Posts

Showing posts from July, 2023

আই.আর.আর.এস.টি.সি গবেষণাপত্র-১৪৪৫/২০২৩

পদার্থ বিজ্ঞানের অতিপারমাণবিক যুগের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল প্রাচীন গ্রীক বিজ্ঞানী ডেমোক্রিটাসের হাত ধরে। তিনিই ছিলেন পদার্থের অতিপারমাণবিককরণের অগ্রদূত যিনি একটি পদার্থকে ভাঙতে ভাঙতে এত ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র, সূক্ষ্ণাতিসূক্ষ্ণ করেছিলেন যে, তাতে ক্লান্ত হয়ে এক সময় বলে উঠেছিলেনঃ গ্রীক ভাষায় “অ্যাটম” অর্থাৎ বাংলায় “আর ভাঙা যাবে না”। এই বলেই ডেমোক্রিটাস পদার্থের চূর্ণকরণে ক্ষ্যান্ত দিয়েছিলেন। অ্যাটম শব্দে তিনি বলতে চেয়েছিলেনঃ মহাবিশ্বের বস্তু্-পদার্থগত অবকাঠামোর উপাদান-উপকরণের মূলে রয়েছে একমাত্রিক অ্যাটম। অবশ্য, পরবর্তীতে আরেক গ্রীক বিজ্ঞানী অ্যারিস্টটল এসে মহাবিশ্বের একমাত্রিক কাঠামোর স্থলে চতুর্মাত্রিক ধারণাতত্ত্ব প্রকাশ করে বলেনঃ মহাবিশ্বের ভিত্তিমূলে রয়েছে ১) মাটি ২) পানি ৩) আগুন এবং ৪) বাতাস। অতঃপর মধ্যযুগে মধ্যপ্রাচ্যের আরব মুসলিম বিজ্ঞানী জাবির ইবনে হাইয়ান একমাত্রিক ও চতুর্মাত্রিকতার মধ্যবর্তী হিসাবে উপস্থাপন করেন ১) পারদ এবং ২) সালফেটভিত্তিক দ্বিমাত্রিক বিশ্ব সংগঠনের ধারণাতত্ত্ব। এ ধারণার শত শত বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর অতিপারমাণবিকতায় নতুন ধারণা তত্ত্ব নিয়ে আসেন পরমাণুবিদ ডাল্...

যে জাতির রাজা-বাদশাহরা ছিলেন বিজ্ঞানী!

Image
  যে জাতির রাজা-বাদশাহরা ছিলেন বিজ্ঞানী! খলিফা আল মানসুর রাজকীয় কার্য থেকে একটু অবসর পেলেই আব্বাসীয় খলিফা আল মানসুর জ্যোতিবিজ্ঞান গবেষণায় ডুবে যেতেন। তাঁকে ইসলামী বিজ্ঞান জগতে জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনকও বলা যায়। কারণ তিনিই আরবের প্রথম জ্যোতির্বিজ্ঞানী। এ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত ইউরোপীয় ঐতিহাসিক মিঃ বোসো বলেন, “আরব জ্যোতির্বিদদের মধ্যে খলীফা আল-মনসুর সর্ব প্রথম” । রাজধানী এবং জ্ঞান-ইবিজ্ঞানের পীঠস্থান রূপে বাগদাদের ভিত্তি স্থাপক হিসাবেও খলিফা আল মানসুর অনন্য। উল্লেখ্য, আল মানসুরই প্রথম বলিষ্ঠ পদক্ষেপের দ্বারা আরব বৈজ্ঞানিক ও খলীফাদের উৎসাহ এবং পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রীক, রোম, আর্য প্রভৃতি বিভিন্ন প্রকারের দর্শন বিজ্ঞান প্রভৃতির ব্যাপকভাবে অনুবাদ শুরু হয়। ফলে বিজ্ঞান আজো পৃথিবীতে বেঁচে আছে। ইসহাক আল-ফাজারী, ইয়াকুব ইবনে তারিক, আবু ইয়াহিয়া আল বাতরিক, নও-বখত, মাশাল্লাহ প্রমূখ বৈজ্ঞানিক মনসুরের রাজ-দরবারের সভাসদ ছিলেন। প্রাচীন বিশ্ব সভ্যতার স্মারক গ্রন্থের অনুবাদ কর্মে মধ্যযুগীয় মুসলিম জ্ঞানী-বিজ্ঞানীর ভূমিকা প্রাচীন গ্রীক বিজ্ঞান সংরক্ষণে মুসলিম বিজ্ঞানীদের ভূমিকা “গ্রীক বিজ্ঞানের নাম-গন্ধ...

হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশন

  Highest Energetic Radiation উনিশশত....সালে মহাবিশ্বের প্রাপ্ত আদি বিকিরণ শক্তি ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশনের কম্পিউটার সিমুলেশনের উপর ভিত্তি করে রচিত মডার্ণ কসমোলজিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড মডেল থিওরিমতে, মহাবিশ্বের উদ্ভব হয়েছিল হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশন বিস্ফোরণের মাধ্যমে যাকে বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ বলা হয়। “সেই আদি মহাবিস্ফোরণের শক্তি থেকে মৌলিক কণা এবং প্রতি কণার সৃষ্টি হলো” (বিজ্ঞানচিন্তা, পৃষ্ঠা ৩৭)।  আইনস্টাইনের ভরশক্তি সমীকরণ মতে, জমে থাকা শক্তি জমে থাকা বস্তুর মতই। অর্থাৎ এই সমীকরণমতে, জমাটবদ্ধ শক্তির নাম বস্তু-পদার্থ। বস্তুর ভর এবং ওজন উভয়টা শক্তির আরেক রূপ। শুন্যে শক্তি বিরাজমান থাকা কোয়ান্টাম মেকানিকসে নতুন কথা নয়। শক্তির নিত্যতার সূত্রমতে শক্তিকে ভাঙা যায় না, বিলীন করে দেয়া যায় না।‌অবিনাশী।স্ট্যান্ডার্ড মডেল থিওরিমতে, হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশন হচ্ছে সকল শক্তির একক নাম। যেহেতু “প্রত্যেক বিষয় মূলে পৌছে” (ফারাবী আল আরাবী) সেহেতু মহাবিশ্বের বস্তুগত মূল বা বীজ হচ্ছে হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশন। “সেই আদি মহাবিস্ফোরণের শক্তি থেকে মৌলি কণা এবং প্রতি কণার সৃষ্টি হলো...