আলোচ্য অপেরা পরীক্ষায় নিউট্রিনোর গতি
পরিমাপ করা হয়েছে কয়েক বছর ব্যাপী প্রায় ১৬,০০০ (ষোল হাজার) বার। তারপরও গড় যে ফলাফল পাওয়া গেছে,
তাতে ভুলের আশংকা গণ্য
করার পরও নিউট্রিনোর গতি আলোর গতির চেয়ে বেশী প্রমাণিত হয়। এখন বাকী থাকল আসলে
পরীক্ষাটিতেই অর্ন্তনহিতি কোন ভুল আছে কিনা তা যাচাই করা। অপেরা পরীক্ষাটিতে এখন
পর্যন্ত কোন ভুল পাওয়া যায়নি। পরীক্ষকরা তাই সব তথ্য ইন্টারনেটে উন্মুক্ত করে
দিয়েছেন।
নিউট্রিনোর ইসলামী মূল্যায়নঃ
‘বুরাক’ আরবী ‘বরকুন’ শব্দ থেকে নিস্পন্ন যার অর্থ বিদ্যুৎ (ঊষবপঃৎরপ/ঈঁৎৎবহঃ)। বিদ্যুতের
অন্যতম প্রধান ধর্ম হচ্ছে দ্রুত পরিবাহিত হওয়া যার জন্য দ্রুতগতি বুঝাতে বলা হয়ে
থাকে বিদ্যুত গতি। উলে¬খ্য, প্রথমতঃ পবিত্র মেরাজুন্নবী সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম পূর্বে
পবিত্র মক্কা আল মুয়াজ্জিমা থেকে পবিত্র মসজিদুল আল আক্সা পর্যন্ত রাত্রিকালীন
মহানবী সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরিভ্রমণকে ইসলামের ইতিহাসে ‘ইস্রা’ বলা হয় । ইসরা-তে মহানবী
সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বহনকারী যানের নাম ছিল বুরাক- যা গাধার চেয়ে ছোট
আর খচ্চরের চেয়ে বড় এক অতি দ্রুতগামী বাহন। দ্বিতীয়তঃ পবিত্র মেরাজুন্নবী
সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম সংঘটিত হয়েছিল ঐ রাতের দ্বিতীয় পর্যায়ে মিরাজ বা
সিঁড়িযোগে মসজিদুল আল আকসা হতে সাত আসমানের সর্বশেষ সীমানা সিদ্রাতুল মুনতাহা এবং তৃতীয়তঃ সিদ্রাতুল মুন্তাহা হতে
রফ্রফ্ যানে ‘আরশে ‘আজীম পর্যন্ত পৌঁছা এসবই
দুনিয়াবী সাধারণ আলোর গতিতে নয় স্রেফ আল্ল¬-াহপাকের সৃষ্ট অকল্পনীয় কুদরতি গতি সম্পন্ন হয়েছে- যে
গতিতে রাণী বিলকিসের সিংহাসন চোখের পলকে বাদশাহ সোলায়মান ‘আলাইহিস্ সালামের নিকট
আল্লাহপাকের হুকুমে পৌঁছে গিয়েছিল একইভাবে আখেরাতে নেক্কার বান্দারাও আল্ল¬¬াহপাকের কুদরতি গতিতেই
মুহুর্তের মধ্যে অতি দ্রুততার সাথে পুলসিরাত পার হয়ে জান্নাত বাসী হবেন। আলোর গতির
চাইতেও যে বস্তু বা বস্তু কণার গতি যে বেশি হতে পারে সার্ণ কর্তৃক আলোর চাইতে দ্রুতগতি সম্পন্ন
বস্তু কণা নিউট্রিনো আবিস্কারে সুস্পষ্ট প্রতীয়মান এবং মিরাজসহ ইসলামের অন্যান্য
গতি বিষয়ক বিষয়াদির বৈজ্ঞানিক সত্যতা আল্লাহ পাকের মেহেরবাণীতে আবারও প্রমাণিত
হলো।
ইসলামী সৃষ্টতিত্ত্বরে পথে আধুনকি বজ্ঞিান এবং
প্রযুক্তঃি পরপ্রিক্ষেতি
হগিস-বােসন কণা আবস্কিার
-শখে মুহাম্মদ রমজান হােসনে
বসিমল্লিাহরি রহমানরি রহীম
أَوَلَمْ يَرَ الَّذِينَ كَفَرُوا أَنَّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ كَانَتَا رَتْقًا فَفَتَقْنَاهُمَا ۖ وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاءِ كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ ۖ أَفَلَا يُؤْمِنُونَ
“যারা কুফরি করে তারা কি দখেে না (১) য,ে আসমানসমূহ ও যমীন মশিে
ছলি ওতপ্রোতভাব,ে তারপর আমরা উভয়কে পৃথক করে দলিাম(২); এবং প্রাণবান সব কছিু
সৃষ্টি করলাম পানি থকেে (৩); তবুও কি তারা ঈমান আনবে না”? (সূরা আল-আম্বিয়ার ৩০নং আয়াত) মূলঃতাফসীর ইবনে কাসীর।
وَهُوَ الَّذِىۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ بِالۡحَـقِّؕ وَيَوۡمَ يَقُوۡلُ كُنۡ فَيَكُوۡنُ ؕ قَوۡلُهُ الۡحَـقُّ ؕ وَلَهُ الۡمُلۡكُ يَوۡمَ يُنۡفَخُ فِى الصُّوۡرِ ؕ عٰلِمُ الۡغَيۡبِ وَ الشَّهَادَةِ ؕ
“তিনিই সঠিকভাবে নভোমন্ডল সৃষ্টি করেছেন। যেদিন তিনি
বলবেন: হয়ে যা, অত:পর হয়ে যাবে। তাঁর কথা সত্য” (সূরা আনআ’মঃ আয়াত ৭৩) ।
ﻻ ﻴﻌﺰﺐ ﻋﻨﻪ ﻣﺜﻗﺎﻞ ﺬﺭﺓ ﻓﻰ ﺍﻠﺴﻣﻮﺖ ﻮﻻ ﻓﻰ ﺍﻻﺭﺽ ﻮﻻ ﺍﺼﻐﺭﻤﻦ ﺬﻠﻚ ﻮﻻ ﺍﻜﺑﺮﺍﻻ ﻓﻰ ﻜﺘﺐ ﻤﺑﻴﻦ
অর্থঃ “তিনি অদৃশ্য স¤¦ন্ধে পরিজ্ঞাত, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে অণু পরিমাণ কিছু কিংবা তদপেক্ষা
ক্ষুদ্র অথবা বৃহৎ কিছু যাঁর অগোচর নয়; ওর প্রত্যেকটি সুস্পষ্ট গ্রন্থে লিপিবদ্ধ।” (সূরাহ্ সাবা, আয়াতঃ ৩)।
সৃষ্টিতত্ত¦ঃ (ঈৎবধঃরংস)
দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান জীব ও জড় নির্বিশেষে সকল
সৃষ্টিজগতের সৃষ্টিকর্তা কে এবং এটি কখন এবং কিভাবে সংঘটিত হয়েছিল-এ সম্পর্কিত বিসÍারিত তাত্তি¦ক ইতিহাস-কে সৃষ্টিতত্ত¦ (ঈৎবধঃরংস) বলা হয়। এ বিষয়ে
রয়েছে একাধিক তত্ত¦ যথাঃ (ক) আস্তিক্যবাদী সৃষ্টিতত্ত¦ এবং (খ) বস্তুবাদী সৃষ্টিতত্ত¦।
(ক) আস্তিক্যবাদী
সৃষ্টি তত্ত¦ঃ
এই সৃষ্টিতত্ত¦ বিজ্ঞানমনস্ক ধর্মবিশ্বাসী সাধারণ জ্ঞানী-বিজ্ঞানীদের
ধারণা-বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত। আস্তিক্যবাদী এই সৃষ্টি তত্তে¦র নাম ‘ইমিনিশ্নিজম’ (ঊসধহরংহরংস)। ‘ইমিনিশ্নিজম’ (ঊসধহরংহরংস) মহাবিশ্বের উৎপত্তি,
সৃষ্টি ও পরিবর্তন স¤পর্কিত একটি ধারণার নাম।
ইংরেজী ‘ঊসধহধঃরড়হ’
শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ‘ঊসধহধৎব’ শব্দ থেকে যার অর্থ ঞড় ভষড়ি
ভৎড়স...ঃড় ঢ়ড়ঁৎ ভড়ঁৎঃয ড়ৎ ড়ঁঃ ড়ভ অর্থাৎ কোন উৎস হতে বয়ে আসা, প্রবাহিত বা আগত,
উৎসারিত ইত্যাদি।
ইমানিজমের ধারণা-বিশ্বাস হচ্ছে, সব সৃষ্টির, সব বস্তুর উদ্ভব হয়েছে ঋরৎংঃ জবধষরঃু বা ঋরৎংঃ চৎরহপরঢ়ষব বা চবৎভবপঃ
এড়ফ থেকে। ইমানিশনিজম হচ্ছে ঞৎধহংপবহফবহঃধষ চৎরহপরঢ়ষব অর্থাৎ অলৌকিক বা মানুষের
জ্ঞানে কুলায় না-এমন একটি বিষয় (ইবুড়হফ যঁসধহ শহড়ষিবফমব: ঝড়ঁৎপব: অ ঝঃঁফবহঃ
উরপংরড়হধৎু)। এই সৃষ্টিতত্ত¦ মতেঃ ঘড়ঃযরহম থেকে ঊাবৎুঃযরহম সৃষ্টি হয়নি বরং অত্যন্ত সূ²দর্শী প্রবল প্রতাপশালী
মহাজ্ঞানী একক সৃষ্টিকর্তাই সুপরিকল্পিত ও সুশৃঙ্খলিত এবং কঠোর নিয়মানুবর্তিতার
মধ্য দিয়ে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন।
ইসলামী সৃষ্টিতত্ত¦
আস্তিক্যবাদী সৃষ্টি তত্তে¦র অপর নাম “ইসলামী সৃষ্টিতত্ত¦”। ইসলামী সৃষ্টিতত্তে¦ মহাবিশ্বের মহান সৃষ্টিকর্তা, সৃষ্টির পূর্ব অব¯হা এবং পরের অব¯হা, পরিবর্তন এবং ধ¦ংসযজ্ঞ (কেয়ামত) ইত্যাদি স¤পর্কিত পবিত্র কুরআন ও
সহীহ্ সুন্নাহ ভিত্তিক বিশদ বিবরণ রয়েছে।
(খ) বস্তুবাদী সৃষ্টিতত্ত¦
বস্তুবাদী সৃষ্টিতত্তে¦ কেবল মহাবিশ্বের কিভাবে উৎপত্তি ঘটেছে সে সম্পর্কে
ধারণামূলক বিশ্ব সৃষ্টিতত্ত¦ রয়েছে। বস্তুবাদী সৃষ্টিতত্তে¦র অপর নাম “যান্ত্রিক বস্তুবাদ”। এ তত্ত¦ মতে, বস্তুর যান্ত্রিক ধারায় সৃষ্টির অস্তিত¦ লাভ, পরিচালনা এবং ব্যব¯হাপনা ঘটছে। অর্থাৎ যা
ঘটেছে, ঘটছে
এবং ঘটবে-সবই বস্তুর যান্ত্রিক ধারার অনিবার্য ফসল। এ ধরণের ধারণা-বিশ্বাস এক
ধরণের নিশ্চয়তাবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত। এতে যা ঘটবে তা ঘটবেই এবং যা ঘটবে না,
তা কখনই ঘটবে না। এ
ধরণের বিশ্বাস ইসলামীমতের “অপরিবর্তনশীল তকদির” এর সাথে প্রায় সাদৃশ্যপূর্ণ। তবে, ইসলামী মতে এর অনুঘটক যন্ত্র নয়; সর্বশক্তিমান আল্লাহ। তবে
এমন কছিু ঘটনা/বষিয় রয়ছেে তা পরর্বিতনশীল এবং আল্লাহপাকরে কুদরতি ইচ্ছায় এর
পরর্বিতন সাধন হয়ে থাকে অথবা এমন দােয়া-মুনাজাত রয়ছেে তা পরর্বিতনশীল তকদরিে
পরর্বিতন ঘটায়। যমেনঃ “বিসমিল্লাহিল্লাজি লা-ইয়ার্দিরু মাআশফি শাইয়্যুন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিস্
সামা-য়ি ওয়াহুয়াস সামিউল আ’লিম” (সকাল-বিকাল তিন বার করে পাঠ্য)-এই দােয়া পরবিশে-প্রতবিশে বা অবস্থার এমন পরর্বিতন ঘটায়
যা সংঘটন ছলি সময়রে ব্যাপারমাত্র।
আধুনিক বৈজ্ঞানিক সৃষ্টিতত্তে¦র ইতিকথাঃ
গ্রীক
দার্শনিক ডেমোক্রিটাস ঈসাব্দপূর্ব ৪০০ অব্দে সর্বপ্রথম পদার্থের ক্ষুদ্রতম ‘কণা’ (ধঃড়স) নিয়ে মতবাদ পোষণ করেন। ‘অ্যাটোমাস’ (ধঃড়সধং) শব্দ থেকে এটম (ধঃড়স) শব্দটির বুৎপত্তি যার অর্থ
অবিভাজ্য হড়হ ফরারফবফ । অ্যারিষ্টটলের মতে, পদার্থসমূহ নিরবচ্ছিন্ন (পড়হঃরহঁড়ঁং)। একে যতই ভাঙ্গা
হোক না কেন, পদার্থের
কণাগুলো ক্ষুদ্র হতে ক্ষুদ্রতর হতে থাকবে। বিজ্ঞানী রাদার ফোর্ড তার পরীক্ষালব্ধ
ফলাফল থেকে বলেন যে, পরমাণু হলো ধনাত্মক আধান ও ভর একটি ক্ষুদ্র জায়গায় আবদ্ধ’। তিনি এর নাম দেন ‘নিউক্লিয়াস’। প্রোটন ও ইলেকট্রন নিয়ে গঠিত হয় পরমাণু
কেন্দ্র-এই কেন্দ্রকে বলা হয় নিউক্লিয়ার্স। নিউক্লিয়ার্স এর
চার পাশে ঘুরতে থাকে পরমাণুর ইলেকট্রনগুলি।
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় পারমানবিক গবেষণা সং¯হা (সার্ণ) গত ফেব্রুয়ারী
২০১৫ মাসে হিগস-বোসন কণার চাইতেও আলোড়ন সৃষ্টিকারী ‘সুপার সিমেট্রিক’
নামক নতুন কণার অস্তি¡
খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনার
কথা ঘোষণা করে। মার্চ/২০১৫ মাসে একটি আপ-গ্রেডের পর এর মূল যন্ত্র লার্জ হাড্রন
কোলাইডার (এলএইচসি) আগের তুলনায় অধিক শক্তি নিয়ে ‘সুপার সিমেট্রিক’ এর ব্যাপারে পূর্ণোদমে কাজ শুরু করার কথা। আশা করা যায়,
‘সুপার সিমেট্রিক’
কণার অস্তত্বি সত্যকিারভাবে
সনাক্ত করা গলেে বজ্ঞিানীরা সরাসরি র্ডাক ম্যাটার সর্ম্পকে ধারণা নয়িে মহাবশ্বিরে
অজানা রহস্যাবলীর সমাধানে অনকে দূর এগয়িে যাবে ইনশাআল্লাহ। এ প্রসঙ্গে অসবৎরপধহ অংংড়পরধঃরড়হ ভড়ৎ ঃযব
অফাধহপবসবহঃ ড়ভ ঝপরবহপব টহরাবৎংরঃু ড়ভ ঈধষরভড়ৎহরধ-ইধৎশষব এর এক গবষেক জানান,
গত বংিশ শতাব্দীর শুরুতে
যমেন এন্টম্যিাটার খুঁজে পাওয়ার মতই এবারও (একবংিশ শতাব্দীত)ে ‘সুপার সিমেট্রিক’
কণার অস্তত্বি
সত্যকিারভাবে সনাক্ত করা গলেে নতুন দুনয়িা প্রত্যক্ষ করার সুযােগ ঘটতে পার।ে
মহাবিস্ফোরণ
(ইরম ইধহম) ঘটার পূর্বেকার অব¯হাঃ
ঈড়সঢ়ঁঃবৎ ংরসঁষধঃরড়হ এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা এ
সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, সর্ম্পূণ
নাই/শুন্য/নলি(ঘরষ)/জরিাে(তবৎড়) থকেে মহাবশ্বিরে মহাসৃষ্টরি সূচনার র্পূবে র্অথাৎ
মহাবিস্ফোরণ(ইরম ইধহম) ঘটার র্পূবে মহাশক্তিশালী এক প্রকার আলোক শক্তিই বদ্যিমান
ছলি-যার বজ্ঞৈানকি নামঃ “মহাসূক্ষè আলোক বিন্দু” (ঐরমযবংঃ ঊহবৎমবঃরপ জধফরধঃরড়হ) । এতেই সম্মিলিতভাবে (ঈড়সনরহবফষু) নিহিত
ছিল আজকের আসমান ও যমিন বা পৃথিবী। বিজ্ঞানীদের ধারণা, প্রায় ১৫০০ কোটি থেকে ২০০০
কোটি বৎসর পূর্বে উক্ত “মহাসূক্ষè” বিন্দুটি ১০৩ ব.ং.ধ পর্যায়ে স্থিতি লাভ করেছিল। ১৯৬৫ সালে পশ্চাৎপদ
বিকিরণ (ইধপশ এৎড়ঁহফ জধফরধঃরড়হ) আবিস্কারের ফলে বিজ্ঞান এ সত্য মানব জাতিকে অবগত
করাতে সক্ষম হয় যে, শুণ্য থেকে সৃষ্ট উক্ত ঐরমযবংঃ ঊহবৎমবঃরপ জধফরধঃরড়হ নামক মহাআলোক
গোলকটি মহাবিস্ফোরণ (ইরম ইধহম) এর পূর্বে
ত্রিমাত্রিক অব¯হায় বিরাজমান ছিল যথাঃ (১) আলো (২) শক্তি ও (৩) তাপ। এই সময় তাপমাত্রার
পরিমাণ ছিল ১০৩২ ডিগ্রি কেলভিন অর্থাৎ ১০,০০০ কোটি, কোটি, কোটি, কোটি ডিগ্রি কেলভিন।
মহাবিস্ফোরণ (নরম নধহম) ঘটার পরবর্তী মুহুর্তের অব¯হাঃ
বজ্ঞৈানকি ভাষ্যমতঃে ঐরমযবংঃ ঊহবৎমবঃরপ জধফরধঃরড়হটির
মহাবিস্ফোরণ (নরম নধহম) ঘটার পর মুহুর্তে তাপমাত্রা ১০৩০শ থেকে দ্রæত ১০২৮ তে নেমে আসে তখন (যরমযবংঃ বহবৎমবঃরপ ঢ়যড়ঃড়হ)
কণিকারা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটিয়ে পদার্থ কণিকা হিসেবে প্রথম বারের মত ‘কোয়ার্ক’ এবং এন্টি কোয়ার্ক এর জন্ম
দেয়। অতঃপর তাপমাত্রা যখন আরো নিচে নেমে ১০১৩ কেলভিনে দাঁড়ায় তখন কোয়ার্ক এবং
এন্টি কোয়ার্কের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে উভয় এর ব্যাপক ধ্বংস সাধন ঘটে এবং অবশিষ্ট
থেকে যায় কিছু কোয়ার্ক। এরপর যখন তাপমাত্রা আরো কমে গিয়ে ১০১০ কেলভিন-এ দাঁড়ায় তখন
৩টি কোয়ার্ক (১টি আপ কোয়ার্ক এবং ২টি ডাউন কোয়ার্ক) মিলিত হয়ে প্রোটন কণিকা
(চৎড়ঃড়হ চধৎঃরপষব) এবং ৩টি কোয়ার্ক(২টি আপ কোয়ার্ক এবং ১টি ডাউন কোয়ার্ক) মিলিত
হয়ে নিউট্রন কণিকা (ঘবঁঃৎড়হ চধৎঃরপষব) সৃষ্টি হতে থাকে। তারপর তাপমাত্রা যখন ১০৯
কেলভিন-এ নেমে আসে তখন পরিবেশ আরো অনুকুলে আসায় সৃষ্ট প্রোটন কণিকা ও নিউট্রন
কণিকা পরষ্পর মিলিত হয়ে প্রথমবারের মত মহাবিশ্বে এটমিক নিউক্লি গঠিত হতে থাকে।
এরপর তাপমাত্রা আরও কমে গিয়ে ১০৮ কেলভিন তখন এটমিক নিউক্লি মহাবিশ্বে বিক্ষিপ্ত
ভাবে ছুটে চলা ইলেকট্রনিক কণিকাকে (ঊষবপঃৎড়হরপ চধৎঃরপষব) চর্তুদিকের কক্ষপথে ধারণ
করে। ফল,ে
প্রথমবারের মত অণু'র (ধঃড়সং) সৃষ্টি হয়। আরও পরে যখন তাপমাত্রা ৩,০০০ কেলভিনে উপনীত হয় তখন
মহাবিশ্বের মূল সংগঠন গ্যালাক্সি (মষধীু) সৃষ্টি হতে থাকে। পরবর্তীতে এর ভেতর
নক্ষত্র, গ্রহ,
উপগ্রহ ইত্যাদি সৃষ্টি
হতে থাকে। অতঃপর তাপমাত্রা যখন আরো নিম্নগামী হয়ে মাত্র ৩ কেলভিনে নেমে আসে তখন
সার্বিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় পৃথিবীতে গাছ-পালা, জীব-জন্তু ও প্রাণের ব্যাপক সমাবেশ সমাগম ঘটতে থাকে-এই
হচ্ছে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশ্ব সৃষ্টি ও তার সংগঠনের ইতিকথা (ঐরংঃড়ৎু ড়ভ
টহরাবৎংব)। এই ছিল ২০১২ সালের ৪ঠা জুলাইয়ের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের বিশ্ব সৃষ্টিতত্ত¦
এর ইতিকথা।
সৃষ্টি তত্ত¡ বিষয়ক ঝঞঅঘউঅজউ
গঙউঊখ
পদার্থ বিদ্যার যে তত্ত¡টির সাহায্যে কোন বস্তুর ভরের ব্যাখ্যা দাঁড় করানো হয়
তাকে “ষ্ট্যান্ডার্ড
মডেল”
ংঃধহফধৎফ সড়ফবষ বলা হয়। এই ষ্ট্যান্ডার্ড মডেলটি অস্তিত¦শীল হতে হলে প্রয়োজন পড়ে
এমন এক অতি পারমাণবিক কণা যার বৈজ্ঞানিক নাম “হিগস-বোসন কণা” বা মড়ফ’ং ঢ়ধৎঃরপষব । পদার্থ বিদ্যার এই ষ্ট্যান্ডার্ড মডেল অনুসারে,
মহাবিশ্বের প্রতিটি
বস্তুর ভর সৃষ্টির প্রাথমিক ভিত্তি হচ্ছে একটি “অদৃশ্য কণা”। বস্তুর ভরের মধ্যে ভিন্নতার কারণও এই
অদৃশ্য কণাটিই।
পদার্থের ভর কিভাবে তৈরি হয় তা জানতে ১৯৬৪ সাল থেকে
শুরু হয় গবেষণা। ২০০১ সালে এসে গবেষকরা যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মিল্যাবের
"টেভাট্টন" নামক যন্ত্ররে মাধ্যমে ওই কণার খোঁজ করতে শুরু করেন। এ কণার
খোঁজে ২০০৮ সালে প্রতিযোগিতায় নামেন ঈঊজঘ এর খ্যাতনামা গবেষকরা। ২০১১ সালে ঈঊজঘ
এর বিজ্ঞানীরা এ কণার প্রাথমিক অস্তিত্ব টের পান।
ব¯ত্ত/পদার্থ এলো কি করে?
বৈজ্ঞানিক গবেষণামতে, মহাবিস্ফোরণ বা বিগ ব্যাং পরবর্তী সদ্য সৃষ্ট মহাবিশ্ব
যখন একটু শীতল হলো, তখন সেখানে সৃষ্টি হয় অদৃশ্য এক ধরণের বল (ঋড়ৎপব)-যাকে বলা হয় হিগস
ফিল্ড (ঐরমমড়ং ঋরবষফ)। হিগস ফিল্ডে তৈরী হয় অসংখ্য ক্ষুদে কণা। এই হিগস ফিল্ড দিয়ে
ছুটে যাওয়া সব কণা হিগস-বোসনের সংস্পর্শে এসে ভরপ্রাপ্ত হয়। ভরপ্রাপ্ত এই কণা-কে
বলা হয় বস্তু বা পদার্থ (গধঃঃধৎ)।
হিগস বোসন কণা কী ?
অ ংঁনধঃড়সরপ ঢ়ধৎঃরপষব পধষষবফ ঃযব “এড়ফ ঢ়ধৎঃরপষব” ড়ৎ ঐরমমং নড়ংড়হ চধৎঃরপষব.
হিগস বোসন কণা কী ? অতি পারমানবিক কণাকে হিগস-বোসন কণা বলা হয়।
হিগস-বোসন কণার তাত্তি¡ক ধারক “বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট” তত্তে¡র ইতিকথাঃ
সত্যেন্দ্রনাথ বসু, ঢাকা, বাংলাদশে ঃ স্যার জগদিশ চন্দ্র বসু যেমন বেতার যন্ত্র আবিস্কারের ¯হপতি, তেমন হিগস বোসন বা
অতিপারমানবিক কণার অ¯িতত্বের ধারণার ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ এর পদার্থ
বিজ্ঞানের শিক্ষক সত্যেন্দ্রনাথ বসু ছিলেন অন্যতম পথিকৃত এবং অপর জন হচ্ছেন
জার্মান বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনেস্টাইন। উভয়ের যৌথ গবেষণার ফলাফল-কে বলা হয় “বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট”
যার উপর ভিত্তিশীল আজকের
হিগস-বোসন বা গড''স পার্টিকেল। এ কারণে সা¤প্রতিককালের বিশ্বে সাড়া জাগানো যে গড’স পার্টিকেল বা হিগস-বোসন
কণার আবিস্কার হয়েছে তার প্রধান নামক হচ্ছে “বোসন কণা”। সত্যেন্দ্রনাথ বসু নামের শেষাংশ ‘বসু’ পরিবর্তিত নামটি হচ্ছে ‘বোসন’।
আলবার্ট আইনস্টাইন,জার্মানীঃ ১৮৭৯
সালে জার্মানীর ‘উলম’ নামক শহরে আইনেস্টাইনের জন্ম। আব্বার নাম হেরম্যান আইনেস্টাইন। কাজের
অবসর সময়ে ২৬ বছর বয়সে তিনি ¯হান, সময়, বস্তু, মহাকর্ষ ও আলো নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করতে গিয়ে ১৯০৫ সালে তিনি “সময়” (টাইম ডিলেশন) স¤পর্কে এক যুগাšতকরী প্রবন্ধ প্রকাশ করেন
যার নাম “বিশেষ
আপেক্ষিক তত্ত¡” ( ঝঢ়বপরধষ ঃযবড়ৎু ড়ভ ৎবষধঃরারঃু)। উক্ত প্রবন্ধে তিনি উলে¬¬খ করেন যে, সময় (টাইম) একেক জনের জন্য
একেক অব¯হানে
অব¯হান করে।
এর পর আরো একটি গবেষণালদ্ধ প্রবন্ধে তিনি মত প্রকাশ করেন যে, গধংং ্ ঊহবৎমু ধৎব ৎবনড়ঁহফ
ঁঢ় রিঃয ড়হব ধহড়ঃযবৎ অর্থাৎ পদার্থ এবং শক্তি পৃথক নয় বরং অভিন্ন। উলে¬খ্য, আলোর গতিতে দু’ টি বিপরীত মুখী প্রোটন বা অতি পারমাণবিক কণার মধ্যে সংঘর্ষ ঘটিয়ে
বিগব্যাং বা মহাজাগতিক বিষ্ফোরণ পরবর্তী অব¯হায় কি কি সৃষ্টি হতে পারে তা আলবার্ট আইনেস্টাইন দিব্যি
উপলদ্ধি করতেন। এ উপলদ্ধিতেই নিহিত ছিল আজকের সাড়া জাগানো আবি¯কৃত “হিগস বোসন” নামক অতিপারমানবিক কণাটি।
হিগস-বোসন কণা আবিস্কারের ইতিকথাঃ
“হিগস্-বোসন” নামক কণাটি বিজ্ঞানীদের কাছে একটি “হাই-পোসেটিক্যাল”
কণিকা হিসেবে বিবেচিত
ছিল। পদার্থ বিজ্ঞানের বিশেষ থিওরী ংঃধহফধৎফ সড়ফবষ থেকে বিজ্ঞানীরা এ কণা সম্পর্কে
সম্যক ধারণা পান। সাধারণতঃ হিগস-বোসনের ভর ১২৫ থেকে ১২৬ এবং এ কণিকার স্পিন হচ্ছে
শূণ্য। হিগস-বোসন কণাকে বলা হয় সুপার সিমেট্রিক (ংঁঢ়বৎ পবসবঃৎরপ) পদার্থ
যা-সৃষ্টির শুরুর সময়কার প্রাথমিক কণিকা।
অধ্যাপক পিটার হিগস র্কতৃক বস্তু/পর্দাথরে ভরের উৎস
সর্ম্পকে হিগস-বোসন কণার বজ্ঞৈানকি ব্যাখ্যা
হিগস-বোসনের অচিন্ত্যনীয় গুরুত্ব, ভূমিকা ও অবদান এবং এর সন্ধানে বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টা
অংশ হিসাবে ১৯৬৪ সালে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিটার হিগস বস্তু/পর্দাথরে
ভরের উৎস হিসেবে হিগস-বোসনের বজ্ঞৈানকি ব্যাখ্যা প্রদান করেন। তিনি বলেন,
আমরা একটা আঠালো ব্যাক
গ্রাউন্ড ক্ষেত্রের কথা ভাবতে পারি। কণাগুলো এর মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় ভরপ্রাপ্ত
হয়। অবশ্য এর পিছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে একটি ঘটক কণা।
যে প্রক্রিয়ায় হিগস-বোসন কণার অস্তিত্ব প্রমাণিত হলো
‘কণা’(চঅজঞওঈখঊ) সম্পর্কিত গাণিতিক মডেলের (সধঃযসধঃরপধষ সড়ফবষ) সূত্রমতে,
উচ্চ গতিতে প্রোটনের
সঙ্গে প্রোটনের আন্তঃসংঘর্ষ ঘটানো হলে বেশ কিছু মৌলিক কণা উৎপন্ন হয়। সমেত,ে ঈঊজঘ এর লার্জ হ্যাড্রন
কোলাইডার যন্ত্রে উচ্চ গতিতে প্রোটনের সঙ্গে প্রোটনের আন্তঃসংঘর্ষ ঘটয়িে বেশ কিছু
মৌলিক কণা উৎপাদন করা হয়। উৎপাদতি এই মৌলকি কণা-কে বলা হয় “হিগস্-বোসন” কণা।
উল্লেখ্য, আলোর গতিতে দু’টি বিপরীত মুখী প্রোটন বা অতি পারমাণবিক কণার মধ্যে
সংঘর্ষ ঘটিয়ে বিগব্যাং বা মহাজাগতিক বিস্ফোরণ পরবর্তী অবস্থায় কি কি সৃষ্টি হতে
পারে তা আলবার্ট আইনস্টাইন আগেই বলে যান।
হিগস-বোসন কণা'র অস্তিত্ব প্রমাণে ঈঊজঘ এর বপিুল আয়ােজন
পদার্থবিদরা বিশ্বাস করেন যে, রহস্যময় হিগস-বোসনের সঙ্গে সংঘর্ষে বিভিন্ন মাত্রার ভররে
(গধংং) জন্ম হয়। পদার্থ বিজ্ঞানের এ সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রশ্নকে সামনে রেখে ১৯৭১
সাল থেকে কণাত্বরণ যন্ত্র লার্জ হ্যাড্রন কলাইডারে বাস্তব প্রমাণের উদ্যোগ নেয়া হয়
। তবে ২০০৮ সাল থেকে এই কলাইডারের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।বিপুল
শক্তিসম্পন্ন অতি পারমাণবিক কণার জন্ম-তত্ত¡ আবিস্কার করতে ঈঊজঘ আয়োজন করেছিল বিশাল আকারের
মহাপরিকল্পনা। এই পরীক্ষা মানব ইতিহাসে শুধু গুরুত্বপূর্ণই নয়; ব্যয় বহুলও বটে। প্রাক্কলিত
ব্যয় তৎকালীন প্রায় ৫০০কোটি পাউন্ড এবং তাতে উপ¯হাপিত হয়েছে অন্ততঃ ৬০,০০০ (ষাট হাজার) ক¤িপউটার।
হিগস-বোসন কণার নর্ভিুল অস্তিত্ব
প্রমাণে ঈঊজঘ এর র্সবােচ্চ সর্তকতা
বস্তু-পর্দাথজাত বশ্বি সৃষ্টরি নর্ভিুল ও অভন্নি
রহস্য বা উৎসমূল আবস্কিাররে মহৎ লক্ষ্যে আজকিার বশ্বিরে খ্যাতনামা বজ্ঞিান ও প্রযুক্তি গবষেণা কন্দ্রে ঈঊজঘ
র্কতৃক বশ্বিরে খ্যাতনামা বিজ্ঞানীদের-কে যথাক্রমে (১) ধ ঃড়ৎড়রফধষ ষযপ ধঢ়ঢ়ধৎধঃঁং
(ধঃষধং) এবং (২) পড়সঢ়ধপঃ সঁড়হ ংড়ষবহড়রফ (পসং) নামক দু'টি দলে বভিক্ত করা হয়। সর্ম্পূণ পৃথক ব্যবস্থাপনা ও
পরচিালনায় একদল-কে জেনেভা এবং অপর দল-কে লন্ডনে নয়িােজতি করা হয়ছেলি যাতে উভয় দল
একে অপররে র্কাযক্রম সর্ম্পকে যনে বন্দিুমাত্র অবহতি না হয়। উদ্দ্যশ্যেঃ
নর্ভিুলভাবে অভন্নি ফলাফল লাভ কর।ে অবশষেে উভয় দল বশিাল দূরত্বে (জনেভো হতে লন্ডন)
অবস্থান করে কােন প্রকার পূব যােগাযােগ
ব্যতরিকেে একই সঙ্গে একই ফলাফলে উপনীত হয় এবং ঈঊজঘ র্কতৃপক্ষ ২০১২ সালের ৪ঠা জুলাই, বুধবার এক জনাকীন সংবাদ সম্মলেনে বশ্বিবাসীকে এ মমে
বজ্ঞিাপতি করে য,ে স্ট্যান্ডার্ড মডেলের স¦ীকৃত ১২তম “হিগস-বোসন নামক বহুল প্রত্যাশিত মৌলিক কণারটির সন্ধান
পাওয়া গছে।ে
ইসলামী সৃষ্টি তত্তে¡র ইতিকথাঃ
“তিনি মহান স্রষ্টা, সর্বজ্ঞ।” ( সূরাহ্ ইয়াসী-ন)
“আওয়া লাইসাল্ লাযী খ^লাক্বাস সামা-ওয়া-তি ওয়াল র্আদ্বা বিক্বা- দিরিন্”
(সূরা- ইয়া-সী-ন আয়াত:
৮১)
অর্থঃ “আমি মহাবিশ্বকে সৃষ্টি করেছি আমার শক্তি-ক্ষমতাবলে ”(সূরা আয্ যারিয়াত,
আয়াতঃ ৪৭)।
“তিনিই সঠিকভাবে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন।”
(সূরা আনআ’মঃ আয়াত ৭৩) ।
ইন্নামা-আমরুহূ-ইযা-আরা-দা শাইআন্ আইঁ ইয়াকূলা লাহু
কুন্ ফাইয়াকূন”
অর্থঃ “তিনি যখন কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন তাকে কেবল বলে দেন ‘হও’ তখনই তা হয়ে যায়”
। (সূরা ইয়া-সী-ন : আয়াত- ৮২)
“বিশ্ব বলিতে পূর্বে কিছুই ছিলনা” । (ফাওয়ায়ে সিদ্দিকীন, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠাঃ ৭৪, কুরআন হাদীস রিসার্চ সেন্টার (ফুরফুরার গবেষণা
প্রতিষ্ঠান), প্রকাশনায়ঃ ইশায়াতে ইসলাম, কুতুবখানা, মার্কাজে ইশায়াতে ইসলাম, ২/২, দারুস সালাম, মীরপুর, ঢাকা-১২১৬), প্রকাশকালঃ সাবান-১৪২০হিজরি,
নভে¤বর ১৯৯৯ ঈসায়ী) “গোটা সৃষ্টিকূলের মধ্যে আল্লাহ তাআলার কুন ফা ইয়া কুনের
তাজাল্লীই বিরাজমান” (প্রাগুক্ত পৃঃ ৩৮)।
“আসমান-যমীন, আরশ কুরসী লাওহ-কলম, গাছ পালা, বৃক্ষ লতা, এক কথায় দৃশ্যমান ও অদৃশ্য যত কিছু রয়েছে “সব কিছুই সৃষ্টি করেছেন
মহান আল্লাহ” (প্রাগুক্ত পৃঃ ৩৩)।
“আল্লাহ তায়ালা সমসÍ বস্তুকে পূর্ব উপাদান ব্যতীত সৃষ্টি করেছেন”
(প্রাগুক্ত পৃঃ ১৬২)।
(আল¬াহপাক) “বিশেষ মুছলেহাতের কারণে প্রথমে বিনা উপাদানে উপকরণে সৃষ্টি করে,
সেই সব উপাদানের মাধ্যমে
বিভিন্ন ব¯ত্ত
সৃষ্টি করার ব্যব¯হা চালু করেছেন”(সূত্রঃ ফাতাওয়ায়ে সিদ্দিকীন, ১-৪ খন্ড, পৃষ্ঠা ১৬৩)।
উল্লেখ্য, এক সময় কেবলই আল¬াহ (ﺎﻠﻠﻪ ) আর আল¬াহ-ই ¬¬ছিলেন। মহান আল¬াহ ব্যতিত সৃষ্টি (ﻣﺨﻟﻖ) সত্বার কোন অস্তিত্ব কখনই ছিল না। কোন এক
মহাসন্ধিক্ষণে আল¬াহপাক তাঁর
কুদরতি এক মহাপরিকল্পনার (গধংঃবৎ চষধহ) অধীনে ‘কুন’ হয়ে যাও‘’- এই কুদরতি আদেশ বা হুকুমবলে স¤পূর্ণ ‘নাই’ (ঘরষ/তবৎড়) থেকে কোন প্রকার জাগতিক তত্ত¡, সূত্র, আইন-কানুন, বিধি-বিধান থেকে স¤পূর্ণ পুতঃপবিত্র (সুবহান)
এবং অনির্ভরশীল(স¦মাদ) হয়ে সৃষ্টি করলেন এক মহাসৃষ্টি সত্বা (এৎবধঃ ঈৎবধঃরড়হ বা ﻣﺨﻟﻖ)-যাতে সম্মিলিতভাবে
(ঈড়সনরহফষু) নিহিত ছিল আকাশ/মহাকাশ[(ﺍﻠﺴﺎﻮﺍﺕ)(ঝশু)] ও জমিন [ﻼﻠﺭﺽ (ঊধৎঃয)
(পৃথিবী) ] আবার কোন এক বিশেষ মুহুর্তে তা পৃথক করে আজকের
আসমান ও জমিন-এই দু’টি পৃথক সত¦া সৃষ্টি করেছেন। এ প্রসঙ্গে আল¬াহ পাক আল কোরআনের সূরা আল-আম্বিয়ার ৩০নং আয়াতে ফরমান,
“কাফেররা কি ভেবে দেখে
না যে, আকাশ
মন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অত:পর আমি উভয়কে খুলে দিলাম”। (সূরা আল-আম্বিয়ার ৩০নং আয়াত)। এই পৃথকীকরণের মুহুর্তটিকেই খুব সম্ভবতঃ
বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় বলা হচ্ছে ‘মহাবিস্ফোরণ’ (ইরম ইধহম)। উলে¬খ্য যে, মহাবিস্ফোরণের পর আকাশমন্ডলীর এ অবস্থাকে সূরা
হা-মিম-আস্- সিজদা’র ১১নং আয়াতে ‘দুখান’ নামে অভিহিত করে আল¬াহ পাক ফরমান: “অতঃপর তিনি আসমানের দিকে মনোনিবেশ করলেন, যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ।” (পবিত্র কোরআনুল করীমঃ তফসীর মাআরেফুল ক্বোরআন,
পৃষ্ঠাঃ ১২৯৪)। উক্ত
আয়াতের ব্যাখ্যা নিম্নরূপ :
(১) বয়ানুল
কোরআনে হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহঃ) বলেনঃ আমার মনে হয় যে, প্রথমে পৃথিবীর উপকরণ সৃজিত
হয়েছে। এমতাব¯হায় ধুম্রকুেঞ্জর আকারে আকাশের উপকরণ নির্মিত হয়েছে। এরপর পৃথিবীকে
বর্তমান আকারে বিস্তৃত করা হয়েছে এবং এতে পর্বতমালা, বৃক্ষ ইত্যাদি সৃষ্টি করা
হয়েছে। এরপর আকাশের তরল ধুম্রকুেঞ্জর উপকরণকে সপ্ত আকাশে পরিণত করা হয়েছে। (পবিত্র
কোরআনুল করীমঃ তফসীর মাআরেফুল ক্বোরআন, পৃষ্ঠাঃ ১১৯৯-১২০০)
(২)কুরআনের মতে,
বিশ্ব জগৎ আদিতে ছিল
একটি বিশালকার একক পিন্ডাকৃতির বস্তু-সু²াতি সু² অণু পরমাণু বিশিষ্ট গোলক-যাকে দুখান বলা হয়েছে। এই দুখান হলো ¯তর বিশিষ্ট এমন এক গ্যাস
জাতীয় পদার্থ যা স্থিরভাবে ঝুলানো এবং যার মধ্যে সু²াতিসু² অণু কণা উচ্চতর বা নিম্নতর
চাপের দরুণ কখনও কঠিন, এমনকি কখনও বা তরল অবস্থায় বিদ্যমান ..........। মহাকালের বিভিন্ন
পর্যায়ে সেই মহাপিন্ডটি খন্ড বিখন্ড হয়ে তৈরী হয়েছে এক একটি নীহারিকা বা ছায়াপথ
এবং সেই সব ছায়াপথ সূর্যের মত কোটি কোটি নক্ষত্র নিয়ে একটা একটা পৃথক জগৎ রূপে
মহাশূণ্যে সঞ্চারমান। আদি গ্যাসীয় পিন্ডের খন্ড বিখন্ড হয়ে পড়া বিশালকার টুকরাগুলি
কালক্রমে আবার একীভুত হয়ে সূর্যের মত এক একটি নক্ষত্র সৃষ্টি করেছে ...... বিজ্ঞান
বলছে, বিশ্ব
সৃষ্টির আদিতে ছিল ‘নীহারিকা’ বা ‘নেবুলা’ যা মূলতঃ গ্যাসীয় ধুম্রপিন্ড এর অনুরূপ। কুরআনও বলছে, বিশ্ব সৃষ্টির আদি পর্যায়ে
ছিল একটি একীভুত ধুম্রকুন্ডলী। দেখা যাচ্ছে, বিশ্ব সৃষ্টি সম্পর্কে কুরআনের বক্তব্য বিজ্ঞানের
আবিস্কৃত তথ্যের সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ।” {সূত্র: কম্পিউটার ও আল-কুরআন, পৃষ্ঠা ৫৯ ও ৬০ : ডাঃ
খন্দকার আবদুল মান্নান, এম.বি.বি.এস (ঢাকা), কুরআন-হাদিস রিসার্চ সেন্টার(ফুরফুরা দরবারের গবেষণা প্রতিষ্ঠান),
ইশায়াতে ইসলাম কুতুবখানা,
দারুস সালাম,
মীরপুর, ঢাকা-১২১৬}
ইসলাম ও পরমাণূবাদ
ﻻ ﻴﻌﺰﺐ ﻋﻨﻪ ﻣﺜﻗﺎﻞ ﺬﺭﺓ ﻓﻰ ﺍﻠﺴﻣﻮﺖ ﻮﻻ ﻓﻰ ﺍﻻﺭﺽ ﻮﻻ ﺍﺼﻐﺭﻤﻦ ﺬﻠﻚ ﻮﻻ ﺍﻜﺑﺮﺍﻻ ﻓﻰ ﻜﺘﺐ ﻤﺑﻴﻦ অর্থঃ “তিনি অদৃশ্য স¤¦ন্ধে পরিজ্ঞাত, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে অণু পরিমাণ কিছু
কিংবা তদপেক্ষা ক্ষুদ্র অথবা বৃহৎ কিছু যাঁর অগোচর নয়; ওর প্রত্যেকটি সুস্পষ্ট গ্রন্থে লিপিবদ্ধ।” (সূরাহ্ সাবা, আয়াতঃ ৩)।
“কুরআনের মতে, বিশ্ব জগৎ আদিতে ছিল একটি বিশালকার একক পিন্ডাকৃতির
বস্তু-সু²াতি
সু² অণু
পরমাণু বিশিষ্ট গোলক।” (সূত্র: কম্পিউটার ও
আল-কুরআন, কুরআন-হাদিস
রিসার্চ সেন্টার, ইশায়াতে ইসলাম কুতুবখানা, দারুস্ সালাম, ঢাকা)।
“বিশ্ব সৃষ্টি স¤পর্কে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীগণ পরমাণুবাদের সমর্থক”
(সূত্রঃ আহলে সুন্নাত
ওয়াল জামায়াতের আকিদাঃ ফতেহ্ আলী মোহাম¥দ আয়াতুল¬াহ্ সিদ্দিকী আল্ কোরাইশী, নেদায়ে ইসলাম, বর্ষঃ ৭৩, সংখ্যা-৬, মহররম-সফর ১৪৩৫ হিঃ ডিসে¤বর-২০১৩, পৃষ্ঠা-৪০)।
এবার
সুপারসিমেট্রিক কণা!
