Posts

Showing posts from December, 2023

Informations

Informations প্রত্যেক বিষয় জোড়া জোড়া (আল কুরআন) মহাবিশ্ব মূলতঃ দ্বিবিধ যথাঃ ১) জড়ধর্মী এবং ২)প্রাণধর্মী। "আমরা পৃথিবীকে অর্থবহ করে তুলতে পারি আমাদেরর প্রশ্ন করার সাহস ও উত্তরের গভীরতা দিয়ে" (মার্কিন জ্যোতিঃ পদার্থবিজ্ঞানী কাল সাগান)। জড়ধর্মী কতিপয় মৌলিক বৈশ্বিক প্রশ্নঃ মহাবিশ্ব এক জটিল প্রক্রিয়ার নাম। সুতরাং, সাধারণ জ্ঞানে এই মহাবিশ্বের মর্মমূলে পৌঁছা কখনও সম্ভবপর নয়। তাই প্রয়োজন বিশেষ জ্ঞানের। বিশেষ জ্ঞানের অধিকারীকে বলা হয় বিজ্ঞানী। আবহমান কাল ধরে সাধারণ মানুষের মনে যে অনন্ত জিজ্ঞাসার জন্ম নেয় বিজ্ঞানীরা বিশেষ জ্ঞানের সাহায্যে তারই সদুত্তর দিতে চেষ্টিত হন নিরবচ্ছিন্ন গবেষণার মধ্য দিয়ে। এতদসংক্রান্ত জড়ধর্মী কতিপয় আদি প্রশ্নঃ “এই মহাবিশ্ব কোথা থেকে এলো? এটা হলো আদি প্রশ্ন। ১৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন বছর আগে এক মহাবিস্ফোরণ ঘটেছিল, যা থেকে এই মহাবিশ্ব জন্ম নিল। কেন? কেমন করে? তার আগে কী ছিল? কেউ জানে না” (বিচি, জুন, ২০১৯, পৃঃ ৩৬-৩৭)। প্রাণধর্মী কতিপয় মৌলিক বৈশ্বিক প্রশ্নঃ "পৃথিবীতে প্রাণের প্রকৃতি এবং গ্রহান্তরের কোনো জায়গায় প্রাণ আছে কিনা, তার অনুসন্ধান হল...

Update 8 Dec, 2023

১. স্ট্রিং নয়, কম্পন তত্ ত্বঃ কম্পনের মাত্রাই যেহেতু ঠিক করে দেয় সাইক্লোটন যন্ত্রে সৃষ্ট কণা ভর, স্পিন.....এর নিরিখে কোয়ার্ক হবে নাকি ইলেকট্রন হবে? সেহেতু IRRSTC এর মতে, প্রচলিত স্ট্রিং তত্ত্বের নির্ভরযোগ্য নাম হতে পারে “কম্পন তত্ত্ব”। কারণ, অয়লারের বেটা ফাংশন তথা কণা পদার্থ বিজ্ঞান মতে প্রতিটি কণাই কম্পমান। ২. মহাকর্ষের রহস্যের মূলোৎসঃ IRRSTC এর মতে, সার্বিক দিক বিবেচনায় জাগতিক পরিভাষায় বলা যেতে পারে মহাকর্ষ স্রেফ “প্রকৃতির অপার দয়া”, “অপার দান”, আধ্যাত্মিক পরিভাষায়ঃ “আল্লাহর দান” “গড’স গিফট” (God Gift)। ৩. হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশন ঃ মহাবিশ্বের উদ্ভব হওয়ার পূর্বে কি ছিল? কিসে মহাবিস্ফোরণ ঘটেছিল? মহাবিস্ফোরণের পূর্বেকার অবস্থাকে শুন্য ধরা হয় তাহলে বলা যেতে পারে মহাবিশ্ব সম্পূর্ণ নাই থেকে অর্থাৎ শুন্য অবস্থা থেকে সৃষ্টি হয়েছিল। উল্লেখ্য, স্টিফেন হকিংয়ের প্রাথমিক দাবী ছিল যে, মহাবিশ্বের উদ্ভব শুন্য। পরে বলা হলোঃ মহাকর্ষ বল থেকে। শুন্য কি শুধুই শুন্য? এর উত্তর রয়েছে কোয়ান্টাম মেকানিকসে। “শুন্যে শক্তি বিরাজমান থাকা কোয়ান্টাম মেকানিকসে নতুন কথা নয়” (বিজ্ঞানচিন্তা)। ৪. ডা...

ইসলামের আলোকে মহাবিশ্বতত্ত্ব

ইসলামের আলোকে মহাবিশ্বতত্ত্ব ‌ইসলামী সৃষ্টি তত্ত্ব বনাম আধুনিক বৈজ্ঞানিক সৃষ্টিতত্ত্ব দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান জীব ও জড় নির্বিশেষে সকল সৃষ্টিজগতের সৃষ্টিকর্তা প্রকৃত অর্থে কে? এবং এটি কখন, কিভাবে এবং কি দিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল?-এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তাত্ত্বিক ইতিহাস-কে সৃষ্টিতত্ত্ব (Creationism) বলা হয়। এ বিষয়ে রয়েছে একাধিক তত্ত্ব যথাঃ (ক) আস্তিক্যবাদী আধ্যাত্মিক সৃষ্টিতত্ত্ব এবং (খ) আধুনিক বৈজ্ঞানিক সৃষ্টিতত্ত্ব । আধ্যাত্মিক বা আস্তিক্যবাদী সৃষ্টিতত্ত্ব মতেঃ Nothing থেকে Everything সৃষ্টি হয়নি বরং অত্যন্ত সূক্ষ্ণদর্শী এবং মহা প্রবল প্রতাপশালী মহাজ্ঞানী একক সৃষ্টিকর্তা-ই সুপরিকল্পিত ও সুশৃঙ্খলিত এবং কঠোর নিয়মানুবর্তিতার মধ্য দিয়ে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন (সুবহা-নাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী, সুবহা-নাল্লাহিল আজীম)। আস্তিক্যবাদী সৃষ্টি তত্ত্বের অপর নাম “ইসলামী সৃষ্টিতত্ত্ব”। ইসলামী সৃষ্টিতত্ত্বে মহাবিশ্বের মহান সৃষ্টিকর্তা, সৃষ্টির পূর্ব অবস্থা এবং পরের অবস্থা, পরিবর্তন এবং মহা ধ্বংসতত্ত্ব (কেয়ামত) ইত্যাদি সম্পর্কিত পবিত্র কুরআন ও সহীহ্ সুন্নাহ ভিত্তিক বিশদ বিবরণ রয়েছে। পক্ষান্তরে বস্ত...