আশা করা হচ্ছে, সুপার সিমেট্রিক কণা সত্যিকারভাবে সনাক্ত করা গেলে
বিজ্ঞানীরা সরাসরি ডার্ক ম্যাটার স¤পর্কে ধারণা নিয়ে মহাবিশ্বের অজানা রহস্যগুলির সমাধানে
গবেষকরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে সক্ষম হবেন। অসবৎরপধহ অংংড়পরধঃরড়হ ভড়ৎ ঃযব
অফাধহপবসবহঃ ড়ভ ঝপরবহপব, টহরাবৎংরঃু ড়ভ ঈধষরভড়ৎহরধ-ইধৎশষব এর এক গবেষক জানান, গত শতাব্দীর শুরুতে
এন্টিম্যাটার খুঁজে পাওয়ার মতো তারা নতুন এক দুনিয়া পেতে যাচ্ছেন। আর তা পেতে পারে
হিগস-বোসন কণার চাইতেও চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী
সুপার সিমেট্রিক ম্যাটার আবিস্কারের মধ্য দিয়ে। আমাদের আ¯হা ও বিশ্বাস, বর্তমান প্রচলিত আধুনিক
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাকে ঝপযড়ড়ষ ঞযড়ঁমযঃ ড়ভ ঝপরবহপব বলা হয়ে থাকে তদ¯হলে প্রবেশ করতে হবে কথিত
নতুন যে দুনিয়ার কথা বলা হচ্ছে তা আসলে ঋৎড়হঃববৎ ঝপরবহপব ব্যতিত আর কিছু নয়।
এবার গবেষণা হোক কবর জিন্দেগীর অজানা কথা!
প্রতিটি
প্রাণীকে মৃত্যুর স¦াদ গ্রহণ করতে
হবে-এ হচ্ছে আল্লাহ পাকের সৃষ্টি তত্তে¡র চিরন্তন বিধান। এতে অবিশ্বাসীরাও বিশ্বাস করে থাকে
শুধু তা-ই নয়; বাপ-দাদার মতো তারাও মৃত্যুর স¦াদ গ্রহণ করে প্রমাণ করে থাকে এর সত্যতা। এতকাল এতদিন
মাটির উপরের যতসব গবেষণা। এতে আসমান জমিনের আগে কি ছিল তারও হদিস বিজ্ঞানীরা লাভ
করেছেন। এর আগে কে ছিলেন-শুধু এইটুকুন জানলেও মানবজাতির সত্য থেকে সত্যান্তর
পেরিয়ে মহাসত্যে পৌঁছার প্রাণান্তকর প্রয়াস প্রচেষ্টার চির অবসান স¤ভব হবে। এর পর জরুরী হচ্ছে,
মাটির নীচের জিন্দেগীর
অব¯হা
সম্পর্কে গবেষণা।অবশ্য, বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে নতুন দুনিয়ার নতুন সংবাদ এর ঘোষণা
দিয়েছে ফ্রন্টিয়ার সায়েন্সের নামে। আশা করি, এতে মৃত্যুর পর আখেরী জিন্দেগীর অর্থাৎ কবর জিন্দেগীর স¦রূপ সম্পর্কে
চিন্তা-গবেষণার সূচনা ঘটবে যাতে কবর¯হ ব্যক্তির চল্লিশ কদম অন্তের জীবনের সূচনার স¦রূপ কি? তাদের নিকট কারা আগন্তÍুক হয়ে আসে, তাদের জীবনকাল কার কেমন?
সৎ ব্যক্তির জীবনকাল আর
অসৎ ব্যক্তির জীবনকাল কেমন? আত্মীয়স¦জনের দোয়া-দরুদ, দান সদকার প্রভাব মৃত ব্যক্তির কবর জিন্দেগীতে এর প্রভাব কেমন?
এ ধরনের প্রশ্নের জন্য
কবর জিন্দেগীর বৈজ্ঞানিক মোরাকাবা জরুরী। জীবৎকালে পানেজগানা নামাযে আয়াতুল কুরছি
পাঠকারীর কবরের জিন্দেগী কেমন? এসব প্রশ্নের বৈজ্ঞানিক গবেষণা উচিত।
কিন্তু বিশ্বাস করতে চায় না-মৃত্যুর পর আবার জীবিত
হওয়ার আকিদা-বিশ্বাস। অবিশ্বাসীরা এ প্রসঙ্গে যা বলে তা এবং তার উত্তর আল্লাহপাক স¦য়ং তাঁর কালামুল্লাহ শরীফে অতি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন
এই বলেঃ
“সে বলে, কে জীবিত করবে অ¯িহসমূহকে যখন সেগুলো পঁচে গলে যাবে? বলুন; যিনি প্রথমবার সেগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই জীবিত করবেন। তিনি
সর্ব প্রকার সৃষ্টি স¤পর্কে সম্যক অবগত”। (সূরাহ্ ইয়া-সী-ন, আয়াত ৭৮-৭৯)
“এ মাটি থেকেই আমি তোমাদের সৃজন করেছি, এতেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দিব এবং পুনরায় এ থেকেই আমি
তোমাদেরকে উত্থিত করব।”। (সূরা ত্বহা, আয়াত-৫৫)
“মানুষ কি মনে করে যে, আমি তার অ¯িহসমূহ একত্রিত করবো না? পরšত্ত আমি তার আংগুলগুলো পর্যন্ত সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করতে সক্ষম। ”। (সূরাহ্ আল ক্বেয়ামাহ্-আয়াত-৩-৪)
“এবং এ কারণে যে, কেয়ামত অবশ্যম্ভাবী, এতে সন্দেহ নেই এবং এ কারণে যে, কবরে যারা আছে, আল্লাহ তাদেরকে পুনরুত্থিত করবেন।”। (সূরা হাজ্জ, আয়াত-০৭ঃ পবিত্র কোরআনুল করীম, মূলঃ তাফসীর মাআরেফুল
ক্বোরআন)
“মানুষের দেহের সবকিছু জরাজীর্ণ হয়ে যাবে। কিন্তু নিত¤েবর শেষ হাড় (ত্রিকোণা¯িহ) নষ্ট হয় না। মানুষকে
তার সাথে বিন্যাস করা হবে। এরপর আল¬াহ বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। ফলে মানুষ উদ্ভিদের মতো গজিয়ে
উঠবে”। (বুখারী, মুসলিম-রিয়াদুস্ সালেহীন, হাদিস নং- ১৮৩৬,
৪র্থ খন্ড)
লক্ষ্যনীয় যে, শত শত বছরের
পুরাতন কবরে খালি চোখে কখনও শত শত বছর পূর্বেকার মৃতদেহের কোন প্রকার চিহ্ন থাকার
কথা নয়-এমনকি শক্তিশালী অণুবিক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যেও যা দেখা বা উপলদ্ধিকর
নয় বরং অঙ্গÐপ্রত্যঙ্গের সব কিছু মাটিতে
একাকার হয়ে যাওয়ারই কথা। এমনতর অব¯হাতেও যে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র, সু²াতি সু² মানব দেহের অতি পারমানবিক
কণার অসিÍত্ব
থাকার ঘোষণা রয়েছে পবিত্র হাদিসে বর্ণিত আলোচ্য “উস্ উস” শব্দে।
হযরত আবু
হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আ‘নহু থেকে বর্ণিত
মহানবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আদম সšতানের শরীরে এমন একটি অ¯িহ আছে যেটি মাটিতে কখনো মিশে যাবে না। (প্রশ্ন করা হলো)
হে আল¬াহর
রসূল! এটি কী ? তিনি বললেনঃ এটি হলো উস্উস্ (অ¯িহ)। (বুখারী, আল নাসায়ী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মুসনাদ এবং মুয়াত্তা)।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, নিত¤েবর এই হাঁড়টিকে ইংরেজীতে
বলে ঈড়পপুী এবং আরবীতে উস্উস্ এবং বাংলায় অ¯িহ (ত্রিকোণা¯িহ) বলা হয়। নার্ভাস সিস্টেমের প্রাšত ধারক হিসাবেঅ¯িহ বা ত্রিকোণা¯িহর গুরুত্ব রয়েছে,
এখানে যে প্লেয়াক্স রয়েছে তাকে বলা হয় “মূলাধার"। ভবিষ্যতের শরীর-বিজ্ঞান আবি¯কার করবে এর উপযোগিতার আরো
তথ্য (সূত্রঃ বিজ্ঞান, সনাতন ধর্ম, বিশ্বসভ্যতা-৪র্থ অধ্যায়ঃ গোবর্দ্ধন গোপালদাস, ভারত, সূত্রঃ সাপ্তাহিক সোনার
বাংলা)।
উল্লেখ্য, পরীক্ষান্তে
দেখা যায় যে, ডি¤বকোষের সাথে শুক্রকীটের নিষিক্ত হওয়ার ২ সপ্তাহ পরে উস্উস্ নামক শক্ত
হাড়ের জন্ম হয় ৩য় সপ্তাহেরের পর এই হাড় থেকে একটি ল¤বা দন্ড তৈরী হয় তা
পরবর্তীতে মেরুদন্ডের হাড় তৈরী করে এবং ধীরে ধরে পূর্ণাঙ্গ মানব দেহ তৈরী হতে
থাকে। ১৫ দিবসে ভ্রæণের পৃষ্ঠদেশে এর প্রাথমিক গুণাগুণ বা ধর্ম পরিলক্ষিত হয় একটি
নির্দিষ্ট প্রাšেত যার নাম প্রাথমিক সংযোগ¯হল। যেদিকে প্রাথমিক গুণাগুণ/ধর্ম প্রকাশিত হয় তাকে বলা
হয় ভ্রণের পৃষ্ঠদেশ। প্রাথমিক গুণাগুণ এবং সংযোগ¯হল থেকে যে সকল ভ্রæণ কোষ এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিম্নলিখিতভাবে গঠিত হয়ঃ
(১)
ঊপঃড়ফবৎস (ভ্রæণের বহিরাবরণ) ঃ কেন্দ্রীয় পেশী ও চর্ম দ্বারা গঠিত।
(২) গবংড়ফবৎস (ভ্রæণের মধ্যকরণ)ঃ পাচনতন্ত্র
গঠনে মন্থন পেশী, কংকালতন্ত্রের পেশী, সংবহনতন্ত্র, হৃদযন্ত্র, অ¯িহ, প্রজনন এবং মূত্রতন্ত্র গঠন(মূত্রাশয় ব্যতিত), ত্বকনিম্ন¯হ কোষ, নাসিকাতন্ত্র, প¬ীহা এবং মূত্রগ্রন্থি এ
পর্যায়ে গঠিত হয়।
প্রাথমিক
গুণাগুণ এবং সংযোগ¯হল থেকে ভ্রæণ গঠিত হওয়ার পর সেগুলি
মেরুদন্ডের সর্বশেষ (অ¯িহতে অব¯হান করে এবং তাদের বৈশিষ্ট্যসমূহ ধারণ করে। সুতরাং, ত্রিকোণা¯িহ ধারণ করে মূল কোষসমূহ এবং যা মহানবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
বর্ণিত উস্উস্ থেকে কিয়ামতে মানবজাতির পুনরুত্থান স¤পর্কে প্রমাণ বহন করে।
ঈড়পপুী থেকে মানব জাতিকে পুনরায় সৃষ্টি করা সম্ভব যা প্রাথমিক গুণাগুণ/বৈশিষ্ট্য
ধারণ করে। তাই ঈড়পপুী ক্ষয়প্রাপ্ত হতে পারে না।
(৩) ঊহফড়ফবৎস (অšতঃত্বক)ঃ পাচনতন্ত্রের সীমারেখা, শ্বসনতন্ত্র, পাচনতন্ত্র স¤পর্কিত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ (যকৃত ও অগ্ন্যাশয় ব্যতীত), মূত্রাশয়, স¦রতন্ত্র ইত্যাদি এ পর্যায়ে
গঠিত হয়। তারপর প্রাথমিক গুণাগুণ/ধর্ম এবং সংযোগ¯হল নিত¤েবর ত্রিকোণাকার অ¯িহ এলাকায় অব¯হান করে মেরুদন্ডের শেষে যাতে ঈড়পপুী গঠিত হয়। ঈড়পপুীযে সকল মানব কোষের মূলে কোষ বহন করে,
ভ্রæণ গঠনপ্রণালী তার একটি
প্রমাণ।
গবেষকরা
লক্ষ্য করেছেন যে, ভ্রæণকোষ গঠন এবং উৎপত্তি প্রাথমিক গুণাগুণ এবং সংযোগ¯হল দ্বারা প্রভাবিত হয়এবং
এগুলি গঠনের পূর্বে কোন কোষ (সেল) বিভাজিত হতে পারে না। যে সব গবেষকরা এটা প্রমাণ করেছেন তাঁদের অন্যতম একজন
হলেন জার্মান বিজ্ঞানী হ্যান্স স্পিম্যান। প্রাথমিক গুণাগুণ এবং সংযোগ¯হল এর ওপর
পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি দেখলেন যে, এগুলিই হচ্ছে ভ্রæণ গঠনকারী মৌলিক
উপাদান। তাই তিনি এদের নাম দিলেন প্রাইমারী সংগঠক । ১৯৩১ সালে হ্যান্স
স্পিম্যান প্রাথমিক সংগঠনটি চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলেন ১৯৩৩ সালে এটিকে সিদ্ধ
(বয়েলড) করে দেখলেন এতে কোষের কোনরূপ ক্ষতি হলো না বরং এ থেকে ২য় ভ্রæণ জন্মালো। ১৯৩৫ সালে
হ্যান্স স্পিম্যান প্রাথমিক সংগঠক আবিস্কারের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
উল্লেখ্য, ডঃ ওসমান আল
জিলানী এবং শেখ আবদ-আল মাজিদ আজানদানি ১৪২৩ সালের মাহে রমাদানে ঈড়পপুী এর ওপর
গবেষণা চালান শেখ সাহেবের বাড়িতে বসে। ৫টি ঈড়পপুী অ¯িহর ২টির মধ্যে ১টি
মেরুদন্ডের অ¯িহ ১০ মিনিট ধরে একটি পাথরের ওপর গ্যাসের সাহায্যে পোড়ানো হলে সেগুলি
উপ্তপ্ত লোহা যেরূপ লাল বর্ণ লাভ করে তেমনি অ¯িহগুলি প্রথমে লাল বর্ণ ধারণ করে পরে শীতল হয়ে কালো
বর্ণ-এ অর্থাৎ কয়লায় পরিণত হলে ঐ অ¯িহর কয়লাগুলিকে জীবাণুমুক্ত বক্সের মধ্যে পুরে সানার
সবচেয়ে বিখ্যাত খধনড়ৎধঃড়ৎু-অষ ঙষধশর খধনড়ৎধঃড়ৎু-তে নিয়ে গেলে সানা বিশ্ববিদ্যালয়ের
ঐরংঃড়ষড়মু ও চধঃযড়ষড়মু তত্তের অধ্যাপক। তিনি ভসি¥ভূত অ¯িহগুলি বিশে¬ষণ করে দেখলেন যে, আগুনে অ¯িহকোষগুলি বড় ধরনের প্রভাবে পড়েনি অর্থাৎ কেবল ¯হূল কোষগুলি পুড়ে গেলেও
ঈড়পপুী (উস্উস্ বা শক্ত হাঁড়) জীবšত রয়েছে । (সুব্হানাল¬াাহি ওয়াবিহাম্দিহি সুব্হানাল¬াহিল্ আ’জীম)।
প্রশ্ন: মোবাইলে ইসলামী পোস্ট
শেয়ার করলে সওয়াব পাওয়া যাবে কি? এ ধারণা কতটুকু
সত্যি?
আবিদা সুলতানা
ইমেইল থেকে
প্রকাশের সময় : ২০ নভেম্বর, ২০১৯, ৭:৪২ পিএম
উত্তর: মোবাইলে ইসলামী পোস্ট দেওয়া বা
শেয়ার করা যদি মানুষকে ইসলাম সম্পর্কে জানানোর উদ্দেশ্যে হয়, তাহলে এতে নেকী পাওয়া যাবে। তবে শর্ত হলো, এতে কোনো নাজায়েজ বিষয়ের মিশ্রণ থাকতে
পারবে না। নিছক দীন প্রচারের উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার উলামায়ে
কেরাম জায়েজ বলেছেন। আইটি ইসলামের খেদমতে ব্যবহার করা অবশ্যই নেকীর কাজ।
সূত্র: জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফতওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি আল্লামা উবায়দুর
রহমান খান নদভী।
আল্লাহ হাফিজ
সমাপ্ত
সম্পাদনায়ঃ শেখ মুহাম্মাদ রমজান হোসেন
প্রকাশনায়ঃ....................................
দ্য
সেন্টার ফর প্যান ইসলামিক সায়েন্স এন্ড টেক রিসার্চ
The Centre For Pan
Islamic Science & Tech Research
(A Sister Organization of Islamic Research for Reviving Science & Tech
Center)
web:https://cpistr1440.blogspot.com
North
Mugultooly by Lane
P.O. Bandar, P.S: Sadarghat
Post Code:
4100, Chattogram(Chittagong)
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে
ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি :
আপডেট,
তাং-১২-১১-১৯, সময়ঃ সন্ধ্যা ৭টাঃ১৫ মিঃ
গবেষণা এবং আল কুরআন
চিন্তা-ভাবনা-গবেষণার
প্রতি উৎসাহিত করে মহান আল্লাহ তায়া'লা পবিত্র
কুরআনে ফরমান:
كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ لِيَدَّبَّرُوا آيَاتِهِ
“আমি আপনার
নিকট বরকতময় কিতাব (আল কুরআন) নাযিল করেছি, যাতে করে
তার আয়াতসমূহ নিয়ে তারা গবেষণা করে।” (সূরাহ ছা-দ: ২৯)
أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِنْدِ غَيْرِ اللَّهِ لَوَجَدُوا فِيهِ اخْتِلَافًا كَثِيرًا
“তারা কি
কুরআন সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে
না? উহা যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নিকট হতে
আসত তবে তারা তাতে অনেক মতপার্থক্য পেত।” (নিসা- ৮২)
আল কোরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণার গুরুত্ব
أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ أَمْ عَلَى قُلُوبٍ أَقْفَالُهَا
“তারা কি
কুরআন নিয়ে গবেষণা করে না? নাকি
তাদের অন্তরে তালা মেরে দেয়া হয়েছে?” (সূরা
মুহাম্মাদ- ২৪)
‘তারা কি
ভূপৃষ্ঠে ভ্রমণ করে না, যাতে তারা
জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন হৃদয় ও শ্রুতিসম্পন্ন শ্রবণের অধিকারী হতে পারে! বস্তুত চক্ষু
তো অন্ধ নয়, বরং অন্ধ
হচ্ছে তাদের হৃদয়।’ (সূরা হজ :
৪৬)
‘তবে কি তারা
লক্ষ্য করে না উটের প্রতি, কীভাবে তা
সৃষ্টি করা হয়েছে এবং আকাশের প্রতি, কীভাবে তাকে
উঁচু করা হয়েছে এবং পাহাড়সমূহের প্রতি, কীভাবে তাকে
প্রথিত করা হয়েছে এবং ভূমির প্রতি, কীভাবে তা
বিছানো হয়েছে’। (সূরা গাশিয়া ১৭-২০)
‘নিশ্চয়ই
মহাকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টিতে এবং দিবা-রাত্রির আবর্তনের মধ্যে বোধসম্পন্ন লোকদের জন্য
নিদর্শন রয়েছে। যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শায়িত
অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং মহাকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টির বিষয়ে চিন্তা-গবেষণা করে
এবং বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! এ সবকিছু তুমি অনর্থক
সৃষ্টি করনি। সব পবিত্রতা একমাত্র তোমারই। আমাদের তুমি দোজখের শাস্তি হতে বাঁচাও।
(সূরা আল-ইমরান ১৯০-৯১)
"ওয়াতিলকাল
আমচালু নাদ্বরিবুহা-লিন্নাসি
লায়া'ল্লাহুম ইয়াতাফাক্কারু—ন"।
অর্থঃ "মানুষের জন্য আমি এসব
দৃষ্টান্ত এ জন্য বর্ণনা করি, যাতে তারা চিন্তা করে"।
ইসলামের সত্যতা নিরূপণে এবং
ঈমানের পরিপক্বতা অর্জনে পবিত্র কোরআন নিয়ে অব্যাহত চিন্তাভাবনা-গবেষণার বিকল্প
নেই। আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা কোরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করার জন্য মানবকুলকে
আহ্বান জানিয়েছেন।
ঙ) ইবনু আব্বাস (রা:) এর জন্য রাসূলুল্লাহ
(ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দুআ:
اللهم فقه في الدين وعلمه التأويل(( (رواه أحمد و ابن أبي شيبة وابن سعد والحاكم والطبراني في الكبير
“হে আল্লাহ
তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান কর এবং তা’বীল তথা
কুরআনের তাফসীর শিক্ষা দান কর।” (আহমাদ, ইবনু আবী শায়বাহ,ইবনু সা’দ,হাকেম ও ত্বাবরানী কাবীর গ্রন্থে।)
গবেষণা ও
চিন্তাচর্চায় আল কোরআনের অনুপ্রেরণা
সূরা আনফালে
বলা হয়েছে: ‘আর তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না,যারা বলে যে, আমরা শুনেছি,অথচ তারা শোনে না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলার নিকট সমস্ত প্রাণীর তুলনায় তারাই মূক
ও বধির,যারা উপলব্ধি করে না।’(সূরা আনফাল : ২১, ২২)
:‘বল, অন্ধ ও
চক্ষুষ্মান কি সমান? (সূরা : আনআম
: ৫০ )
আল্লাহ
তাআলা বলেন, ‘হে নবী! বলে
দাও, আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে, তার প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করো।’ (সূরা ইউনুস, আয়াত ১০১)
প্রকৃতি
নিয়ে, সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে, মহাজাগতিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভেবে না দেখাকে
আল্লাহ তায়ালা তিরস্কার করেছেন। কোরআনের ঘোষণা- 'তারা কি নিজেদের অন্তরে ভেবে দেখে না, আল্লাহ আসমান ও জমিন এবং এ দুয়ের মধ্যবর্তী
সবকিছুই যথাযথভাবে ও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সৃষ্টি করেছেন। (সূরা রুম, আয়াত ৮)
[তাফসিরে
মা'আরেফুল কোরআন ও ইবনে কাছির অবলম্বনে]
كِتَابٌ أَنْزَلْنَاهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ لِيَدَّبَّرُوا آيَاتِهِ وَلِيَتَذَكَّرَ أُولُو الْأَلْبَابِ-
“এটি এক
কল্যাণময় কিতাব, যা আমরা
তোমার প্রতি নাযিল করেছি। যাতে তারা এর আয়াতসমূহ অনুধাবন করে এবং জ্ঞানীরা উপদেশ
গ্রহণ করে” (ছোয়াদ ৩৮/২৯)।
َفَلاَ يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِنْدِ غَيْرِ اللهِ لَوَجَدُوا فِيهِ اخْتِلاَفًا كَثِيرًا-
“তারা কেন
কুরআন নিয়ে গবেষণা করে না? যদি এটা
আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারু নিকট থেকে আসত, তাহ’লে তারা এর মধ্যে বহু গরমিল দেখতে পেত” (নিসা ৪/৮২)।
যারা
কুরআন গবেষণা করেনা, তাদের
প্রতি ধমক দিয়ে আল্লাহ বলেন,أَفَلاَ يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ أَمْ عَلَى قُلُوبٍ أَقْفَالُهَا-
‘তবে কি তারা কুরআনকে গভীরভাবে অনুধাবন করে
না? নাকি তাদের হৃদয়গুলি তালাবদ্ধ?’ (মুহাম্মাদ ৪৭/২৪)।
কুরআন অনুধাবনের মূলনীতি :
কুরআন
অনুধাবনের প্রধান মূলনীতি হ’ল, কুরআনের যিনি বাহক, তাঁর বুঝ অনুযায়ী কুরআন অনুধাবন করা। অতঃপর
তিনি যাদের কাছে কুরআন ব্যাখ্যা করেছেন, সেই
ছাহাবীগণের বুঝ অনুযায়ী অনুধাবন করা। এর বাইরে ব্যাখ্যা দিতে গেলে পথভ্রষ্ট হবার
সম্ভাবনা থেকে যাবে।
কুরআন অনুধাবনের গুরুত্ব :
কুরআন
নাযিলের মূল উদ্দেশ্যই হ’ল তাকে
বুঝা, অনুধাবন করা ও সে অনুযায়ী কাজ করা।
শুধুমাত্র পাঠ করা ও মুখস্ত করা নয়। হাসান বাছরী (২১-১১০
হি./৬৪২-৭২৮ খৃ.) বলেন, আল্লাহর
কসম! কুরআন অনুধাবনের অর্থ কেবল এর হরফগুলি হেফয করা এবং এর হুদূদ বা সীমারেখাগুলি
বিনষ্ট করা নয়। যাতে একজন বলবে যে, সমস্ত
কুরআন শেষ করেছি। অথচ তার চরিত্রে ও কর্মে কুরআন নেই’।[ইবনু কাছীর, তাফসীর সূরা ছোয়াদ ২৯
আয়াত।] তিনি
বলতেন, কুরআন নাযিল হয়েছে তা বুঝার জন্য ও সে
অনুযায়ী আমল করার জন্য। অতএব তোমরা তার তেলাওয়াতকে আমলে পরিণত কর’।[ ইবনুল ক্বাইয়িম, মাদারিজুস সালিকীন (বৈরূত
: তাহকীক সহ দারুল কিতাবিল ‘আরাবী, ৩য় সংস্করণ ১৪১৬ হি./১৯৯৬
খৃ.) ১/৪৫০।]
জ্যেষ্ঠ
তাবেঈ মুহাম্মাদ বিন কা‘ব
আল-কুরাযী বলেন, ফজর
পর্যন্ত পুরা রাতে সূরা যিলযাল ও ক্বারে‘আহ পাঠ
করা এবং তার বেশী পাঠ না করা আমার নিকটে অধিক প্রিয়, সারা রাত্রি কুরআন তেলাওয়াতের চাইতে’।[ আব্দুল্লাহ বিন মুবারক, আয-যুহ্দ (বৈরূত : দারুল
কিতাবিল্ ইলমিয়াহ, তাহকীক : হাবীবুর রহমান আ‘যামী, তাবি) ক্রমিক ২৮৭, পৃ. ৯৭।] এর দ্বারা তিনি কুরআন অনুধাবনের গুরুত্ব
বুঝিয়েছেন।
ইবনু
জারীর ত্বাবারী (২২৪-৩১০ হি./৮৩৯-৯২৩ খৃ.) বলেন, কুরআন
অনুধাবন অর্থ আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণসমূহ অনুধাবন করা, তাঁর বিধান সমূহ জানা, তাঁর উপদেশ সমূহ গ্রহণ করা ও সে অনুযায়ী
আমল করা’।[ইবনু জারীর, তাফসীর ত্বাবারী সূরা
ছোয়াদ ২৯ আয়াত।]
সৈয়ূতী
(৮৪৯-৯১১ হি./১৪৪৫-১৫০৫ খৃ.) বলেন, কুরআন
অনুধাবন করাটাই হ’ল মূল
উদ্দেশ্য। কেননা কুরআনই হবে কর্মপদ্ধতি ও আচরণে পথ প্রদর্শক। এর মাধ্যমেই মানুষ
দুনিয়া ও আখেরাতে সর্বোচ্চ স্থান লাভ করবে’।[সৈয়ূত্বী, আল-ইতক্বান (মিসর :
আল-হাইআতুল মিছরিইয়াহ, ১৩৯৪/১৯৭৪) ১/৩৬৮।]
রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ) বলেন,إِنَّ اللهَ يَرْفَعُ بِهَذَا الْكِتَابِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ بِهِ آخَرِينَ-
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ এই কিতাবের মাধ্যমে বহু
সম্প্রদায়কে উঁচু করেন ও অনেককে নীচু করেন’।[ মুসলিম হা/৮১৭; মিশকাত হা/২১১৫।] কুরআনের অনুধাবনকারী ও আমলকারীদের পরকালীন
উচ্চ মর্যাদা সম্পর্কে নাউওয়াস বিন সাম‘আন (রাঃ)
বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, ক্বিয়ামতের দিন কুরআন ও তার বাহককে আনা
হবে। যারা তার উপর আমল করেছিল। যাদের সম্মুখে থাকবে সূরা বাক্বারাহ ও আলে ইমরান।
সে দু’টি হবে মেঘমালা সদৃশ। যার মধ্যে থাকবে চমক’।[মুসলিম হা/৮০৫; মিশকাত হা/২১২১।]
কুরআন অনুধাবনের
প্রয়োজনীয়তা :
(১)
আল্লাহর আদেশ-নিষেধ অবগত হওয়া ও সে অনুযায়ী আমল করা। এটিই হ’ল প্রধান বিষয়। ইহূদী আলেমরা তাওরাত পড়ত ও
তার বিপরীত আমল করত। এমনকি তারা শাব্দিক পরিবর্তন ঘটাতো। নাছারাগণ একই নীতির
অনুসারী ছিল। ফলে উভয় উম্মত মাগযূব (অভিশপ্ত) ও যাল্লীন (পথভ্রষ্ট) হয়ে গেছে।
মুসলিম উম্মাহর আলেমরাও যেন সে পথে না যায়। সেজন্য সতর্ক করে আল্লাহ আহলে কিতাবদের
অবস্থা বর্ণনা করে বলেন,وَإِذْ أَخَذَ اللهُ مِيثَاقَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَتُبَيِّنُنَّهُ لِلنَّاسِ وَلاَ تَكْتُمُونَهُ فَنَبَذُوهُ وَرَاءَ ظُهُورِهِمْ وَاشْتَرَوْا بِهِ ثَمَنًا قَلِيلاً فَبِئْسَ مَا يَشْتَرُونَ-
‘আর আল্লাহ যখন আহলে কিতাবদের নিকট থেকে
অঙ্গীকার নিলেন যে, তোমরা
অবশ্যই (শেষনবী মুহাম্মাদের আগমন ও তার উপর ঈমান আনার বিষয়টি) লোকদের নিকট বর্ণনা
করবে এবং তা গোপন করবে না। অতঃপর তারা তা পশ্চাতে নিক্ষেপ করল এবং গোপন করার
বিনিময়ে তা স্বল্পমূল্যে বিক্রয় করল। কতই না নিকৃষ্ট তাদের ক্রয়-বিক্রয়’ (আলে ইমরান ৩/১৮৭)।
(২) ঈমান বৃদ্ধি পাওয়া :
কুরআন
অনুধাবন করে পাঠ করলে পাঠকের ঈমান বৃদ্ধি পায়। প্রতিটি আয়াত ও সূরা তার মনের মধ্যে
গভীরভাবে রেখাপাত করে। কারণ এসময় তার চোখ-কান-হৃদয় সবকিছু কুরআনের মধ্যে ডুবে
থাকে। এদিকে ইঙ্গিত করেই আল্লাহ বলেন,وَإِذَا مَا أُنْزِلَتْ سُورَةٌ فَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ أَيُّكُمْ زَادَتْهُ هَذِهِ إِيمَانًا فَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُوا فَزَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَهُمْ يَسْتَبْشِرُونَ- ‘আর যখন কোন সূরা নাযিল হয়, তখন তাদের মধ্যেকার কিছু (মুশরিক) লোক বলে, এই সূরা তোমাদের মধ্যে কার ঈমান বৃদ্ধি করল? বস্ত্ততঃ যারা ঈমান এনেছে, এ সূরা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করেছে এবং তারা
আনন্দ লাভ করেছে’ (তওবাহ ৯/১২৪)। তিনি আরও বলেন,إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ- ‘নিশ্চয়ই মুমিন তারাই, যখন তাদের নিকট আল্লাহকে স্মরণ করা হয়, তখন তাদের অন্তর সমূহ ভয়ে কেঁপে ওঠে। আর
যখন তাদের উপর তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়, তখন তাদের
ঈমান বৃদ্ধি পায় এবং তারা তাদের প্রতিপালকের উপর ভরসা করে’ (আনফাল ৮/২)।
(৩) আল্লাহভীতি অর্জন :
অনুধাবনের
সাথে কুরআন পাঠ করার মাধ্যমে হৃদয়-মন শিহরিত হয়। আল্লাহর অসীম ক্ষমতা অবহিত হয়ে
ভয়ে অন্তর জগত কেঁপে ওঠে। ফলে পাপ চিন্তা দূরীভূত হয় এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে
হৃদয়ে প্রশান্তি লাভ হয়। যেমন আল্লাহ বলেন,اللهُ نَزَّلَ أَحْسَنَ الْحَدِيثِ كِتَابًا مُتَشَابِهًا مَثَانِيَ تَقْشَعِرُّ مِنْهُ جُلُودُ الَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ ثُمَّ تَلِينُ جُلُودُهُمْ وَقُلُوبُهُمْ إِلَى ذِكْرِ اللهِ ذَلِكَ هُدَى اللهِ يَهْدِي بِهِ مَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُضْلِلِ اللهُ فَمَا لَهُ مِنْ هَادٍ- ‘আল্লাহ সর্বোত্তম বাণী
(কুরআন) নাযিল করেছেন যা পরস্পরে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং যা পুনঃ পুনঃ পাঠ করা হয়। এতে তাদের দেহচর্ম ভয়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে, যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে। অতঃপর
তাদের দেহমন প্রশান্ত হয়ে আল্লাহর স্মরণে ঝুঁকে পড়ে। এটি (কুরআন) হ’ল আল্লাহর পথনির্দেশ। এর মাধ্যমে তিনি যাকে
চান পথ প্রদর্শন করেন। আর যাকে আল্লাহ পথভ্রষ্ট করেন, তাকে পথ দেখানোর কেউ নেই’ (যুমার ৩৯/২৩)।
অন্যত্র
তিনি বলেন, قُلْ آمِنُوا بِهِ أَوْ لَا تُؤْمِنُوا إِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ مِنْ قَبْلِهِ إِذَا يُتْلَى عَلَيْهِمْ يَخِرُّونَ لِلْأَذْقَانِ سُجَّدًا-وَيَقُولُونَ سُبْحَانَ رَبِّنَا إِنْ كَانَ وَعْدُ رَبِّنَا لَمَفْعُولًا- وَيَخِرُّونَ لِلْأَذْقَانِ يَبْكُونَ وَيَزِيدُهُمْ خُشُوعًا-
‘তুমি বলে দাও (হে অবিশ্বাসীগণ!), তোমরা কুরআনে বিশ্বাস আনো বা না আনো (এটি নিশ্চিতভাবে
সত্য)। যাদেরকে ইতিপূর্বে জ্ঞান দান করা হয়েছে (আহলে কিতাবের সৎ আলেমগণ), যখন তাদের উপর এটি পাঠ করা হয়, তখনই তারা সিজদায় লুটিয়ে পড়ে’। ‘আর তারা বলে, মহাপবিত্র আমাদের পালনকর্তা! আমাদের
প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি অবশ্যই কার্যকর হয়’। ‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে
এবং তাদের বিনয় আরও বৃদ্ধি পায়’ (ইসরা ১৭/১০৭-০৯)। ইবনু হাজার (৭৭৩-৮৫২ হি.) বলেন, খুশূ‘ তথা
আল্লাহভীতি অর্জনই কুরআন তেলাওয়াতের মূল উদ্দেশ্য(الْخُشُوعَ الَّذِي هُوَ مَقْصُودُ التِّلاَوَةِ)।[ ফাৎহুল বারী হা/৫০৪৮-এর পূর্বে ‘তারজী‘ অনুচ্ছেদ-এর আলোচনা।]
(৪) সার্বিক হেদায়াত লাভ :
তাৎপর্য
অনুধাবনের মাধ্যমে কুরআন পাঠ করলে জীবনের চলার পথে সার্বিক হেদায়াত লাভ করা যায়।
ছোট-খাট বিষয়গুলি তখন বড় হয়ে দেখা দেয় না। বরং বৃহত্তর কল্যাণের বিষয় ও সার্বিক
মঙ্গলের বিষয়টি তার সামনে প্রতিভাত হয়। ফলে সে পথভ্রষ্ট হওয়া থেকে বেঁচে যায়।
এদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন,إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ يَهْدِي لِلَّتِي هِيَ أَقْوَمُ وَيُبَشِّرُ الْمُؤْمِنِينَ الَّذِينَ يَعْمَلُونَ الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ أَجْرًا كَبِيرًا ‘নিশ্চয় এই
কুরআন এমন পথের নির্দেশনা দেয় যা সবচাইতে সরল। আর তা সৎকর্মশীল মুমিনদের সুসংবাদ
দেয় যে, তাদের জন্য রয়েছে মহা পুরস্কার’ (ইসরা ১৭/৯)।
(৫) কুরআনের স্বাদ আস্বাদন
ও হৃদয়ে প্রশান্তি লাভ :
কুরআনের
শব্দালংকার বুঝদার পাঠকের অন্তরে ঝংকার তোলে। এর গভীর তাৎপর্য জ্ঞানজগতকে চমকিত
করে। এর বিজ্ঞান ও অতীত ইতিহাস মানুষকে হতবিহবল করে। বহু অজানা প্রশ্নের উত্তর
পেয়ে হৃদয় প্রশান্ত হয়। এক পর্যায়ে সমর্পিত চিত্ত প্রশান্তিতে ভরে যায়। ইবনু জারীর
ত্বাবারী বলেন, আমি
বিস্মিত হই ঐ ব্যক্তির জন্য, যে
ব্যক্তি কুরআন তেলাওয়াত করে। অথচ এর তাৎপর্য অনুধাবন করে না। সে কিভাবে এর স্বাদ
আস্বাদন করবে?[ ইবনু জারীর, তাফসীর ত্বাবারী, (বৈরূত : মুআসসাসাতুর
রিসালাহ, ১ম সংস্করণ ১৪২০/২০০০) ‘ভূমিকা’ অধ্যায় ১/১০ পৃ.।]
(৬) আল্লাহর কিতাবের জন্য দন্ডায়মান
হওয়া :
কুরআনের
তাৎপর্য অনুধাবন করতে পারলে এর হক ও সীমারেখা সমূহ আদায়ে পাঠক দন্ডায়মান হবে। এর
মর্যাদা রক্ষায় উৎসর্গীতপ্রাণ হবে। সর্বাবস্থায় এর প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করবে এদিকে
ইঙ্গিত করেই রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন,«الدِّينُ النَّصِيحَةُ» قُلْنَا لِمَنْ؟ قَالَ : لِلَّهِ وَلِكِتَابِهِ وَلِرَسُولِهِ وَلأَئِمَّةِ الْمُسْلِمِينَ وَعَامَّتِهِمْ ‘দ্বীন হ’ল নছীহত’। আমরা বললাম, কাদের জন্য হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! তিনি
বললেন, আল্লাহর জন্য, তাঁর কিতাবের জন্য, তাঁর রাসূলের জন্য, মুসলিম নেতৃবৃন্দের জন্য ও সকল মুসলমানের
জন্য’।[ মুসলিম হা/৫৫; মিশকাত হা/৪৯৬৬।]
এখানেالنَّصِيْحَةُ لِكِتَابِهِ ‘আল্লাহর কিতাবের জন্য নছীহত’-এর তাৎপর্য হ’ল এ বিষয়ে হৃদয়ে পরিচ্ছন্ন ঈমান পোষণ করা
যে, আল্লাহর কালাম চূড়ান্ত সত্য। এটি কোন
মানুষের কালামের সদৃশ নয়। এরূপ কালাম কোন সৃষ্টির পক্ষে সম্ভব নয়। অতঃপর আল্লাহর
কিতাবের যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করতে হবে ও শ্রদ্ধাবনত চিত্তে তেলাওয়াত করতে
হবে। এর ‘মুহকাম’ বা স্পষ্ট আয়াত সমূহের অর্থ বুঝতে হবে। তার
আদেশ-নিষেধের উপরে আমল করতে হবে ও ‘মুতাশাবিহ’ বা অস্পষ্ট অর্থবোধক আয়াত সমূহের উপরে ঈমান
রাখতে হবে যে, এগুলির
প্রকৃত তাৎপর্য কেবলমাত্র আল্লাহ জানেন। অমুসলিম বিদ্বানদের অহংকার চূর্ণ করার
জন্যই এগুলি নাযিল হয়েছে। কিতাবে বর্ণিত বিজ্ঞানময় আয়াত সমূহে গবেষণা করতে হবে। তা
থেকে আলো নিয়ে সমাজ পরিশুদ্ধ করার সাধ্যমত চেষ্টা চালাতে হবে। এই কালামের সর্বোচ্চ
মর্যাদা রক্ষার জন্য সর্বদা দন্ডায়মান থাকতে হবে।
(৭) হালাল-হারাম জানা :
জীবন
সংশ্লিষ্ট বহু বৈধ-অবৈধ বিষয় মানুষ জানতে পারবে কুরআন অনুধাবনের মাধ্যমে। যা তার
বৈষয়িক জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে এবং শয়তানের ধোঁকা থেকে দূরে থাকতে পারবে।
সেকারণ আল্লাহ বলেন, يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلاَ تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ-
‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে
প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন’ (বাক্বারাহ ২/২০৮)।
(৮) ভিতর ও বাইরের রোগ
সমূহের আরোগ্য :
গভীর
অনুধাবনের সাথে কুরআন পাঠের মাধ্যমে ভিতরকার বহু সন্দেহবাদ দূরীভূত হয়। বহু অন্যায়
আকাংখা অন্তর্হিত হয়। এদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন,يَاأَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ ‘হে মানব জাতি! তোমাদের নিকট তোমাদের
প্রতিপালকের পক্ষ হতে এসে গেছে উপদেশবাণী (কুরআন) এবং অন্তরের রোগসমূহের
নিরাময়কারী এবং বিশ্বাসীদের জন্য পথ প্রদর্শক ও রহমত’ (ইউনুস ১০/৫৭)। তিনি আরও বলেন,وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ وَلاَ يَزِيدُ الظَّالِمِينَ إِلاَّ خَسَارًا ‘আর আমরা
কুরআন নাযিল করি, যা
বিশ্বাসীদের জন্য আরোগ্য ও রহমত স্বরূপ। কিন্তু পাপীদের জন্য তা কেবল ক্ষতিই
বৃদ্ধি করে’ (ইসরা ১৭/৮২)।
ইবনু
জারীর বলেন, কুরআন
মূর্খতা ও পথভ্রষ্টতা থেকে মুক্তি দেয়। মুমিনগণ এর মাধ্যমে অন্ধকারে আলোর পথ খুঁজে
পান। অবিশ্বাসীরা নয়। কেননা মুমিনগণ কুরআনের হালাল-হারাম মেনে চলেন। সেজন্য আল্লাহ
তাদের জান্নাতে প্রবেশ করান ও আযাব থেকে রক্ষা করেন। আর এটাই হ’ল তাঁর পক্ষ হ’তে রহমত ও অনুগ্রহ’।[ইবনু জারীর, তাফসীর ত্বাবারী সূরা ইসরা
৮২ আয়াত।] যা তিনি
তাদেরকে দান করেন। এছাড়া শারঈ ঝাড়-ফুঁক মুমিনের দৈহিক আরোগ্য দান করে থাকে আল্লাহর
হুকুমে। এটা কেবল তার জন্যই হয়ে থাকে, যিনি
কুরআন অনুধাবন করেন ও সে অনুযায়ী আমল করেন। ঐ ব্যক্তির জন্য নয়, যে কেবল ভান করে তেলাওয়াত করে। যার মধ্যে
কোন খুশূ-খুযূ ও আনুগত্য নেই। এ কারণেই ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, কুরআন হ’ল আরোগ্য গ্রন্থ।
যা আত্মা ও দেহ এবং দুনিয়া ও আখেরাত সবকিছুকে শামিল করে। ঐ ব্যক্তির জন্য যে
ব্যক্তি একে পূর্ণ বিশ্বাস ও ভালোবাসার সাথে গ্রহণ করে এবং এর প্রতি অকুণ্ঠ
আনুগত্যের শর্ত সমূহ পূরণ করে। এটি আসমান ও যমীনের মালিকের কালাম। যদি এটি পাহাড়ের
উপর নাযিল হ’ত, তাহ’লে তা
ফেটে চৌচির হয়ে যেত। যমীনের উপর নাযিল হ’লে তা
বিদীর্ণ হয়ে যেত। অতএব আত্মার ও দেহের এমন কোন রোগ নেই, কুরআনে যার আরোগ্যের নির্দেশনা নেই’।[ যাদুল মা‘আদ ৪/৩২৩।]
অনুধাবন ছাড়াই পাঠ করার
ক্ষতি :
ঐ ব্যক্তি
চিনির বলদের মত কেবল বোঝা বহন করেই জীবন কাটায়। কিন্তু চিনি মিষ্টি না তিতা বুঝতে
পারে না। এই স্বভাব ছিল ইহূদী-নাছারাদের। যেমন আল্লাহ বলেন,وَمِنْهُمْ أُمِّيُّونَ لاَ يَعْلَمُونَ الْكِتَابَ إِلاَّ أَمَانِيَّ وَإِنْ هُمْ إِلاَّ يَظُنُّونَ ‘আর তাদের
মধ্যে একদল নিরক্ষর ব্যক্তি রয়েছে, যারা
আল্লাহর কিতাবের কিছুই জানে না স্রেফ একটা ধারণা ব্যতীত। আর তারা স্রেফ কল্পনা করে
মাত্র’ (বাক্বারাহ ২/৭৮)। শাওকানী (১১৭২-১২৫০ হি.) বলেন, বলা হয়েছে যে, (أَمَانِيَّ) অর্থ
তেলাওয়াত। অর্থাৎ তাদের নিকট আল্লাহর কিতাবের কোন বুঝ ও অনুধাবন ছিল না, কেবলমাত্র পাঠ করা ব্যতীত’।[শাওকানী, তাফসীর ফাৎহুল ক্বাদীর, সূরা বাক্বারাহ ৭৮ আয়াত।] ইবনুল
ক্বাইয়িম (৬৯১-৭৫১ হি.) বলেন, অত্র
আয়াতে আল্লাহ তাঁর কিতাবের পরিবর্তনকারীদের এবং উম্মীদের নিন্দা করেছেন, যারা পাঠ করা ব্যতীত আর কিছুই জানে না। আর
এটাই হ’ল (أَمَانِيَّ) বা কল্পনা’।[. আছ-ছাওয়াইকুল মুরসালাহ (রিয়াদ
: দারুল ‘আছেমাহ, ১ম সংস্করণ ১৪০৮/১৯৮৮)
৩/১০৪৯।] অনুরূপভাবে ক্বিয়ামতের দিন
উম্মতের পতনদশার কারণ সম্পর্কে আল্লাহর প্রশ্নের উত্তরে আমাদের রাসূল (ছাঃ) কৈফিয়ত
দিয়ে বলবেন, وَقَالَ الرَّسُولُ يَارَبِّ إِنَّ قَوْمِي اتَّخَذُوا هَذَا الْقُرْآنَ مَهْجُورًا ‘সেদিন রাসূল বলবেন, হে আমার প্রতিপালক! নিশ্চয়ই আমার উম্মত এই
কুরআনকে পরিত্যক্ত গণ্য করেছিল’ (ফুরক্বান ২৫/৩০)। এর ব্যাখ্যায় হাফেয ইবনু কাছীর (৭০১-৭৭৪
হি.) বলেন, কুরআন
পরিত্যাগ করা অর্থ হ’ল এর
অনুধাবন ও যথার্থ বুঝ হাছিলের চেষ্টা পরিত্যাগ করা’ (ঐ, তাফসীর)। ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, কুরআন পরিত্যাগ করার কতগুলি অর্থ হ’তে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হ’ল, কথক
(আল্লাহ) কি বলতে চান, সেটা
অনুধাবন না করা, বুঝার
চেষ্টা না করা ও গভীর তত্ত্ব উদঘাটনের প্রচেষ্টা ত্যাগ করা’।[. ইবনুল ক্বাইয়িম, আল-ফাওয়ায়েদ (বৈরূত :
দারুল কুতুবিল ইলমিয়াহ, ২য় সংস্করণ ১৩৯৩/১৯৭৩) ৮২
পৃ.।]
কুরআন অনুধাবনের ফযীলত :
আবু
হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আল্লাহর
কোন গৃহে একদল লোক যখন সমবেত হয় এজন্য যে, তারা
আল্লাহর কিতাব পাঠ করে ও নিজেদের মধ্যে তার পর্যালোচনা করে, সেখানে কেবলই আল্লাহর পক্ষ হ’তে বিশেষ রহমত হিসাবে ‘সাকীনাহ’ (السكينة) অবতীর্ণ হয়। আল্লাহর রহমত তাদের বেষ্টন করে
রাখে ও ফেরেশতারা স্থানটি ভরে ফেলে। আর আল্লাহ তাদের সম্পর্কে তাঁর নিকটবর্তী
ফেরেশতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন’।[মুসলিম হা/২৬৯৯; মিশকাত হা/২০৪।] এখানে ‘সাকীনাহ’ ও রহমত
নাযিলের প্রধান কারণ হ’ল
তেলাওয়াত ও অনুধাবন। কিন্তু বর্তমানে আমাদের মধ্যে তেলাওয়াত আছে অনুধাবন নেই। ফলে
রহমতও নেই।
কুরআন অনুধাবনে
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম) :
(ক)
হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) বলেন, তিনি এক
রাতে রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে ছালাত আদায় করছিলেন। তখন রাসূল (ছাঃ) থেমে থেমে (مترسِّلا)
ক্বিরাআত পড়ছিলেন। যখনই কোন তাসবীহ অর্থাৎ আল্লাহর গুণগানের আয়াত অতিক্রম করতেন, তখন ‘সুবহানাল্লাহ’ বলতেন। যখন কোন প্রার্থনার আয়াত অতিক্রম
করতেন, তখন প্রার্থনা করতেন। যখন আল্লাহর নিকট
পানাহ চাওয়ার আয়াত অতিক্রম করতেন, তখন পানাহ
চেয়ে ‘আঊযুবিল্লাহ’ বলতেন’।[ মুসলিম হা/৭৭২।] এটাই ছিল রাসূল (ছাঃ)-এর কুরআন বুঝে পড়া ও
তার তাৎপর্য অনুধাবনের নমুনা।
(খ) আবু
যার গেফারী (রাঃ) বলেন, এক রাতে
রাসূল (ছাঃ) স্রেফ একটি আয়াত দিয়ে তাহাজ্জুদ শেষ করেন। এমতাবস্থায় ফজর হয়ে যায়।
সেটি হ’ল,إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ‘যদি আপনি তাদেরকে শাস্তি দেন, তাহ’লে তারা
আপনার বান্দা। আর যদি আপনি তাদের ক্ষমা করেন, তাহ’লে আপনি মহাপরাক্রান্ত ও প্রজ্ঞাময়’।[ মায়েদাহ ৫/১১৮; নাসাঈ হা/১০১০।] এতে বুঝা যায়, তাঁর কুরআন অনুধাবন কত গভীর ছিল।
(গ) তরুণ
ছাহাবী আব্দুল্লাহ বিন আমর ইবনুল ‘আছ (রাঃ) যখন প্রতিদিন এক খতম কুরআন পাঠ
করতে চাইলেন, তখন রাসূল
(ছাঃ) তাকে তিনদিনের কমে খতম করতে নিষেধ করে বললেন, তিনদিনের কমে খতম করলে সে কিছুই বুঝবে না’।[তিরমিযী হা/২৯৪৯; মিশকাত হা/২২০১।] এতে পরিষ্কার যে, কুরআন বুঝে পড়াটাই উদ্দেশ্য। কেবলমাত্র পাঠ
করা নয়।
কুরআন অনুধাবনে ছাহাবায়ে
কেরাম :
(১)
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, আমাদের
মধ্যে একজন ছিলেন, যিনি ১০টি
আয়াত পাঠ করার পর আর আগে
বাড়তেন না। যতক্ষণ না তার মর্ম অনুধাবন করতেন ও সেমতে আমল করতেন।[মুক্বাদ্দামা ইবনু কাছীর; তাফসীর ত্বাবারী হা/৮১, হাদীছ ছহীহ।]
(২) আবু
আব্দুর রহমান আব্দুল্লাহ বিন হাবীব আস-সুলামী (মৃ. ৭২ হি.) বলেন, আমাদেরকে যারা কুরআন পাঠ করিয়েছেন তারা
বলতেন, তারা রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট থেকে যখন কুরআন
পাঠ শিখতেন, তখন ১০টি
আয়াত জানলে তারা আর তাঁর পিছে পড়তেন না, যতক্ষণ না
ঐ আয়াতগুলির উপর তারা আমল করতেন। এভাবে আমরা কুরআন ও তদনুযায়ী আমল সবই শিখতাম।[ মুক্বাদ্দামা তাফসীর ইবনু
কাছীর, সনদ জাইয়িদ।]
(৩) এদের
মধ্যে ছিলেন রাসূল (ছাঃ)-এর চাচাতো ভাই তরুণ ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস।
আল্লাহর রাসূল তাঁর জন্য দো‘আ
করেছিলেন,اللَّهُمَّ فَقِّهْهُ فِى الدِّينِ وَعَلِّمْهُ التَّأْوِيلَ ‘হে আল্লাহ তুমি তাকে দ্বীনের বুঝ দান কর
এবং এর যথার্থ ব্যাখ্যা শিক্ষা দাও’।[ আহমাদ হা/২৩৯৭; হাকেম হা/৬২৮০; ছহীহাহ হা/২৫৮৯। হাদীছের প্রথমাংশটি
ছহীহ বুখারীতে রয়েছে (হা/১৪৩)।] সেকারণে
ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, نِعْمَ تُرْجُمَانُ الْقُرْآنِ بْنُ عَبَّاسٍ ‘কুরআনের কতই না সুন্দর ব্যাখ্যাতা ইবনু
আববাস’! (হাকেম হা/৬২৯১)। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) মারা গেছেন ৩২ হিজরীতে।
তারপরেও ইবনু আববাস (রাঃ) ৩৬ বছর বেঁচে ছিলেন এবং ত্বায়েফে মৃত্যুবরণ করেন ৬৮
হিজরীতে। তাহ’লে বাকী
জীবনে তিনি কুরআনকে আরও কত সুন্দরভাবেই না অনুধাবন করেছিলেন!
(৪)
আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, পিতা ওমর
ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) ১২ বছরে সূরা বাক্বারাহ শেষ করেন। অতঃপর যেদিন শেষ হয়, সেদিন তিনি কয়েকটি উট নহর করে সবাইকে
খাওয়ান’।[ মুক্বাদ্দামা তাফসীর কুরতুবী ‘আল্লাহর কিতাব শিক্ষা করা ও তা
অনুধাবনের পদ্ধতি’ অনুচ্ছেদ, ৭৬ পৃ.; যাহাবী, তারীখুল ইসলাম (বৈরূত :
দারুল কিতাবিল ‘আরাবী, ১ম সংস্করণ ১৪০৭/১৯৮৭)
৩/২৬৭।] ওমর
(রাঃ)-এর ন্যায় একজন মহান ব্যক্তির এই দীর্ঘ সময় লাগার অর্থ সূরাটির গভীর তাৎপর্য
অনুধাবনে দীর্ঘ সময় ব্যয় করা।
(৫)
আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, জনৈক
ব্যক্তি ওমর (রাঃ)-এর দরবারে এল। তখন তিনি তাকে লোকদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন।
জবাবে লোকটি বলল, হে আমীরুল
মুমেনীন! তাদের মধ্যে কেউ কেউ এরূপ এরূপভাবে কুরআন তেলাওয়াত করে। তখন আমি বললাম, এত দ্রুত কুরআন তেলওয়াত করা আমি পসন্দ করি
না। তখন ওমর (রাঃ) আমাকে থামালেন। এতে আমি দুঃখিত মনে বাড়ী ফিরে এলাম। অতঃপর তিনি
আমার নিকটে এলেন এবং বললেন, ঐ লোকটি
যা বলল, তার কোনটা তুমি অপসন্দ করলে? আমি বললাম, ওরা যত দ্রুত কুরআন পড়বে, তত আপোষে ঝগড়া করবে। প্রত্যেকেই নিজেরটাকে
সঠিক বলবে। আর যখনই ঝগড়া করবে, তখনই
বিরোধে লিপ্ত হবে। অবশেষে নিজেরা লড়াইয়ে রত হবে। তখন ওমর (রাঃ) বললেন, তোমার পিতার জন্য আমার জীবন উৎসর্গীত হৌক। আমি এটা
লুকিয়ে রেখেছিলাম। অবশেষে তুমিই
সেটা বলে
দিলে’।[ . মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক
হা/২০৩৬৮; যাহাবী, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ৩/৩৪৮-৪৯।]
বস্ত্ততঃ
ওমর ও ইবনু আববাস (রাঃ) যেটা ধারণা করেছিলেন, পরে সেটাই
হয়েছিল। খারেজীরা বের হ’ল। তারা কুরআন পাঠ করত। কিন্তু তা তাদের
কণ্ঠনালী অতিক্রম করত না। অর্থাৎ তারা কুরআন অনুধাবন করত না এবং এর মর্ম উপলব্ধি
করত না। ইতিহাসে এরাই প্রথম চরমপন্থী জঙ্গীদল হিসাবে কুখ্যাত। এরাই হযরত আলী
(রাঃ)-কে কাফের আখ্যা দিয়ে হত্যা করে।
(৬) ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রাসূলের ছাহাবীদের
মধ্যে উত্তম ব্যক্তি, যারা এই উম্মতের শীর্ষে অবস্থান করেন, তারা কুরআন হেফয করতেন না
একটি সূরা বা অনুরূপ কিছু অংশ ব্যতীত। তারা কুরআনের উপর আমল করার রিযিক লাভ
করেছিলেন। কিন্তু এই উম্মতের শেষ দিকের লোকেরা কুরআন তেলাওয়াত করবে। তাদের মধ্যে
শিশু, অন্ধ সবাই থাকবে। কিন্তু তারা আমল করার রিযিক পাবে না’।[[26]. মুক্বাদ্দামা তাফসীর
কুরতুবী ৭৫-৭৬ পৃ.।]
(৭) একই
মর্মে আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, আমাদের
জন্য কুরআনের শব্দাবলী মুখস্ত করা খুবই কঠিন। কিন্তু এর উপর আমল করা সহজ। আর
আমাদের পরের লোকদের অবস্থা হবে এই যে, তাদের
জন্য কুরআন হেফয করা সহজ হবে। কিন্তু তার উপর আমল করা কঠিন হবে।[মুক্বাদ্দামা তাফসীর কুরতুবী ৭৫ পৃ.।]
(৮) মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ) বলেন, তোমরা যতটুকু চাও ইলম অর্জন কর। মনে রেখ, আল্লাহ তোমাদেরকে কোনই পুরস্কার দিবেন না, যতক্ষণ না তোমরা তার উপরে আমল করবে’।[ মুক্বাদ্দামা তাফসীর কুরতুবী
৭৬ পৃ.।]
কুরআন অনুধাবনের অর্থ :
কুরআন
অনুধাবনের অর্থ হ’ল কোন
আয়াতের যথাযথ মর্ম নির্ধারণ করা এবং আয়াতের মুখ্য উদ্দেশ্য উপলব্ধি করা এবং সেখান
থেকে আহকাম নিশ্চিত করা। এটা মোটেই সহজ নয় এবং এর জন্য রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ
শর্তাবলী। সেই সকল শর্ত ও নিয়ম-পদ্ধতি অনুসরণ না করে কেউ কুরআন অনুধাবনের দাবী করতে
পারে না। এতদ্ব্যতীত কুরআনে রয়েছে কেবল মৌলিক বিষয়াদির বর্ণনা। অতএব মূল
হ’তে শাখা-প্রশাখা বের করার যোগ্যতা থাকতে
হবে।
কুরআনের মনগড়া ব্যাখ্যা
দানের বিরুদ্ধে সাবধানবাণী :
রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ) বলেন,مَنْ قَالَ فِى الْقُرْآنِ بِغَيْرِ عِلْمٍ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‘যে
ব্যক্তি ইলম ব্যতিরেকে কুরআনের মনগড়া ব্যাখ্যা প্রদান করল, সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা করে নিল’।[তিরমিযী হা/২৯৫০; শারহুস সুন্নাহ হা/১১৭; আহমাদ হা/২০৬৯; মিশকাত হা/২৩৪। ইমাম
তিরমিযী ও ইমাম বাগাবী হাদীছটিকে ‘হাসান’ বলেছেন। তাফসীরে কুরতুবীর
মুহাক্কিক আব্দুর রাযযাক আল-মাহদী বলেন, তিরমিযী উক্ত হাদীছকে ‘হাসান’ বলেছেন, সেটাই যথার্থ। তিনি বলেন, হাদীছের সকল সূত্র
বিশ্বস্ত (মুক্বাদ্দামা তাফসীর
কুরতুবী হা/৭০, পৃ. ৬৬)। কিন্তু শায়খ আলবানী ও শু‘আয়েব আরনাঊত্ব ‘যঈফ’ বলেছেন। সনদ যঈফ হ’লেও মর্ম ছহীহ। ]
ছাহেবে
মির‘আত বলেন, উক্ত
হাদীছের অর্থ হ’ল নিজস্ব
রায় অনুযায়ী ব্যাখ্যা করা। মরফূ‘ ও মওকূফ
হাদীছ সমূহ থেকে এবং শারঈ বিধান সমূহে ও ভাষা জ্ঞানে অভিজ্ঞ শ্রেষ্ঠ বিদ্বানগণের
বক্তব্য সমূহ অনুসন্ধান না করেই নিজের ধারণা মতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
শাহ
ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী বলেন, ঐ
ব্যক্তির জন্য কুরআনের তাফসীরে প্রবেশ করা হারাম, যে ব্যক্তি কুরআনের ভাষা জানেনা, যে ভাষায় কুরআন নাযিল হয়েছে এবং রাসূল
(ছাঃ) ও তাঁর ছাহাবী ও তাবেঈগণ থেকে বর্ণিত ব্যাখ্যা সম্পর্কে অবগত নয়। যে ব্যক্তি
কুরআনের সূক্ষ্ম তত্ত্ব ও আয়াত নাযিলের কারণ এবং নাসেখ-মানসূখ সম্পর্কে অবগত নয়’।
হাফেয
ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, (ক)
কুরআনের তাফসীরের জন্য সর্বোত্তম পদ্ধতি হ’ল কুরআন
দিয়ে কুরআনের ব্যাখ্যা করা। কেননা এক স্থানে আয়াতটি সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণিত হ’লেও, অন্য
স্থানে সেটির বিস্তারিত ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। (খ) যদি তুমি এতে ব্যর্থ হও, তাহ’লে
সুন্নাহতে এর ব্যাখ্যা তালাশ কর। কেননা এটি কুরআনের ব্যাখ্যা ও তার মর্ম
স্পষ্টকারী। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা
তোমার নিকটে নাযিল করেছি কুরআন, যাতে তুমি
মানুষকে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করে দাও যা তাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে, যেন তারা চিন্তা-গবেষণা করে’ (নাহল ১৬/৪৪)। আর সুন্নাহ নিজেই তাঁর উপরে অহি আকারে
নাযিল হয়েছে, যেমন তাঁর
উপরে কুরআন নাযিল হয়েছে। যদিও তা কুরআনের ন্যায় তেলাওয়াত করা হয় না। অতঃপর যখন
আমরা কুরআনে বা সুন্নাহতে কোন তাফসীর না পাব, তখন
ছাহাবীগণের বক্তব্যের দিকে প্রত্যাবর্তন করব। কেননা কোন অবস্থায় বা কোন প্রেক্ষিতে
আয়াতটি নাযিল হয়েছিল, সে বিষয়ে
প্রত্যক্ষদর্শী হওয়ার কারণে তাঁরা উক্ত বিষয়ে অধিক জ্ঞানী ছিলেন। আর এ বিষয়ে
তাঁদের ছিল পূর্ণ বুঝ ও সঠিক জ্ঞান ও সঠিক আমল। বিশেষ করে তাঁদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ
জ্ঞানী ও গুরুজন ব্যক্তিগণ। যেমন চার খলীফা এবং আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ, আব্দুল্লাহ বিন আববাস প্রমুখ বিদ্বানগণ।
অতঃপর যখন
তুমি কোন তাফসীর কুরআনে বা সুন্নাহতে বা ছাহাবীগণ থেকে না পাবে, তখন বহু বিদ্বান তাবেঈদের বক্তব্য সমূহের
দিকে প্রত্যাবর্তন করেছেন। যেমন মুজাহিদ, আত্বা বিন আবী রাবা, সাঈদ বিন জুবায়ের প্রমুখ তাবেঈগণ। অনেকে
বলেছেন, শাখা-প্রশাখাগত বিষয়ে তাবেঈদের বক্তব্য
দলীল নয়। তাহ’লে কিভাবে
সেটি তাফসীরের ক্ষেত্রে দলীল হবে? অর্থাৎ
এটি তাদের বিরোধীদের বক্তব্যের উপরে দলীল হবে না, আর এটাই সঠিক। অতঃপর যখন তারা সবাই একটি
ব্যাপারে একমত হবেন, তখন সেটার
দলীল হওয়ায় কোন সন্দেহ থাকবে না। কিন্তু যদি তারা মতভেদ করেন, তাহ’লে তাদের
একজনের বক্তব্য অন্যজনের উপর দলীল হবে না। যা তাদের পরবর্তীদের উপরেও হবে না।
এমতাবস্থায় কুরআনের ভাষা অথবা সুন্নাহ অথবা আরবদের সার্বজনীন ভাষা রীতি অথবা উক্ত
বিষয়ে ছাহাবীগণের বক্তব্যের দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।فَأَمَّا تَفْسِيرُ الْقُرْآنِ بِمُجَرَّدِ الرَّأْيِ فَحَرَامٌ ‘মোটকথা কুরআনের তাফসীর স্রেফ রায়-এর
মাধ্যমে করা হারাম’। এটাই হ’ল ইবনু
কাছীরের বক্তব্যের সংক্ষিপ্ত সার।[মির‘আত হা/২৩৬-এর আলোচনা; মুক্বাদ্দামা তাফসীর ইবনু
কাছীর ১/৩৫-৩৬।]
হযরত আবুবকর
ছিদ্দীক (রাঃ) বলতেন,أَيُّ أَرْضٍ تُقِلُّنِي، وَأَيُّ سَمَاءٍ تُظِلُّنِي، إِذَا قُلْتُ فِي الْقُرْآنِ مَا لاَ أَعْلَمُ ‘যদি আমি না বুঝে কুরআন সম্পর্কে কিছু বলি, তবে কোন যমীন আমাকে বহন করবে এবং কোন আকাশ
আমাকে ছায়া দিবে?’ (তাফসীর ত্বাবারী ১/৭৮)।
মানব সৃষ্টিতত্ত্ব এবং আল
কুরআন
এ
প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِيْ خَلَقَكُمْ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ مِنْ نُطْفَةٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَةٍ ثُمَّ يُخْرِجُكُمْ طِفْلًا ثُمَّ لِتَبْلُغُوا أَشُدَّكُمْ ثُمَّ لِتَكُونُوا شُيُوخًا وَمِنْكُمْ مَنْ يُتَوَفَّى مِنْ قَبْلُ وَلِتَبْلُغُوا أَجَلًا مُسَمًّى وَلَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ-
‘তিনিই সেই
সত্ত্বা যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে। অতঃপর শুক্রবিন্দু হতে, অতঃপর জমাট রক্ত হতে, অতঃপর তোমাদেরকে বের করে দেন শিশুরূপে। অতঃপর
তোমরা পৌঁছে যাও যৌবনে। অতঃপর বার্ধক্যে। তোমাদের কারু কারু এর পূর্বেই মৃত্যু ঘটে
এবং কেউ কেউ নির্ধারিত আয়ুষ্কাল পর্যন্ত পৌঁছে যাও। যাতে তোমরা অনুধাবন কর।’ (গাফির/মুমিন ৪০/৬৭)।
জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নয়নের ক্ষেত্রে আকল বা বিচার-বুদ্ধি ও ফিকর বা চিন্তা-চেতনার গুরুত্ব অত্যধিক। এ সম্পর্কে আল-কুরআনের নির্দেশনা এসেছে যে, أَوَلَمْ يَتَفَكَّرُوْا فِيْ أَنْفُسِهِمْ مَا خَلَقَ اللهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا إِلَّا بِالْحَقِّ وَأَجَلٍ مُسَمًّى وَإِنَّ كَثِيْرًا مِنَ النَّاسِ بِلِقَاءِ رَبِّهِمْ لَكَافِرُوْنَ-
‘তারা কি তাদের অন্তরে ভেবে দেখে না যে, আল্লাহ নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু
সৃষ্টি করেছেন সত্য সহকারে এবং নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য? কিন্তু অনেক মানুষ তাদের পালনকর্তার সাথে
সাক্ষাতে অবিশ্বাসী’ (রূম ৩০/৮)।
মানুষ যদি
আল্লাহর সৃষ্টির এই নিদর্শন সম্পর্কে চিন্তা করে তাহ’লে বুঝতে পারবে যে, গোটা বিশ্ব সৃষ্টি এমনিতেই হয়নি। এর পিছনে
এক বিরাট উদ্দেশ্য আছে এবং সবকিছুই একটি চরম পরিণতির দিকে যাচ্ছে। একসময় তাকে
আল্লাহর সামনে হাযির হয়ে জবাব দিতেই হবে। যা মানুষকে আল্লাহমুখী করে। এজন্যই
আল্লাহ কুরআনে ৪৯ বার ‘আকল’ ও ১৮ বার ‘ফিকর’ উল্লেখ করেছেন।
এছাড়াও
আল্লাহ তাঁর নিদর্শনসমূহ দেখতে সারাবিশ্ব পরিভ্রমণের নির্দেশ দিয়ে বলেন,قُلْ سِيْرُوْا فِي الْأَرْضِ فَانْظُرُوْا كَيْفَ بَدَأَ الْخَلْقَ ثُمَّ اللهُ يُنْشِئُ النَّشْأَةَ الْآخِرَةَ- ‘বল, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর। অতঃপর দেখ কিভাবে
তিনি সৃষ্টিকর্ম শুরু করেছেন। অতঃপর আল্লাহ পরবর্তী সৃষ্টি করবেন’ (আনকাবূত ২৯/২০)।
বিজ্ঞান
চর্চার অন্যতম প্রধান উপায় হ’ল পড়া।
ইসলামের প্রথম নির্দেশ হ’ল ‘পড়’। এমনকি সূরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াতেই
মানবসৃষ্টির উপাদান ‘আলাক্ব’-এর মাঝেই
বিজ্ঞানের অনেক মর্ম লুকিয়ে আছে। ইসলাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহারকে কখনই
নিরুৎসাহিত করে না। বরং এর সঠিক ও সুন্দর ব্যবহারকে উৎসাহিত করে। মদীনায় নবী করীম (ছাঃ)-এর জীবনে
এরকম অনেক প্রযুক্তিগত ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। আহযাব বা খন্দকের যুদ্ধে যে পারসিক কৌশল
ব্যবহার করা হয় তা ছিল আরবদের কাছে অপ্রচলিত প্রযুক্তি। ইসলামী সমাজের বিভিন্ন
নীতিমালা যে কতটা বিজ্ঞানসম্মত তা আজ সুপ্রমাণিত।
স্বাস্থ্য এবং
সূন্নাত-ই-রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
একবার কোন
এক রাষ্ট্রপ্রধান মহানবী (সা.)-কে উপঢৌকন হিসেবে একজন চিকিৎসক পাঠিয়েছিলেন
মদীনায়। চিকিৎসক মদীনায় অনেক দিন থাকলেন। কিন্তু কোনো রোগীর দেখা পেলেন না।
অবশেষে তিনি হুজুর (সা.)-এর কাছে আরজ করলেন, “আমি চলে
যেতে চাই। কারণ মদীনায় আমি এসেছি চিকিৎসকের দায়িত্ব পালনের জন্য। কিন্তু এ
পর্যন্ত কোন রোগীর দেখাই পাইনি।” রাসূলে আকরাম (সা.) অতি সিংক্ষেপে একটি মূল্যবান
কথা বললেন, “আমরা পেটে
ক্ষুধা লাগলে খাই এবং পেট পূর্ণ হওয়ার আগে খাওয়া বন্ধ করি। ফলে আমাদের স্বাভাবিক
কোন রোগ হয় না।”
আমরা জানি
স্বাস্থ্যই সুখের মূল। তাই আমরা স্বাস্থ্যের প্রতি সদা
দৃষ্টি রাখি। প্রিয়জনের অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। অনেকটা বিশেষজ্ঞ
ডাক্তারের মত অতি আস্থা-বিশ্বাস আর আত্ম প্রত্যয়ের সাথেই পরামর্শ দিয়ে থাকি অমুক
জিনিস খাবে, সাবধান অমুখ জিনিস খাবে না। এটি ব্যথা-বেদনায় খুবই ফলদায়ক
ইত্যাদি ইত্যাদি। কলম কাগজ থাকলে লিখিই দিই বিভিন্ন ওষুধের নামও। এতে প্রমাণিত হয়,
মানুষ নিজের, প্রিয়জনের স্বাস্থ্যের জন্য কত
আন্তরিক এবং যত্নশীল। সত্যিই সুস্বাস্থ্য আল্লাহ তায়াল অপার নিয়ামত বটে।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অআচারিত পুরো জীবন-জিন্দেগী কত
স্বাস্থ্যসম্মত এবং বৈজ্ঞানিক তার কতিপয় দিক সংক্ষিপ্তভাবে নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
১. ঘুম থেকে
ওঠার পর দু’হাতের তালু
দিয়ে মুখমন্ডল ও দুচোখ মর্দন করা।
এতে
তন্দ্রাভাব দূর হয়ে যায়। (শামায়েলে তিরমিযী)
২. ঘুম থেকে
উঠেই মিসওয়াক করা। (আবু দাউদ)
মিসওয়াক
মেসওয়াক ও
আধুনিক বিজ্ঞান :
আল্লাহ
তাআলা বলেন, হে নবী আপনি
বলে দিন, যদি তোমরা আল্লাহ কে ভালবাসতে চাও তাহলে
আমার অনুসরণ কর। ফলে আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন ও তোমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে
দিবেন, আর আল্লাহ তাআলা ক্ষমাশীল ও দয়ালু। [সূরা
আল ইমরান : ৩১]
অপর আয়াতে
আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদের
নিকট রাসূল সা, যে আদর্শ
নিয়ে এসেছেন তা তোমরা গ্রহণ কর। এবং যে সমস্ত বিষয় থেকে নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত
থাকো। [সূরা হাশর : ৭]
রাসূল সা.
বলেন মেসওয়াক হল মুখের পবিত্রতার মাধ্যম এবং আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির কারণ।
[বুখারী] হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূল সা, বলেছেন যদি আমি আমার উম্মতের উপর কষ্টের
আশংকা না করতাম তাহলে আমি তাদেরকে ইশার নামায বিলম্বে পড়তে এবং প্রত্যেক নামাযের
পূর্বে মেসওয়াক করতে আদেশ করতাম। [বুখারী, মুসলিম]
শুরাইহ ইবনে
হানী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত আয়েশা রা. কে জিজ্ঞেসা করলাম, রাসূল সা. যখন ঘরে প্রবেশ করতেন তখন
সর্বপ্রথম কি করতেন? উত্তরে তিনি
বলে, ঘরে প্রবেশ করে সর্বপ্রথমে তিনি মিসওয়াক
করতেন [মুসলিম]
মিসওয়াক
রাসূলে আকরামের (সা.) জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস। তাঁর ইন্তেকাল হয়েছে
মিসওয়াকরত অবস্থায়। হুজুর (সা.) মেসওয়াক সম্পর্কে অনেক ফযীলত বর্ণনা করেছেন।
আধুনিক চিকিৎসাবিদগণ এ সুন্নত থেকে বেশ কিছু তথ্য বের করেছেন। দাঁতের ভয়ংকর
কয়েকটি রোগ হয়ে থাকে। যেমন : জিঞ্জিভাইটিস (Gingivitis), এ রোগ হলে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়তে
থাকে এবং পচন ধরে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। কেরিস টিথ- এ রোগ হলে দাঁতের ক্ষয় শুরু
হয়। পাইয়োরিয়া (Pyorrhea)-এতে দাঁতের
মাড়ি ফুলে যায়, রক্ত ঝরে।
মিসওয়াক এ রোগগুলো দূর করতে সক্ষম। গাছের ডাল দ্বারা মেসওয়াক করা স্নুত। ব্রাশ
দ্বারা সুন্নত নয়। দেখা গেছে, পায়োরিয়া
হলে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়। তখন ডাক্তারগণ পরামর্শ দেন মাড়িতে শক্ত কিছু দিয়ে
হালকা হালকা করে চাপ দেয়ার জন্য। মিসওয়াক এ ক্ষেত্রে অনেক সহায়তা করে যা ব্রাশে
হয় না। তাছাড়া মিস
ওয়াকের
চাপটা একটু শক্ত হওয়ায় দাঁত পরিষ্কার হয় বেশী।
৩. দুই
হাতের কব্জি পর্যন্ত ভালভাবে ধোয়ার পর পানির পাত্রে হাত দেওয়া। (তিরমিযী)
এটা
স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরী বিষয়। ঘুমে থাকাবস্থায় অচেতনভাবে শরীরের গুপ্তাঙ্গে
স্বাভাবতই হাত যায়। ফলে সেখান থেকে নানা প্রকার রোগ জীবাণু হাতে লাগে। তাই সে হাত
না ধুয়ে কিছু খেলে মারাত্মক রোগ হতে পারে। তাছাড়া হাতে লেগে থাকা জীবাণু থেকে
বিভিন্ন প্রকার সংক্রামক রোগও হতে পারে। যেমন, গুহ্য
দ্বারে হাত লাগলে এ থেকে বিভিন্ন রকম কৃমি তো আছেই, এছাড়াও পুরুষের গনোরিয়া থেকে অন্যজন
সংক্রামিত হতে পারে। মেয়েদের ট্রাইকোমনাস (Trichomonus) থাকলে সংক্রামিত হতে পারে।
৪.
পায়খানায় জুতা পায়ে মাথা আবৃত করে যাওয়া। (ইবনে সা’দ, যাদলু মা’দ)
পায়খানায়
বহুবিধ রোগ জীবাণু থাকে, বিশেষ করে
বক্রকৃমির ডিম (Hook Worm) যা খালি
চোখে দেখার কোন উপায় নেই, খালি পা
থাকলে এগুলো সহজেই ত্বকের গভীরে পৌঁছে যায়। ফলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুস্থতা দেখা
দেয়। রক্ত স্বল্পতা, অনিয়মিত
পায়খানা হয়। শরীরে ঘন ঘন জ্বর দেখা দেয়। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। জুতা পায়ে
থাকলে সে আশংকা আর থাকে না।
মাথায় কাপড় দেয়া
ওয়াশ রুম বা
টয়লেট প্রস্রাব-পায়খানার নিরাপদ স্থান। অআধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায়
সায়েন্স-এ মূলতঃ রোগীর
সঠিক রোগ নির্ণয়ে তার প্রস্রাব-পায়খানার প্যাথলজিক্যাল টেস্ট খুবই জরুরী। কারণ,
প্রস্রাব-পায়খানায় রোগীর
রোগের জীবাণু নিহিত থাকে।
মাথার চুল
সংবেদনশীল। এগুলো যেমন অতি সহজে জীবাণু ধারণ করতে পারে তেমনি জীবাণু ছড়াতেও
সক্রিয়। তাই অস্ত্রোপচারের সময় ডাক্তারগণকে দেখা যায়, তারা মুখমন্ডল ছাড়া মাথাও টুপি দিয়ে ঢেকে
ফেলেন যাতে করে কোন রোগ জীবাণু ছড়াতে না পারে। হোটেল-রেস্তোরাতেও এখন হোটেল
বয়রা বিশেষ ধরণের টুপি ব্যবহার করেন যাতে চুল হতে রোগ জীবাণু খাবার টেবিলে না
ছড়ায়।
পায়খানায়
অসংখ্য রোগ জীবাণু ছড়িয়ে থাকে। মাথা আবৃত থাকলে চুল সে জীবাণু ধারণ থেকে রক্ষা
পায়।
৫. পেশাব
পায়খানায় ছিটাফোটা থেকে সতর্ক থাকা। (বোখারী, তিরমিযী)
লক্ষণীয়
বিষয়গুলো, শরীরে যে
সমস্ত রোগ জীবাণু বের হয়, এর ৯০ শতাংশ
প্রস্রাবের সাথে আর ১০ ভাগ পায়খানার সাথে বের হয়। প্রস্রাবের ছিঁটাফোটা থেকে
সতর্ক থাকা শুধু সুন্নতের জন্য নয়, স্বাস্থ্যের
জন্য এদিকে লক্ষ্য রাখা অত্যন্ত জরুরী। তাছাড়া, ইসলামী শরীয়াতে প্রস্রাব
নাজাসাতে গলিজা বা কঠিন নাপাকী যা সালাত বা নামাজে আদায়ে অযোগ্য। কারণ,
নামাজের ১৩ ফরজের এক ফরজ
জামা পাক।
অযু করা
সালাত বা
নামায আদায় এবং পবিত্র কোরআন স্পর্শের জন্য অযু করা ফরয। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ পাক না হয়ে তোমরা কোরআন স্পর্শ
করো না।
শরীরের যে
অঙ্গগুলো কাপড়ের বাইরে থাকে, যেমন হাত, মুখমন্ডল, পা, টাখনু
পর্যন্ত। অযুতে এসব যায়গা ধুতে হয়। ফলে এগুলো রোগজীবাণুমুক্ত হয়। এছাড়া ধোয়ার
সময় এ সকল স্থানের স্নায়ু (Nerve) ও উপশিরা (Capillary) গুলো ঠান্ডা হয় যাতে রক্তের স্পন্দন সহজ
হয়।
দাঁড়ি রাখা
দাড়িতে
পুরুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। দাঁড়ি না রাখলে মুখের ত্বকে দাগ পড়ে যায়। বার
বার সেভ করার ফলে ত্বকের স্পর্শকাতরতা কমে যায়। দৃষ্টিশক্তি লোপ পেতে থাকে।
নাভির নীচের, বগলের চুল কাটা। (মুসলিম)
বগলের নীচের
ও গুপ্তাঙ্গের চুল সব সময় ঢাকা থাকে বিধায় এগুলোতে ময়লা জমে। ফলে নানা ধরনের
জীবাণুর জন্ম হয়। স্বাভাবতই এগুলো অনেক রোগ সৃষ্টি করতে পারে। তাই রাসূলুল্লাহ
(সাঃ) বলেছেন, “চল্লিশ
দিনের বেশী এগুলো না কাটলে গোনাহ হবে।” উল্লেখ্য, অআধুনিক সার্জারি বিজ্ঞানমতে
রোগীর অপারেশনের অআগে কেবল নাভির নীচের পশম নয়, অআশ-পাশের বান্চিত লোমও ছেচে ফেলা হয় রোগ জীবাণু
মুক্তকরণের জন্য।
চুল ধোয়া, তৈল লাগানো, আচড়ানো সুন্নাত
চুল ধুলে
ময়লা দূর হয়। আচড়ালেও ময়লা পরিষ্কার হয়। চুলে তেল দিলে মাথা ঠান্ডা থাকে।
গোড়া শক্ত হয়। চুলের শিকড় (Root) গভীরে থাকে। চুল কাল হয়।
নখ কাটা
সুস্থ
স্বাস্থ্য রক্ষার্থে নখ কাটা অত্যন্ত জরুরী। নখ না কেটে খাবার খেলে সেখানে জমে
থাকা ময়লা পেটে গেলে খাবার হজমে অসুবিধার সৃষ্টি হয়। আমাশয়, ডায়রিয়া, টাইফয়েড ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কৃমির জন্ম
হতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সূঁচ কৃমি (Pinworm) ও বক্র কৃমি (Hookworm), হয়ে থাকে। সূঁচ কৃমি হলে চুলকানির সৃষ্টি
হয়। গুহ্যদ্বারে একজিমা দেখা দেয়। রাতে ঘন ঘন পেশাব হয়। ভেজাইনেটিস (Veginetis) রোগের প্রাদুর্ভাব হয়।
মাথা আবৃত করে খানা খাওয়া
পূর্বেই বলা
হয়েছে মাথার চুল সংবেদনশীল। এগুলো যেমন জীবাণু ধারণ করতে পারে, তেমনি ছড়াতেও পারে দ্রুত। তাই খাবারে যাতে
জীবাণু ছড়াতে না পারে সেজন্য মাথা ঢাকার যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে।
আঙ্গুল চেটে খাওয়া (তিরমিযী)
খাওয়ার পর
আঙ্গুল চেটে খাওয়া সুন্নাত। (তিরমিযী)
এ সুন্নত
থেকে চিকিৎসাবিদগণ সুন্দর তথ্য বের করেছেন। খাওয়া শেষ হলে আঙ্গুল চাটার সময়
মুখের ভেতর সেলিভারী গ্ল্যান্ড (SalivaryGland) থেকে টায়ালিন (Ptyalin) নামক এক প্রকার পাচক রস বের হয়, যা খাবার পাকস্থলী থেকে শিষণ দিয়ে বেরিয়ে
যাওয়ার পূর্বেই প্রায় অর্ধেক হজম হয়ে যায়।
গোসল করা
কথিত আছে যে, মধ্যযুগের ইউরোপীয়রা নিয়মিত
গোসলে অভ্যস্ত ছিলেন না। তখনকার আরব মুসলমানরা পানি সংরক্ষণাগার হাউজ প্রথার
প্রচলন করে গোসল-কে ব্যাপক জনপ্রিয় এবং প্রসারিত করেছিলেন। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা
নিয়মিত গোসলে রোগীকে উৎসাহিত করে থাকেন।
প্রথমে
মাথায় ও কাঁধে পানি দেওয়া। গোসল করলে শরীরের ময়লা দূর হয়। রোগ জীবাণু থাকে না।
মাথায় পানি দেয়ার ফলে মস্তিষ্ক ঠাণ্ডা থাকে এবং উচ্চ রক্তচাপ দূর হয়।
জুতা পায়ে দেওয়া
রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়মিত জুতা পরিধান করতেন। এমনি পবিত্র
মিরাজুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কালীন মহাকাশ পরিভ্রমণের সময়ও জুতা
পরিধান অবস্থায় ছিলেন।
মাটিতে
বহুবিধ রোগ জীবাণু ছড়িয়ে থাকে। শরীরের মধ্যে পায়ের পাতা নীচটাই মাটির সাথে লাগে
বেশী। ফলে সেখানে কোন জীবাণু লেগে হতে পারে মারাত্মাক কোন রোগ, বিশেষ করে বক্র কৃমি, যা পূর্বে উল্লিখিত হয়েছে, এগুলোর ডিম সর্বত্র ছড়িয়ে থাকে। অনেক দিন
পূর্বে এক স্থানে একটু মল ছিল; পরে ধুয়ে
মুছে সব শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু বক্র কৃমির ডিম নিঃশেষ হয়ে যায় না। এরা বহুদিন
পর্যন্ত টিক থাকে। খালি পা পেলে এগুলো সহজেই গভীরে ঢুকে যায়।
খৎনা করা
মুসলমানদের
একটা বিশেষ পালনীয় সুন্নত হলো খৎনা। লিঙ্গের উপরিভাগের বাড়তি চামড়া না কাটলে
ভয়ানক রোগ হতে পারে। এই ত্বকের ভেতর জমে থাকা ময়লা বিষাক্ত হয়ে অনেক সময়
চামড়া ফুটো হয়ে যায়। উপরে ফুটো হলে এটাকে ফাইমসিস (Phimosis) বলে। নীচে ফুটো হলে প্যারাফাইমসিস (Paraphimosis) বলে। এ রোগ হলে উপরের বাড়তি চামড়া না
কাটলে চামড়ায় পচন ধরতে পারে। স্ত্রী সহবাসে মারাত্মক অসুবিধা হয়। এর
ময়লার সাথে জমে থাকা বিভিন্ন রোগ জীবাণু স্ত্রীজরায়ুতে লেগে নানা রকম সংক্রামক
রোগ দেখা দেয়। লিঙ্গের মাথায় মাংস জমে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে বিধায়
ক্যান্সার হতে পারে।
মদ ও শূকরের গোশত না খাওয়া
এগুলো শুধু
হুজুরের (সা.) পরিত্যাজ্য বস্তু নয়। কোরআন শরীফে আল্লাহ তা‘আলা এগুলোকে হারাম ঘোষণা করেছেন। মদ পান
করলে লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। কোন ঔষধ শরীরে কাজ করে না। ফুসফুস ও
হৃদপিণ্ডে পানি জমে যায়। শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে খুব অসুবিধা হয়। কিডনীতে অসুবিধা
করে।
শূকরের
গোস্তে এমন এক প্রকার জীবাণু থাকে যা সিদ্ধ করলেও সহজেই নষ্ট হয় না। এ জীবাণু
থেকে দীর্ঘ স্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। ফিতা কৃমির (Tapeworm) সৃষ্টি হয়। বড়ি বড়ি পায়খানা হয়। রক্ত স্বল্পতা
দেখা দেয়।
অযু করে ঘুমানো (যাদুল মা’দ)
সারাদিন
ক্লান্তির পর রাতে শোয়ার সময় শরীর গরম ও মস্তিষ্ক অস্থির হয়ে যায়। সেজন্য
ভালভাবে ঘুম হয় না। ঘুমে স্বপ্ন দোষ হয়। ঘুমের প্রথমে অযু করলে উপশিরা স্নায়ু
ঠাণ্ডা হয়। ঘাড় মাসেহ করায় তাৎক্ষণিক মাথা ঠাণ্ডা হয় এবং স্থির থাকে। ফলে ঘুম
শান্তভাবে হয়। ঘুমে স্বপ্নদোষ খুব কম হয়।
ডান পাশে শোয়া
ডান দিকে
কাত হয়ে শোয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। খাদ্য পরিপাকে পাকস্থলীর কার্য
প্রণালীর প্রবণতা ডানমুখী । তাই ডান দিকে কাত হয়ে শুলে
খাবার পরিপাকে সুবিধা হয়।
অজু এবং
ইবাদাত:
আমাদের দেহের জন্য নামাজের
উপকারীতা
ইসলাম ধর্মে
যে পাঁচটি কাজকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে তার মধ্যে সালাত বা নামাজ অন্যতম। এটা এমন
একটি ইবাদত যা মানুষকে কেবল মহান আল্লাহ তায়ালার একেবারে নিকটবর্তীই করে না, এটি শারীরিক এবং মানসিক
স্বাস্থ্যকরও বটে।
নিশ্চয়
নামাজ অশ্লীল কাজের প্রতিরোধকারী (আল কুরআন)।
আমাদের
প্রিয় নবী সা: বলেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত
নামাজ হলো কারো বাড়ির পার্শ্ব দিয়ে প্রবাহিত স্রোতধারার মতো। কোনো ব্যক্তি তাতে
পাঁচবার গোসল করলে যেমন গায়ে ময়লা থাকতে পারে না, তেমনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও মানুষকে পবিত্র
করে দেয়।
নামাজের বৈজ্ঞানিক সুফল
সঠিক পদ্ধতিতে নামাজ আদায় করলে
অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেমন মস্তিষ্ক, গর্দান, সিনা ও ফুসফুস সতেজ থাকে। এর ফলে হায়াত
বৃদ্ধি পায়।
স্নায়ুর
দুর্বলতা, জোড়ায় জোড়ায় ব্যথা এবং অন্যান্য মাংসপেশীর
ব্যাধির সুচিকিৎসা রয়েছে নিয়মিত সালাত অআদায়ের মধ্যে।
(তবে কেবল
এসব সুবিধা লাভের নিয়তে নামাজ অআদায় জায়েজ নেই। কারণ, নামাজ আল্লাহর আদেশ
প্রতিপালনের উদ্দেশ্যে আদায় করার জন্য করা হয়ে থাকে। তাতে যে সওয়াব এবং
স্বাস্থ্যপ্রদ তা আল্লাহপাকের অশেষ ফজল, করম, রহমত, বরকত
মাত্র।
এক
বৈজ্ঞানিক গবেষণাও জানা যায় যে, নামাজ আদায়ের দ্বারা
অন্ততঃ আটটি রোগ থেকে মুক্তি লাভ করা যায় যা নিম্নরূপঃ
১. মানসিক
রোগ ২. স্নায়ুবিক রোগ ৩. অস্খিরতা, ডিপ্রেশন ৪.
মনস্তাত্ত্বিক রোগ ৫. হার্টের রোগ ৬. হাঁড়ের জোড়ায় জোড়ায় ব্যথা ৭. ইউরিক অ্যাসিড
থেকে সৃষ্ট রোগ এবং ৮. পাকস্খলী ও আলসারের রোগ।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের
দৃষ্টিতে রোজা
‘‘ওয়া আনতা
সুউমু খাইরুল লাকুম ইন্কুনতুম তা’লামুন’’- অর্থাৎ- ‘‘তোমরা যদি রোজা রাখ তবে তাতে রয়েছে তোমাদের
জন্য কল্যাণ, তোমরা যদি
সেটা উপলব্ধি করতে পার।’’ (সূরা
বাকারাহ- ১৮৪)
ইসলাম
আল্লাহ প্রদত্ত কল্যাণকর, পূর্ণাঙ্গ
জীবনবিধান (Complete Code of Life)। তাই এতে স্বাস্থ্যনীতিও রয়েছে। রোজা
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম। সকল সক্ষম ঈমানদারদের উপর আল্লাহ রমযানের
একমাস রোজা ফরজ করেছেন।
ইউরোপের ঘরে
ঘরে ইদানীং রোজা করার হিড়িক পড়েছে। সবার মুখে এক কথা- শরীরটাকে ভালো রাখতে
চাওতো রোজা পালন কর। ধারণা করা হচ্ছে, রোজা
পালনের ব্যাপারে এ ধরনের চেতনা সৃষ্টির পিছনে সত্তর দশকে প্রকাশিত একটি বই বিশেষ
ফলদায়ক। বইটি হচ্ছে প্রখ্যাত জার্মান চিকিৎসাবিদ ড. হেলমুট লুটজানার-এর The Secret of Successful
Fasting অর্থাৎ উপবাসের গোপন রহস্য।
বইটিতে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গের গঠন ও কার্যপ্রণালী বিশ্লেষণ করে
নিরোগ, দীর্ঘজীবী ও কর্মক্ষম স্বাস্থ্যের অধিকারী
হতে হলে বছরের কতিপয় দিন উপবাসের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ড. লুটজানারের মতে, খাবারের উপাদান থেকে সারাবছর ধরে মানুষের
শরীরে জমে থাকা কতিপয় বিষাক্ত পদার্থ (টকসিন), চর্বি ও
আবর্জনা থেকে মুক্তি পাবার একমাত্র সহজ ও স্বাভাবিক উপায় হচ্ছে উপবাস। উপবাসের ফলে
শরীরের অভ্যন্তরে দহনের সৃষ্টি হয় এবং এর ফলে শরীরের ভিতর জমে থাকা বিষাক্ত
পদার্থসমূহ দগ্ধীভূত হয়ে যায়।
উল্লেখ্য যে, ‘রমযান’ শব্দটি
আরবির ‘রমজ’ ধাতু থেকে
উৎপত্তি। এর অর্থ দহন করা, জ্বালিয়ে
দেয়া ও পুড়িয়ে ফেলা। এভাবে ধ্বংস না হলে, ঐসব বিষাক্ত
পদার্থ শরীরের রক্তচাপ, একজিমা, অন্ত্র ও পেটের পীড়া ইত্যাদি বিভিন্ন
রোগব্যাধির জন্ম দেয়। এছাড়াও উপবাস কিড্নী ও লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরে
নতুন জীবনীশক্তি ও মনে সজীবতার অনুভূতি এনে দেয়।
রোজা পালনের
ফলে মানুষের শরীরে কোন ক্ষতি হয় না বরং অনেক কল্যাণ সাধিত হয়, তার বিবরণ কায়রো থেকে প্রকাশিত ‘Science Calls for
Fasting’ গ্রন্থে পাওয়া যায়।
পাশ্চাত্যের প্রখ্যাত চিকিৎসাবিদগণ একবাক্যে স্বীকার করেছেন, “The power and
endurance of the body under fasting conditions are remarkable : After a fast
properly taken the body is literally born afresh.”
অর্থাৎ রোজা
রাখা অবস্থায় শরীরের ক্ষমতা ও সহ্যশক্তি উল্লেখযোগ্য : সঠিকভাবে রোজা পালনের পর
শরীর প্রকৃতপক্ষে নতুন সজীবতা লাভ করে।
রোজা একই
সাথে দেহে রোগ প্রতিষেধক ও প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। রোজাব্রত পালনের ফলে দেহে
রোগ জীবাণুবর্ধক জীর্ণ অন্ত্রগুলো ধ্বংস হয়, ইউরিক এসিড
বাধাপ্রাপ্ত হয়। দেহে ইউরিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে বিভিন্ন প্রকার নার্ভ
সংক্রান্ত রোগ বেড়ে যায়। রোজাদারের শরীরের পানির পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার ফলে চর্মরোগ
বৃদ্ধি পায় না।
আধুনিক
যুগের চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজার ব্যবহারিক তাৎপর্য উপলব্ধি করেই জার্মান, সুইজারল্যান্ড প্রভৃতি দেশে ব্যবস্থাপত্রে
প্রতিবিধান হিসেবে এর উল্লেখ করা হচ্ছে।
ডা. জুয়েলস
এমডি বলেছেন, ‘‘যখনই একবেলা
খাওয়া বন্ধ থাকে, তখনই দেহ
সেই মুহূর্তটিকে রোগমুক্তির সাধনায় নিয়োজিত করে।’’
ডক্টর ডিউই
বলেছেন, ‘‘রোগজীর্ণ এবং রোগক্লিষ্ট মানুষটির পাকস্থলী
হতে খাদ্যদ্রব্য সরিয়ে ফেল, দেখবে রুগ্ন
মানুষটি উপবাস থাকছে না, সত্যিকাররূপে
উপবাস থাকছে রোগটি।’’
তাই একাদশ শতাব্দীর
বিখ্যাত মুসলিম চিকিৎসাবিজ্ঞানী ইবনে সিনা তার রোগীদের তিন সপ্তাহের জন্য উপবাস
পালনের বিধান দিতেন।
ডা. আলেক্স
হেইগ বলেছেন, ‘‘রোজা হতে
মানুষের মানসিক শক্তি এবং বিশেষ বিশেষ অনুভূতিগুলো উপকৃত হয়। স্মরণশক্তি বাড়ে, মনোসংযোগ ও যুক্তিশক্তি পরিবর্ধিত হয়। প্রীতি, ভালোবাসা, সহানুভূতি, অতীন্দ্রিয় এবং আধ্যাত্মিক শক্তির উন্মেষ
ঘটে। ঘ্রাণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি প্রভৃতি বেড়ে যায়। এটা খাদ্যে
অরুচি ও অনিচ্ছা দূর করে। রোজা শরীরের রক্তের প্রধান পরিশোধক। রক্তের পরিশোধন এবং
বিশুদ্ধি সাধন দ্বারা দেহ প্রকৃতপক্ষে জীবনীশক্তি লাভ করে। যারা রুগ্ন তাদেরকেও
আমি রোজা পালন করতে বলি।’’
বিখ্যাত
মনোবিজ্ঞানী সিগমন্ড নারায়াড বলেন, ‘রোজা
মনস্তাত্ত্বিক ও মস্তিষ্ক রোগ নির্মূল করে দেয়। মানবদেহের আবর্তন-বিবর্তন আছে।
কিন্তু রোজাদার ব্যক্তির শরীর বারংবার বাহ্যিক চাপ গ্রহণ করার ক্ষমতা অর্জন করে।
রোজাদার ব্যক্তি দৈহিক খিচুনী এবং মানসিক অস্থিরতার মুখোমুখি হয় না।’’
প্রখ্যাত
চিকিৎসাবিজ্ঞানী ুটডতটঢঢণভ সাহেব মনের প্রগাঢ়তা ও বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশে রোজার
ভূমিকা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘রোজার
অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে কি পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করা হলো তার ওপর বুদ্ধিবৃত্তির
কর্মক্ষমতা নির্ভর করে না। বরং কতিপয় বাধ্যবাধকতার উপরই তা নির্ভরশীল। একজন যত
রোজা রাখে তার বুদ্ধি তত প্রখর হয়।’’
ডাঃ এ, এম গ্রিমী বলেন, ‘‘রোজার সামগ্রিক প্রভাব মানব স্বাস্থ্যের
উপর অটুটভাবে প্রতিফলিত হয়ে থাকে এবং রোজার মাধ্যমে শরীরের বিশেষ বিশেষ অঙ্গ
প্রত্যঙ্গগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠে।’’
ডাঃ আর, ক্যাম ফোর্ডের মতে, ‘‘রোজা হচ্ছে পরিপাক শক্তির শ্রেষ্ঠ
সাহায্যকারী।’’
ডাঃ বেন কিম
তাঁর এক প্রবন্ধে বেশ কিছু রোগের ক্ষেত্রে উপবাসকে চিকিৎসা হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
এরমধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসতন্ত্রের
প্রদাহ (হাঁপানী), শরীরের
র্যাশ, দীর্ঘদিনের মাথাব্যথা, অন্ত্রনালীর প্রদাহ, ক্ষতিকর নয় এমন টিউমার ইত্যাদি। এসব
ক্ষেত্রে তিনি বলেন, উপবাসকালে
শরীরের যেসব অংশে প্রদাহ জনিত ঘা হয়েছে তা পূরণ (Šণযটধর) এবং সুগঠিত হতে পর্যাপ্ত সময় পেয়ে
থাকে। বিশেষত খাদ্যনালী পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাওয়াতে তার গায়ে ক্ষয়ে যাওয়া টিস্যু
পুনরায় তৈরি হতে পারে। সাধারণত দেখা যায় টিস্যু তৈরি হতে না পারার
কারণে অর্ধপাচ্য আমিষ খাদ্যনালী শোষণ করে দূরারোগ্য সব ব্যাধির সৃষ্টি করে ডাঃ বেন
কিম আরো বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন উপবাস কিভাবে দেহের সবতন্ত্রে (ওর্হ্রণব)
স্বাভাবিকতা রক্ষা করে।
প্রখ্যাত
চিকিৎসক ডাঃ জন ফারম্যান এক নিবন্ধে সুস্বাস্থ্য রক্ষায় উপবাস এবং
খাবার গ্রহণের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে উপবাসের স্বপক্ষে মত দিয়েছেন।
এ ক্ষেত্রে
বিশেষভাবে লক্ষণীয় রমযানের রোজা রাখার সুফল পাওয়া যায় না মূলত খাদ্যাভ্যাস ও রুচির
জন্য।
বাংলাদেশের
জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ নূরুল ইসলাম বলেছেন, ‘‘রোজা
মানুষের দেহে কোন ক্ষতি করে না।
প্রযুক্তির
সদ্ব্যবহার :
মানবতার
কল্যাণে বিজ্ঞানের অবদান অনস্বীকার্য। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা নিঃসন্দেহে মানুষের
জীবনযাপনকে সহজ ও সাবলীল করেছে। এর সদ্ব্যবহারে সুফল এবং অসদ্ব্যবহারে কুফল। এ
ক্ষেত্রে জরুরী হচ্ছেঃ আবিস্কৃত, প্রচলিত বিজ্ঞান-প্রযুক্তিকে
কল্যাণ বা উপকারমুখীকরণ। এ জন্য প্রয়োজন কল্যাণকর জ্ঞান চর্চা যাকে
পবিত্র হাদিসে বলা হয়েছে ঈলমান নাফিয়ান-উপকারী জ্ঞান যদ্বারা মানব কল্যাণ সাধিত
হয়। তাহলে আমরা সহজে আধুনিক প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার করতে পারবে ইনশা আল্লাহ।
প্রযুক্তির সুফল
মোবাইল : মোবাইল বিহীন দেশ-রাষ্ট্র,
জেলা-উপজেলা তো দূরের কথা
মোবাইল নেই-এমন লোক পৃথিবীতো খুব কমই পাওয়া যাবে। অন্ধ ফকির-মিসকিনদের হাতেও
এখন মোবাইল ফোন অতি নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তুতে পরিণত হয়েছে।
প্রযুক্তির
সবচেয়ে বহুল প্রচলিত উপাদান হ’ল মোবাইল
ফোন যার অপর নাম সেল ফেল। পারস্পরিক যোগাযোগ তা সুদূর হোক বা অতি কাছের হোক
সব দূরত্বকে জয় করেছে যে প্রযুক্তি তা হলো মোবাইল প্রযুক্তি। যা মানুষের মাঝে
যোগাযোগের ক্ষেত্রে দূরত্বকে জয় করেছে।
প্রযুক্তির কুফল
মোবাইলের
মাধ্যমে এখন জরুরী কথা বলা পাশাপাশি অপসংস্কৃতির প্রচার, নগ্নতাকে উসকে দেয়া, ব্লাকমেইলিং, অশ্লীল কার্যকলাপ যেন নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়
হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মোবাইল
সিম কোম্পানীগুলোর লোভনীয় অফার ও এসবের অপব্যবহার তরুণ সমাজকে আরও ভয়াবহ বিপদের
দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
ইসলামের আলোকে প্রযুক্তির
অপব্যবহারের পরিণতিঃ
মোবাইল ফোনঃ
ভাল-মন্দ
উভয় কথার সংরক্ষণকারী ফিরিশ্তার নামঃ কিরামান কাতিবীন যা মোবাইলে অবাধে চর্চা
হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরঅআনে মহান আল্লাহ বলেনঃمَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ-
‘মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে, তার জন্য তৎপর প্রহরী তার নিকটেই রয়েছে’ (ক্বাফ ৫০/১৮)।
ফেইস বুক
অশ্লীলতা সম্পর্কে মহান আল্লাহ
বলেন,إِنَّ الَّذِيْنَ يُحِبُّوْنَ أَنْ تَشِيْعَ الْفَاحِشَةُ فِي الَّذِيْنَ آمَنُوْا لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ-
‘যারা মুমিনদের মধ্যে
অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, নিশ্চয়ই
তাদের জন্য ইহকালে ও পরকালে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি’ (নূর ২৪/১৯)।
ফেইসবুকের সুফল
ওয়ামা
আলাইনা ইল্লাল বালাগুল মুবিন (সূরাহ..আয়াত)
আমার একটি
কথা হলেও তা প্রচার করে দাও (আল হাদিস)
মুহুর্তের
মধ্যে বিশ্বব্যাপী পবিত্র কুরআন এবং হাদিসসহ ব্যক্তিগত সুসংবাদ,
শোক সংবাদসহ
আর্থ-সামাজিক-রাষ্ট্রীয় সংবাদ প্রচারের সহজ মাধ্যম ফেইস বুক।
ফেইসবুকের কুফল
সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর অন্যতম ফেইস বুক। এর অপব্যবহারে এটি নারী-পুরুষের অবৈধ যোগাযোগ, নারী-পুরুষের
আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। যা আমাদের ব্যক্তিগত,
পারিবারিক ও সামাজিক
অবক্ষয়কে ত্বরান্বিত করছে।
ইন্টারনেট প্রযুক্তির সুফল
এটা
বিশ্বকে একই নেটওয়ার্কের মধ্যে এনেছে।
ইন্টারনেট
তথ্য প্রযুক্তিতে রাতারাতি বিপ্লব সাধন করেছে। ইন্টারনেট নদীর মত ভূমিকায় অবতীর্ণ।
নদীর এক কূল গড়ে অপর কূল যেমন ভাঙ্গে তেমনি ইন্টারনেটে যেমন রয়েছে জ্ঞান-বিজ্ঞানের
অচিন্তনীয় উৎস তেমন রয়েছে ব্যক্তি সত্বা বিধ্বংসী নানান উপকরণাদি। ফুলে যেমন মধুও
থাকে বিষও থাকে তেমনি ইন্টারনেটে উপকারী জ্ঞান যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে ক্ষতিকর
জ্ঞানও। এ ক্ষেত্রে জরুরী মানব সত্বার শ্রেষ্ঠ সম্পদ বিবেক-বুদ্ধিকে ইন্টারনেট
প্রযুক্তিতে ব্যবহার করে এ প্রযুক্তি থেকে মধু রূপ সর্বপ্রকার কল্যাণ বের করে আনা
। এক্ষেত্রে আমাদেরকে হতে হবে মৌমাছি সদৃশ যে ফুল থেকে কেবল কল্যাণকর বস্তু মধুই
আহরণ করে থাকে। দুঃখের বিষয়, আমাদের এক্ষেত্রে আচরণ হচ্ছে ভ্রমরার মতো বিষ আহরণের মতই।
সুতরাং, ইন্টারনেট
থেকে সুফল আহরণের জন্য আমাদের অর্জিত জ্ঞান-বুদ্বি-বিবেকসম্মত উপকারী জ্ঞানের
সর্বাধিক প্রয়োগ জরুরী।
ইন্টারনেটের
মাধ্যমে বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও প্রচারের ফলে অশ্লীলতার ব্যাপক ছড়াছড়ি হচ্ছে। ফলে
নারীর শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ, ইভটিজিং, এসিড
সন্ত্রাস, হত্যা-গুম
ইত্যাদি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এক জরিপে
জানা যায়, বিপুল সংখ্যক স্কুল শিক্ষার্থীরা
পর্ণোগ্রাফীর সাথে জড়িত। এছাড়া স্মার্ট ফোনের ওয়াইফাই শেয়ারিং (shareit, anyshare etc.) ও ব্লুটুথের (Bluetooth) মাধ্যমে এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে সহজেই
তা ছড়িয়ে যাচ্ছে। পরিবারের প্রধানদের যথাযথ মনিটরিং-এর অভাবে এগুলো আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রেডিও : পরিবারের
বিনোদনের মাধ্যম হিসাবে বহু বছর থেকে রেডিও ও টেলিভিশন স্থান দখল করে রেখেছে। মাঝে
রেডিওর অবস্থান নড়বড়ে হয়ে গেলেও এফ.এম রেডিও-এর মাধ্যমে এটির গতি ত্বরান্বিত হয়েছে।
বর্তমানে এই মাধ্যমে ইসলামিক কোন কিছুই প্রচার হয় না। এটা অনৈসলামী কার্যকলাপের
অন্যতম হাতিয়ার। কোন প্রকার তার বা সেট ছাড়া মোবাইলে চালু করা যায় বলে সমাজে এর
প্রভাব অনেক বেশী। এগুলোর মাধ্যমে আমাদের ভাষারও বিকৃতি হচ্ছে বলে জানা
যাচ্ছে।বাংলা+ইংরেজীর সংমিশ্রনে রক্ত দিয়ে গড়া বাংলা ভাষা এখন
বাংরেজী ভাষায় পরিণত হওয়ায় বেশ কয়েক বছর আগে এ ধরণের প্রবণতা রোধ কল্পে রীট
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা হাইকোর্ট থেকে রীটের অনুকূলে ডিক্রি জারী করা হয়েছিল।
এতদ্বসত্ত্বেও অবস্থার তেমন পরিবর্তন হয়নি বল্লে চলে।
টেলিভিশন : এক সময় টেলিভিশন বাড়ীর চার দেয়ালের মধ্যে
স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সচিত্র খবরা-খবরের তাৎক্ষণিক মাধ্যম হচ্ছে
টেলিভিশন। দেশ ও জাতি বিনির্মাণে টেলিভিশনের ভূমিকা অনন্য। অপরাপর মিডিয়ার মতো
এটিও অপসংস্কৃতির ভাইরাসে আক্রান্ত। বিশেষ করে বিদেশী ধারাবাহিক সিরিয়াল নাটক,
থিয়েটারের মাধ্যমে
অপসংস্কৃতির সয়লাবে অনেক বুনিয়াদী পরিবার আজ ছন্নছাড়া হয়ে পড়ছে। এতে জাতীয়
অপরাধমূলক কর্মকান্ড দিন দিন বেড়ে চলেছে।
এই
মাধ্যমে ভালো কোন ইসলামিক চ্যানেল না থাকায় এগুলোর প্রভাব আরো বেশী ত্বরান্বিত
হচ্ছে।
প্রিন্ট
মিডিয়া: এক সময় দৈনিক,
সাপ্তাহিক, পাক্ষিক এবং মাসিক
পত্র-পত্রিকা, ম্যাগাজিন
রাষ্ট্রের ৫ম স্তম্ভ হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতো। এ জগতও বর্তমানে
নানান অপসংস্কৃতির যাঁতাকলে নিপতিত।
কোরঅআন-সুন্নাহর
আলোকে আত্ম সংযম, সুস্থ সংকৃতির বিকাশের মাধ্যমে প্রিন্ট মিডিয়া জাতিকে উপহার
দিতে পারে সুনাগরিক। কিন্তু, ইসলাম
বিষয়ক তেমন কিছু প্রচার হয় না বললেই চলে। বরং পত্রিকা খুললেই অর্ধনগ্ন নারী-পুরুষের ছবিতে এতটাই পূর্ণ থাকে যে, এখন সংবাদপত্র পড়ার জো নেই।
বিলবোর্ড সাইনবোর্ডঃ
বাজার-ঘাট, রাস্তার
আশেপাশে বিলবোর্ডও সাইনবোর্ডেও অনৈসলামিক বিষয়গুলোর প্রাধান্য চোখে পড়ে।
প্রযুক্তির
সঠিক ব্যবহারের গুরুত্ব :
আমাদের
দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির ব্যবহার সর্বত্র। এর অবদানকে যেমন অস্বীকার করা যাবে না, তেমনি এটার অপব্যবহারের কথা বলে এটাকে
পরিত্যাগ করারও কোন উপায় নেই। বরং আমাদেরকে এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণে কার্যকর
পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বস্ত্ততঃ প্রযুক্তির যথার্থ ব্যবহারই আদর্শ সমাজ
বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে পারে।
সব নবী-রাসূলই তাঁদের যুগে তৎকালীন প্রযুক্তিকে
কাজে লাগিয়েছিলেন এবং মহান সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা আল্লাহ তা‘আলার বিধান প্রচার-প্রসার করেছেন। উম্মতকে প্রযুক্তির সঠিক
ব্যবহার শিখিয়েছেন। মহান আল্লাহর বাণী মানুষের কাছে
পৌঁছিয়েছেন। সবুজ গ্রহ পৃথিবীর প্রথম নবী এবং প্রথম মানব হযরত আবুল বাশার আদম
আলাইহিমুস সালাম পৃথবীতে এসেই সর্বপ্রথম যে প্রযুক্তির প্রচলন করেছিলেন তা ছিল
বস্ত্র প্রযুক্তি (Textile Technology) যার সূচনা
লতা-পাতা। অতঃপর কৃষি প্রযুক্তি যদ্বারা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, ওষুধ-পথ্য ইত্যাদির সংস্থান
করা হয়েছিল। জ্ঞান চর্চার আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটে হযরত ইদরিস আলাইহিমুস সালামের
মাধ্যমে। তিনি দ্বীনী দরসের পাশাপাশি অংক-গণিতও শিক্ষা দিতেন মর্মে জানা যায়।
নবুয়তের দায়িত্বের পাশাপাশি তিনি নিয়মিত দরস (শিক্ষা) দেয়ার কারণে তাঁর মূল নাম হযরত আখমুখ (Akhmukh) ইবনে মাতুশলখ (Matushlokh এর স্থলে ইদরিস (দরসদাতা)
হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। বাদশাহ সুলায়মান আলাইহিমুস সালাম মুজিযার মাধ্যমে
মহাকাশ প্রযুক্তির প্রয়োগ করে সাবার রাণী বিলকিসের সিংহাসন চোখের পলকে নিয়ে
এসেছিলেন। সাইয়েদুল মুরসালিন, আশরাফুল আম্বিয়া হযরত আহামাদ মুস্তবা, মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সেরা
মুজিযা ছিল রাতের এক কিয়দংশের মধ্যে সাত আসমান মিরাজুন্নবীর মাধ্যমে পরিভ্রমণ যা
মহাকাশ বিজ্ঞানীদের আজও হতভম্ভ করে দেয়। কারণ, বিজ্ঞানীদের মতে আইনস্টাইনের এমসি থিওরীমতে আলোর গতির
চাইতে দ্রুতগতি এ জগতে দ্বিতীয়টি আর নেই। দ্বিতীয় মুজেযা চাঁদ-কে রাতারাতি
আঙ্গুলের ইশারায় দ্বিখন্ডিতকরণ-যা সচক্ষে দেখেছিলেন অ্যাপোলো-১১এর নভেচারী নীল
আর্মস্ট্রং ১৯৬৯ সালের জুলাই মাসে। সম্ভবতঃ পৃথিবীতে সর্বপ্রথম Open Heart
Surgery সম্পন্ন হয়েছিল অন্ততঃ চার চার বার মহানবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের। ৪তম সিনা চাক হয়েছিল মিরাজুন্নবী সম্পন্নের
পূর্বক্ষণে।
মূসা (আঃ)-এর সময়
জাদুর প্রভাব ছিল অধিক। মূসা (আঃ) সে যুগের
প্রেক্ষাপটে আল্লাহ প্রদত্ত মুজেযা ব্যবহার করে ফেরাউন ও তার সম্প্রদায়ের নিকট
দ্বীনের দাওয়াত দিয়েছেন। ফলে অসংখ্য জাদুকর আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল। ঈসা (আঃ)-এর সময়ে
চিকিৎসাবিদ্যার প্রচলন ছিল বেশী। তিনি তাই আল্লাহ প্রদত্ত চিকিৎসাবিদ্যার
ব্যবহারের মাধ্যমে দাওয়াত দিয়েছেন। দুরারোগ্য কুষ্ঠরোগীকে নিরাময়সহ মৃতকে
আল্লাহর হুকুমে জীবিত করে দেখানোর মাধ্যমে দাওয়াতী কাজ করেছেন (মায়েদাহ ৫/১১০)।
প্রযুক্তির
সঠিক ব্যবহারের উপায় ও মাধ্যম :
বিজ্ঞানের
উন্নতির এই যুগে দাওয়াতের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। আধুনিক
প্রযুক্তি ব্যবহার করে অল্প সময়ে, অল্প
কষ্টে অসংখ্য মানুষের কাছে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া যায়। আধুনিক মাধ্যমগুলোতে ইসলামের
সহীহ আক্বীদার মানুষ কম আসায় এক্ষেত্রে সুযোগ নিচ্ছে বিভিন্ন ভ্রান্ত দল ও গোষ্ঠী।
তাদের থেকে তরুণ প্রজন্মকে বাঁচাতে আধুনিক মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে সঠিক ইসলামকে
মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন মাধ্যমকে কিভাবে সঠিক পথে
পরিচালনা করা যায় এবং কিভাবে ইসলাম প্রচারে ব্যবহার করা যায় তা নিচে উল্লেখ করা হ’ল।-
টেলিভিশন
মিডিয়া : ইসলামী
সমাজ ব্যবস্থার একক হ’ল পরিবার।
সেই পরিবারের অন্যতম বিনোদন মাধ্যম হ’ল
টেলিভিশন। টেলিভিশনের মাধ্যমে ইসলাম প্রচারের গুরুত্ব অপরিসীম। এই মাধ্যমের
অপব্যবহারগুলো সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করার পাশাপাশি একে ইসলাম প্রচারের মাধ্যম
হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। ইসলামী বিভিন্ন অনুষ্ঠান বিভিন্ন চ্যানেলে প্রকাশ করার
ব্যবস্থা করতে ইসলামী আলিম-উলামা-বুজর্গানে দ্বীনদের ইত্তেহাদ-ইত্তেফাকের মাধ্যমে
ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে তা সহজ হবে।
রেডিও : কম খরচে অল্প সীমানায় (range) কোন তথ্য, তত্ত্ব, উপাত্ত,আদর্শ, মতবাদ সম্প্রচার করতে চাইলে
কমিউনিটি রেডিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এ ব্যাপারে মুসলিম
বিশেষজ্ঞদের ব্যক্তিগত বা সামষ্টিক উদ্যোগই পারে এ রেডিও প্রযুক্তি ব্যবহার করে
দ্বীন ইসলাম প্রচার করতে।
প্রিন্ট
মিডিয়া : সমাজের
পরিবর্তনে ও সমাজে ভালো কিছু প্রচলনের ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা স্থায়ী ভূমিকা রাখতে
পারে প্রিন্ট মিডিয়া। ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি লালনকারী এবং ইসলামের প্রতি
সহানুভূতিশীল দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক
বার্ষিক প্রকাশনা জাগতিক অন্যান্য প্রকাশনার তুলনা নিতান্তই অপ্রতুল বলা যায়।
বললেই চলে। বিজাতীয় মতবাদ মুমিন-মুসলমানের ঈমান-আকিদায় দ্রুত প্রবেশ সম্ভব হচ্ছে
যা সত্যিই দুঃখজনক। উল্লেখ্য, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিদায় হজ্বের
ঐতিহাসিক ভাষণে ঘোষিতঃ আমার একটি কথা হলেও তোমরা পৌঁছে দিবে-এই আহবান আজ
মুহুর্তের মধ্যে ফেইস-বুক, ই-মেইল, গুগল, ইউটিউবে
ভাইরাল করে বিশ্বব্যাপী প্রচার অতি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সুযোগ আমাদের
হাতছাড়া করা উচিত নয়। তাছাড়া পর্ণোগ্রাফী মুক্ত ইন্টারনেট প্রযুক্তিকে
দ্বীনী-ইসলামীকরণে আমাদের দ্রুত এগিয়ে আসা জরুরী। ফেইস বুকের আদলে Aich(H)-Book, You
Tube এর আদলে i.tube (Islamic Tube),
i.i.net(Islamic Internet) প্রতিষ্ঠার
মাধ্যমে আমরা ইনশা আল্লাহ সর্বপ্রকার অপসংস্কৃতি,
অশ্লীলতামুক্ত
ইসলামী তথ্য প্রযুক্তির
বিশ্ব গড়ে তুলতে পারি। এর জন্য প্রয়োজন ব্যক্তি, সমাজ, এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সমন্বিত ইসলামী উদ্যোগ। উম্মাহর নীতিনির্ধারণী মহল,
মেধাবী, বিজ্ঞানমনস্ক এবং দ্বীনদার
বিত্তবান মুসলিমদের এগিয়ে আসতে হবে।
ওয়ামা
তাওফীকী ইল্লাবিল্লাহ।
কম্পিউটার : বর্তমান
বিশ্বে কম্পিউটার এমন এক প্রযুক্তির নাম পৃথিবীর সবকিছুতেই যার ছোঁয়া অপরিহার্য।
এর অবদান অনস্বীকার্য। পৃথিবীর সব যন্ত্রই বর্তমানে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত তথা
কম্পিউটারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সাহায্যে পরিচালিত। লেখাপড়া, সাহিত্যচর্চা, সাহিত্য-কলা
সবকিছুতেই কম্পিউটার প্রসারিত করেছে তার সাহায্যের হাত। উন্নত বিশ্বে কৃষি, বাণিজ্য, চাকরি
থেকে নিয়ে হেন কোন পেশা নেই যাতে কম্পিউটারের সাহায্য নেয়া হয় না। এই মাধ্যমকে
ইসলামের প্রচার ও প্রসারে অনেক সহজে ও সফলতার সাহায্যে ব্যবহার করা যেতে পারে।
কম্পিউটারের মাধ্যমে আজ কুরআন, হাদীছ, বিভিন্ন ইসলামী রেফারেন্স গ্রন্থ পড়া ও
সংরক্ষণ করা, ভিডিও
দেখা, অডিও শোনা প্রভৃতি অনেক সহজতর হয়েছে। আগে
কুরআনের আয়াত বা হাদীছের ইবারত সংগ্রহ করা অনেক কঠিন ছিল। আজ তা অনেক সহজতর হয়েছে।
কুরআন-হাদীস অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন
সফটওয়্যার রয়েছে। এগুলোতে সহজেই একটি সূরাহ থেকে অন্য সূরাহতে গমন করা যায়।
মুহুর্তের মধ্যে বিভিন্ন শব্দ দিয়ে বিভিন্ন আয়াত বের করা যায় । হাদীসের ক্ষেত্রেও
এরকম সফটওয়্যার বিদ্যমান। বাংলা ভাষায়ও কুরআন-হাদীসের
অনেক ওয়েব, সফটওয়্যার, অ্যাপ বিদ্যমান। এগুলোর যথাযথ প্রচার ও
সহযোগিতায় এগিয়ে আসা আমাদের কর্তব্য (তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট)।
উল্লেখ্য,
কুরআন, হাদীছ ও ইসলামী রেফারেন্স-এর ক্ষেত্রে ‘মাকতাবা শামেলা’ সফটওয়্যার অসাধারণ। এতে বিভিন্ন বিষয়ের
হাজার হাজার গ্রন্থ ও পত্র-পত্রিকা
মওজুদ রয়েছে। আধুনিক যুগে ইসলামী গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এর সঠিক ব্যবহার
জানা আবশ্যক (প্রাগুক্ত)।
ওয়েব
মিডিয়া : ওয়েব
মিডিয়ায় মুসলমানদের অবস্থান খুব দুর্বল। বিশেষ করে নৈতিকতার চর্চা এখানে খুবই
নগণ্য। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যায়, অমুসলিম ও
ইহুদীদের সাইট মুসলমানদের সাইটের তুলনায় ১২০০ গুণ বেশী। অশ্লীলতা ও নীল ছবির সয়লাব
এত বেশী যে অল্প কিছু মুসলিম সাইটের অবস্থান সে তুলনায় অপ্রতুল। বাংলা
ভাষায়ও ইসলামের উপর ওয়েবসাইটের সংখ্যা অতি নগণ্য। যেগুলো রয়েছে তার মানও অনেক কম।
অনেক ওয়েবসাইট নিয়মিত আপডেট হয় না। ওয়েব মিডিয়ার অন্যতম উপাদান অনলাইন নিউজ-এর ক্ষেত্রে ইসলামী ভাবধারাসম্পন্ন পোর্টাল
এর অত্যধিক অভাব পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া ইসলাম বিষয়ে বিভিন্ন ব্লগ, ওয়েবসাইট প্রভৃতিরও সংখ্যা অনেক কম। এগুলোর
প্রচার-প্রসারে আরো অনেক ওয়েবসাইট, ব্লগ গঠনে এগিয়ে আসার পাশাপাশি নতুন নতুন
আইডিয়া নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে (তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট)।
ই-মেইল : ই-মেইলের
মাধ্যমে অসংখ্য মানুষের কাছে ইসলামের বাণী মুহূর্তেই পৌঁছানো যায়। যত বড় লেখাই হোক
না কেন; তা লিখে মানুষকে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া যায়। ই-মেইল-এ গ্রুপ সৃষ্টি করার মাধ্যমে বিভিন্ন
বিষয়ে গ্রুপ মেসেজ আদান-প্রদান
করা যায়। জিমেইলের ফাইল হোস্টিং সার্ভিস গুগল ড্রাইভের মাধ্যমে ফাইল সংরক্ষণ করা
যায়। এমনকি বিভিন্ন ডকুমেন্টকে Ocr করে word ফরম্যাটে রূপ দেয়া যায়। (তথ্যসূত্রঃ
ইন্টারনেট)
ফেসবুক সহ
অন্যান্য স্যোশাল মিডিয়া : স্যোশাল
মিডিয়াগুলো যদিও ওয়েব মিডিয়ার অন্তর্ভুক্ত, তবুও এর
গুরুত্ব ও পরিব্যাপ্তি অনেক হওয়ায় তার আলাদা আলোচনা গুরুত্বের দাবী রাখে। বর্তমানে
শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত এ
মিডিয়া আসক্ত। এ মিডিয়ার মাধ্যমে ইসলাম প্রচার অনেক সহজ এবং অনেক দ্রুত গতিতে তা
ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এ মিডিয়ার সঠিক ব্যবহারের উদাহরণ অপব্যবহারের তুলনায় অনেক কম।
ফেসবুকে লেখা, ছবি, ভিডিও, নোট (বড় লেখা) প্রকাশ
করে দ্বীনে হকের দাওয়াতের কাজ করা যায়। এক্ষেত্রে দাওয়াতের পাশাপাশি অনৈসলামী
মতবাদকে খন্ডনও করা যায়। তবে ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে সৌজন্য, শালীনতা, মাধুর্যতা
বজায় রাখা আবশ্যক। সবসময় বিরোধিতামূলক বা খন্ডনমূলক প্রচার নয়, বরং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দাওয়াত দেওয়া
অনেক বেশী কার্যকর। দাওয়াতের ক্ষেত্রে ইসলামী মূলনীতি অনুসরণ করে সঠিক তথ্য-প্রমাণসহ আলোচনা দাওয়াতকে বেগবান করবে বলে
আশা করা যায়। এছাড়াও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া যেমন টুইটার, বেশতো, উম্মাহল্যান্ড, লিংকডইন, গুগল
প্লাস, ইন্সট্রাগ্রামেও ইসলাম বিষয় লেখা, ছবি পোস্ট করা সময়ের দাবী। (প্রাগুক্ত)
ইউটিউব : মানব মনে
দাগ কাটার ক্ষেত্রে দেখা ও শোনার প্রভাব বেশী। এজন্যই মাল্টিমিডিয়ার প্রয়োগ অনেক
বেশী প্রয়োজন। ভিডিও প্রকাশ করে তা প্রচার করলে
দাওয়াতের প্রসার অনেক বৃদ্ধি পায়। কুরআনের বিভিন্ন আয়াত, তাফসীর, বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, ইসলামী হামদ, না‘ত প্রভৃতি
গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এসব রেকর্ড করে ইউটিউব, ডেইলীমোশন, ভিমিও প্রভৃতি সাইটে আপলোড করে প্রচার করা
যেতে পারে। বড় বড় ভিডিওর তুলনায় ছোট ছোট প্রশ্নোত্তর বা ভিডিওর প্রভাব অনেক বেশী।
শিশুদের আকর্ষণ বৃদ্ধির জন্য অনুমোদনযোগ্য কার্টুনও প্রকাশ করা যেতে পারে। এছাড়া
শিশুদের জন্য ছড়া, বিভিন্ন
ইসলামী গল্প কথকের মাধ্যমে ভিডিও করে প্রকাশ করলে তা শিশুদের মনোজগতে ইতিবাচক
ভূমিকা রাখবে(তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট)। ।
মোবাইল : মোবাইল এখন শুধু দূর-আলাপনী যন্ত্রই নয়, এটি এখন মিনি কম্পিউটারের রূপ ধারণ করেছে।
ফলে এর বহুমুখী ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। মোবাইল সঠিকভাবে ব্যবহার করে এটিকে দাওয়াতের
গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করা যায়। বিশেষ করে স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে ইসলামের
অনেক বিষয় জানা, মেনে চলা
সুবিধাজনক (তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট)। ।
স্মার্টফোন
স্মার্টফোনের
মাধ্যমে বর্তমানে অনেক সহজেই কুরআন-হাদীছের
বাণীগুলো পড়া ও সার্চ দেয়ার সুযোগ রয়েছে। কুরআন ও হাদীছের এই সংকলনগুলো বাংলায়
সহজলভ্য। এখন সহজেই সালাতের সময়সূচী, সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত প্রভৃতি জানা যায়। স্মার্টফোনের
মাধ্যমে ইসলামী লেকচার, গান, টিউটোরিয়াল-এর অডিও-ভিডিও
শোনা ও দেখা যায়। একটি মাত্র ছোট্ট মেমোরীতে অসংখ্য বক্তব্য ধারণ করা যায়। সেই
সাথে অতি সহজেই তা অন্যের কাছে পৌঁছিয়ে প্রচার করা যায়(তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট)। ।
অ্যান্ড্রয়েড ফোন
অ্যান্ড্রয়েড
ফোনের অ্যাপগুলোর মাধ্যমে ইসলাম চর্চা অনেক সহজ হয়েছে। ইসলাম বিষয়ক অ্যাপগুলোতে
কুরআনের বিভিন্ন অনুবাদ, হাদীছের
গ্রন্থ, ফাতাওয়ার কিতাব, সালাতের সময়সূচী, দৈনন্দিন জীবনের দো‘আ, তাফসীর, মাসআলা-মাসায়েল
প্রভৃতি বিষয় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বাংলা ভাষায় হিসনুল মুসলিম অ্যাপ, হাদীসবিডি অ্যাপ, আই হাদীস, বাংলা কুরআন প্রো প্রভৃতি অন্যতম। এসবের
মাধ্যমে ইসলামী জ্ঞানার্জন করা সহজ হয়েছে। বিভিন্ন কাজের ফাঁকে, ভ্রমণে ও অবসর সময়ে এক ক্লিকেই এসব পড়া
যায়। শুধু পড়াই নয়, অডিও
ডাউনলোডের মাধ্যমে বিখ্যাত ক্বারীদের তেলাওয়াত শুনা এখন অনেক সহজ হয়েছে।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে পিডিএফ, ইপাব, মোবি প্রভৃতি বিভিন্ন ফরম্যাটের পিডিএফ পড়া
যায়। ইসলামের অসংখ্য বিষয়ে বর্তমানে পিডিএফ বিদ্যমান। হাতের কাছেই এসব রয়েছে, অথচ এসব উপকারী বিষয়কে পরিত্যাগ করে আমরা
শয়তানী ওয়াসওয়াসায় পড়ে অনৈসলামিক বিষয়ে আগ্রহী হচ্ছি। ইসলামী বিষয়গুলো অন্যের মাঝে
প্রচলনের জন্যে আমাদের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। এসব ধর্মীয় বই, অডিও, ভিডিও
লেকচারগুলো অন্যের মাঝে বিভিন্ন মাধ্যমে (shareit, bluetooth,
anyshare) প্রচার করা যায়। এসব সিডি বা
ডিভিডিতে কপি করেও প্রচার করা যায়।
(তথ্যসূত্রঃ
ইন্টারনেট)। ।
বিজ্ঞাপন : বর্তমানে সব কিছুর বিজ্ঞাপনেই নারীদের
ব্যবহার করা হচ্ছে। কোন কোন বিজ্ঞাপনে অশ্লীল ছবিও ব্যবহার করা হয়। রাস্তায় বা
বাজারে এসব বিলবোর্ডের ব্যবহার আমাদের ইসলামী সংস্কৃতির বিরোধী। এর বিরুদ্ধে
আমাদের তেমন পদক্ষেপ নেই।
এক্ষেত্রে
ইসলামী কথা সম্বলিত বিলবোর্ড ভাড়া করে বা নিজের বাসাবাড়ীতে অল্প খরচেই স্থাপন করা
যেতে পারে। প্রিন্ট মিডিয়াতেও বিজ্ঞাপন হিসাবে ইসলামী মূলনীতির কথাগুলো প্রকাশ করা
যেতে পারে। রাস্তার পাশে বা মোড়ে মোড়ে ইসলামের সুমহান বাণী সম্বলিত বিজ্ঞাপন
স্থাপন করলে তা দাওয়াতের ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রাখতে পারে। সারাদেশে অসংখ্য
মাদরাসা রাস্তার পাশে বিদ্যমান। এগুলোর পাশের রাস্তার দু’পাশে বিভিন্ন ইসলামী বাণীর ব্যানার, বিলবোর্ড স্থাপন করা যেতে পারে। ‘মুসলিম ও কুফরীর মাঝে পার্থক্য হ’ল ছালাত’,[1] ‘একটি আয়াত
হ’লেও আমার পক্ষ থেকে প্রচার কর’,[2] ‘মুমিনদের মধ্যেই সেই উত্তম যে স্ত্রীর কাছে
উত্তম’[3] প্রভৃতি বাণী সম্বলিত বিলবোর্ড রাস্তায়
স্থাপন করা যায়। এছাড়া রাস্তায় রাস্তায় সফরের দো‘আ ও সফরকে উৎসাহিত করার আয়াতগুলো বিলবোর্ডে
লেখা যেতে পারে। অশ্লীলতার পরিণাম সম্পর্কিত আয়াত ও হাদীছগুলো উল্লেখ করে বাজারে
বিলবোর্ড স্থাপন করা যায়। এছাড়া স্টীকার, লিফলেট
প্রভৃতি মসজিদের দেয়ালে, বাসে, ট্রেনে, লঞ্চে
প্রভৃতিতে স্থাপন করে দ্বীনী দাওয়াত প্রচার করা যেতে পারে (তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট)।
প্রযুক্তির
সঠিক ব্যবহারে আলেমদের ভূমিকা :
তথ্য ও
প্রযুক্তি মানুষের জীবন ও তার উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। মানুষের জীবন
প্রবাহকে বেগবান করেছে। আর ইসলাম মানুষের জন্য যে কোন কল্যাণকর জিনিসের সঠিক
ব্যবহার অনুমোদন করে। তাই তথ্য ও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারে ইসলামের কোন আপত্তি নেই। তথ্য ও প্রযুক্তির ভুল ব্যবহার হচ্ছে। কোন
জিনিসের ভুল ব্যবহার হ’লে তা
নিষিদ্ধ হয়ে যায় না। বরং ভুল ব্যবহার বন্ধ করতে হয়। এক্ষেত্রে আমাদের আলেম সমাজকে
এগিয়ে আসতে হবে। তাদের দায়িত্ব মানুষকে প্রযুক্তির সঠিক
ব্যবহার শেখানো। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তি অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যবহার করে ইসলামের
বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তার জবাব আলেমদের পক্ষ থেকেই আসা উচিত। ইসলামের
নামে অসংখ্য নতুন নতুন ফিৎনা, বিভ্রান্ত
মতবাদের প্রতিবাদ ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করার দায়িত্ব আলেম সমাজের উপরই
বর্তায়। সাপ্তাহিক জুম‘আর খুৎবায়
প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারে কি করণীয় সে সম্পর্কে আলোচনা করা যরূরী। প্রযুক্তির
অপব্যবহার রোধে দুর্বল ঈমানদার ব্যক্তি যতটা তৎপর, অধিকতর ঈমানের অধিকারী আলেম সমাজ তার চেয়ে
বেশী তৎপর হবেন এটা আমাদের একান্ত কামনা। ইসলামের সঠিক দিক বিশ্ববাসীর নিকট তুলে
ধরার জন্য ইন্টারনেট, টিভি, ইলেক্ট্রনিক ও অন্যান্য মিডিয়া ব্যবহার করা
নাজায়েয বলে ঘোষণা করা ‘মাথা ব্যথা হ’লে মাথা কেটে ফেলার’ নামান্তর।
প্রযুক্তির
সহজ ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে ইসলাম বিরোধীরা অনলাইনে নির্জলা মিথ্যা ছড়িয়ে দিচ্ছে।
অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, নগ্নতাকে উসকে দিচ্ছে। নাস্তিকতার প্রচার ও
ধর্মে অযথা অবিশ্বাস তৈরি করছে। আধুনিক জাহেলিয়াতের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে
ইসলামের প্রকৃত বার্তা মানুষের কাছে তুলে ধরার দায়িত্ব আলেম সমাজের। মানবজীবনের
জন্য অতীব যরূরী আমলগুলো তথ্যসূত্রসহ তুলে ধরার মাধ্যমে ইসলামের বাস্তব অনুশীলনের
প্রতি মানুষকে আকৃষ্ট করা যেতে পারে।
আরবের
আলেমরা ফেসবুক ব্যবহার করে ইসলামের দাওয়াতের ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন। লাখ
লাখ মানুষ তাদের পেইজে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে লেখা প্রবন্ধগুলো পাঠ করছে।
আল্লাহ
বলেন,إِنَّا جَعَلْنَا مَا عَلَى الْأَرْضِ زِيْنَةً لَهَا لِنَبْلُوَهُمْ أَيُّهُمْ أَحْسَنُ عَمَلاً- ‘আমি পৃথিবীর সবকিছুকে
পৃথিবীর জন্য শোভা করেছি, যাতে
লোকদের পরীক্ষা করি যে, তাদের
মধ্যে কে ভালো কাজ করে’ (কাহফ ১৮/৭)।
উপসংহারঃ তোমারা
একটি উত্তম জাতি। মানব জাতি থেকে তোমাদের বাছাই করা হয়েছে (এ উদ্দেশ্যে যে)
লোকদেরকে সৎ কাজের উপদেশ দেবে এবং অসৎকাজ থেকে বিরত রাখবে এবং তোমরা নিজেরাও সৎ
কাজ করবেন।
এমন কথা
বলো না, যা তোমরা করো না। এতে সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, মুমিন-মুসলিমদেরকে এ শর্তে
মহান আল্লাহ তায়া'লার সর্বশ্রেষ্ঠ বান্দা এবং
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী এবং রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত
(অনুসারী) করা হয়েছে এ শর্তে যে, নিজেরা সৎ কাজ (অআমলে স্বলিহা) করবে, অসৎ কাজ হতে বিরত থেকে অপরাপর মানুষ-কেও সৎ কাজের অআদেশ এবং
অসৎ কাজ হতে বিরত রাখবে। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণকর দিকে নিজ উৎসাহিত হওয়া
এবং অপরকে উৎসাহিত করা প্রচার এবং অকল্যাণকর দিক নিজেও নিরুৎসাহিত হওয়া এবং অপরকেও
নিরুৎসাহিতকরণে সর্বাত্মকভাবে এগিয়ে এসে শ্রেষ্ঠ বান্দা এবং শ্রেষ্ঠ উম্মাত হিসাবে
বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের আত্ম প্রতিষ্ঠা করা।
ওয়ামা
তাওফীকী ইল্লা বিল্লাহ।– আ--মীন! ইয়া রব্বাল আ'লামীন।
[1]. মুসলিম হা/৮২; মিশকাত হা/৫৬৯।
[2]. বুখারী হা/৩৪৬১; মিশকাত হা/১৯৮।
[3]. তিরমিযী হা/৩৮৯৫; মিশকাত হা/৩২৫২, হাদীছ ছহীহ।
মহাবিশ্ব
(সৌজন্যেঃ উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ)
স্থান ও সময় এবং এদের
অন্তর্ভুক্ত সকল বিষয় নিয়েই মহাবিশ্ব ।[১][২][৩][৪]
পৃথিবী এবং
অন্যান্য সমস্ত গ্রহ , সূর্য ও অন্যান্য তারা ও নক্ষত্র , জ্যোতির্বলয়স্থ স্থান ও এদের অন্তর্বর্তীস্থ গুপ্ত পদার্থ , ল্যামডা-সিডিএম নকশা , তমোশক্তি ও শূণ্যস্থান (মহাকাশ) - যেগুলো
এখনও তাত্ত্বিকভাবে অভিজ্ঞাত কিন্তু সরাসরি পর্যবেক্ষিত নয় - এমন সব পদার্থ ও শক্তি মিলে যে জগৎ তাকেই বলা
হচ্ছে মহাবিশ্ব ।
আমাদের পর্যবেক্ষণ-লব্ধ মহাবিশ্বের ব্যাস প্রায় ২৮ বিলিয়ন parsec (৯১ বিলিয়ন light-year)[৫] । পুরো বিশ্বের আকার অজানা হলেও এর উপাদান ও সৃষ্টিধারা নিয়ে বেশ
কয়েকটি hypotheses বিদ্যমান । [৬] মহাবিশ্বের
উৎপত্তি সংক্রান্ত বিষয়কে বলে বিশ্বতত্ত্ব। দৃশ্যমান মহাবিশ্বের সুদূরতম প্রান্তের
পর্যবেক্ষণ ও বিভিন্ন তাত্ত্বিক গবেষণায় মনে হয় মহাবিশ্বের প্রতিটি প্রক্রিয়াই
তার সৃষ্টি থেকেই একই ধরণের প্রাকৃতিক
নিয়ম ও কয়েকটি
নির্দিষ্ট ধ্রুবক দ্বারা নির্ধারিত হয়। বিগ ব্যাং (Big Bang) তত্ত্ব অনুসারে এর আয়তন ক্রমবর্ধমান। সম্প্রতি
আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানীদের বিভিন্ন তত্ত্বে আমাদের এই দৃশ্যমান মহাবিশ্বের পাশাপাশি
আরো অনেক মহাবিশ্ব থাকার অর্থাৎ অনন্ত মহাবিশ্ব থাকার
সম্ভাবনা অবশ্যম্ভাবী বলে ধারণা করা হচ্ছে। পবিত্র ইসলাম মতে, আল্লাহপাকের সৃষ্টি সত্বায় অন্ততঃ সাত
সাতটি মহাকাশ বিদ্যমান যা একটির চেয়ে অপরটি তুলনামূলকভাবে অকল্পনীয়ভাবে বড়।
মহাবিশ্বের ইতিহাস
প্রাচীন কালে মহাবিশ্বকে ব্যাখ্যা করার
জন্য নানাবিধ বিশ্বতত্ত্বের আশ্রয় নেওয়া হত। পুরাতন গ্রিক দার্শনিকরাই প্রথম এই
ধরণের তত্ত্বে গাণিতিক মডেলের সাহায্য নেন এবং পৃথিবী কেন্দ্রিক একটি
মহাবিশ্বের ধারণা প্রণয়ন করেন। তাঁদের মডেলে পৃথিবীই মহাবিশ্বের কেন্দ্রে অবস্থিত।
উল্লেখ্য, বিশ্বতত্ত্বের ইসলামী ধারণামতে,
পবিত্র ক্বাবা পৃথিবীর
মধ্যস্থলে অবস্থিত (দেখুনঃ বিশ্বমানচিত্র)। অাবার পবিত্র ক্বাবার ঠিক বরাবর
উর্ধ্বজগতে অবস্থিত সাত অাসমানে বায়তুল মামুর বিদ্যমান।
উদাহরণস্বরূপ, একটি পাথরকে যদি সপ্তাকাশে
অবস্থিত বায়তুল মামুর থেকে ফেলে দেয়া হলে যত বছরই লাগুক না কেন, একদিন না একদিন ঠিক নিম্নজগতে
অবস্থিত পৃথিবীর কেন্দ্রে অবস্থিত মক্বা মুয়াজ্জিমার খানায়ে ক্বাবা বা
বায়তুল্লাহ-তে গিয়ে পড়বে।
নিউটনের গতি ও
মহাকর্ষ সংক্রান্ত গভীর ধারণা পর্যবেক্ষণের সাথে সৌরকেন্দ্রিক জগতের সামঞ্জস্য
নির্ধারণ করে। ধীরে ধীরে জ্যোতির্বিদরা আবিষ্কার করেন সূর্যের মতই কোটি কোটি তারা
দিয়ে একটি গ্যালাক্সি গঠিত। কয়েক শত বছর বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল সমগ্র মহাবিশ্ব
মানে শুধুমাত্র আমাদের এই ছায়াপথ গ্যালাক্সিটিই। ১৯২০র দশকে উন্নত দুরবীনের
কল্যাণে জ্যোতির্বিদরা আবিষ্কার করলেন ছায়াপথের বাইরে অন্য গ্যালাক্সিদের। [৭][৮]
বিজ্ঞানীদের ধারণা হল সুদূর
অতীতে সমস্ত গ্যালাক্সিগুলি বা তাদের অন্তর্নিহিত সমস্ত পদার্থই একসাথে খুব ঘন
অবস্থায় ছিল এবং কোন মহা বিস্ফোরণের ফলে বস্তুসমূহ একে অপর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
এই বিস্ফোরণের নাম দেওয়া হল বিগ ব্যাং। ১৯৬০এর দশকে বিজ্ঞানীরা বিগ ব্যাংএ
সৃষ্ট উষ্ণ বিকিরণের শীতল অবশেষের সন্ধান পেলেন।[১০] এই তরঙ্গ
বিগ ব্যাং ঘটনার প্রায় ৪০০,০০০ বা চার লক্ষ
বছর পরে, বস্তু ঘনত্বের হ্রাসের পর, মুক্ত হয়েছিল। এই মাইক্রোওয়েভ বিকিরণ
মহাবিশ্বের প্রতিটি জায়গাতেই পাওয়া যায়।
মহাবিশ্বের উপাদান সমূহ
মহাবিশ্বের আকার বিশাল। বর্তমান
বিশ্বতত্ত্বের মডেল অনুযায়ী মহাবিশ্বের বর্তমান বয়েস ১৩.৭৫ বিলিয়ন বা ১,৩৭৫ কোটি বছর। এই মহাবিশ্বের দৃশ্যমান
অংশের "এই মুহূর্তের" ব্যাস প্রায় ৯৩ বিলিয়ন আলোক বছর। মহাবিশ্বের ব্যাস ১৩.৭৫ x ২ = ২৭.৫০ বিলিয়ন আলোক বছরের চাইতে বেশী।
তাছাড়া, পৃথিবীকে কেন্দ্র
করে মহাবিশ্বকে যদি একটা গোলক কল্পনা করা হয় তবে তার ব্যাসার্ধ হবে প্রায় ৪৬
বিলিয়ন আলোক বর্ষ। যদিও সেই দূরত্বে অবস্থিত গ্যালাক্সি থেকে এই মুহূর্তে যে
বিকিরণ বের হচ্ছে তা আমরা কখনই দেখতে পাব না।
জ্যোতির্বিদরা মনে করছেন দৃশ্যমান
মহাবিশ্বে প্রায় ১০০ বিলিয়ন (১০+১১) গ্যালাক্সি আছে। এই গ্যালাক্সিরা
খুব ছোটও হতে পারে, যেমন মাত্র
১০ মিলিয়ন (বা ১ কোটি) তারা সম্বলিত বামন গ্যালাক্সি অথবা খুব বড়ও হতে পারে, যেমনঃ দৈত্যাকার
গ্যালাক্সিগুলিতে ১০০০ বিলিয়ন তারা থাকতে পারে (আমাদের গ্যালাক্সি ছায়াপথের ১০
গুণ বেশী)। দৃশ্যমান মহাবিশ্বে আনুমানিক ৩ x ১০+২৩টি তারা থাকতে পারে।[১৩]
মহাবিশ্বের সংঙ্গে আমাদের পরিচয় দৃশ্যমান
বস্তুর আঙ্গিকে। পরমাণু ও পরমাণু দ্বারা গঠিত যৌগ পদার্থ দিয়ে এই দৃশ্যমান বিশ্ব
গঠিত। পরমাণুর কেন্দ্রে নিউক্লিয়াস প্রোটন ও নিউট্রন দিয়ে গঠিত। প্রোটন ও
নিউট্রনকে ব্যারিয়ন বলা হয়। ব্যারিয়ন তিনটি কোয়ার্ক কণা দিয়ে গঠিত। অন্যদিকে
দুটি কোয়ার্ক কণা দিয়ে গঠিত কণাদের মেজন বলা হয়। অন্যদিকে লেপটন কণা কোয়ার্ক
দিয়ে গঠিত নয়। সবেচেয়ে পরিচিত লেপটন কণা হচ্ছে ইলেকট্রন। প্রমিত মডেল বা
স্ট্যান্ডার্ড মডেল কোয়ার্ক, লেপটন ও
বিভিন্ন বলের মিথষ্ক্রিয়ায় সাহায্যকারী কণাসমূহ (যেমন ফোটন, বোজন ও গ্লুয়োন) দিয়ে তৈরি। বর্তমানের
কণা পদার্থবিদ্যাকে ব্যাখ্যা করতে এই মডেল সফল হয়েছে।
মহাবিশ্বের গঠন ও আকার
সূর্য আমাদের নিকটবর্তী নক্ষত্র। সূর্য
থেকে আলো আসতে ৮ মিনিট মত সময় লাগে, কাজেই
সূর্যের দূরত্ত্ব হচ্ছে আনুমানিক ৮ আলোক মিনিট। আমাদের সৌর জগতের আকার হচ্ছে ১০
আলোক ঘন্টার মত। সূর্যের পরে আমাদের নিকটবর্তী তারা হচ্ছে ৪ আলোক বর্ষ দূরত্বে।
নিচের চিত্রে ১৪ আলোক বর্ষের মধ্যে অবস্থিত সমস্ত তারাদের দেখানো হয়েছে।
আমাদের ১৪ আলোকবর্ষের মধ্যে
যে সমস্ত তারা আছে
আমাদের গ্যালাক্সি ছায়াপথ
নিচের ছবিতে ছায়াপথ গ্যালাক্সির
বাহুসমূহ দেখানো হয়েছে। সূর্য থেকে গ্যালাক্সির কেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় ৩০,০০০ আলোক বর্ষ। গ্যালাক্সির ব্যাস ১০০,০০০ বা এক লক্ষ আলোক বর্ষ। কেন্দ্রের
উল্টোদিকের অংশকে আমরা দেখতে পাই না।
আমাদের গ্যালাক্সির সর্পিল
বাহুসমূহ
স্থানীয় গ্যালাক্সিপুঞ্জ
নিচের চিত্রে ছায়াপথের ৫ মিলিয়ন বা ৫০
লক্ষ আলোকবর্ষের মধ্যে অবস্থিত গ্যালাক্সিগুলো দেখানো হয়েছে। এই স্থানীয়
গ্যালাক্সি দলের মধ্যে বড় তিনটি সর্পিল গ্যালাক্সি - ছায়াপথ, অ্যান্ড্রোমিডা বা M31 এবং M33 একটি মহাকর্ষীয় ত্রিভুজ তৈরি করেছে।
অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি আমাদের নিকটবর্তী বড় গ্যালাক্সি। এর দূরত্ব হচ্ছে ২.৫
মিলিয়ন বা ২৫ লক্ষ আলোকবর্ষ। স্থানীয় দলের মধ্যে বেশীর ভাগ গ্যালাক্সিই বড়
ম্যাজিল্লান মেঘের মত অনিয়মিত গ্যালাক্সি।
স্থানীয় গ্যালাক্সিপুঞ্জ
স্থানীয় গ্যালাক্সি মহাপুঞ্জ
ডান দিকের চিত্রে স্থানীয় গ্যালাক্সি দল
থেকে স্থানীয় গ্যালাক্সি মহাপুঞ্জের অন্যান্য দলের দূরত্ত্ব দেখানো হয়েছে। এই
মহাপুঞ্জের কেন্দ্র কন্যা গ্যালাক্সি দল হওয়াতে তাকে কন্যা মহাপুঞ্জ বা মহাদল বলা
হয়। কন্যা গ্যালাক্সি পুঞ্জ আমাদের থেকে প্রায় ৬৫ মিলিয়ন বা ৬.৫ কোটি আলোকবর্ষ
দূরে অবস্থিত। এই ধরণের মহাপুঞ্জগুলো ফিতার আকারের মত। সাবানের বুদবুদ দিয়ে এই
ধরণের গ্যালাক্সিপুঞ্জ গঠনের মডেল করা যায়। দুটো বুদবুদের দেওয়াল যেখানে মেশে
সেখানেই যেন গ্যালাক্সির ফিতা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় গ্যালাক্সি
মহাপুঞ্জ বা সুপারক্লাস্টার।
নিচের চিত্রে আমাদের ৫০০
মিলিয়ন বা ৫০ কোটি আলোকবর্ষের মধ্যে অবস্থিত প্রধান গ্যালাক্সিপুঞ্জ ও গ্যালাক্সি
দেওয়াল দেখানো হচ্ছে। এই চিত্রে বুদবুদগুলোর মাঝের শূন্যতা (void) খুব ভাল করেই বোঝা যাচ্ছে। কন্যা
গ্যালাক্সি মহাপুঞ্জসহ ৫০ মেগাপার্সেকের (৫০ মিলিয়ন পার্সেক বা ১৬৩ মিলিয়ন
আলোকবর্ষ)মধ্যে সমস্ত পদার্থ ৬৫ মেগাপার্সেক দূরের নর্মা পুঞ্জের (Abell 3627)দিকে ৬০০ কিমি/সেকেন্ডে ছুটে যাচ্ছে।
বৃহত্তর স্কেলে গ্যালাক্সি সৃষ্টির জন্য ব্যারিয়ন ধ্বনি স্পন্দন (Baryon Acoustic
Oscillation) যথেষ্ট সফল হয়েছে। এই মডেল অনুযায়ী গ্যালাক্সি পুঞ্জ
মোটামুটি ১০০ মেগাপার্সেক (~৩০০ মিলিয়ন
আলোকবর্ষ)স্কেলে বা স্থান জুড়ে সৃষ্টি হবে। স্লোয়ান ডিজিটাল স্কাই সার্ভের
ডাটাতে ব্যারিয়ন স্পন্দন ২০০৫-এ ধরা পড়ে।
।
মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য উদঘাটনে আরো একধাপ
মহাজাগতিক ঘর্ষণ বা বিগ ব্যাং-এর পরে মহাকাশ
থেকে মাধ্যাকর্ষণের যে তরঙ্গ প্রবাহিত হয়, প্রথমবারের মতো তা আবিষ্কৃত
হয়েছে৷ এর থেকে মহাবিশ্বের সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কে অনেক অজানা রহস্যের সমাধান সম্ভব
হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা৷
মহাজাগতিক ঘর্ষণ বা বিগ ব্যাং
ঠিক কত বছর আগে হয়েছিল, অর্থাৎ মহাবিশ্বের সৃষ্টি ঠিক
কত কোটি বছর আগে – এটা নিয়ে আছে নানা জল্পনা-কল্পনা৷ সোমবার
হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টারের জ্যাতির্পদার্থবিদরা জানান, যে তরঙ্গ প্রবাহের সন্ধান তাঁরা পেয়েছেন, তা একটি মাইল ফলক৷
১৪শ' কোটি বছর আগে এই তরঙ্গের উৎপত্তি হয়েছিল
বলে জানান তাঁরা৷ এর সাথে আলবার্ট আইনস্টাইনের এক শতকের
পুরোনো আপেক্ষিক তত্ত্বের মিল পাওয়া যায়৷ এ থেকে এই প্রথম ‘কসমিক ইনফ্লেশন' বা মহাজাগতিক স্ফীতির সরাসরি তথ্য-প্রমাণ
পাওয়া গেল৷ শুধু তাই নয়৷ এই তত্ত্ব থেকে এ কথা সহজেই বলা যায় যে, মহাবিশ্ব ‘চোখের পলক ফেলার সময়ে' একশ ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন গুণ বিস্তার লাভ
করেছে।
দক্ষিণ মেরুতে অবস্থানরত
বিআইসিইপি-টু টেলিস্কোপের সাহায্যে এই
আলোক তরঙ্গ নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে৷
মহাবিশ্বের সৃষ্টি ঠিক কত কোটি
বছর আগে – এটা নিয়ে আছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
ধারণা করা হচ্ছে, অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের দ্বারা স্বীকৃত হলে
এই গবেষণাটি নোবেল পুরস্কারের জন্য পাঠানো হবে৷ সময় ব্যবধানের সাথে সাথে
তরঙ্গগুলোর পরিবর্তনকে বিগ ব্যাং-এর প্রথম কম্পন বলে বর্ণনা করেছেন বিজ্ঞানীরা৷
আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব
এবং কোয়ান্টাম মেকানিক্স-এর সাথে যোগাযোগের ভিত্তিতে এই তথ্যের নিশ্চয়তা নির্ধারণ
করেছেন বিজ্ঞানীরা৷ নাসা জানিয়েছে, এই আবিষ্কার
যে শুধু মহাবিশ্বের রহস্য সম্পর্কে নিশ্চিত করবে তাই নয়, তার সঙ্গে যে শক্তি স্থান ও সময়কে বিভক্ত
করছে, সে সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যাবে৷
হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান
সেন্টারের জ্যাতির্পদার্থবিদ জন কোভাক, যিনি এই
গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি জানান, ‘‘এই সংকেত
নির্ধারণ আজকের মহাজাগতিক গবেষণায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার৷ তবে এর পেছনে
অনেক মানুষের অনেক শ্রম ব্যয় হয়েছে ৷''
বিআইসিইপি-টু টেলিস্কোপটির কাজ
ছিল ছায়াপথের বাইরে আকাশের ‘সাউদার্ন হোল' বা দক্ষিণাঞ্চলীয় গহ্বর থেকে ধূলিকণা বা ছায়াপথের
অতিরিক্ত কোনো উপাদানের দেখা পাওয়া যায় কিনা, তা
পর্যবেক্ষণ করা৷
প্রকৃতি
(উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ)
প্রকৃতি
প্রকৃতি (ইংরেজি : Nature) বলতে এই পৃথিবী তথা সমগ্র সৃষ্টিকে নির্দেশ করে। প্রকৃতি বলতে জাগতিক বিশ্বের মানব সৃষ্ট-নয়
এমন দৃশ্য-অদৃশ্য বিষয় এবং জীবন ও প্রাণকে
বুঝায়।
অন্য অর্থে প্রকৃতি বলতে বৈশিষ্ট্য কেও
বুঝায়। যেমন: মানব প্রকৃতি (মানুষের
বৈশিষ্ট্য)। আগেই বলা হয়েছে প্রকৃতি বলতে স্বয়ং স্রষ্টা সৃষ্ট বিশ্বজগত যার
মধ্যে মানুষ একটি উপাদান
মাত্র; গাছ-পালা , নদী-নালা , পশু-পাখি , পাহাড়-পর্বত ইত্যাদি
সকলবস্তুর মত ।
হিগস-বোসন কণা
AvIqvjvg BqvivjøvwRbv
Kvdviæ Avbœvm&mvgv-IqvwZ Iqvj AviØv Kv-bvZv- ivZK¡vb dvdvZvK¡bv-ûgv (m~ivn
Avm& mvev, AvqvZt 3)|
A_©t Awek¦vmxiv wK †f‡e
†`‡Lbv †h, AvKvkgÛjx I c…w_ex IZ‡cÖvZfv‡e wg‡k wQj, AZtci
Avwg Dfq‡K c…_K K‡i w`jvg| (Qnxn ‡KviAvb kixdt Zvdmxi Beby Kvmxi I Zvdmx‡i
Avkivdx, c…óv 353)
ﻻ ﻴﻌﺰﺐ ﻋﻨﻪ ﻣﺜﻗﺎﻞ ﺬﺭﺓ ﻓﻰ ﺍﻠﺴﻣﻮﺖ ﻮﻻ ﻓﻰ ﺍﻻﺭﺽ ﻮﻻ ﺍﺼﻐﺭﻤﻦ ﺬﻠﻚ ﻮﻻ ﺍﻜﺑﺮﺍﻻ ﻓﻰ ﻜﺘﺐ ﻤﺑﻴﻦ
A_©t ÒwZwb A`„k¨ m¤¦‡Ü
cwiÁvZ, AvKvkgÛjx I c„w_ex‡Z AYy cwigvY wKQy wKsev Z`‡c¶v ¶y`ª A_ev e„nr wKQy
hvui A‡MvPi bq; Ii cÖ‡Z¨KwU my¯úó Mª‡š’ wjwce×|Ó (m~ivn& mvev, AvqvZt
3)|
ÒKziAv‡bi g‡Z, wek¦ RMr
Avw`‡Z wQj GKwU wekvjKvi GKK wcÛvK…wZi e¯‘-my²vwZ my² AYy cigvYy wewkó
†MvjK|Ó (m~Î: Kw¤úDUvi I Avj-KziAvb,
KziAvb-nvw`m wimvP© †m›Uvi, Bkvqv‡Z Bmjvg KzZzeLvbv, `viæm&
mvjvg, XvKv)|
Òwek¦ m„wó m¤c‡K©
Avn‡j mybœvZ Iqvj Rvgvqv‡Zi AbymvixMY cigvYyev‡`i mg_©KÓ (m~Ît Avn‡j mybœvZ
Iqvj Rvgvqv‡Zi AvwK`vt d‡Zn& Avjx †gvnvg¥` AvqvZyj¬vn& wmwÏKx Avj&
†KvivBkx, †b`v‡q Bmjvg, el©t 73, msL¨v-6, gniig-mdi 1435 wnt wW‡m¤ei-2013, c„ôv-40)|
ﻮﻫﻭ ﺍﻟﺧﻟﻗ ﺍﻟﻌﻟﻳﻢ ÒwZwb gnv m«óv,
me©Á|Ó ( m~ivn& Bqvmx-bt AvqvZt)
ÒwZwbB mwVKfv‡e b‡fvgÛj
I f~gÛj m„wó K‡i‡Qb|Ó (m~iv AvbAvÕgt AvqvZ 73) |
Bbœvgv-Avgiyn~-Bhv-Aviv-`v
kvBAvb& AvBu BqvK~jv jvû Kzb& dvBqvK~b A_©t ÒwZwb hLb †Kvb wKQz
Ki‡Z B”Qv K‡ib, ZLb Zv‡K †Kej e‡j †`b ÔnIÕ ZLbB Zv n‡q hvqÓ |
(m~iv Bqv-mx-b : AvqvZ- 82)
D‡jøL¨, GK mgq †KejB
Avj¬vn (ﺎﻠﻠﻪ ) Avi Avj¬vn-B wQ‡jb| gnvb Avj¬vn e¨wZZ m„wó (ﻣﺨﻟﻖ) mZ¡vi †Kvb
Aw¯ÍZ¡ KLbB wQj bv| †Kvb GK gnvmwܶ‡Y Avj¬vncvK Zvui Kz`iwZ GK gnvcwiKíbvi
(Master Plan) Aax‡b ÔKzbÕ n‡q hvIÔÕ- GB Kz`iwZ Av‡`k ev ûKzge‡j
m¤c~Y© ÔbvBÕ (Nil/Zero) †_‡K †Kvb cÖKvi RvMwZK ZË¡, m~Î,
AvBb-Kvbyb, wewa-weavb †_‡K m¤c~Y© cyZtcweÎ (myenvb) Ges Awbf©ikxj(m¦gv`)
n‡q m„wó Ki‡jb GK gnvm„wó mZ¡v (Great Creation ev ﻣﺨﻟﻖ)-hv‡Z mw¤§wjZfv‡e
(Combindly) wbwnZ wQj AvKvk/gnvKvk[(ﺍﻠﺴﺎﻮﺍﺕ)(Sky)] I Rwgb [ﻼﻠﺭﺽ (Earth) (c„w_ex) ] Avevi †Kvb GK we‡kl
gyû‡Z© Zv c…_K K‡i AvR‡Ki Avmgvb I Rwgb-GB `yÕwU c…_K mZ¦v m…wó K‡i‡Qb| G
cÖm‡½ Avj¬vn cvK Avj †KviAv‡bi m~iv Avj-Avw¤^qvi 30bs
Avqv‡Z digvb, Awek¦vmxiv wK †f‡e †`‡Lbv †h, AvKvkgÛjx I c…w_ex IZ‡cÖvZfv‡e
wg‡k wQj, AZtci Avwg Dfq‡K c…_K K‡i w`jvg| (Qnxn ‡KviAvb kixdt Zvdmxi Beby
Kvmxi I Zvdmx‡i Avkivdx, c…óv 353)| GB c„_KxKi‡Yi gyûZ©wU‡KB Lye
m¤¢eZt ˆeÁvwbK cwifvlvq ejv n‡”Q Ôgnvwe‡ùviYÕ (Big Bang)| D‡j¬L¨ †h, gnvwe‡ùvi‡Yi
ci AvKvkgÛjxi G Ae¯’v‡K m~iv nv-wgg-Avm&- wmR`vÕi 11bs Avqv‡Z Ô`yLvbÕ bv‡g
AwfwnZ K‡i Avj¬vn cvK digvb: ÒAZtci wZwb Avmgv‡bi w`‡K g‡bvwb‡ek
Ki‡jb, hv wQj aygªKzÄ|Ó (cweÎ †KviAvbyj Kixgt Zdmxi gvAv‡idzj
†K¡viAvb, c„ôvt 1294)| D³ Avqv‡Zi e¨vL¨v wbgœiƒc :
(1) eqvbyj
†KviAv‡b nhiZ gvIjvbv Avkivd Avjx _vbfx (int) e‡jbt Avgvi g‡b nq †h, cÖ_‡g
c„w_exi DcKiY m„wRZ n‡q‡Q| GgZve¯nvq aygªK‡zÄi AvKv‡i AvKv‡ki DcKiY wbwg©Z
n‡q‡Q| Gici c„w_ex‡K eZ©gvb AvKv‡i we¯Í„Z Kiv n‡q‡Q Ges G‡Z ce©Zgvjv, e„¶
BZ¨vw` m„wó Kiv n‡q‡Q| Gici AvKv‡ki Zij aygªK‡zÄi DcKiY‡K mß AvKv‡k cwiYZ Kiv
n‡q‡Q| (cweÎ †KviAvbyj Kixgt Zdmxi gvAv‡idzj †K¡viAvb, c„ôvt 1199-1200)
D‡jøL¨,
g`xbvi Bû`xiv im~jyjøvn mvjøvjøvû ÔAvjvBwn Iqv mvjøvg Gi wbKU Dcw¯nZ n‡q AvKvk
I c„w_ex m„wó m¤c‡K© cÖkœ Ki‡j wZwb e‡jøb, Avjøvvn ZvÔAvjv c„w_ex‡K iweevi I †mvgevi w`b,
ce©Zgvjv I LwbR `ªe¨vw` g½jevi w`b, Dw™¢`, SiYv Ab¨vb¨ e¯ËwbPq I Rbk~b¨ cÖvšÍi
eyaevi w`b m„wó K‡ib| G‡Z †gvU Pvi w`b mgq jv‡M| AZtci ej‡jb, Ges e„n¯úwZevi
w`b AvKvk m„wó K‡ib Avi ïµevi ZviKvivwR, m~h©, P›`ª I †d‡ikZv m„wRZ nq| ïµevi
w`‡bi wZb cÖni evKx _vK‡Z Gme KvR mgvß nq| GB cÖni·qi wØZxq cÖn‡i
m¤¢ve¨ wec`vc` m„wó Kiv nq Ges Z„Zxq cÖn‡i Av`g (Avt)-‡K m„wó
Kiv nq| Zvu‡K Rvbœv‡Z ¯nvb †`qv nq Ges Bejxm‡K Av‡`k Kiv nq Av`‡gi D‡Ï‡k¨ †mR`v
Ki‡Z| Bejxm Am¦xKvi Ki‡j Zv‡K RvbœvZ †_‡K ewn¯‹vi Kiv nq| Gme KvR Z„Zxq cÖn‡ii
†kl ch©šÍ mgvwß jvf K‡i| (cweÎ †KviAvbyj Kixgt Zdmxi gvAv‡idzj †K¡viAvb, c„ôvt
1200)
Òwek¦ ewj‡Z c~‡e© wKQyB
wQjbv (dvIqv‡q wmwÏKxb, 1g LÛ, c„ôvt 74, KziAvb nv`xm wimvP© †m›Uvi (dzidzivi
M‡elYv cÖwZôvb), cÖKvkbvqt Bkvqv‡Z Bmjvg, KzZyeLvbv, gvK©v‡R Bkvqv‡Z Bmjvg, 2/2,
`viæm mvjvg, gxicyi, XvKv-1216), cÖKvkKvjt mvevb-1420wnRwi,
b‡f¤ei 1999 Cmvqx) Ò†MvUv m„wóK~‡ji g‡a¨ Avjøvn ZvAvjvi Kzb dv Bqv
Kz‡bi ZvRvjøxB weivRgvbÓ (cÖv¸³ c„t 38)|
ÒAvmgvb-hgxb,
Avik Kzimx jvIn-Kjg, MvQ cvjv, e„¶ jZv, GK K_vq `„k¨gvb I A`„k¨ hZ wKQy i‡q‡Q Òme wKQyB m„wó K‡i‡Qb
gnvb AvjøvnÓ (cÖv¸³ c„t 33)|
ÒAvjøvn Zvqvjv
mgmÍ e¯Íy‡K c~e© Dcv`vb e¨ZxZ m„wó K‡i‡QbÓ (cÖv¸³ c„t 162)|
(Avj¬vncvK) Òwe‡kl
gyQ‡jnv‡Zi Kvi‡Y cÖ_‡g webv Dcv`v‡b DcKi‡Y m„wó K‡i, †mB me Dcv`v‡bi gva¨‡g wewfbœ
e¯Ë m„wó Kivi e¨e¯nv Pvjy K‡i‡QbÓ(m~Ît dvZvIqv‡q wmwÏKxb, 1-4 LÛ, c„ôv 163)|
(3) ÒKziAv‡bi g‡Z, wek¦
RMr Avw`‡Z wQj GKwU wekvjKvi GKK wcÛvK…wZi e¯‘-my²vwZ my² AYy cigvYy wewkó
†MvjK-hv‡K `yLvb ejv n‡q‡Q| GB `yLvb n‡jv ¯Zi wewkó Ggb GK M¨vm RvZxq c`v_© hv
w¯’ifv‡e Szjv‡bv Ges hvi g‡a¨ my²vwZmy² AYy KYv D”PZi ev wbgœZi Pv‡ci `iyY KLbI
KwVb, GgbwK KLbI ev Zij Ae¯’vq we`¨gvb ..........| gnvKv‡ji wewfbœ ch©v‡q †mB
gnvwcÛwU LÛ weLÛ n‡q ˆZix n‡q‡Q GK GKwU bxnvwiKv ev Qvqvc_ Ges †mB me Qvqvc_
m~‡h©i gZ †KvwU †KvwU b¶Î wb‡q GKUv GKUv c„_K RMr iƒ‡c gnvk~‡Y¨ mÂvigvb| Avw`
M¨vmxq wc‡Ûi LÛ weLÛ n‡q cov wekvjKvi UzKiv¸wj Kvjµ‡g Avevi GKxfyZ n‡q m~‡h©i
gZ GK GKwU b¶Î m„wó K‡i‡Q ...... weÁvb ej‡Q, wek¦ m„wói Avw`‡Z wQj ÔbxnvwiKvÕ
ev Ô†beyjvÕ hv g~jZt M¨vmxq aygªwcÛ Gi Abyiƒc| KziAvbI ej‡Q, wek¦ m„wói Avw`
ch©v‡q wQj GKwU GKxfyZ aygªKzÛjx| †`Lv hv‡”Q, wek¦ m„wó m¤ú‡K© KziAv‡bi e³e¨
weÁv‡bi Avwe¯‹…Z Z‡_¨i mv‡_ m¤ú~Y© mvgÄm¨c~Y©|Ó {m~Î: Kw¤úDUvi I
Avj-KziAvb, c„ôv 59 I 60 : Wvt L›`Kvi Ave`yj gvbœvb, Gg.we.we.Gm (XvKv),
KziAvb-nvw`m wimvP© †m›Uvi(dzidziv `iev‡ii M‡elYv cÖwZôvb),
Bkvqv‡Z Bmjvg KzZzeLvbv, `viæm mvjvg, gxicyi, XvKv-1216}
Bmjvg I cigvY~ev`
ﻻ ﻴﻌﺰﺐ ﻋﻨﻪ ﻣﺜﻗﺎﻞ ﺬﺭﺓ ﻓﻰ ﺍﻠﺴﻣﻮﺖ ﻮﻻ ﻓﻰ ﺍﻻﺭﺽ ﻮﻻ ﺍﺼﻐﺭﻤﻦ ﺬﻠﻚ ﻮﻻ ﺍﻜﺑﺮﺍﻻ ﻓﻰ ﻜﺘﺐ ﻤﺑﻴﻦ A_©t ÒwZwb A`„k¨ m¤¦‡Ü cwiÁvZ, AvKvkgÛjx I c„w_ex‡Z AYy cwigvY
wKQy wKsev Z`‡c¶v ¶y`ª A_ev e„nr wKQy hvui A‡MvPi bq; Ii cÖ‡Z¨KwU
my¯úó Mª‡š’ wjwce×|Ó (m~ivn& mvev, AvqvZt 3)|
ÒKziAv‡bi g‡Z, wek¦ RMr
Avw`‡Z wQj GKwU wekvjKvi GKK wcÛvK…wZi e¯‘-my²vwZ my² AYy cigvYy wewkó
†MvjK|Ó (m~Î: Kw¤úDUvi I Avj-KziAvb,
KziAvb-nvw`m wimvP© †m›Uvi, Bkvqv‡Z Bmjvg KzZzeLvbv, `viæm&
mvjvg, XvKv)|
Òwek¦ m„wó m¤c‡K©
Avn‡j mybœvZ Iqvj Rvgvqv‡Zi AbymvixMY cigvYyev‡`i mg_©KÓ (m~Ît Avn‡j mybœvZ
Iqvj Rvgvqv‡Zi AvwK`vt d‡Zn& Avjx †gvnvg¥` AvqvZyj¬vn& wmwÏKx Avj&
†KvivBkx, †b`v‡q Bmjvg, el©t 73, msL¨v-6, gniig-mdi 1435 wnt wW‡m¤ei-2013,
c„ôv-40)|
wbDwUª‡bv wK?
(بالإنجليزية: Neutrino)ÒwbDwUª‡bvÓ
(Neutrino) n‡”Q ‰e`y¨wZK PvR©wenxb `~e©j I mwµq GK cÖKvi AwZ ¶y`ª cvigvbweK
KYv| aviYv Kiv nq, GB ¶y`ª KYv ÔAïb¨Õ (Non-Zero) f‡ii KYv| 2011
mv‡ji †m‡Þ¤¦i gv‡m mv‡Y©i M‡elKiv GB wbDwUª‡bv Avwe¯‹v‡ii †NvlYv K‡ib|
weÁvbx‡`i `vext Avwe¯K…Z wbDwUª‡bv eZ©gvb cÖPwjZ mvaviY Av‡jvK KYv
†_‡K `ª“Z †eM m¤úbœ| D‡jL¨, weÁvbx cvDwj Dcjw× K‡ib †h, fi‡eM, kw³,
†KŠwYK fi‡eM BZ¨vw` wbZ¨Zv eRvq ivLvi Rb¨ B‡jKUª‡bi mv‡_ Av‡iKwU LyeB nvjKv,
Avavbnxb Ges cÖvq A`„k¨ KYvi Dcw¯nwZ cÖ‡qvRb| cÖ‡qvRbxq GB KYvwUiB bvg
†`qv nq ÒwbDwUª‡bvÓ| AvaywbK c`v_©weÁv‡bi Ab¨Zg ¸রুZ¡c~Y© Ask
n‡jv Model (Av`k©) bv‡gi GKwU ZË¡| GB g‡Wj Abymv‡i †gŠwjK KYv¸‡jv cÖavbZt wZb cÖKvi h_vt †KvqvK©, †evmb
I †jcUb| Gi g‡a¨ †jcUb `yB cÖKvi h_vt B‡jKUªb I wbDwUª‡bv|
wbDwUª‡bvi aviYv cÖ_g weÁvbxiv Rvb‡Z
cv‡ib cigvYyi †eUv ¶‡qi we‡kœlY Ki‡Z wM‡q| wbDwUª‡bv I B‡jKUªb cÖK…wZ‡Z `yB fvB‡qi gZ|
wZb ai‡Yi B‡jKUª‡bi g‡a¨ i‡q‡Q (1) B‡jKUªb B‡jKUªb (A_ev ïayB B‡jKUªb) (2) wgD
B‡jKUªb (wgDqb) Ges (3) UvD B‡jKUªb (UvDqb) Ges Gi cÖwZwU B‡jKUª‡bi mv‡_ Av‡Q
GKwU K‡i wbDwUª‡bv h_vt (1) B‡jKUªb wbDwUª‡bv, (2) wgD wbDwUª‡bv Ges (3) UvD
wbDwUª‡bv |
wbDwUª‡bvi fi (Mass) Av‡Q| wZb ai‡Yi wbDwUª‡bvi fi h_vµ‡g mswkó
B‡jKUª‡bi f‡ii `yB jvL fv‡Mi GK fvM, 600 fv‡Mi GK fvM, 110 fv‡Mi GK fvM n‡ZI
Kg| Kv‡iv g‡Z t wbDwUª‡bvi Av`‡Z †Kvb fiB †bB| wbDwUª‡bv hw` Avm‡j finxb nq
Zvn‡jk AvB‡b÷vB‡bi fi ZË¡ Abyhvqx Zvi MwZ n‡e Av‡jvi MwZi mgvb, Avi hw` fi
_v‡K, Zvn‡j MwZ n‡e Av‡jvi MwZi †P‡q Kg| wKš‘ A‡civ cix¶‡Yi djvd‡j
†`Lv hv‡”Q †h,e¯ÍyKYv wbDwUª‡bvi MwZ n‡jv Av‡jvi MwZi 1.000025 ¸Y (0.0025
kZvsk) | m¦vfvweKfv‡eB GwU AZ¨ন্ত ¸রুZ¡c~Y© Avwe¯‹vi|
wbDwUª‡bv Avwe¯‹v‡ii
BwZK_v
ÔcÖ‡R± A‡civÕ bv‡gi GK
‰eÁvwbK cÖK‡íi Aax‡b BD‡ivcxq
cvigvbweK M‡elYv †K›`ª mvov RvMv‡bv wbDwUª‡bv Avwe¯‹v‡ii c`‡¶c MªnY K‡i|
wbDwUª‡bv Avwe¯‹v‡ii †¶‡Î M„nxZ GK cix¶vi cÖ_g av‡c myBRvij¨v‡Ûi
wmb‡µv‡Uvb bv‡gi GKwU f~Mf© h‡š¿ †cÖvUb KYv ‰Zix K‡i Zv
MªvdvB‡Ui Ici wb‡¶c Kiv nq| G‡Z †cÖvUb KYv¸wj †f‡O wKQy
Ae©ZxKvjxb RwUj KYv ‰Zix nq, †h¸wj Aí mg‡qi g‡a¨B ¶q n‡q wgDqb Ges wgD
wbDwUª‡bv ‰Zix K‡i| G KYv¸wj‡K ZLb †jvnvi Ici wb‡¶c Kiv nq| G‡Z wgDqb wbDwUª‡bv
ev‡` Ab¨ me KYv cÖwZdwjZ ev †kvwlZ nq|
wgDqb wbDwUª‡bv¸wj c„w_exi gvwU-cv_i †f` K‡i P‡j cÖvq 750 wK‡jvwgUvi `~‡i
BZvwj‡Z †cŠuQvq| GB wbDwUª‡bv †jvnvI †f` K‡i Abvqv‡m Gcvi †_‡K Icv‡i Qy‡U †h‡Z
cv‡i Av‡jvi MwZi PvB‡ZI †ekx MwZ‡Z| gRvi e¨vcvi n‡jv †h, fiwenxb A_©vr Aïb¨
f‡ii AwaKvix Av‡jvi KYvB mvaviYZt fic~Y© cvigvbweK KYvi PvB‡Z দ্রুZMvgx n‡q v‡K| wKš‘ Aïb¨ f‡ii
AwaKvix A_©vr fihy³ wbDwUª‡bv hvi MwZ‡eM bvwK ïb¨ f‡ii (Massless)
Av‡jv‡KI Qvwo‡q †M‡Q| GLv‡bB ‰eÁvwbK RM‡Zi Pig I cig
wem¥q| A‡civ cix¶‡Yi djvd‡j †`Lv hv‡”Q †h, wbDwUª‡bvi MwZ n‡jv Av‡jvi
MwZi 1.000025 ¸Y (0.0025 kZvsk) ‡ekx|
AvBb÷vB‡bi Av‡jvK ZË¡
ebvg wbDwUª‡bvt
AvR †_‡K শতাধিক eQi Av‡M প্রখ্যাত জার্মান পদার্থ বিজ্ঞানী AvjevU© AvBb÷vBন তাঁর Avবিস্কৃত weL¨vZ mgxKiY E= MC2 (Theory of Special Relativity ev
Ôwe‡kl Av‡cw¶K ZË¡Õ) এর আলোকে ঘোষণা করেছিলেন যে, ÒAv‡jvi
†P‡q দ্রুZMwZi Avi wKQz
†bBÓ| পক্ষান্তরে Center for
European Research of Nuclears (CERN) Gi weÁvbxiv 2011 mv‡ji
†m‡Þ¤ei gv‡m wek¦evmxi D‡Ï‡k¨ আনুষ্ঠানিকভাবে G g‡g© †NvlYv K‡i
†h, ÒAv‡jvi MwZi †P‡q ÔwbDwUª‡bvÕi MwZ অন্ততঃ ২৫ ন্যানো সেকেন্ড †ewkÓ |
সাধারণতঃ নতুন কিছু আবিস্কারে
বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক মহলে আনন্দ ও স্বস্তির প্রকাশ ঘটে। পুরস্কৃত হন আবিস্কাররা। আবিস্কারের স্বপক্ষে বার বার নিরলস গবেষণা
দেখা যায়। ব্যতিক্রম কেবলমাত্র নিউট্রিনো আবিস্কারটি। এতে আনন্দ ও স্বস্তির
পরিবর্তে বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক মহলে নেমে আসে হতাশার কালো মেঘ। কারণ বর্তমানকালের
জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানীর বহুল প্রতিষ্ঠিত ও weL¨vZ mgxKiY E=MC2 (Theory of Special Relativity ev
Ôwe‡kl Av‡cw¶K ZË¡Õ) ভুল প্রমাণ দুঃসাহসের নামান্তর। কারণ, mgxKiY E= MC2 (Theory of Special Relativity ev
Ôwe‡kl Av‡cw¶K ZË¡Õএর উপর ভিত্তি করে আধুনিক
পদার্থ বিজ্ঞানের যতসব তত্ত্ব, তথ্য ও উপাত্ত রচিত, পঠিত এবং অনুসরণীয়। ফলে সার্ণ কর্তৃক
আবিস্কৃতঃ ÒAv‡jvi MwZi †P‡q ÔwbDwUª‡bvÕi MwZ অন্ততঃ ২৫ ন্যানো সেকেন্ড †ewkÓ-এই তত্ত্ব সত্য হওয়া মানে জগদ্বিখ্যাত
বিজ্ঞানী AvjevU© AvBb÷vBন এর Avবিস্কৃত weL¨vZ
mgxKiY E= MC2 (Theory of Special
Relativity ev Ôwe‡kl Av‡cw¶K ZË¡Õ)টি ভুল প্রমাণিত হওয়া। আর এর সংশোধন মানে বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তিতে পরবর্তন আনা। ফলে ÔwbDwUª‡bvÕ আবিস্কার বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক মহলে বিনা
মেঘে বজ্রপাত নামান্তর হয়ে দাঁড়ায়। জবাবদিহি করতে হয়েছিল গবেষণা প্রকল্প
প্রধান-কে।
GB †NvlYv †Kej wek¦e¨vcx Av‡jvob m„wó K‡i‡Q Zv bq
weÁvb RM‡ZI ixwZgZ f~wgK‡¤ci m„wó K‡i‡Q| KviY, ÒAv‡jvi MwZi †P‡q e¯ÍyKYv
ÔwbDwUª‡bvÕi MwZ †ewkÓ CERN Gi GB `vex cÖgvwYZ mZ¨ n‡j
AvksKv Kiv n‡”Q †h, cy‡iv c`v_© weÁvb‡KB bZzb K‡i †X‡j mvRv‡Z n‡e| G‡Z AvaywbK
weÁv‡bi wfwË AvBb÷vB‡bi weL¨vZ mgxKiY E= MC 2 Gi
m~ÎwU APj n‡q †h‡Z cv‡i| mgxKiY E= MC 2 Gi m~Îg‡Z
Av‡jvi †P‡q `ª“ZMwZ m¤úbœ †Kvb m„wó GB RM‡Z wØZxqwU Avi †bB | mvY© Gi
Av‡jvP¨ Avwe¯‹v‡i †`Lv hv‡”Q ÔwbDwUª‡bvÕ bvgK e¯ZyKYvB bvwK Av‡jvK
KYvi PvB‡ZI `ª“ZMvgx! Kvh©Zt G Avwe¯‹vi †hb weÁvbx‡`i Rb¨ †Ku‡Pv Zyj‡Z wM‡q mvc
Zy‡j Avbvi bvgvšZi n‡q `vuwo‡q‡Q | Ab¨w`‡K Øxb-ag© Z_v weÁvbagx© Bmjv‡gi Rb¨
e‡q G‡b‡Q GK ‰ec¬weK NUbv| KviY, cweÎ wgivRybœex mjvjvû AvÕjvBwn
Iqvmvjvg mkix‡i Ges cÖPwjZ mvaviY cvw_©e
Av‡jvi MwZi PvB‡ZI AKíbxq MwZm¤úbœ eyivK, wgivR Ges id&id& bvgK
Kz`&iwZ e¯Íyhvb Øviv m¤úbœ n‡qwQj g‡g© Bmjvgx BwZnvm mv¶¨ †`q| hv‡nvK,
ÒAv‡jvi MwZi †P‡q e¯ÍyKYv ÔwbDwUª‡bvÕi MwZ †ewkÓ ÐweÁvbx‡`i GB
`vex cÖgvwYZ n‡j weÁv‡bi eB¸‡jv
bZzb K‡i Avevi wjL‡Z n‡e| weÁvbx‡i AvksKvt GwU mZ¨ cÖgvwYZ n‡j †Kej hš¿cvwZ
bq; cy‡iv gnwe‡k¦i gvbwP‡Îi †PnvivUvB bvwK hv‡e Avg~j e`‡j !
c„w_exi b¶ÎivwR Avi wbnvwiKvi `~iZ¡ m¤úwK©Z G hver Kv‡ji aviYv,
gnvwe‡k¦i eqm (hv Avgiv 13.7 wewjqb e‡j Rvwb) ch©š— me wKQziB cÖ‡kœi m¤§yLxb n‡q ‡h‡Z
cv‡i| bvbvb mgm¨v D™¢e n‡Z cv‡i wbDK¬xq c`v_©we`‡`i Rb¨I| KviY Zuv‡`i GZw`bKvi
AwR©Z cÖ‡KŠkwjK jä Ávb cwiYZ n‡Z
cv‡i APj, Acv‡³q, †m‡K‡j (back dated)| GQvov, cvigvYweK A¯¿, cvigvYweK
wPwKrmv, †iwWI A¨vKwU‡fwUs mewKQzB n‡q hv‡e cÖ‡kœi m¤§yLxb| KviY
wbDwK¬qvi wiA¨v‡±‡ii g‡a¨ NUv me ivmvqwbK wewµqvB g~jZt AvBb÷vB‡bi fi kw³i| GB
weL¨vZ mgxKi‡Yi Ici cÖejfv‡e wbf©ikxj| `xN© 30
eQi ÔwbDwUª‡bvÕ m¤ú‡K© M‡elYvKvix weÁvbx wf±i †÷½i (stenger) e‡jb, c„w_ex
†_‡K 1,68,000 Av‡jvK el© `~‡i GK RvqMvq GK mycvi †bvfv we‡ùvi‡Yi K_v Avgiv
Rvwb| GUv‡K ch©‡e¶Y Kiv n‡qwQj 1987 mv‡ji †deª“qvix gv‡m hvi `„k¨gvb Av‡jv
c„w_ex‡Z †cŠuQvi wZb N›Uv Av‡M †ek wKQz msL¨K wbDwUª‡bvi c„w_ex‡Z †cŠuQvi
e¨vcviwU mbv³ n‡qwQj wZbwU wfbœ wfbœ f~-Mf©¯’ wW‡U±‡ii mvnv‡h¨| wf±i †÷½i
(stenger) AviI e‡jb, G wb‡q e¨vcK cix¶v wbix¶v Ki‡Z n‡e| hw` m~²
cix¶vq CERN Gi `vex mZ¨ nq Z‡e Zv e`‡j †`‡e c„w_exi hZme ‰eÁvwbK
a¨vb-aviYv, ZË¡, DcvË I m~Îvejx‡K|
mwZ¨ mv‡Y©i M‡elYvjä wbDwUª‡bv AvBb÷vB‡bi theory of special
relativity ZË¡‡K ûgwKi g‡a¨ †V‡j w`‡”Q, Ab¨ew`‡K wgivRybœex ((mvjvjvû
AvÕjvBwn Iqvmvjvg) Gi eyivK †hv‡M g°v kixd gmwR`yj nvivg †_‡K gmwR`yj
AvK&mv Z_v n‡Z we‡kl wmuwo (wgivR) †hv‡M cÖ_g, wØZxq, Z…Zxq, PZz_©
cÂg, lô I mßg AvKv‡ki †kl mxgvbv Ôwm`&ivZzj gyনতাnvÕ Z_v n‡Z দ্রুতMvgx idid †hv‡M 8 RvbœvZ, Av‡k©
AvRxg ch©ন্ত †cŠuQvi ci GK
iv‡Zi g‡a¨ cybivq c„w_ex‡Z †b‡g Avmvi Rb¨ cÖ‡qvRb eZ©gvb we`¨gvb
mvaviY Av‡jvi MwZi PvB‡ZI দ্রুZZg MwZ mZ¡v-hv wbDwUª‡bvi gva¨‡g Avgiv Avkv Kwi,
cweÎ Bm&iv, wgivRybœex (mvল্লাল্লাû AvÕjvBwn Iqvmvjvg) cÖf„wZ `¦xb-ag© welqK NUbvejxi GKUv ‰eÁvwbK
m`yËi cvIqv hv‡e Bb&kvAvল্লvnyj& Av'RxR|
mv‡Y©i cÖ_g m„wóZvwË¡K M‡elYvi
mdj Avwe¯‹vi wbDwUª‡bvt
1905 mvj| Rvg©vbxi RMwØL¨vZ weÁvbx
AvjevU© AvBb÷vBb Zuvi HwZnvwmK I me‡P‡q D”Pgv‡bi †h ZË¡ (theory) ˆeÁvwbK
RM‡Z DÌvcb K‡i ixwZgZ weÁvb I cÖhyw³MZ wece mvab K‡iwQ‡jb †m
ZË¡wU‡K ejv nq theory of special relativity ev we‡kl Av‡cw¶K ZË¡| GB
Z‡Ë¡i g~j K_v ÒAv‡jvi †P‡q `ª“ZMwZi †Kvb wKQz G RM‡Z †bBÓ| G Z‡Ë¡i Ici wfwË
K‡iB `uvwo‡q Av‡Q c`v_© weÁv‡bi Ab¨ me ZË¡| ZvB AvBb÷vB‡bi special
relativity Z‡Ë¡i †Kvb cÖKvi wec` wech©q NU‡j
ˆewk¦K ¸i“Z¡c~Y© hZme ˆeÁvwbK ZË¡ a‡m co‡Z cv‡i- G AvksKvi g‡a¨B myBRvij¨v‡Ûi
†R‡bfv kn‡ii Kv‡Q d«v‡Ýi mxgvš—eZx© A‡j Aew¯’Z we‡k¦i me©e„nr
weÁvb M‡elYv †K›`ª CERN KZ…©K †m‡Þ¤^i 2011 mv‡j †NvlYv Kiv nq
ÒAv‡jvi †P‡qI দ্রুZMwZ‡Z P‡j wbDwUª‡bv
KYvÓ| mv‡Y©i weÁvbxiv wZb eQi M‡elYvi ci GB Z_¨ cÖKvk K‡i| d‡j mv‡Y©i
weÁvbx‡`i G Z_¨ ûgwKi g‡a¨ †d‡j †`q AvBb÷vB‡bi we‡kl Av‡cw¶K
ZË¡ (theory of special relativity ) bvgK we‡k¦i
me‡P‡q weL¨vZ mgxKiY E= MC 2 ZË¡‡K| wbDwUª‡bv
Z‡Ë¡i g~j K_v gnvk~‡Y¨ Av‡jvi †P‡qI wbDwUª‡bv P‡j দ্রুZ MwZ‡Z| D‡jL¨, Av‡jv cÖK…Zc‡¶ cÖwZ †m‡K‡Û 1,86,282.397
gvBj MwZ‡Z P‡j| wbDwUª‡bv n‡jv GKwU ˆe`y¨wZK Avavb wbi‡c¶, ¶z`ª I k~‡b¨i
KvQvKvwQ fihy³ †gŠwjK KYv| †bv‡ej weRqx weÁvbx fîM¨vbd Gd cvDwj (volfganf pawl)
1930 mv‡j wbDwUª‡bv KYv m¤ú‡K© aviYv †`b| 1934 mv‡j cÖ_gev‡ii gZ wbDwUª‡bvi
Aw¯ZZ¡ m¤ú‡K© wbwðZ nIqvi ci GLb ch©š— GUv ïay weÁvbx‡`i AevK
K‡i hv‡”Q| myBRvij¨v‡Ûi †R‡bfvq nvB GbvwR© wdwR· j¨ve CERN †_‡K 730
wKtwgt `~‡i BZvwji MÖvY mv‡mv ch©ন্ত f~-Mf©¯’ Uv‡b‡j GB KYv †cÖiY Kiv n‡j M‡elKiv †`‡Lb
GB KYv myBRvij¨v‡Ûi †R‡bfv †_‡K BZvwji MÖvY mv‡mv †cŠu‡Q Av‡jvi
PvB‡Z AwaK MwZ‡Z| GB †NvlYvi ci weÁvb RM‡Z †`Lv †`q eo ai‡Yi f~wgK¤ú| KviY?
wbDwUª‡bv hw` Av‡jvi MwZi AwaK nq Zvn‡j (weÁvb RM‡Zi) Ggb ZË¡
(theory ) †f‡½ co‡Z cv‡i| †h Z‡Ë¡i Ici wfwË K‡i Av‡Q mycÖwZwôZ A‡bK wdwR‡·i Z_¨ I
m~Îvw`| hv wbDwUª‡bv †f‡½ w`‡Z cv‡i| c¶vন্ত‡i D¾xweZ
n‡Z cweÎ wgivR, Bm&iv ZË¡-‡h Z‡Ë¡ Avj¬vncv‡Ki Kz`iwZ Av‡jvK evnb
†evivK, wgivR I id&id& Gi gva¨‡g c„w_exi ga¨¯nj Lvbv‡q K¡vev n‡Z GK bq
`yB bq mvZ mvZwU AvKvkÐgnvKvk AwZµg K‡i 8 Rvbœv‡Zi E‡aŸ© Aew¯nZ ïay Avi&‡k
AvÕRxg GB wekvj e¨eavwbK Ae¯nv‡b gvÎ 27 eQi `ywbqvex mgq hv GK Av‡jvKe‡l©i AwZ
¶y`ªvwZ¶y`ª mgq †bqvi g‡a¨ wbwnZ Av‡Q Av‡jvP¨ eyivK, wgivR I id&id&
bvgK Kz`iwZ evnbmg~‡ni AKíbxq MwZ‡e‡Mi aviYv| mvY© KZ„©K Avwe¯K…Z wbDwUª‡bv
Av‡jvi mxgve× MwZ‡eM (186000 gvBj) Gi aviYv‡K cv‡ë w`‡q Kvh©Zt Dc‡iv³ Ky`iwZ
evnb·qi Afvebxq MwZ‡e‡Mi aviYvi Øvi D‡b¥vPb K‡i‡Q gvÎ (mye&nvbvj¬vvwn
Iqvwenvg&w`wn mye&nvbvj¬vvwnj& AvÕRxg)|
D‡j¬L¨, msL¨v/cwimsL¨vbMZ fv‡e
wbDwUª‡bv Av‡jvi †P‡q AšZZt 60 b¨v‡bv †m‡KÛ †ewk দ্রুZMwZi| A_v©r GK †m‡KÛ‡K hw` GKk
†KvwU fvM Kiv nq Zvn‡j Zvi 60 fvM hZUzKz mgq n‡e, wVK ZZUzKz mgq Av‡M wbDwUª‡bv
†iv‡gi j¨ve‡iUwi‡Z wM‡q †cŠu‡Q|
wbDwUª‡bv cix¶vi
wbfy©jZvt
cix¶vi wbfy©jZvt wbDwUª‡bv cÖPwjZ Av‡jvi
MwZ‡Z (cÖwZ †m‡K‡Û 1 j¶ 86 nvRvi
gvBj †e‡M) Qy‡U P‡j myBRvij¨vÛ n‡Z BZvwj‡Z Avm‡Z †h mgq jvMZ cix¶v‡ন্ত †`Lv †M‡Q
†h, eZ©gvb cÖPwjZ Av‡jvi MwZi PvB‡Z Aন্তZt 60 b¨v‡bv ‡m‡KÛ (1 b¨v‡bv †m‡KÛ=1
†m‡K‡Ûi 100 †KvwU fv‡Mi GK fvM) Av‡M BZvwj‡Z wbDwUª‡bv †cŠu‡Q †M‡Q| D‡jL¨,
†h†Kvb ‰eÁvwbK cix¶vi djvdj cvIqvi ci weÁvbx‡`i cÖ_g KvRB n‡jv, cix¶vwUi
fyjত্রুwU `~i Kiv| G ai‡Yi fyjত্রুটি `~i Kivi Rb¨ weÁvbxiv hv K‡i
_v‡Kb Zv n‡”Q GKB cix¶v evi evi Kiv| wewfbœ Kvi‡Y cix¶vi djvdj Awfbœ
bvI Avm‡Z cv‡i| ZLb GKvwaK cix¶vi Mo djvdj wnmve Kiv nq| †mB mv‡_
fy‡ji AvksKvI wnmve Kiv nq| Av‡jvP¨ A‡civ cix¶vq wbDwUª‡bvi MwZ cwigvc Kiv
n‡q‡Q K‡qK eQi e¨vcx cÖvq 16,000 (‡lvj nvRvi)
evi| ZviciI Mo †h djvdj cvIqv †M‡Q, Zv‡Z fy‡ji AvksKv MY¨ Kivi ciI wbDwUª‡bvi
MwZ Av‡jvi MwZi †P‡q †ekx cÖgvwYZ nq| GLb evKx _vKj Avm‡j
cix¶vwU‡ZB Aš—wbwn©Z †Kvb fyj Av‡Q
wKbv Zv hvPvB Kiv| A‡civ cix¶vwU‡Z GLb ch©š— †Kvb fyj cvIqv hvqwb|
cix¶Kiv ZvB me Z_¨ B›Uvi‡b‡U Db¥y³ K‡i w`‡q‡Qb|
wbDwUª‡bvi Bmjvgx
g~j¨vqbt
ÔeyivKÕ Aviex ÔeiKzbÕ kã †_‡K
wb¯úbœ hvi A_© we`y¨r (Electric/Current)| we`y¨‡Zi Ab¨Zg cÖavb ag© n‡”Q দ্রুZ cwievwnZ nIqv hvi Rb¨ `ª“ZMwZ
eySv‡Z ejv n‡q _v‡K we`y¨Z MwZ| D‡jL¨, cÖ_gZt cweÎ
†givRybœex mল্লাvjvû ÔAvjvBwn Iqv mvjvg
c~‡e© cweÎ g°v Avj gyqvw¾gv †_‡K cweÎ gmwR`yj Avj AvK&mv ch©š— ivwÎKvjxb gnvbex mjvjvû
ÔAvjvBwn Iqv mvjvg Gi cwiågY‡K Bmjv‡gi BwZnv‡m ÔBm&ivÕ ejv nq | BmivЇZ
gnvbex mjvjvû ÔAvjvBwn Iqv mvjvg-‡K enbKvix hv‡bi bvg wQj eyivKÐ hv Mvavi
†P‡q †QvU Avi L”P‡ii †P‡q eo GK AwZ `ª“ZMvgx evnb| wØZxqZt cweÎ †givRybœex mjvjvû
ÔAvjvBwn Iqv mvjvg msNwUZ n‡qwQj H iv‡Zi wØZxq ch©v‡q wgivR ev
wmuwo‡hv‡M gmwR`yj Avj AvKmv n‡Z mvZ Avmgv‡bi me©‡kl mxgvbv wm`&ivZyj
gybZvnv Ges Z„ZxqZt wm`&ivZyj gyb&Zvnv n‡Z
id&id& hv‡b ÔAvi‡k ÔAvRxg ch©š— †cŠuQv GmeB `ywbqvex
mvaviY Av‡jvi MwZ‡Z bq †mªd Avল্লvncv‡Ki m„ó AKíbxq
Kz`iwZ MwZ m¤úbœ n‡q‡QÐ †h MwZ‡Z ivYx wejwK‡mi wmsnvmb †Pv‡Li cj‡K ev`kvn
†mvjvqgvb ÔAvjvBwnm& mvjv‡gi wbKU Avjvncv‡Ki ûKz‡g ‡cŠu‡Q wM‡qwQj GKBfv‡e
Av‡Liv‡Z †b°vi ev›`vivI Avল্লvncv‡Ki Kz`iwZ
MwZ‡ZB gyû‡Z©i g‡a¨ AwZ `ª“ZZvi mv‡_ cyjwmivZ cvi n‡q RvbœvZ evmx n‡eb| Av‡jvi
MwZi PvB‡ZI †h e¯Íy ev e¯Íy KYvi MwZ †h †ewk n‡Z cv‡i mvY© KZ„©K
Av‡jvi PvB‡Z `ª“ZMwZ m¤úbœ e¯Íy KYv wbDwUª‡bv Avwe¯‹v‡i my¯úó cÖZxqgvb Ges wgivRmn
Bmjv‡gi Ab¨vb¨ MwZ welqK welqvw`i ‰eÁvwbK mZ¨Zv Avল্লাn cv‡Ki †g‡nievYx‡Z
AveviI cÖgvwYZ n‡jv|
পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র অনুযায়ী
আলোর চাইতে অধিক গতি সম্পন্ন কিছুই নয়। তবে আলোর গতির এই আইন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন
হয়েছিল 1967 সালে, জেরাল্ড ফেইনবার্গ
"টাকিয়ন" নামক একধরনের ম্যাটা-পার্টিকেলের তত্ত্ব তুলে ধরেন যে কণাকে
আলোর চাইতে গতিসম্পন্ন উল্লেখ করা হয়। এই কণার ধর্ম হচ্ছে এর এনার্জী কমার সাথে
সাথে গতিবেগ বৃদ্ধি পায়।
2011সালে কেয়ার্ন ল্যাবরেটরী প্রেস
রিলিজ দেয়, নিউট্রিনো এক প্রকার কণার
সন্ধান তারা পেয়েছেন যা আলোর চাইতে গতিসম্পন্ন। তবে পরে তারা বলে যে এই
এক্সপেরিমেন্টের ফাইবার অপটিক টাইমিং সিস্টেমের ভুলের কারণে কণার গতি ভুল মাপা
হয়েছে।
ইসলামী সৃষ্টিতত্ত্বের পথে
আধুনিক বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিঃ
পরিপ্রেক্ষিত হিগস-বোসন কণা
আবিস্কার
-শেখ মুহাম্মদ রমজান হোসেন
أَوَلَمْ يَرَ الَّذِينَ كَفَرُوا أَنَّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ كَانَتَا رَتْقًا فَفَتَقْنَاهُمَا ۖ وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاءِ كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ ۖ أَفَلَا يُؤْمِنُونَ
Òযারা কুফরি করে তারা কি দেখে
না (১) যে, আসমানসমূহ ও যমীন মিশে ছিল ওতপ্রোতভাবে, তারপর আমরা উভয়কে পৃথক করে দিলাম(২); এবং প্রাণবান সব কিছু সৃষ্টি
করলাম পানি থেকে (৩); তবুও কি তারা ঈমান আনবে নাÓ? (m~iv
Avj-Avw¤^qvi 30 bs AvqvZ) মূলঃতাফসীর ইবনে কাসীর।
وَهُوَ الَّذِىۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ بِالۡحَـقِّؕ وَيَوۡمَ يَقُوۡلُ كُنۡ فَيَكُوۡنُ ؕ قَوۡلُهُ الۡحَـقُّ ؕ وَلَهُ الۡمُلۡكُ يَوۡمَ يُنۡفَخُ فِى الصُّوۡرِ ؕ عٰلِمُ الۡغَيۡبِ وَ الشَّهَادَةِ ؕ
“তিনিই সঠিকভাবে
নভোমন্ডল সৃষ্টি করেছেন। যেদিন তিনি বলবেন: হয়ে যা, অত:পর হয়ে যাবে। তাঁর কথা
সত্য” (সূরা
আনআ’মঃ আয়াত
৭৩) ।
অর্থঃ “তিনি অদৃশ্য স¤¦ন্ধে পরিজ্ঞাত, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে অণু পরিমাণ কিছু কিংবা তদপেক্ষা ক্ষুদ্র অথবা
বৃহৎ কিছু যাঁর অগোচর নয়; ওর প্রত্যেকটি সুস্পষ্ট গ্রন্থে
লিপিবদ্ধ।” (সূরাহ্ সাবা, আয়াতঃ ৩)।
সাধারণ সৃষ্টতিত্ত্ব (ঈৎবধঃরংস)
দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান জীব ও জড় নির্বিশেষে সকল
সৃষ্টিজগতের সৃষ্টিকর্তা কে এবং এটি কখন এবং কিভাবে সংঘটিত হয়েছিল-এ সম্পর্কিত বিসÍারিত তাত্তি¦ক ইতিহাস-কে সৃষ্টিতত্ত¦ (ঈৎবধঃরংস) বলা হয়। এ বিষয়ে রয়েছে একাধিক তত্ত¦
যথাঃ (ক) আস্তিক্যবাদী
সৃষ্টিতত্ত¦ এবং
(খ) বস্তুবাদী সৃষ্টিতত্ত¦।
(ক) আস্তিক্যবাদী সৃষ্টি তত্ত¦ঃ
এই সৃষ্টিতত্ত¦ বিজ্ঞানমনস্ক ধর্মবিশ্বাসী সাধারণ জ্ঞানী-বিজ্ঞানীদের ধারণা-বিশ্বাসের
উপর প্রতিষ্ঠিত। আস্তিক্যবাদী এই সৃষ্টি তত্তে¦র নাম ‘ইমিনিশ্নিজম’ (ঊসধহরংহরংস)। ‘ইমিনিশ্নিজম’ (ঊসধহরংহরংস) মহাবিশ্বের উৎপত্তি, সৃষ্টি ও পরিবর্তন স¤পর্কিত একটি ধারণার নাম। ইংরেজী ‘ঊসধহধঃরড়হ’ শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ‘ঊসধহধৎব’ শব্দ থেকে যার অর্থ ঞড় ভষড়ি
ভৎড়স...ঃড় ঢ়ড়ঁৎ ভড়ঁৎঃয ড়ৎ ড়ঁঃ ড়ভ অর্থাৎ কোন উৎস হতে বয়ে আসা, প্রবাহিত বা আগত,
উৎসারিত ইত্যাদি।
ইমানিজমের ধারণা-বিশ্বাস হচ্ছে, সব সৃষ্টির, সব বস্তুর উদ্ভব হয়েছে ঋরৎংঃ জবধষরঃু বা ঋরৎংঃ চৎরহপরঢ়ষব বা চবৎভবপঃ
এড়ফ থেকে। ইমানিশনিজম হচ্ছে ঞৎধহংপবহফবহঃধষ চৎরহপরঢ়ষব অর্থাৎ অলৌকিক বা মানুষের
জ্ঞানে কুলায় না-এমন একটি বিষয় (ইবুড়হফ যঁসধহ শহড়ষিবফমব: ঝড়ঁৎপব: অ ঝঃঁফবহঃ
উরপংরড়হধৎু)। এই সৃষ্টিতত্ত¦ মতেঃ ঘড়ঃযরহম থেকে ঊাবৎুঃযরহম সৃষ্টি হয়নি বরং অত্যন্ত সূ²দর্শী প্রবল প্রতাপশালী
মহাজ্ঞানী একক সৃষ্টিকর্তাই সুপরিকল্পিত ও সুশৃঙ্খলিত এবং কঠোর নিয়মানুবর্তিতার
মধ্য দিয়ে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন।
ইসলামী সৃষ্টিতত্ত¦
আস্তিক্যবাদী সৃষ্টি তত্তে¦র অপর নাম “ইসলামী সৃষ্টিতত্ত¦”। ইসলামী সৃষ্টিতত্তে¦ মহাবিশ্বের মহান সৃষ্টিকর্তা, সৃষ্টির পূর্ব অব¯হা এবং পরের অব¯হা, পরিবর্তন এবং ধ¦ংসযজ্ঞ (কেয়ামত) ইত্যাদি স¤পর্কিত পবিত্র কুরআন ও সহীহ্ সুন্নাহ ভিত্তিক বিশদ বিবরণ
রয়েছে।
(খ) বস্তুবাদী
সৃষ্টিতত্ত¦
বস্তুবাদী সৃষ্টিতত্তে¦ কেবল মহাবিশ্বের কিভাবে উৎপত্তি ঘটেছে সে সম্পর্কে ধারণামূলক বিশ্ব
সৃষ্টিতত্ত¦ রয়েছে।
বস্তুবাদী সৃষ্টিতত্তে¦র অপর নাম “যান্ত্রিক বস্তুবাদ”। এ তত্ত¦ মতে, বস্তুর যান্ত্রিক ধারায়
সৃষ্টির অস্তিত¦ লাভ, পরিচালনা এবং ব্যব¯হাপনা ঘটছে। অর্থাৎ যা ঘটেছে, ঘটছে এবং ঘটবে-সবই বস্তুর যান্ত্রিক ধারার অনিবার্য ফসল।
এ ধরণের ধারণা-বিশ্বাস এক ধরণের নিশ্চয়তাবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত। এতে যা ঘটবে তা
ঘটবেই এবং যা ঘটবে না, তা কখনই ঘটবে না। এ ধরণের বিশ্বাস ইসলামীমতের “অপরিবর্তনশীল তকদির”
এর সাথে প্রায়
সাদৃশ্যপূর্ণ। তবে, ইসলামী মতে এর অনুঘটক যন্ত্র নয়; সর্বশক্তিমান আল্লাহ। তবে এমন কছিু ঘটনা/বষিয় রয়ছেে তা
পরর্বিতনশীল এবং আল্লাহপাকরে কুদরতি ইচ্ছায় এর পরর্বিতন সাধন হয়ে থাকে অথবা এমন
দােয়া-মুনাজাত রয়ছেে তা পরর্বিতনশীল তকদরিে পরর্বিতন ঘটায়। যমেনঃ “বিসমিল্লাহিল্লাজি
লা-ইয়ার্দিরু মাআশফি শাইয়্যুন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিস্ সামা-য়ি ওয়াহুয়াস সামিউল আ’লিম” (সকাল-বিকাল তিন বার করে
পাঠ্য)-এই দােয়া পরবিশে-প্রতবিশে বা
অবস্থার এমন পরর্বিতন ঘটায় যা সংঘটন ছলি সময়রে ব্যাপারমাত্র।
অন্যদিকে ‘ইমিনিশ্নিজম’ (ঊসধহরংহরংস) তত্তে¦ও বিশ্বের সকল উত্থান-পতনের মূলে রয়েছে এক মহান সত্বার নিরঙ্কুশ
ইচ্ছাশক্তির অস্তত্বি-কে স্বীকার করা হয়ছে।ে তিনি যখন যা ইচ্ছা তাই করেন। ফলে
এইমতে, কোন
বিষয়ে নিশ্চয়তা বা হলফ করে বলা যায় না যে, এটি ঘটবেই ঘটবে এবং কিংবা এটি কখনই ঘটবে না।
সৃষ্টিকর্তার নিরঙ্কুশ ইচ্ছাশক্তির এই ধারণা-বিশ্বাস এর অপর নাম “অনিশ্চয়তাবাদ” ।
আধুনিক বৈজ্ঞানিক সৃষ্টিতত্ত¦ঃ মহাবিশ্বের শুরু ও শেষ এবং এর মধ্যবর্তী অবকাঠামোগত বিকাশ,
¯িহতি ইত্যাদি সম্পর্কিত
নিবিড় পর্যবেক্ষণ, অনুসন্ধান, গবেষণা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা-সমীক্ষা লদ্ধ অর্জিত বিশেষ জ্ঞান ভিত্তিক তত্ত¦কে বৈজ্ঞানিক সৃষ্টি
(ঝপরবহঃরভরপ ঈড়ংসড়মড়হু) বলা হয়।
আধুনিক
বৈজ্ঞানিক সৃষ্টিতত্তে¦র ইতিকথাঃ
গ্রীক
দার্শনিক ডেমোক্রিটাস ঈসাব্দপূর্ব ৪০০ অব্দে সর্বপ্রথম পদার্থের ক্ষুদ্রতম ‘কণা’ (ধঃড়স) নিয়ে মতবাদ পোষণ করেন। ‘অ্যাটোমাস’ (ধঃড়সধং) শব্দ থেকে এটম (ধঃড়স) শব্দটির বুৎপত্তি যার অর্থ
অবিভাজ্য হড়হ ফরারফবফ । অ্যারিষ্টটলের মতে, পদার্থসমূহ নিরবচ্ছিন্ন (পড়হঃরহঁড়ঁং)। একে যতই ভাঙ্গা
হোক না কেন, পদার্থের
কণাগুলো ক্ষুদ্র হতে ক্ষুদ্রতর হতে থাকবে। বিজ্ঞানী রাদার ফোর্ড তার পরীক্ষালব্ধ ফলাফল থেকে বলেন যে, পরমাণু হলো ধনাত্মক আধান ও ভর একটি ক্ষুদ্র জায়গায় আবদ্ধ’। তিনি এর নাম দেন ‘নিউক্লিয়াস’। প্রোটন ও ইলেকট্রন নিয়ে গঠিত হয় পরমাণু কেন্দ্র-এই
কেন্দ্রকে বলা হয় নিউক্লিয়ার্স। নিউক্লিয়ার্স এর চার পাশে ঘুরতে থাকে পরমাণুর
ইলেকট্রনগুলি।
বিজ্ঞানীদের মতে, আমাদের এই বিশ্বজগতের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম কণা (ঢ়ধৎঃরপষব) যাকে পবিত্র
কোরআনে ﺬﺭﺓ (র্জারাহ)’ বলা হয়েছে-সেই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র/সু²াতিসু² ব¯ত্ত/পদার্থ হতে আরম্ভ করে মহাকাশের সবচেয়ে বড় তারকামন্ডলী পর্যšত সবই চার চারটি শক্তি
(ঋড়ৎপব) এর প্রকাশ মাত্র। চার শক্তিগুলি হচ্ছেঃ ১। মহাকর্ষ বল (এৎধারঃধঃরড়হধষ
ঋড়ৎপব) ২। দূর্বল নিউক্লিয় বল (ডবধশ হঁপষবধৎ ঋড়ৎপব) ৩। শক্তিশালী নিউক্লিয় বল
(ঝঃৎড়হম হঁপষবধৎ ঋড়ৎপব) এবং ৪। বিদ্যুৎ চু¤বকীয় বল (ঊষবপঃৎড় গবমহধঃরপ ঋড়ৎপব)। উলে¬খ্য, সকল ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র
কণাকে ছাড়িয়ে সর্বাপেক্ষা অতিপারমানবিক কণা-যাকে সকল কণার বীজ (ঝববফ) বা ভ্রæণ বলা হচ্ছে সেটির নাম
হিগস-বোসন বা গড’স পার্টিকেল বা আল¬াহ সৃষ্ট কণা। অবশ্য, হিগস-বোসন কণা-ই বস্তু/পদার্থের শেষ কথা নয়। কারণ পবিত্র ক্বোরআনে
র্জারাহ বা অতি ক্ষুদ্র কণার চাইতেও ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র, সূ²াতি সূ² কণার অসিÍতে¦র কথা সূরা আস্ সাবার ৩নং
আয়াতে আল্লাহপাক ঘোষণা করেছেন এই বলেঃ ﻻ ﻴﻌﺰﺐ ﻋﻨﻪ......... ﻣﺜﻗﺎﻞ ﺬﺭﺓ ﻓﻰ ﺍﻠﺴﻣﻮﺖ ﻮﻻ ﻓﻰ ﺍﻻﺭﺽ ﻮﻻ ﺍﺼﻐﺭআকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে অণু (ﺬﺭﺓ) পরিমাণ কিছু কিংবা তদপেক্ষা ক্ষুদ্র (ﺍﺼﻐﺭ).........।
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় পারমানবিক গবেষণা সং¯হা (সার্ণ) গত ফেব্রুয়ারী ২০১৫ মাসে হিগস-বোসন কণার
চাইতেও আলোড়ন সৃষ্টিকারী ‘সুপার সিমেট্রিক’ নামক নতুন কণার অস্তি¡ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনার কথা ঘোষণা করে। মার্চ/২০১৫ মাসে
একটি আপ-গ্রেডের পর এর মূল যন্ত্র লার্জ হাড্রন কোলাইডার (এলএইচসি) আগের তুলনায়
অধিক শক্তি নিয়ে ‘সুপার সিমেট্রিক’ এর ব্যাপারে পূর্ণোদমে কাজ শুরু করার কথা। আশা করা যায়, ‘সুপার সিমেট্রিক’
কণার অস্তত্বি
সত্যকিারভাবে সনাক্ত করা গলেে বজ্ঞিানীরা সরাসরি র্ডাক ম্যাটার সর্ম্পকে ধারণা
নয়িে মহাবশ্বিরে অজানা রহস্যাবলীর সমাধানে অনকে দূর এগয়িে যাবে ইনশাআল্লাহ। এ প্রসঙ্গে অসবৎরপধহ অংংড়পরধঃরড়হ ভড়ৎ ঃযব
অফাধহপবসবহঃ ড়ভ ঝপরবহপব টহরাবৎংরঃু ড়ভ ঈধষরভড়ৎহরধ-ইধৎশষব এর এক গবষেক জানান,
গত বংিশ শতাব্দীর শুরুতে
যমেন এন্টম্যিাটার খুঁজে পাওয়ার মতই এবারও (একবংিশ শতাব্দীত)ে ‘সুপার সিমেট্রিক’
কণার অস্তত্বি
সত্যকিারভাবে সনাক্ত করা গলেে নতুন দুনয়িা প্রত্যক্ষ করার সুযােগ ঘটতে পার।ে
মহাবিস্ফোরণ
(ইরম ইধহম) ঘটার পূর্বেকার অব¯হাঃ
ঈড়সঢ়ঁঃবৎ ংরসঁষধঃরড়হ এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা এ
সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, সর্ম্পূণ
নাই/শুন্য/নলি(ঘরষ)/জরিাে(তবৎড়) থকেে মহাবশ্বিরে মহাসৃষ্টরি সূচনার র্পূবে র্অথাৎ
মহাবিস্ফোরণ(ইরম ইধহম) ঘটার র্পূবে মহাশক্তিশালী এক প্রকার আলোক শক্তিই বদ্যিমান
ছলি-যার বজ্ঞৈানকি নামঃ “মহাসূক্ষè আলোক বিন্দু” (ঐরমযবংঃ ঊহবৎমবঃরপ জধফরধঃরড়হ) । এতেই সম্মিলিতভাবে (ঈড়সনরহবফষু) নিহিত
ছিল আজকের আসমান ও যমিন বা পৃথিবী। বিজ্ঞানীদের ধারণা, প্রায় ১৫০০ কোটি থেকে ২০০০ কোটি বৎসর পূর্বে উক্ত “মহাসূক্ষè” বিন্দুটি ১০৩ ব.ং.ধ পর্যায়ে
স্থিতি লাভ করেছিল। ১৯৬৫ সালে পশ্চাৎপদ বিকিরণ (ইধপশ এৎড়ঁহফ জধফরধঃরড়হ) আবিস্কারের
ফলে বিজ্ঞান এ সত্য মানব জাতিকে অবগত করাতে সক্ষম হয় যে, শুণ্য থেকে সৃষ্ট উক্ত
ঐরমযবংঃ ঊহবৎমবঃরপ জধফরধঃরড়হ নামক মহাআলোক গোলকটি মহাবিস্ফোরণ (ইরম ইধহম) এর পূর্বে ত্রিমাত্রিক অব¯হায় বিরাজমান ছিল যথাঃ (১)
আলো (২) শক্তি ও (৩) তাপ। এই সময় তাপমাত্রার পরিমাণ ছিল ১০৩২ ডিগ্রি কেলভিন অর্থাৎ
১০,০০০ কোটি,
কোটি, কোটি, কোটি ডিগ্রি কেলভিন।
মহাবিস্ফোরণ (নরম নধহম) ঘটার পরবর্তী মুহুর্তের অব¯হাঃ
বজ্ঞৈানকি ভাষ্যমতঃে ঐরমযবংঃ ঊহবৎমবঃরপ
জধফরধঃরড়হটির মহাবিস্ফোরণ (নরম নধহম) ঘটার পর মুহুর্তে তাপমাত্রা ১০৩০শ থেকে দ্রæত ১০২৮ তে নেমে আসে তখন (যরমযবংঃ বহবৎমবঃরপ ঢ়যড়ঃড়হ) কণিকারা নিজেদের
মধ্যে সংঘর্ষ ঘটিয়ে পদার্থ কণিকা হিসেবে প্রথম বারের মত ‘কোয়ার্ক’ এবং এন্টি কোয়ার্ক এর জন্ম
দেয়। অতঃপর তাপমাত্রা যখন আরো নিচে নেমে ১০১৩ কেলভিনে দাঁড়ায় তখন কোয়ার্ক এবং
এন্টি কোয়ার্কের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে উভয় এর ব্যাপক ধ্বংস সাধন ঘটে এবং অবশিষ্ট
থেকে যায় কিছু কোয়ার্ক। এরপর যখন তাপমাত্রা আরো কমে গিয়ে ১০১০ কেলভিন-এ দাঁড়ায় তখন
৩টি কোয়ার্ক (১টি আপ কোয়ার্ক এবং ২টি ডাউন কোয়ার্ক) মিলিত হয়ে প্রোটন কণিকা
(চৎড়ঃড়হ চধৎঃরপষব) এবং ৩টি কোয়ার্ক(২টি আপ কোয়ার্ক এবং ১টি ডাউন কোয়ার্ক) মিলিত
হয়ে নিউট্রন কণিকা (ঘবঁঃৎড়হ চধৎঃরপষব) সৃষ্টি হতে থাকে। তারপর তাপমাত্রা যখন ১০৯
কেলভিন-এ নেমে আসে তখন পরিবেশ আরো অনুকুলে আসায় সৃষ্ট প্রোটন কণিকা ও নিউট্রন
কণিকা পরষ্পর মিলিত হয়ে প্রথমবারের মত মহাবিশ্বে এটমিক নিউক্লি গঠিত হতে থাকে।
এরপর তাপমাত্রা আরও কমে গিয়ে ১০৮ কেলভিন তখন এটমিক নিউক্লি মহাবিশ্বে বিক্ষিপ্ত
ভাবে ছুটে চলা ইলেকট্রনিক কণিকাকে (ঊষবপঃৎড়হরপ চধৎঃরপষব) চর্তুদিকের কক্ষপথে ধারণ
করে। ফল,ে
প্রথমবারের মত অণু'র (ধঃড়সং) সৃষ্টি হয়। আরও পরে যখন তাপমাত্রা ৩,০০০ কেলভিনে উপনীত হয় তখন
মহাবিশ্বের মূল সংগঠন গ্যালাক্সি (মষধীু) সৃষ্টি হতে থাকে। পরবর্তীতে এর ভেতর
নক্ষত্র, গ্রহ,
উপগ্রহ ইত্যাদি সৃষ্টি
হতে থাকে। অতঃপর তাপমাত্রা যখন আরো নিম্নগামী হয়ে মাত্র ৩ কেলভিনে নেমে আসে তখন
সার্বিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় পৃথিবীতে গাছ-পালা, জীব-জন্তু ও প্রাণের ব্যাপক সমাবেশ সমাগম ঘটতে থাকে-এই
হচ্ছে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশ্ব সৃষ্টি ও তার সংগঠনের ইতিকথা (ঐরংঃড়ৎু ড়ভ
টহরাবৎংব)। এই ছিল ২০১২ সালের ৪ঠা জুলাইয়ের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের বিশ্ব সৃষ্টিতত্ত¦
এর ইতিকথা।
সৃষ্টি তত্ত¡ বিষয়ক ঝঞঅঘউঅজউ গঙউঊখ
পদার্থ বিদ্যার যে তত্ত¡টির সাহায্যে কোন বস্তুর ভরের ব্যাখ্যা দাঁড় করানো হয় তাকে “ষ্ট্যান্ডার্ড মডেল” ংঃধহফধৎফ সড়ফবষ বলা হয়। এই
ষ্ট্যান্ডার্ড মডেলটি অস্তিত¦শীল হতে হলে প্রয়োজন পড়ে এমন এক অতি পারমাণবিক কণা যার বৈজ্ঞানিক নাম “হিগস-বোসন কণা” বা মড়ফ’ং ঢ়ধৎঃরপষব । পদার্থ
বিদ্যার এই ষ্ট্যান্ডার্ড মডেল অনুসারে, মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুর ভর সৃষ্টির প্রাথমিক ভিত্তি
হচ্ছে একটি “অদৃশ্য
কণা”। বস্তুর ভরের মধ্যে ভিন্নতার কারণও
এই অদৃশ্য কণাটিই।
পদার্থের ভর কিভাবে তৈরি হয় তা জানতে ১৯৬৪ সাল
থেকে শুরু হয় গবেষণা। ২০০১ সালে এসে গবেষকরা যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মিল্যাবের
"টেভাট্টন" নামক যন্ত্ররে মাধ্যমে ওই কণার খোঁজ করতে শুরু করেন। এ কণার
খোঁজে ২০০৮ সালে প্রতিযোগিতায় নামেন ঈঊজঘ এর খ্যাতনামা গবেষকরা। ২০১১ সালে ঈঊজঘ
এর বিজ্ঞানীরা এ কণার প্রাথমিক অস্তিত্ব টের পান।
ব¯ত্ত/পদার্থ এলো কি করে?
বৈজ্ঞানিক গবেষণামতে, মহাবিস্ফোরণ বা বিগ ব্যাং পরবর্তী সদ্য সৃষ্ট মহাবিশ্ব যখন একটু শীতল
হলো, তখন
সেখানে সৃষ্টি হয় অদৃশ্য এক ধরণের বল (ঋড়ৎপব)-যাকে বলা হয় হিগস ফিল্ড (ঐরমমড়ং
ঋরবষফ)। হিগস ফিল্ডে তৈরী হয় অসংখ্য ক্ষুদে কণা। এই হিগস ফিল্ড দিয়ে ছুটে যাওয়া সব
কণা হিগস-বোসনের সংস্পর্শে এসে ভরপ্রাপ্ত হয়। ভরপ্রাপ্ত এই কণা-কে বলা হয় বস্তু বা
পদার্থ (গধঃঃধৎ)।
হিগস বোসন কণা কী ?
অ ংঁনধঃড়সরপ ঢ়ধৎঃরপষব পধষষবফ ঃযব “এড়ফ ঢ়ধৎঃরপষব” ড়ৎ ঐরমমং নড়ংড়হ চধৎঃরপষব.
হিগস বোসন কণা কী ? অতি পারমানবিক কণাকে হিগস-বোসন কণা বলা হয়।
হিগস-বোসন কণার তাত্তি¡ক ধারক “বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট” তত্তে¡র ইতিকথাঃ
সত্যেন্দ্রনাথ বসু, ঢাকা, বাংলাদশে ঃ স্যার জগদিশ চন্দ্র বসু যেমন বেতার যন্ত্র আবিস্কারের ¯হপতি, তেমন হিগস বোসন বা
অতিপারমানবিক কণার অ¯িতত্বের ধারণার ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ এর পদার্থ
বিজ্ঞানের শিক্ষক সত্যেন্দ্রনাথ বসু ছিলেন অন্যতম পথিকৃত এবং অপর জন হচ্ছেন
জার্মান বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনেস্টাইন। উভয়ের যৌথ গবেষণার ফলাফল-কে বলা হয় “বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট”
যার উপর ভিত্তিশীল আজকের
হিগস-বোসন বা গড''স পার্টিকেল। এ কারণে সা¤প্রতিককালের বিশ্বে সাড়া জাগানো যে গড’স পার্টিকেল বা হিগস-বোসন
কণার আবিস্কার হয়েছে তার প্রধান নামক হচ্ছে “বোসন কণা”। সত্যেন্দ্রনাথ বসু নামের শেষাংশ ‘বসু’ পরিবর্তিত নামটি হচ্ছে ‘বোসন’।
আলবার্ট আইনস্টাইন,জার্মানীঃ ১৮৭৯ সালে জার্মানীর
‘উলম’
নামক শহরে আইনেস্টাইনের
জন্ম। আব্বার নাম হেরম্যান আইনেস্টাইন। কাজের অবসর সময়ে ২৬ বছর বয়সে তিনি ¯হান, সময়, বস্তু, মহাকর্ষ ও আলো নিয়ে
চিন্তা-গবেষণা করতে গিয়ে ১৯০৫ সালে তিনি “সময়” (টাইম ডিলেশন) স¤পর্কে এক যুগাšতকরী প্রবন্ধ প্রকাশ করেন যার নাম “বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত¡” ( ঝঢ়বপরধষ ঃযবড়ৎু ড়ভ
ৎবষধঃরারঃু)। উক্ত প্রবন্ধে তিনি উলে¬¬খ করেন যে, সময় (টাইম) একেক জনের জন্য একেক অব¯হানে অব¯হান করে। এর পর আরো একটি
গবেষণালদ্ধ প্রবন্ধে তিনি মত প্রকাশ করেন যে, গধংং ্ ঊহবৎমু ধৎব ৎবনড়ঁহফ ঁঢ় রিঃয ড়হব ধহড়ঃযবৎ অর্থাৎ
পদার্থ এবং শক্তি পৃথক নয় বরং অভিন্ন।
হিগস-বোসন কণা আবিস্কারের ইতিকথাঃ
“হিগস্-বোসন”
নামক কণাটি বিজ্ঞানীদের
কাছে একটি “হাই-পোসেটিক্যাল”
কণিকা হিসেবে বিবেচিত
ছিল। পদার্থ বিজ্ঞানের বিশেষ থিওরী ংঃধহফধৎফ সড়ফবষ থেকে বিজ্ঞানীরা এ কণা সম্পর্কে
সম্যক ধারণা পান। সাধারণতঃ হিগস-বোসনের ভর ১২৫ থেকে ১২৬ এবং এ কণিকার স্পিন হচ্ছে
শূণ্য। হিগস-বোসন কণাকে বলা হয় সুপার সিমেট্রিক (ংঁঢ়বৎ পবসবঃৎরপ) পদার্থ
যা-সৃষ্টির শুরুর সময়কার প্রাথমিক কণিকা।
অধ্যাপক পিটার হিগস র্কতৃক বস্তু/পর্দাথরে ভরের
উৎস সর্ম্পকে হিগস-বোসন কণার বজ্ঞৈানকি ব্যাখ্যা
হিগস-বোসনের অচিন্ত্যনীয় গুরুত্ব, ভূমিকা ও অবদান এবং এর সন্ধানে বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টা অংশ হিসাবে ১৯৬৪
সালে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিটার হিগস বস্তু/পর্দাথরে ভরের উৎস হিসেবে
হিগস-বোসনের বজ্ঞৈানকি ব্যাখ্যা প্রদান করেন। তিনি বলেন, আমরা একটা আঠালো ব্যাক
গ্রাউন্ড ক্ষেত্রের কথা ভাবতে পারি। কণাগুলো এর মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় ভরপ্রাপ্ত
হয়। অবশ্য এর পিছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে একটি ঘটক কণা।
যে প্রক্রিয়ায় হিগস-বোসন কণার অস্তিত্ব প্রমাণিত
হলো
‘কণা’(চঅজঞওঈখঊ) সম্পর্কিত গাণিতিক
মডেলের (সধঃযসধঃরপধষ সড়ফবষ) সূত্রমতে, উচ্চ গতিতে প্রোটনের সঙ্গে প্রোটনের আন্তঃসংঘর্ষ ঘটানো
হলে বেশ কিছু মৌলিক কণা উৎপন্ন হয়। সমেত,ে ঈঊজঘ এর লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার যন্ত্রে উচ্চ গতিতে
প্রোটনের সঙ্গে প্রোটনের আন্তঃসংঘর্ষ ঘটয়িে বেশ কিছু মৌলিক কণা উৎপাদন করা হয়।
উৎপাদতি এই মৌলকি কণা-কে বলা হয় “হিগস্-বোসন” কণা।
উল্লেখ্য, আলোর গতিতে দু’টি বিপরীত মুখী প্রোটন বা অতি পারমাণবিক কণার মধ্যে সংঘর্ষ ঘটিয়ে
বিগব্যাং বা মহাজাগতিক বিস্ফোরণ পরবর্তী অবস্থায় কি কি সৃষ্টি হতে পারে তা আলবার্ট
আইনস্টাইন আগেই বলে যান।
হিগস-বোসন কণা'র অস্তিত্ব প্রমাণে ঈঊজঘ এর বপিুল আয়ােজন
পদার্থবিদরা বিশ্বাস করেন যে, রহস্যময় হিগস-বোসনের সঙ্গে সংঘর্ষে বিভিন্ন মাত্রার ভররে (গধংং) জন্ম
হয়। পদার্থ বিজ্ঞানের এ সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রশ্নকে সামনে রেখে ১৯৭১ সাল থেকে
কণাত্বরণ যন্ত্র লার্জ হ্যাড্রন কলাইডারে বাস্তব প্রমাণের উদ্যোগ নেয়া হয় । তবে
২০০৮ সাল থেকে এই কলাইডারের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।বিপুল শক্তিসম্পন্ন
অতি পারমাণবিক কণার জন্ম-তত্ত¡ আবিস্কার করতে ঈঊজঘ আয়োজন করেছিল বিশাল আকারের মহাপরিকল্পনা। এই
পরীক্ষা মানব ইতিহাসে শুধু গুরুত্বপূর্ণই নয়; ব্যয় বহুলও বটে। প্রাক্কলিত ব্যয় তৎকালীন প্রায় ৫০০কোটি
পাউন্ড এবং তাতে উপ¯হাপিত হয়েছে অন্ততঃ ৬০,০০০ (ষাট হাজার) ক¤িপউটার।
হিগস-বোসন কণার নর্ভিুল
অস্তিত্ব
প্রমাণে ঈঊজঘ এর র্সবােচ্চ সর্তকতা
বস্তু-পর্দাথজাত বশ্বি সৃষ্টরি নর্ভিুল ও অভন্নি
রহস্য বা উৎসমূল আবস্কিাররে মহৎ লক্ষ্যে বতমান বশ্বিরে শীষ স্থানীয় বজ্ঞিান ও
প্রযুক্তি গবষেণা কন্দ্রে ঈঊজঘ র্কতৃক বশ্বিরে খ্যাতনামা বিজ্ঞানীদের-কে যথাক্রমে
(১) ধ ঃড়ৎড়রফধষ ষযপ ধঢ়ঢ়ধৎধঃঁং (ধঃষধং) এবং (২) পড়সঢ়ধপঃ সঁড়হ ংড়ষবহড়রফ (পসং) নামক
দু'টি দলে বভিক্ত করা হয়। সর্ম্পূণ পৃথক ব্যবস্থাপনা ও
পরচিালনায় একদল-কে জেনেভা এবং অপর দল-কে লন্ডনে নয়িােজতি করা হয়ছেলি যাতে উভয় দল
একে অপররে র্কাযক্রম সর্ম্পকে যনে বন্দিুমাত্র অবহতি না হয়। উদ্দ্যশ্যেঃ
নর্ভিুলভাবে অভন্নি ফলাফল লাভ কর।ে অবশষেে উভয় দল বশিাল দূরত্বে (জনেভো হতে লন্ডন)
অবস্থান করে কােন প্রকার পূব যােগাযােগ
ব্যতরিকেে একই সঙ্গে একই ফলাফলে উপনীত হয় এবং ঈঊজঘ র্কতৃপক্ষ ২০১২ সালের ৪ঠা জুলাই, বুধবার এক জনাকীন সংবাদ সম্মলেনে বশ্বিবাসীকে এ মমে
বজ্ঞিাপতি করে য,ে স্ট্যান্ডার্ড মডেলের স¦ীকৃত ১২তম “হিগস-বোসন নামক বহুল প্রত্যাশিত মৌলিক কণারটির সন্ধান
পাওয়া গছে।ে
ইসলামী সৃষ্টি তত্তে¡র ইতিকথাঃ
“তিনি মহান স্রষ্টা, সর্বজ্ঞ।” ( সূরাহ্ ইয়াসী-ন)
“আওয়া লাইসাল্
লাযী খ^লাক্বাস
সামা-ওয়া-তি ওয়াল র্আদ্বা বিক্বা- দিরিন্” (সূরা- ইয়া-সী-ন আয়াত: ৮১)
অর্থঃ “আমি মহাবিশ্বকে সৃষ্টি করেছি আমার শক্তি-ক্ষমতাবলে ”(সূরা আয্ যারিয়াত,
আয়াতঃ ৪৭)।
“তিনিই সঠিকভাবে
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন।” (সূরা আনআ’মঃ আয়াত ৭৩) ।
ইন্নামা-আমরুহূ-ইযা-আরা-দা শাইআন্ আইঁ ইয়াকূলা
লাহু কুন্ ফাইয়াকূন”
অর্থঃ “তিনি যখন কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন তাকে কেবল বলে দেন ‘হও’ তখনই তা হয়ে যায়” । (সূরা ইয়া-সী-ন : আয়াত- ৮২)
“বিশ্ব বলিতে
পূর্বে কিছুই ছিলনা” । (ফাওয়ায়ে সিদ্দিকীন, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠাঃ ৭৪, কুরআন হাদীস রিসার্চ সেন্টার (ফুরফুরার গবেষণা প্রতিষ্ঠান),
প্রকাশনায়ঃ ইশায়াতে
ইসলাম, কুতুবখানা,
মার্কাজে ইশায়াতে ইসলাম,
২/২, দারুস সালাম, মীরপুর, ঢাকা-১২১৬), প্রকাশকালঃ সাবান-১৪২০হিজরি,
নভে¤বর ১৯৯৯ ঈসায়ী) “গোটা সৃষ্টিকূলের মধ্যে আল্লাহ তাআলার কুন ফা ইয়া কুনের
তাজাল্লীই বিরাজমান” (প্রাগুক্ত পৃঃ ৩৮)।
“আসমান-যমীন,
আরশ কুরসী লাওহ-কলম,
গাছ পালা, বৃক্ষ লতা, এক কথায় দৃশ্যমান ও অদৃশ্য
যত কিছু রয়েছে “সব কিছুই সৃষ্টি করেছেন মহান আল্লাহ” (প্রাগুক্ত পৃঃ ৩৩)।
“আল্লাহ তায়ালা
সমসÍ বস্তুকে
পূর্ব উপাদান ব্যতীত সৃষ্টি করেছেন” (প্রাগুক্ত পৃঃ ১৬২)।
(আল¬াহপাক) “বিশেষ মুছলেহাতের কারণে
প্রথমে বিনা উপাদানে উপকরণে সৃষ্টি করে, সেই সব উপাদানের মাধ্যমে বিভিন্ন ব¯ত্ত সৃষ্টি করার ব্যব¯হা চালু করেছেন”(সূত্রঃ ফাতাওয়ায়ে সিদ্দিকীন,
১-৪ খন্ড, পৃষ্ঠা ১৬৩)।
উল্লেখ্য, এক সময় কেবলই আল¬াহ (ﺎﻠﻠﻪ ) আর
আল¬াহ-ই ¬¬ছিলেন। মহান আল¬াহ ব্যতিত সৃষ্টি (ﻣﺨﻟﻖ) সত্বার
কোন অস্তিত্ব কখনই ছিল না। কোন এক মহাসন্ধিক্ষণে আল¬াহপাক তাঁর কুদরতি এক মহাপরিকল্পনার (গধংঃবৎ চষধহ) অধীনে ‘কুন’ হয়ে যাও‘’- এই কুদরতি আদেশ বা হুকুমবলে
স¤পূর্ণ ‘নাই’ (ঘরষ/তবৎড়) থেকে কোন প্রকার
জাগতিক তত্ত¡, সূত্র, আইন-কানুন, বিধি-বিধান থেকে স¤পূর্ণ পুতঃপবিত্র (সুবহান) এবং অনির্ভরশীল(স¦মাদ) হয়ে সৃষ্টি করলেন এক
মহাসৃষ্টি সত্বা (এৎবধঃ ঈৎবধঃরড়হ বা ﻣﺨﻟﻖ)-যাতে সম্মিলিতভাবে (ঈড়সনরহফষু) নিহিত ছিল
আকাশ/মহাকাশ[(ﺍﻠﺴﺎﻮﺍﺕ)(ঝশু)] ও জমিন [ﻼﻠﺭﺽ (ঊধৎঃয)
(পৃথিবী) ] আবার
কোন এক বিশেষ মুহুর্তে তা পৃথক করে আজকের আসমান ও জমিন-এই দু’টি পৃথক সত¦া সৃষ্টি করেছেন। এ প্রসঙ্গে
আল¬াহ পাক আল
কোরআনের সূরা আল-আম্বিয়ার ৩০নং আয়াতে ফরমান, অবিশ্বাসীরা কি ভেবে দেখেনা যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী
ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম। (ছহীহ কোরআন শরীফঃ তাফসীর ইবনু কাসীর
ও তাফসীরে আশরাফী, পৃষ্টা ৩৫৩)
এই পৃথকীকরণের মুহুর্তটিকেই খুব সম্ভবতঃ বৈজ্ঞানিক
পরিভাষায় বলা হচ্ছে ‘মহাবিস্ফোরণ’
(ইরম ইধহম)। উলে¬খ্য যে, মহাবিস্ফোরণের পর
আকাশমন্ডলীর এ অবস্থাকে সূরা হা-মিম-আস্- সিজদা’র ১১নং আয়াতে ‘দুখান’ নামে অভিহিত করে আল¬াহ পাক ফরমান: “অতঃপর তিনি আসমানের দিকে মনোনিবেশ করলেন, যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ।” (পবিত্র কোরআনুল করীমঃ তফসীর মাআরেফুল ক্বোরআন,
পৃষ্ঠাঃ ১২৯৪)। উক্ত
আয়াতের ব্যাখ্যা নিম্নরূপ :
(১) বয়ানুল কোরআনে হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহঃ)
বলেনঃ আমার মনে হয় যে, প্রথমে পৃথিবীর উপকরণ সৃজিত হয়েছে। এমতাব¯হায় ধুম্রকুেঞ্জর আকারে
আকাশের উপকরণ নির্মিত হয়েছে। এরপর পৃথিবীকে বর্তমান আকারে বিস্তৃত করা হয়েছে এবং
এতে পর্বতমালা, বৃক্ষ ইত্যাদি সৃষ্টি করা হয়েছে। এরপর আকাশের তরল ধুম্রকুেঞ্জর উপকরণকে
সপ্ত আকাশে পরিণত করা হয়েছে। (পবিত্র কোরআনুল করীমঃ তফসীর মাআরেফুল ক্বোরআন,
পৃষ্ঠাঃ ১১৯৯-১২০০)
(৩) “কুরআনের মতে, বিশ্ব জগৎ আদিতে ছিল একটি বিশালকার একক পিন্ডাকৃতির বস্তু-সু²াতি সু² অণু পরমাণু বিশিষ্ট
গোলক-যাকে দুখান বলা হয়েছে। এই দুখান হলো ¯তর বিশিষ্ট এমন এক গ্যাস জাতীয় পদার্থ যা স্থিরভাবে
ঝুলানো এবং যার মধ্যে সু²াতিসু² অণু কণা উচ্চতর বা নিম্নতর চাপের দরুণ কখনও কঠিন, এমনকি কখনও বা তরল অবস্থায়
বিদ্যমান ..........। মহাকালের বিভিন্ন পর্যায়ে সেই মহাপিন্ডটি খন্ড বিখন্ড হয়ে
তৈরী হয়েছে এক একটি নীহারিকা বা ছায়াপথ এবং সেই সব ছায়াপথ সূর্যের মত কোটি কোটি
নক্ষত্র নিয়ে একটা একটা পৃথক জগৎ রূপে মহাশূণ্যে সঞ্চারমান। আদি গ্যাসীয় পিন্ডের
খন্ড বিখন্ড হয়ে পড়া বিশালকার টুকরাগুলি কালক্রমে আবার একীভুত হয়ে সূর্যের মত এক
একটি নক্ষত্র সৃষ্টি করেছে ...... বিজ্ঞান বলছে, বিশ্ব সৃষ্টির আদিতে ছিল ‘নীহারিকা’ বা ‘নেবুলা’ যা মূলতঃ গ্যাসীয়
ধুম্রপিন্ড এর অনুরূপ। কুরআনও বলছে, বিশ্ব সৃষ্টির আদি পর্যায়ে ছিল একটি একীভুত
ধুম্রকুন্ডলী। দেখা যাচ্ছে, বিশ্ব সৃষ্টি সম্পর্কে কুরআনের বক্তব্য বিজ্ঞানের আবিস্কৃত তথ্যের সাথে
সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ।” {সূত্র: কম্পিউটার ও আল-কুরআন, পৃষ্ঠা ৫৯ ও ৬০ : ডাঃ খন্দকার আবদুল মান্নান,
এম.বি.বি.এস (ঢাকা),
কুরআন-হাদিস রিসার্চ
সেন্টার(ফুরফুরা দরবারের গবেষণা প্রতিষ্ঠান), ইশায়াতে ইসলাম কুতুবখানা, দারুস সালাম, মীরপুর, ঢাকা-১২১৬}
ইসলাম ও পরমাণূবাদ
অর্থঃ “তিনি অদৃশ্য স¤¦ন্ধে পরিজ্ঞাত, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে অণু পরিমাণ কিছু কিংবা তদপেক্ষা ক্ষুদ্র অথবা
বৃহৎ কিছু যাঁর অগোচর নয়; ওর প্রত্যেকটি সুস্পষ্ট গ্রন্থে
লিপিবদ্ধ।” (সূরাহ্ সাবা, আয়াতঃ ৩)।
“কুরআনের মতে,
বিশ্ব জগৎ আদিতে ছিল
একটি বিশালকার একক পিন্ডাকৃতির বস্তু-সু²াতি সু² অণু পরমাণু বিশিষ্ট গোলক।” (সূত্র: কম্পিউটার ও আল-কুরআন, কুরআন-হাদিস রিসার্চ সেন্টার, ইশায়াতে ইসলাম কুতুবখানা,
দারুস্ সালাম,
ঢাকা)।
“বিশ্ব সৃষ্টি স¤পর্কে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীগণ
পরমাণুবাদের সমর্থক” (সূত্রঃ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকিদাঃ ফতেহ্ আলী মোহাম¥দ আয়াতুল¬াহ্ সিদ্দিকী আল্ কোরাইশী,
নেদায়ে ইসলাম,
বর্ষঃ ৭৩, সংখ্যা-৬, মহররম-সফর ১৪৩৫ হিঃ ডিসে¤বর-২০১৩, পৃষ্ঠা-৪০)।
এবার
সুপারসিমেট্রিক কণা!
আশা করা হচ্ছে, সুপার সিমেট্রিক কণা সত্যিকারভাবে সনাক্ত করা গেলে বিজ্ঞানীরা সরাসরি
ডার্ক ম্যাটার স¤পর্কে ধারণা নিয়ে মহাবিশ্বের অজানা রহস্যগুলির সমাধানে গবেষকরা অনেক
দূর এগিয়ে যেতে সক্ষম হবেন। অসবৎরপধহ অংংড়পরধঃরড়হ ভড়ৎ ঃযব অফাধহপবসবহঃ ড়ভ ঝপরবহপব,
টহরাবৎংরঃু ড়ভ
ঈধষরভড়ৎহরধ-ইধৎশষব এর এক গবেষক জানান, গত শতাব্দীর শুরুতে এন্টিম্যাটার খুঁজে পাওয়ার মতো তারা
নতুন এক দুনিয়া পেতে যাচ্ছেন। আর তা পেতে পারে হিগস-বোসন কণার চাইতেও চাঞ্চল্য
সৃষ্টিকারী সুপার সিমেট্রিক ম্যাটার
আবিস্কারের মধ্য দিয়ে। আমাদের আ¯হা ও বিশ্বাস, বর্তমান প্রচলিত আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাকে ঝপযড়ড়ষ ঞযড়ঁমযঃ ড়ভ
ঝপরবহপব বলা হয়ে থাকে তদ¯হলে প্রবেশ করতে হবে কথিত নতুন যে দুনিয়ার কথা বলা হচ্ছে তা আসলে
ঋৎড়হঃববৎ ঝপরবহপব ব্যতিত আর কিছু নয়।
এবার গবেষণা হোক কবর জিন্দেগীর অজানা কথা!
প্রতিটি
প্রাণীকে মৃত্যুর স¦াদ গ্রহণ করতে
হবে-এ হচ্ছে আল্লাহ পাকের সৃষ্টি তত্তে¡র চিরন্তন বিধান। এতে অবিশ্বাসীরাও বিশ্বাস করে থাকে
শুধু তা-ই নয়; বাপ-দাদার মতো তারাও মৃত্যুর স¦াদ গ্রহণ করে প্রমাণ করে থাকে এর সত্যতা। এতকাল এতদিন
মাটির উপরের যতসব গবেষণা। এতে আসমান জমিনের আগে কি ছিল তারও হদিস বিজ্ঞানীরা লাভ
করেছেন। এর আগে কে ছিলেন-শুধু এইটুকুন জানলেও মানবজাতির সত্য থেকে সত্যান্তর
পেরিয়ে মহাসত্যে পৌঁছার প্রাণান্তকর প্রয়াস প্রচেষ্টার চির অবসান স¤ভব হবে। এর পর জরুরী হচ্ছে,
মাটির নীচের জিন্দেগীর
অব¯হা
সম্পর্কে গবেষণা।অবশ্য, বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে নতুন দুনিয়ার নতুন সংবাদ এর ঘোষণা
দিয়েছে ফ্রন্টিয়ার সায়েন্সের নামে। আশা করি, এতে মৃত্যুর পর আখেরী জিন্দেগীর অর্থাৎ কবর জিন্দেগীর স¦রূপ সম্পর্কে
চিন্তা-গবেষণার সূচনা ঘটবে যাতে কবর¯হ ব্যক্তির চল্লিশ কদম অন্তের জীবনের সূচনার স¦রূপ কি? তাদের নিকট কারা আগন্তÍুক হয়ে আসে, তাদের জীবনকাল কার কেমন?
সৎ ব্যক্তির জীবনকাল আর
অসৎ ব্যক্তির জীবনকাল কেমন? আত্মীয়স¦জনের দোয়া-দরুদ, দান সদকার প্রভাব মৃত ব্যক্তির কবর জিন্দেগীতে এর প্রভাব কেমন?
এ ধরনের প্রশ্নের জন্য
কবর জিন্দেগীর বৈজ্ঞানিক মোরাকাবা জরুরী। জীবৎকালে পানেজগানা নামাযে আয়াতুল কুরছি
পাঠকারীর কবরের জিন্দেগী কেমন? এসব প্রশ্নের বৈজ্ঞানিক গবেষণা উচিত।
কিন্তু বিশ্বাস করতে চায় না-মৃত্যুর পর আবার জীবিত
হওয়ার আকিদা-বিশ্বাস। অবিশ্বাসীরা এ প্রসঙ্গে যা বলে তা এবং তার উত্তর আল্লাহপাক স¦য়ং তাঁর কালামুল্লাহ শরীফে অতি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন এই বলেঃ
“সে বলে, কে জীবিত করবে অ¯িহসমূহকে যখন সেগুলো পঁচে গলে যাবে? বলুন; যিনি প্রথমবার সেগুলোকে
সৃষ্টি করেছেন, তিনিই জীবিত করবেন। তিনি সর্ব প্রকার সৃষ্টি স¤পর্কে সম্যক অবগত”। (সূরাহ্ ইয়া-সী-ন, আয়াত ৭৮-৭৯)
“এ মাটি থেকেই আমি তোমাদের সৃজন করেছি, এতেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দিব
এবং পুনরায় এ থেকেই আমি তোমাদেরকে উত্থিত করব।”। (সূরা ত্বহা, আয়াত-৫৫)
“মানুষ কি মনে করে যে, আমি তার অ¯িহসমূহ একত্রিত করবো না? পরšত্ত আমি তার আংগুলগুলো
পর্যন্ত সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করতে সক্ষম। ”। (সূরাহ্ আল ক্বেয়ামাহ্-আয়াত-৩-৪)
“এবং এ কারণে যে, কেয়ামত অবশ্যম্ভাবী, এতে সন্দেহ নেই এবং এ কারণে যে, কবরে যারা আছে, আল্লাহ তাদেরকে পুনরুত্থিত
করবেন।”। (সূরা হাজ্জ, আয়াত-০৭ঃ পবিত্র কোরআনুল করীম, মূলঃ তাফসীর মাআরেফুল ক্বোরআন)
“মানুষের দেহের সবকিছু জরাজীর্ণ হয়ে যাবে। কিন্তু নিত¤েবর শেষ হাড় (ত্রিকোণা¯িহ) নষ্ট হয় না। মানুষকে
তার সাথে বিন্যাস করা হবে। এরপর আল¬াহ বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। ফলে মানুষ উদ্ভিদের মতো
গজিয়ে উঠবে”। (বুখারী, মুসলিম-রিয়াদুস্ সালেহীন, হাদিস নং- ১৮৩৬, ৪র্থ খন্ড)
লক্ষ্যনীয় যে, শত শত বছরের
পুরাতন কবরে খালি চোখে কখনও শত শত বছর পূর্বেকার মৃতদেহের কোন প্রকার চিহ্ন থাকার
কথা নয়-এমনকি শক্তিশালী অণুবিক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যেও যা দেখা বা উপলদ্ধিকর
নয় বরং অঙ্গÐপ্রত্যঙ্গের সব কিছু মাটিতে
একাকার হয়ে যাওয়ারই কথা। এমনতর অব¯হাতেও যে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র, সু²াতি সু² মানব দেহের অতি পারমানবিক
কণার অসিÍত্ব
থাকার ঘোষণা রয়েছে পবিত্র হাদিসে বর্ণিত আলোচ্য “উস্ উস” শব্দে।
হযরত
আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আ‘নহু থেকে বর্ণিত মহানবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আদম সšতানের শরীরে এমন একটি অ¯িহ আছে যেটি মাটিতে কখনো
মিশে যাবে না। (প্রশ্ন করা হলো) হে আল¬াহর রসূল! এটি কী ? তিনি বললেনঃ এটি হলো উস্উস্ (অ¯িহ)। (বুখারী, আল নাসায়ী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মুসনাদ এবং মুয়াত্তা)।
প্রসঙ্গত
উল্লেখ্য যে, নিত¤েবর এই হাঁড়টিকে ইংরেজীতে
বলে ঈড়পপুী এবং আরবীতে উস্উস্ এবং বাংলায় অ¯িহ (ত্রিকোণা¯িহ) বলা হয়। নার্ভাস সিস্টেমের প্রাšত ধারক হিসাবেঅ¯িহ বা ত্রিকোণা¯িহর গুরুত্ব রয়েছে,
এখানে যে প্লেয়াক্স রয়েছে তাকে বলা হয় “মূলাধার"। ভবিষ্যতের শরীর-বিজ্ঞান আবি¯কার করবে এর উপযোগিতার আরো
তথ্য (সূত্রঃ বিজ্ঞান, সনাতন ধর্ম, বিশ্বসভ্যতা-৪র্থ অধ্যায়ঃ গোবর্দ্ধন গোপালদাস, ভারত, সূত্রঃ সাপ্তাহিক সোনার
বাংলা)।
উল্লেখ্য, পরীক্ষান্তে
দেখা যায় যে, ডি¤বকোষের সাথে শুক্রকীটের নিষিক্ত হওয়ার ২ সপ্তাহ পরে উস্উস্ নামক শক্ত
হাড়ের জন্ম হয় ৩য় সপ্তাহেরের পর এই হাড় থেকে একটি ল¤বা দন্ড তৈরী হয় তা
পরবর্তীতে মেরুদন্ডের হাড় তৈরী করে এবং ধীরে ধরে পূর্ণাঙ্গ মানব দেহ তৈরী হতে
থাকে। ১৫ দিবসে ভ্রæণের পৃষ্ঠদেশে এর প্রাথমিক গুণাগুণ বা ধর্ম পরিলক্ষিত হয় একটি
নির্দিষ্ট প্রাšেত যার নাম প্রাথমিক সংযোগ¯হল। যেদিকে প্রাথমিক গুণাগুণ/ধর্ম প্রকাশিত হয় তাকে বলা
হয় ভ্রণের পৃষ্ঠদেশ। প্রাথমিক গুণাগুণ এবং সংযোগ¯হল থেকে যে সকল ভ্রæণ কোষ এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিম্নলিখিতভাবে গঠিত হয়ঃ
(১) ঊপঃড়ফবৎস (ভ্রæণের বহিরাবরণ) ঃ কেন্দ্রীয়
পেশী ও চর্ম দ্বারা গঠিত।
(২) গবংড়ফবৎস (ভ্রæণের মধ্যকরণ)ঃ পাচনতন্ত্র
গঠনে মন্থন পেশী, কংকালতন্ত্রের পেশী, সংবহনতন্ত্র, হৃদযন্ত্র, অ¯িহ, প্রজনন এবং মূত্রতন্ত্র গঠন(মূত্রাশয় ব্যতিত), ত্বকনিম্ন¯হ কোষ, নাসিকাতন্ত্র, প¬ীহা এবং মূত্রগ্রন্থি এ
পর্যায়ে গঠিত হয়।
(৩) ঊহফড়ফবৎস (অšতঃত্বক)ঃ পাচনতন্ত্রের সীমারেখা,
শ্বসনতন্ত্র, পাচনতন্ত্র স¤পর্কিত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ (যকৃত ও অগ্ন্যাশয় ব্যতীত), মূত্রাশয়, স¦রতন্ত্র ইত্যাদি এ পর্যায়ে
গঠিত হয়। তারপর প্রাথমিক গুণাগুণ/ধর্ম এবং সংযোগ¯হল নিত¤েবর ত্রিকোণাকার অ¯িহ এলাকায় অব¯হান করে মেরুদন্ডের শেষে যাতে ঈড়পপুী গঠিত হয়। ঈড়পপুীযে সকল মানব কোষের মূলে কোষ বহন করে,
ভ্রæণ গঠনপ্রণালী তার একটি
প্রমাণ।
প্রাথমিক গুণাগুণ এবং সংযোগ¯হল থেকে ভ্রæণ গঠিত হওয়ার পর সেগুলি মেরুদন্ডের সর্বশেষ (অ¯িহতে অব¯হান করে এবং তাদের
বৈশিষ্ট্যসমূহ ধারণ করে। সুতরাং, ত্রিকোণা¯িহ ধারণ করে মূল কোষসমূহ এবং যা মহানবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
বর্ণিত উস্উস্ থেকে কিয়ামতে মানবজাতির পুনরুত্থান স¤পর্কে প্রমাণ বহন করে।
ঈড়পপুী থেকে মানব জাতিকে পুনরায় সৃষ্টি করা সম্ভব যা প্রাথমিক গুণাগুণ/বৈশিষ্ট্য
ধারণ করে। তাই ঈড়পপুী ক্ষয়প্রাপ্ত হতে পারে না।
গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন যে, ভ্রæণকোষ গঠন এবং উৎপত্তি প্রাথমিক
গুণাগুণ এবং সংযোগ¯হল দ্বারা প্রভাবিত হয়এবং এগুলি গঠনের পূর্বে কোন কোষ (সেল) বিভাজিত
হতে পারে না। যে সব গবেষকরা এটা প্রমাণ
করেছেন তাঁদের অন্যতম একজন হলেন জার্মান বিজ্ঞানী হ্যান্স স্পিম্যান। প্রাথমিক গুণাগুণ
এবং সংযোগ¯হল
এর ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি দেখলেন যে, এগুলিই হচ্ছে ভ্রæণ গঠনকারী মৌলিক
উপাদান। তাই তিনি এদের নাম দিলেন প্রাইমারী সংগঠক । ১৯৩১ সালে হ্যান্স
স্পিম্যান প্রাথমিক সংগঠনটি চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ফেলেন ১৯৩৩ সালে এটিকে সিদ্ধ
(বয়েলড) করে দেখলেন এতে কোষের কোনরূপ ক্ষতি হলো না বরং এ থেকে ২য় ভ্রæণ জন্মালো। ১৯৩৫ সালে
হ্যান্স স্পিম্যান প্রাথমিক সংগঠক আবিস্কারের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
উল্লেখ্য, ডঃ ওসমান আল
জিলানী এবং শেখ আবদ-আল মাজিদ আজানদানি ১৪২৩ সালের মাহে রমাদানে ঈড়পপুী এর ওপর
গবেষণা চালান শেখ সাহেবের বাড়িতে বসে। ৫টি ঈড়পপুী অ¯িহর ২টির মধ্যে ১টি
মেরুদন্ডের অ¯িহ ১০ মিনিট ধরে একটি পাথরের ওপর গ্যাসের সাহায্যে পোড়ানো হলে সেগুলি
উপ্তপ্ত লোহা যেরূপ লাল বর্ণ লাভ করে তেমনি অ¯িহগুলি প্রথমে লাল বর্ণ ধারণ করে পরে শীতল হয়ে কালো
বর্ণ-এ অর্থাৎ কয়লায় পরিণত হলে ঐ অ¯িহর কয়লাগুলিকে জীবাণুমুক্ত বক্সের মধ্যে পুরে সানার
সবচেয়ে বিখ্যাত খধনড়ৎধঃড়ৎু-অষ ঙষধশর খধনড়ৎধঃড়ৎু-তে নিয়ে গেলে সানা বিশ্ববিদ্যালয়ের
ঐরংঃড়ষড়মু ও চধঃযড়ষড়মু তত্তের অধ্যাপক। তিনি ভসি¥ভূত অ¯িহগুলি বিশে¬ষণ করে দেখলেন যে, আগুনে অ¯িহকোষগুলি বড় ধরনের প্রভাবে পড়েনি অর্থাৎ কেবল ¯হূল কোষগুলি পুড়ে গেলেও
ঈড়পপুী (উস্উস্ বা শক্ত হাঁড়) জীবšত রয়েছে । (সুব্হানাল¬াাহি ওয়াবিহাম্দিহি সুব্হানাল¬াহিল্ আ’জীম)।
থিওসফি
দর্শন শাস্ত্রের একটি শাখা, দিব্যজ্ঞান স¤পর্কিত দর্শন। থিওসফি
শিক্ষা দেয় যে, পশু ও সব বস্তুসহ সব মানুষ ও প্রাণিসত্ত¡া বা অরগানিজম প্রবাহিত হয়
একটি বিশুদ্ধ আধ্যাত্মিক গঠন থেকে এবং পরবর্তী সময়ে মহাজাগতিক জীবনচক্র শেষে তা
আবার ফিরে আসে পরম সত্ত¡ার কাছে।
রুশ দার্শনিক ও অকালিস্ট হেলেনা র্যাটভেটস্কির
ইমানিশনিজমবাদী কসমোলজি মতে, শুরুতে ঐশ্বরিকতা,
প্রথম একক অবিভাজ্য সত্ত¡ার উদ্ভব হয়েছে কসমিকচক্রের
শুরুর সময়ের ডিভাইন ইউনিটি থেকে এবং শেষ দিকে ফিরে যাবে এর উৎসের দিকে।
হেলেনা র্যাভেটস্কি ১৮৮৯ সালে প্রকাশিত ঞযব কবু
ঃড় ঞযবড়ংড়ঢ়যু বইতে লিখেছেনঃ আমরা বাস করি এমন একটি মহাজাগতিক অদৃশ্য নীতির ওপর-যা
সবার শেকড়, যা থেকে সব
সামনে বাড়ে এবং শেষে প্রাণীর মহাচক্র শেষে আবার এর মধ্যেই ফিরে আসবে। (সূত্রঃ
গ্রেট আইডিয়াজঃ উদ্ভববাদ, নয়াদিগন্ত,ঢাকা)। বৈজ্ঞানিক ভাষায় এর নাম ঋধুব ঞৎধহংরঃরড়হ. প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে,
সৃষ্টির সব আল্লাহর (গড'স)-এই মতের মধ্যে এক ধরণের
বিকৃতির সৃষ্টি হয়ে একত¦বাদ থেকে বহুত¦ বাদের সৃষ্টি হয়। আলোচ্য থিওসফি দর্শন শাস্ত্রের মতবাদগুলি বস্তুতঃ
বহুত¦বাদী
প্রবণতা থেকে উৎসারিত। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন এর অর্থ ঃ আল্লাহ
আমাদের সৃষ্টি করেছেন (ফেরেশÍাদের ডেকে মানব সৃষ্টির ইচ্ছা প্রকাশ করে তাদের মতামত জানতে চাওয়া,
মাটি দ্বারা দেহ সৃষ্টি
এবং তাতে রুহ ফুঁকে দেয়া-এসব বিষয় আল্লাহপাকের যাত (অস্তিত¦ ) থেকে সম্পূর্ণ পৃথক সৃষ্টি
সত্ত¦া
মাত্র। তাই আমরা সরাসরি আল্লাহপাকের অস্তিত¦ থেকে আসার ধারণা সঠিক নয় এবং ফিরে যাওয়ার অর্থঃ তাঁরই
নির্ধারিত ¯হান
কবরে, হাশরে,
মিজানে সর্বশেষ জান্নাত
অথবা জাহান্নামে যাওয়া বুঝায়। সরাসরি আল্লাহপাকের অস্তি¡তে মিশে যাওয়ার ধারণা সঠিক
নয়। তাহলে কবর, হাশর, মিজান জান্নাত/জাহান্নামের বিষয়গুলির প্রয়োজন হতো না। সুতরাং ‘ইমিনিশ্নিজম’ (ঊসধহরংহরংস)
ﺧﻠﻖﻌﺘﺎﺘﻌﺎﻠﻰﺍﻻﺒﺄﺒﺎﺄﻩﻤﻦﺸﻴﺌ
“বহু অংশের একত্রে
সংযুক্ত হওয়া তথা সংযোজিত ও সমি¥লিত হওয়াকে তারাক্কুব বলা হয়। এবং মিলিত রূপকে (মিলিত বস্তুকে)
মোতারাক্কেব বলা হয়” (প্রাগুক্ত পৃঃ ৯৭)।
“ইবনে কাসীর হযরত
আবুজর গিফারীর (রঃ) উদ্ধৃতিতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি হুজুর (সঃ)কে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, কুরসী কি এবং কেমন?
তিনি বলেছেন-যার
এখতিয়ারে আমার প্রাণ তাঁর কসম, কুরসীর কাছে সাত আকাশ ও সাত জমিনের তুলনা একটি বিরাট ময়দানে ফেলে দেওয়া
একটি আংটির মত। অন্য এক বর্ণনাতে আছে যে, আরশের তুলনায় কুরসীও অনুরূপ ” (মায়ারিফুল কুরআন,
প্রাগুক্ত পৃঃ ১১০)।
“আরশের উপরে বা
নীচে যা কিছু আছে সবই আল্লাহ পাক বেষ্টন করে রেখেছেন, তাঁর বেষ্টনির বাইরে কোন
কিছু নেই। অন্য আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে আল্লাহর কুরসী সমগ্র আসমান এবং জমিনকে বেষ্টন
করে আছে, আর
আরশকে আল্লাহ বেষ্টন করে রেখেছেন”(প্রাগুক্ত পৃঃ ১১০)।
“তিনি আছেন আরশের
উপর ” (প্রাগুক্ত
পৃঃ ৩৩)।
“আমাদের সাধারণ জগতে যুক্তি তর্কের অর্থ আছে। কিন্তু সাব
এ্যাটমিক কণার জগতে এ যুক্তি তর্ক অর্থহীন। তাই ব¯ত্তজগতে বিজ্ঞানীরা অদৃশ্য মৌলিক কণার অস্তিত্ব আছে বলে
মেনে নিতে প্র¯ত্তত ।” (সূত্রঃ নেদায়ে ইসলাম, দারুস সালাম, পৃঃ ৩২, বর্ষঃ ৭০, সংখ্যাঃ ০৩, রমজান-শাওয়াল ১৪৩১ হিঃ, সেপ্টে¤¦র-২০১০).
কণা পদার্থ বিজ্ঞানীরা সাব এ্যাটমিক কণার জগতে
অদৃশ্য কণা কোয়ার্ক-কে মনে করতেন বস্তুর
শেষ গঠন উপাদান। তাদের মতে কোয়ার্ক ‘হেডরণ’ দ্বারা আবদ্ধ অব¯হায় থাকে। তাই তাকে কখনো দেখা যায় না। মনে করা হয়েছিল হেডরণ-কে
উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন শক্তির অভিক্ষেপন (প্রোজেকটাইল) দ্বারা আঘাত করে ভাঙ্গলে
অদৃশ্য কোয়ার্ক দৃশ্যমান হবে। কিন্তু আশ্চর্য্যরে ব্যাপার হলো যে, এই প্রক্রিয়ায় অসংখ্য নিউক্লিয়াসের ধ্বংস বা বিলুপ্তি ঘটলেও পরিণামে
কোয়ার্ক দেখা আদৌ স¤ভব হয়নি বিজ্ঞানীদের। তাই
তাঁদের ভাষ্যঃ কোয়ার্ক আছে যেমন সত্য তেমনি কোয়ার্ক-কে দেখা যাবে না-এটাও সত্য।
যেমন ধর্ম বিশ্বাসীদের বিশ্বাসঃ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তা’য়ালা স¦অস্তিত্বে আছেন তবে আমাদের
যে জাগতিক চক্ষু আর তার দর্শন ক্ষমতা-তাতে আল্লাহ-কে এই জগতের জাগতিক চোখে কখনও
দেখা যাবেনা-এমনকি হাশরে কেবল তাঁর উপ¯িহতি উপলদ্ধি করা যাবে-দেখা যাবেঃ জান্নাতে।
যাহোক, কোয়ার্কের বাইরে আরও যে একটি অদৃশ্য অতি পারমানবিক কণার অস্তিত রয়েছে
সে ভাবনা-চিন্তা উদিত হয় পিটার হিগস, সত্যেন্দ্রনাথ বসু প্রফেসর আবদুস সালাম আর আইনেস্টাইনের
মাথায় । অবশ্য তারও আগে আলোর কণাবাদের ধারণা পেয়ে বসেছিল মুসলিম আলো বিশারদ আবু
আলী আল হুসাইন ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে সিনা আল বুখারীকে।
সাধারণতঃ আমরা সাধারণ মানুষ আল¬াহপাকের মৌলিক সৃষ্টি গাছ-কে কেটে শুকিয়ে কাঠ, মাছ-কে শুঁকিয়ে শুটকি,
ধান এর খোসা ছাড়িয়ে চাল,
চাল-কে রান্না করে ভাতে
পরিণত করে থাকি। পক্ষান্তরে বিজ্ঞানীরা আল্লাহর কুদরতি সৃষ্ট মৌলিক একাধিক ব¯ত্তর সমন¦য়ে/মিশ্রণে যৌগিককরণ করে যে
রূপাšতর
ঘটিয়ে থাকেন তাকেই আমরা “আবিস্কার" বলে থাকি। তাই দম্ভহীন বিজ্ঞানীদের নির্ভীক স¦ীকারোক্তিঃ আমরা বিজ্ঞানীরা
না পারি গড়তে, না পারি বিনাশে-বড়োজোর পরিবর্তন-রূপাšতর ব্যতিত! রাসায়নিক (ঈযবসরপধষ) প্রক্রিয়ায় কেমিক্যালজাত
ওষুধপত্র, দাহ্যপদার্থ;
পদার্থ (গধঃবৎরধষ)
প্রক্রিয়ায় লৌহ-ই¯পাতজাত যতসব ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি সবই আল¬াহপাকের কুদ্রতি মৌলিক
সৃষ্টির রূপাšতর মাত্র। এ ছাড়া কোন বস্তু ধ্বংসের ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানীরা পর্যšত অক্ষম। কারণ,
“কুল¬ুমান আলাইয়া ফান”-সব কিছু ধ্বংসের একমাত্র
মালিক আল¬াহ
জালœা
জালালাহু ওয়াশানুহু। তাই আমরা কাগজ পুড়িয়ে বিনাশ করতে চাইলেও পারিনা- কাগজ পুড়ে
পরিণত হয় কার্বনে। পানি পোড়ালে বাস্পে পরিণত হয়। তাইতো আল¬াহপাক বলেন যে, তিনি মানুষকে অতি কম জ্ঞান
এবং দূর্বল সত¦া দ¡ারা সৃষ্টি করেছেন।




Comments
Post a Comment